নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
আমাদের এখন যে কথাটি মনে রাখতে হবে সেটা হল, মুস্তাফিজুর রহমানকে যত্রতত্র ব্যবহার না করা। মুস্তাফিজ যাতে দীর্ঘ দিন খেলতে পারে, বিশেষ করে টেস্ট ও একদিনের ক্রিকেট, সেদিকেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সতর্ক হওয়া জরুরী। ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ইনজুরির শিকার হন ফাস্ট বোলাররা। এর আগে খালেদ মাসুদ পাইলট সহ আমাদের আগের অনেক ক্যাপ্টেন মাশরাফি মুর্তাজাকে যত্রতত্র ব্যবহার করে কিন্তু বারবার ইনজুরিতে ফেলেছিলেন। মাশরাফি'র টেস্ট ক্যারিয়ার মাঝ পথে আটকে যাবার পেছনে এটা একটা প্রধান কারণ। ফাস্ট বোলারকে অপব্যবহার করা। তাই অতি উচ্ছ্বাসে আমরা যেন আবার নতুন করে মুস্তাফিজকে অপব্যবহার না করি। সেটা বিসিবিকে এখন থেকেই মনে রাখতে হবে এবং সে বিষয়ে সুতীক্ষ্ণ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
মুস্তাফিজকে টিটুয়েন্টির মত ফালতু ফরমেটে একদম না খেলানো উচিত। এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত। মুস্তাফিজ যাতে দীর্ঘদিন টেস্ট খেলার সুযোগ পায় সেই লক্ষ্যে এখন থেকেই মুস্তাফিজকে গড়ে তুলতে হবে। একদিনের ক্রিকেটেও সুযোগমত তাকে বিশ্রাম দিতে হবে। নইলে বাংলাদেশে হঠাৎ আবিস্কার হওয়া এই পেসকার্টারকে আমরা ধরে রাখতে পারব না। আমরা মাশরাফিকে অপব্যবহার করে তার টেস্ট ক্যারিয়ারকে হুমকির মধ্যে ফেলেছি। একই ঘটনা যেন আমরা অতি উচ্ছ্বাসে আবার মুস্তাফিজের বেলায় না করি। আজ অভিষেক টেস্টেই মুস্তাফিজকে দিয়ে ১৮ ওভার বল করানো হয়েছে। এটা কিন্তু একটু বেশি মনে হচ্ছে আমার কাছে। অথচ দলে কিন্তু তিনজন স্পিনার ছিল। এটা ফাস্ট বোলারদের উপর চাপ তৈরি করে। নতুন অভিষিক্ত হওয়া তারুণ্যের নেশার ঘোরের মধ্যে থাকা মুস্তাফিজকে সেই ঘোরের মধ্যে আমরা অপব্যবহার না করি, সেটা সবাইকে মনে রাখতে হবে।
মুস্তাফিজ যত বেশি বল করবে তত বেশি বাংলাদেশ উইকেট পাবে, আমরা যেন এই অভিপ্সার মধ্যে আটকে না যাই। আমাদের অন্য বোলারদের মধ্যে যেন এই অনিচ্ছার বুদবুদ বাসা না বাধে যে মুস্তাফিজ উইকেট নেবে, আমরা শুধু বল করে যাব। মোদ্দাকথা মুসফিজের উপর চূড়ান্ত ভর করার মত দলীয় চাপ যেন তৈরি না হয়, যে ধরনের চাপ এখন শ্রীলংকার মালিঙ্গা বা ভারতের মোহাম্মদ সামি বা ইংল্যান্ডের ব্রড ফেইস করে অভ্যস্থ। পরিনত হবার পর মুস্তাফীজ সেই চাপ এমনিতেই নিতে পারবে। তার আগে যেন তার উপর সেই চাপ তৈরি করা না হয়।
মনে রাখতে হবে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ১৫ বছরের ইতিহাসে একজন মাশরাফি বা একজন মুস্তাফিজ কিন্তু বিরল প্রতিভা। যা হুট করেই আবিস্কৃত হওয়া বাংলাদেশের সম্পদ। সেই সম্পদকে অপরিকল্পিত অপরিপক্ক সিদ্ধান্তে খরচ করা মোটেও দুরদর্শীতার কাজ হবে না। মুস্তাফিজকে নিয়ে বিসিবি'র সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে পরিকল্পনা করা উচিত। যে কোনো ফরমেটে ফিটনেস থাকলেই খেলবে, এমন নীতি থেকে বেড়িয়ে আসা উচিত।
২| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:০৩
মোঃ আবু হেনা সাজ্জাদ বলেছেন: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সতর্ক হওয়া জরুরী।
৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৪৭
মামু১৩ বলেছেন: আশরাফুলের মত ফাঁদে যাতে না পরে, সে দিকেও সতর্ক নজর রাখা উচিত।
৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৩৮
মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: খুবই সত্য কথা বলেছেন ভাই.।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৪৮
নতুন বলেছেন: সহমত ১০০% ++