নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের হাতে থাকা বিদেশি মুদ্রা এবং বিদেশে তাদের সম্পত্তির তথ্য চাওয়ার বিধান রেখে গতকাল রবিবার জাতীয় সংসদে ‘ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০১৫’ কণ্ঠভোটে পাস হয়। গত জুলাই মাসে অর্থমন্ত্রী আইন সংশোধনের প্রস্তাবটি সংসদে উত্থাপন করেছিলেন। এরপর অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি পরীক্ষার পর তা ফেরত আসে।
বিলের সংশোধনী প্রস্তাব দেওয়ার সময় জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম এবং স্বতন্ত্র সদস্য হাজি মো. সেলিম আইন বাস্তবায়নে বিভিন্ন আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কথা তুলে ধরেন।
জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, “আমলাতান্ত্রিক জটিলতা থাকে। কিন্তু আমরা যারা আছি তারা কী ঘোড়ার ঘাস কাটতে আছি? মন্ত্রিসভা কী ঘোড়ার ঘাস কাটতে আছে? এখানে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা জানেন, কিভাবে দায়িত্ব পালন করতে হয়। আমলাতন্ত্রকে কিভাবে ধরতে হয়, তা আমরা জানি।”
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়, বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশিদের কার কাছে কত বিদেশিমুদ্রা আছে তা জানার চেয়ে দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের কার কাছে কত বিদেশি মুদ্রা আছে, সেটা জানতে পারলে বরং দেশের মঙ্গল হতো। দেশের আম-জনতাও জানতে পারত কোন কুতুবের কাছে কত হাজার কোটি টাকার বিদেশি মুদ্রা আছে। আগে নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখা উচিত। পরে অন্যদের চেহারা দেখা উত্তম নয় কি!!
সংশোধিত আইন অনুযায়ী, সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনে বাংলাদেশে বসবাসরত বাংলাদেশি ও অন্য দেশের নাগরিকদের হাতে থাকা বিদেশি মুদ্রা বা বৈদেশিক সিকিউরিটিজ সম্পর্কিত তথ্য এবং বিদেশে তাদের স্থাবর বা অন্য সম্পত্তির বিষয়ে তথ্য চাইতে পারবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, বিদেশিরা বাংলাদেশ ব্যাংকের বা সরকারের কাছে যে যে হিসাব দেবেন, তা যাচাই বাছাই করার উপায় কী হবে? তা যাচাই বাছাই করার জন্য কী আমাদের অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এই সুযোগে বাইরে পিকনিক করতে যাবেন? মাননীয় অর্থমন্ত্রী মহোদয়, আইন পাস করা আর বাস্তবে তা কার্যকর করার মধ্যে বাংলাদেশে একটা নৈরাজ্য রয়েছে। এটি শেষ পর্যন্ত না সেদিকেই যায়।
কারণ, এর আগে আমরা দেখেছি, পদ্মা সেতুর ঠিকাদারদের কারিগরি বিষয়গুলো ঠিকমত হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সাংসদ বিদেশে জনগণের টাকার শ্রাদ্ধ করেছেন। যারা টেকনিক্যাল বিষয়ে কিছুই জানেন না, তারাই সেই সফরে স্ত্রীদের নিয়ে পিকনিক করেছেন। গচ্ছা গেছে কোটি কোটি টাকা। যা পদ্মা সেতুর খরচ বাড়ার একটি অন্যতম কারণ। অতএব সাধু সাবধান
৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫
ঢাকা
©somewhere in net ltd.