নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
গত ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে বাংলা ট্রিবিউন অনলাইন এডিশানে ''আবাসিক এলাকায় অফিস: আন্দোলনকারীরাই ভাঙছেন নিয়ম'' শিরোনামে প্রতিবেদক উদিসা ইসলাম-এর করা একটি নিউজ প্রকাশিত হয়েছে। শিরোনাম দেখে আগ্রহী পাঠকমাত্রই সংবাদটি পড়বেন। কিন্তু এই সংবাদটি খুব মনযোগ দিয়ে পড়লে যে কোন পাঠকই বুঝতে পারবেন, এই নিউজটির পেছনে একটি সুনির্দিষ্ট অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে। সেই উদ্দেশ্যটি বোঝার জন্য সবচেয়ে বড় প্রমাণ এই সংবাদটির ভেতরেই রয়েছে। সংবাদটি বাংলা ট্রিবিউন অনলাইনে প্রথম প্রকাশ করেছে ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখ রাত ৯ টা ১ মিনিটে। কিন্তু এই সংবাদটি আবার পরদিন ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে বিকাল ৪টা ৩৯মিনিটে সম্পাদনা করা হয়েছে। তারপরেও এই সংবাদটি একটি হলুদ সাংবাদিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
এই সংবাদটির প্রতিবেদক উদিসা ইসলামকে আমি চিনি না। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে তার করা অনেক প্রতিবেদন আমি নিয়মিত পড়ি। আলোচ্য সংবাদটি যে দেশের একজন প্রতিথযশা নগরপরিকল্পনাবিদের মানসম্মানকে হেয় করার সুনির্দিষ্ট অসৎ উদ্দেশ্য ও কুমতলব নিয়েই তৈরি করা হয়েছে, সেটি বুঝতে কারো অসুবিধা হবার কথা নয়। ব্যক্তিগতভাবে আমি প্রফেসর নজরুল ইসলামকে চিনি। নগর পরিকল্পনা, নগর ও পরিবেশ, নগরে বন্যা, নগরে বস্তি, নগর দূষণ, নগর ব্যবস্থাপনা সহ শহরের বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধান বিষয়ে বাংলাদেশে যাঁরা নিরলসভাবে সততা ও একনিষ্ঠতার সঙ্গে কাজ করেন প্রফেসর নজরুল ইসলাম তাঁদের মধ্যে কেবল অন্যতমই নন অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। প্রফেসর নজরুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ থেকে ২০০৭ সালে অবসর নেবার পর, ২০০৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি ইউএনডিপি বাংলাদেশ এর নগর বিষয়ক ন্যাশনাল পলিসি অ্যাডভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি পরিবেশ বিষয়ক সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশান 'বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)'-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট। প্রফেসর নজরুল ইসলাম বাংলা একাডেমি ও বাংলাদেশ জিওগ্রাফিক্যাল সোসাইটি'র একজন সম্মানিত ফেলো এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লানার্স-এর একজন সম্মানিত সদস্য। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নগর বিষয়ক বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত।
১৯৭২ সালে তিনি নগর গবেষণা কেন্দ্র (সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজ) প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশে নগর বিষয়ে প্রফেসর নজরুল ইসলামের এই প্রতিষ্ঠানটি শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নগর ও পরিবেশ বিষয়ে গবেষণা করে। কর্মজীবনে প্রফেসর নজরুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে ১৯৬৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত এবং থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইনস্টিটিউ অব টেকনোলজি (এআইটি)-তে ১৯৮২ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত শিক্ষকতা করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি ১৯৯২ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত 'এশিয়ান রিজিয়ন অব দ্য গ্লোবাল আরবান ইনিসিয়েটিভ (জিইউআরই)'-এর কোঅর্ডিনেটর এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত ঢাকা ওয়াশার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অনেক ছাত্রছাত্রী প্রফেসর নজরুল ইসলামের অধীনে এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি গ্রহন করেছেন।
বাংলাদেশে প্রফেসর নজরুল ইসলামের মত একজন সম্মানিত ব্যক্তি ও আদর্শ শিক্ষককে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবার কিছু নেই। গোটা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেই প্রফেসর নজরুল ইসলামের অনেক ছাত্রছাত্রী ছড়িয়ে ছিটিয়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছেন, যা বাংলাদেশের জন্য গর্বের বিষয়। সরাসরি তাঁর ছাত্র হবার সুযোগ না পেলেও তাঁর সঙ্গে মেশার সুযোগ পেয়ে আমি নিজেকে একজন গর্বিত নাগরিক মনে করি। প্রফেসর নজরুল ইসলামের ছাত্র হবার জন্য জিওগ্রাফি'র স্টুডেন্ট হতে হবে এমন কোনো ধরাবাধা নিয়মও নেই। জীবনে শেখার জন্য তাঁর মত মানুষের কাছে যতটা সময় পার করা যায়, সেটাই বরং জীবনের শিক্ষাক্ষেত্রে একটা বড় অর্জন বলে আমি মনে করি। তাঁর মত একজন আদর্শ শিক্ষক বাংলাদেশে বিরল। প্রফেসর নজরুল ইসলামের সততা, একনিষ্ঠতা, প্রজ্ঞা ও সম্মানকে আহত ও হেয় করার উদ্দেশ্যে বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশিত সংবাদটির ভাষা, রুচিবোধ, মিথ্যা তথ্য ও অসততার আশ্রয়কে যে কোনো রুচিবান পাঠকেরই নজরে আসার কথা।
যেকোন অনুসন্ধানী সংবাদের ক্ষেত্রে সংবাদের গুরুত্ব অনুযায়ী যে ধরনের তথ্য যাচাই বাছাই, প্রতিক্রিয়া, রেফারেন্স, সোর্স ও বস্তুনিষ্ঠতা উল্লেখ করা প্রয়োজন, তা বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশিত আলোচ্য এই সংবাদে অনুসরণ করা হয়নি। বরং সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপূর্ণ ভাবে এই সংবাদে মিথ্যা ও অরুচিকর ভাষার প্রয়োগ ঘটিয়ে প্রফেসর নজরুল ইসলামকে ব্যক্তিগত ভাবে অপদস্থ ও হেয় করার একটি অসৎ উদ্দেশ্যই কেবল প্রতিফলিত হয়েছে। বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশিত প্রতিবেদক উদিসা ইসলাম-এর এই সংবাদটি একটি হলুদ সাংবাদিকতার দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। প্রকাশিত সংবাদে মোট ছয়টি ছবি ব্যবহার করা হলেও, প্রথম ছবিটির ক্ষেত্রে প্রফেসর নজরুল ইসলামের একটি ছবি ফটোশপে এডিট করে বসানোটা একটি অরুচিকর ও সম্পূর্ণ অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত। যা হলুদ সাংবাদিকতার একটা জলন্ত উদাহরণ। প্রকাশিত সংবাদে কেবল ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার উদাহরণ টানার দৃষ্টান্তও অত্যন্ত দৃষ্টিকটু। রাজধানী ঢাকায় কেবল ধানমন্ডি-ই আবাসিক এলাকা নয়, গোটা ঢাকায় আরো অনেক আবাসিক এলাকা রয়েছে।
একটি সংবাদে এভাবে একটি ছবি ফটোশপে এডিট করাটা সম্পূর্ণ অসততার আশ্রয় নেবার সামিল, কোন এক বা একাধিক সুবিধাবাদী গোষ্ঠী, মহল ও চক্রকে খুশি করার নামান্তর এবং একজন সম্মানিত ব্যক্তি সম্পর্কে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে এমন অরুচিকর সংবাদ প্রকাশ করা যে একটি ফৌজদারি অপরাধ, সেই জ্ঞানটুকু এই সংবাদের প্রতিবেদক উদিসা ইসলাম-এর রয়েছে কিনা আমি জানি না। কিন্তু বাংলা ট্রিবিউন-এর এই সংবাদটি যে সম্পূর্ণ অসৎ উদ্দেশ্য নিয়েই প্রফেসর নজরুল ইসলামের ব্যক্তিগত মানসম্মানকে হেয় করার একটি অরুচিকর অপপ্রয়াস, সেটি রুচিবান পাঠক এবং প্রফেসর নজরুল ইসলাম সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা রাখেন এমন যে কারোরই নজরে আসার কথা। আমি বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশিত ''আবাসিক এলাকায় অফিস: আন্দোলনকারীরাই ভাঙছেন নিয়ম'' শিরোনামের সংবাদটির প্রতি তীব্র প্রতিবাদ ও অসন্তোষ প্রকাশ করছি। এই সংবাদটি প্রফেসর নজরুল ইসলামের মানসম্মানকে হেয় করার উদ্দেশ্যেই একতরফা বানোয়াট ও মিথ্যা তথ্যে সাজানো হয়েছে বলে আমি মনে করি।
প্রকাশিত সংবাদের প্রথম লাইনেই প্রতিবেদক উদিসা ইসলাম যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, সেটি প্রফেসর নজরুল ইসলামের মত একজন সম্মানিত ব্যক্তিকে হেয় করার উদ্দেশ্য নিয়েই লেখা বলে আমি মনে করি। প্রফেসর নজরুল ইসলাম নগর পরিকল্পনা আর রাজধানী বাঁচানোর নানা গবেষণা নিয়ে হঠাৎ আবির্ভূত হওয়ার মত কোনো ব্যক্তিত্ব নন। বরং নগর গবেষণায় প্রফেসর নজরুল ইসলাম ও তাঁর দীর্ঘদিনের একনিষ্ঠ শ্রমে প্রতিষ্ঠিত 'নগর গবেষণা কেন্দ্র'কে বাংলাদেশের নগর ও পরিবেশের সুস্থতা রক্ষার জন্য, নগর বিষয়ক বিভিন্ন পরিকল্পনা, উপদেশ ও সঠিক দিকনির্দেশনা পাবার একটি যোগ্যতম সোর্স হিসেবে কাজে লাগানোর জন্য সরকার ও ছাত্রছাত্রীদের বৃহত্তর স্বার্থ বিবেচনায় যেখানে সরকারের উচিত এই প্রতিষ্ঠানটিকে আরো আধুনিক ও যুগপোযুগী অফিস কাঠামো দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা, সেখানে তাঁর মত একজন সম্মানিত ব্যক্তি ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে এমন অরুচিকর ভাষায় মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন সম্পূর্ণ অসভ্যতা, অরুচিকর এবং অপরাধের সামিল। এ ধরনের সংবাদের পেছনে রিয়েল স্টেট বিজনেস ও সুবিধাভোগী অনেক পক্ষের দাবি মেটানোর একটি অপতৎরতা সুস্পষ্টভাবেই প্রতিফলিত।
বাংলাদেশে হলুদ সাংবাদিকতার নানান কিসিমের চেহারা সম্পর্কে আমাদের সুস্পষ্ট ধারণা রয়েছে। একজন সাংবাদিক সংবাদমাধ্যমের নির্ধারিত বেতন কাঠামোর বাইরে কতোটা অসৎ হয়ে কিভাবে ঢাকায় বাড়ি, গাড়ি, লক্ষ-কোটি টাকার মালিক বনে যান, সেই ইতিহাসও আমরা জানি। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের নির্ধারিত বেতন নিয়ে একজন সাংবাদিকের পক্ষে অসততা ছাড়া বাড়ি, গাড়ি ও লক্ষ-কোটি টাকার ব্যাংক ব্যালেন্স করার কোনো সুযোগ নাই। একজন সাংবাদিকের বেতন কত, সেই বেতনে তার পক্ষে কতোটা রাজকীয় বাহাদুরি করা সম্ভব, তা বোঝার মত বয়স ও জ্ঞান দুটোই আমার আছে। নানান কিসিমের ধান্দা ও অসততার আশ্রয় নিয়ে উদিসা ইসলামদের মত সাংবাদিকরাই সাংবাদিকতার মত একটি মহৎ পেশাকে হলুদ সাংবাদিকতা দিয়ে কলংকিত করছেন। যা মোটেও সাংবাদিকতায় গ্রহনযোগ্য হতে পারে না।
সাংবাদিকতার কোনো পাঠেই এমন অসততার আশ্রয় নেবার কোনো সুযোগ নেই। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদই একটি সংবাদপত্রের প্রধান হাতিয়ার। মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদে হয়তো কোনো কোনো সুবিধাবাদী মহলের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করা সম্ভব হয়, কিন্তু সেই সংবাদ পাঠকের কাছে কোনো দিনই গ্রহনযোগ্যতা পায় না। বাংলাদেশের প্রচলিত গণমাধ্যম আইন এবং প্রেস ও গণমাধ্যমের নীতি, নিয়ম কানুন ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের রুচি, শিষ্টাচার ও বিধিবিধানের কোথাও এমন অরুচিকর, অসত্য, মিথ্যা, বানোয়াট ও অসৎ উদ্দেশ্যে তৈরি করা সংবাদকে গ্রহন করার বৈধতা দেয়নি। আমি মনে করি, প্রফেসর নজরুল ইসলামের এখন উচিত তাঁর মানসম্মানকে হেয় করার অপপ্রচেষ্টা এবং হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধের হাতিয়ার হিসেবে আলোচ্য সংবাদের প্রতিবেদক, বাংলা ট্রিবিউন-এর সম্পাদক ও প্রকাশকের বিরুদ্ধে মহামান্য আদালতের স্মরণাপন্ন হওয়া। বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশিত উদিসা ইসলাম-এর এই সংবাদটির জন্য আমি আবারো তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি সাংবাদিকতায় বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের জন্য আরো কী কী পাঠ ও অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত, এবং সংবাদের ভাষা কেমন হওয়া উচিত, সে বিষয়ে আলোচ্য সংবাদের প্রতিবেদক উদিসা ইসলামকে আরো সতর্ক হবার পরামর্শ দিচ্ছি। নইলে হলুদ সাংবাদিকতা করে হয়তো বাড়ি, গাড়ি, ব্যাংক ব্যালেন্স করা সম্ভব হবে, কিন্তু সত্যিকার পাঠকদের মন জয় করা সম্ভব হবে না। এমন কি অসততা ও অসৎ উদ্দেশ্য প্রমাণিত হলে দেশের প্রচলিত আইনে জেল জরিমানার মত বিরম্বনায় পড়ার সম্ভাবনাও থাকবে।
উদিসা ইসলাম আপনি ভবিষ্যতে সংবাদ সংগ্রহে ও সংবাদ লেখার সময় আরেকটু যত্নবান হবেন বলেই আমি প্রত্যাশা করি। অপ-সাংবাদিকতায় হয়তো আলোচনায় থাকা যায়, কিন্তু সেখানে সাংবাদিকতার মত একটি মহৎ পেশায় দায়িত্বহীনতারও একটি সুস্পষ্ট আভাস লুকিয়ে থাকে। সাংবাদিকতা একটি মহৎ পেশা, সেই পেশাকে কলংকিত করার কোনো অধিকারই আপনার নাই, কোনো লাল-হলুদ-নীল সাংবাদিকেরও নাই। সাংবাদিক হিসেবে যা শুনলাম, যাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে সংবাদ বানিয়ে প্রকাশ করে দিলাম, এটা কোনো সুস্থ সাংবাদিকতার লক্ষণ নয়। উদিসা ইসলাম, আপনার এই সংবাদটির জন্য আমি তীব্র ভাষায় নিন্দা জ্ঞাপন করছি এবং বাংলা ট্রিবিউনকে অনুরোধ করব, কোনো সংবাদ প্রকাশের আগে সেই সংবাদের উদ্দেশ্যের চেয়ে বস্তুনিষ্ঠতার প্রতি আরো যত্নবান হতে। নইলে আমার মত অনেক পাঠক ভবিষ্যতে আপনাদের এড়িয়ে চলবে।
..................................
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫
ঢাকা
©somewhere in net ltd.