নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সকালে টস জিতে ব্যাটিং নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের ৭৮তম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট অভিষেক হয়েছে পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের। এই মুহূর্তে খেলা চলছে তৃতীয় সেশনের আর চালকের আসনে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৮৩.৪ ওভারে ২৪৮ রানেই গুটিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস। বাভুমা ৫৪ রানে আউট হন। মুস্তাফিজ ১৭.৪ ওভার বল করে ৩৭ রানে নেন ৪ উইকেট।
১৬৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চা-বিরতিতে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা মুহূর্তে পরিণত হয় ১৭৩ /৬-এ। তৃতীয় সেশনের শুরুতেই মুস্তাফিজের করা ৬০তম ওভারের প্রথম, দ্বিতীয় ও চতুর্থ বলে দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলা, জেপি ডুমিনি ও কুইন্টন ডি-কক আউট। হ্যাটট্রিক না পেলেও নজর কাড়া পরপর চার বলে তিন উইকেট তুলে নিয়ে বিশ্ববাসীকে মুস্তাফিজ জানিয়ে দিলেন টেস্ট ক্রিকেটেও তিনি উইকেট নিতে জানেন।
মুস্তাফিজের করা ৬০তম ওভারের প্রথম বলে উইকেট কিপার লিটন দাসকে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান হাশিম আমলা। পরের বলেই জেপি ডুমিনিকে এলবিডিব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মুস্তাফিজ। ফিল্ড আম্পায়ার এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদনে সাড়া না দিলে রিভিউ নেন অধিনায়ক মুশফিক। তাতে সিদ্ধান্ত পাল্টে ডুমিনিকে আউট দেন থার্ড আম্পায়ার জুয়েল উইলসন। মুস্তাফিজের হ্যাটট্রিক ঠেকিয়ে দেওয়া কুইন্টন ডি-কক টেকেন মাত্র দুই বল। প্রথম বলটি ঠেকিয়ে দিলেও পরের বলেই তার অফ স্টাম্প উড়ে যায়। মুস্তাফিজের দুর্দান্ত বলটি একদমই বুঝতে পারেননি ডি-কক।
সকালে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাট নিয়ে বেশ দুর্দান্ত সূচনা করেছিল। ওপেনিং জুটি রৌদ্রজ্জ্বল দিনে দারুণ ব্যাটিং উইকেটের একটা পূর্বাভাস দেখতে পাচ্ছিলেন। কিন্তু দ্বাদশ ওভারে আক্রমণে আসা মাহমুদউল্লাহ ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারেই আঘাত হানেন। মাহমুদউল্লাহ'র বলে লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি হন ওপেনার স্টিয়ান ফন জিল। টেস্ট ক্রিকেটে এটাই উইকেট কিপার লিটন দাসের প্রথম ডিসমিসাল। ফন জিলের (৩৪) বিদায়ে ভাঙে দক্ষিণ আফ্রিকার ৫৮ রানের উদ্বোধনী জুটি।
দ্বিতীয় সেশনের শুরু থেকেই সঠিক লাইন লেন্থে বল করে ডিন এলগার ও ফাফ দু প্লেসিসকে বেধে রাখে স্বাগতিকরা। যে কারণে আঁটসাঁট বোলিংয়ের পুরস্কার পেতে বেশি দেরি হয়নি টাইগার্সদের। তাইজুল ইসলামের বলে লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি হয়ে ডিন এলগারের (৪৭) বিদায়ে ভাঙে ৭৮ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। প্রথম প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ক্যাচটি ধরেন উইকেটরক্ষক লিটন দাস।
পরের ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানকে সরিয়ে শাকিব আল হাসানকে বোলিংয়ে আনেন ক্যাপ্টেন মুশফিক। দ্বিতীয় স্পেলে নিজের প্রথম বলেই ফাফ দু প্লেসিসকে (৪৮) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন শাকিব। ১৩৬ রানেই দক্ষিণ আফ্রিকার দুই উইকেট পড়ে যায়। মানে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ১৩৬ রান। তারপর চতুর্থ উইকেট জুটিতে আবার ১৩৬ থেকে ১৭৩ পর্যন্ত দৌড়। তারপরেই মুস্তাফিজের সেই ভয়ংকর ওভার।
টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সেন্টার উইকেট বেশিরভাগ সময়ই ঢাকা ছিল। এমন আবহাওয়ায় উইকেট কেমন আচরণ করবে তা নিয়ে উভয় দলের খেলোয়াড়রাই সংশয়ে ছিলেন। কিন্তু আজ সকাল থেকেই রোদ থাকায় সব সংশয় কেটে যায়। পুরোপুরি ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে দলকে ভালো ভিত গড়েন দেন এলগার-ফন জিল-দু প্লেসিসরা।
বাংলাদেশ দলে প্রথম টেস্টের একাদশে জায়গা হয়নি সৌম্য সরকার, নাসির হোসেন ও রুবেল হোসেনের। দক্ষিণ আফ্রিকা দলে বাদ পড়েছেন রিজা হেনড্রিকস, অ্যারন ফাঙ্গিসো, কাগিসো রাবাদা, ড্যান ভিলাস।
মুস্তাফিজের পর এবার জোড়া আঘাত হেনেছেন জুবায়ের হোসেন। দক্ষিণ আফ্রিকার রান এখন ৯ উইকেটে ২৪৫। দিনের খেলা বাকি এখনো ৯.২ ওভার। বাংলাদেশের পক্ষে ১৬ ওভার বল করে ৩৬ রানে ৩ উইকেট নেন অভিষেক হওয়া মুস্তাফিজ। জুবায়ের হোসেন ১৪ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। আর একটি করে উইকেট নেন শাকিব, মাহমুদউল্লাহ ও তাইজুল।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেছেন থেম্বা বাভুমা। বাভুমা ৫৩ রানে অপরাজিত আছেন এখনো। অপর অপরাজিত ব্যাটসম্যান মরনে মরকেল (৩)। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন ফাফ ডু প্লেসিস। তৃতীয় সর্বোচ্চ ডিন এলগার করেন ৪৭ রান।
............................
২১ জুলাই ২০১৫
ঢাকা
সূত্র: বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৭
সৌরভ খাঁন বলেছেন: বাংলাদেশ যেন এতদিন পর এতগুলো রত্ন পেল। ক্রিকেটই বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে চিনাতে যথেষ্ট।