নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ থেকে গড়ে প্রতি বছর বৈদেশিক মুদ্রায় অর্জিত আয়ের অন্তত এক তৃতীয়াংশ হজ উপলক্ষ্যে খরচ হচ্ছে !!!

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:১৪

এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জন হ্জযাত্রী অফিসিয়ালি হ্জ করার জন্য টাকা জমা দিয়েছেন। এদের মধ্যে সরকারি কোটায় তিন হাজার এবং বেসরকারি কোটায় ৯৮ হাজার ৭৫৮ জন হজযাত্রী টাকা জমা দিয়েছেন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি হজ প্যাকেজ রয়েছে। একটি প্যাকেজে হজযাত্রীর খরচ হবে তিন লাখ ৫৪ হাজার ৩১৬ টাকা। অন্যটিতে খরচ হবে দুই লাখ ৯৫ হাজার ৭৭৬ টাকা। এ ছাড়া কোরবানির জন্য প্রতিটি প্যাকেজে আরও খরচ হবে (৫০০ রিয়াল) সাড়ে ১০ হাজার টাকা। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় একাধিক প্যাকেজ রয়েছে। ন্যূনতম প্যাকেজ হলো দুই লাখ ৯৫ হাজার ৭৭৬ টাকা। এ ছাড়া তিন লাখ ৫৪ হাজার ৩১৬ টাকা থেকে আরও বেশি টাকার প্যাকেজ রয়েছে।

যদি সরকারি প‌্যাকেজের অর্ধেক ১৫০০ জন হজযাত্রী প্রথম প‌্যাকেজে হজ করতে যান তাহলে, তাদের খরচ হবে ৫৪ কোটি ৭২ লাখ ২৪ হাজার টাকা। আর দ্বিতীয় প‌্যাকেজে বাকি অর্ধেক ১৫০০ জন হজযাত্রীর খরচ হবে ৪৫ কোটি ৯৪ লাখ ১৪ হাজার টাকা। অর্থ্যাৎ সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন হাজার হজযাত্রীর অন্তত মোট খরচ হবে একশো কোটি ৬৬ লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকা।

যদি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮০ হাজার হজযাত্রী ন্যূনতম খরচ প‌্যাকেজে হজ করতে যান, তাহলে তাঁদের মোট খরচ হবে দুই হাজার চারশো পঞ্চাশ কোটি ২০ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এবং বাকি ১৮ হাজার ৭৫৮ জন হজযাত্রী যদি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সর্বোচ্চ খরচে হজ করতে যান, তাঁদের মোট খরচ হবে অন্তত ছয়শো ৮৪ কোটি ৩২ লাখ ১৮ হাজার ৫২৮ টাকা। অর্থ্যাৎ বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯৮ হাজার ৭৫৮ জন হজযাত্রীর কমপক্ষে খরচ হবে তিন হাজার একশো ৩৪ কোটি ৫২ লাখ ৯৮ হাজার ৫২৮ টাকা।

তাহলে, বাংলাদেশ থেকে এবার এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জন হজযাত্রী হজ উপলক্ষ্যে কমপক্ষে মোট তিন হাজার দুইশো ৩৫ কোটি ১৯ লাখ ৩৬ হাজার ৫২৮ টাকা খরচ করবেন। অর্ধ্যাৎ এবছর বাংলাদেশ থেকে হজ উপলক্ষ্যে কমপক্ষে তিন হাজার দুইশো ৩৫ কোটি ২০ লাখ টাকা খরচ হবে, যার একটা প্রধান অংশ সৌদি সরকারের কোষাগারে জমা হবে। যদি মার্কিন ১ মার্কিন ডলারকে ৮০ টাকা ধরি, (প্রকৃতপক্ষে আজকে ১ ডলার = ৭৭ টাকা ৮৩ পয়সা) তাহলে চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে হজ উপলক্ষ্যে কমপক্ষে খরচ ৪০ কোটি ৪৩ লাখ ৯৯ হাজার ২০৬.৬ মার্কিন ডলার। যার মধ্যে একটা প্রধান অংশ সৌদি সরকারের আয়। অর্থ্যাৎ চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে হজ উপলক্ষ্যে প্রায় ৪১ কোটি মার্কিন ডলারের একটি প্রধান অংশ সৌদি সরকারের আয় হিসাবে যোগ হচ্ছে।

এবার দেখা যাক, চলতি বছরে বৈদেশিক মুদ্রায় আয়ের হিসেবে বাংলাদেশ কত আয় করল? বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, গত বছর জুলাই থেকে এবছর জুন পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রায় বাংলাদেশের আয় প্রায় ১.৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১৪৩ কোটি মার্কিন ডলার। বৈদেশিক মুদ্রায় বাংলাদেশের প্রধান আয়ের খাত রেমিটেন্স থেকে। গত বছর বৈদেশিক মুদ্রায় বাংলাদেশের আয় ছিল ১.২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর সেখান থেকে হজ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের কেবল চলতি ৪১ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়, যার একটি প্রধান অংশ হলো সৌদি সরকারের আয়। অর্থ্যাৎ বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার আয়ের শতকরা প্রায় ২৮.৬৭ ভাগ বা এক তৃতীয়াংশ চলতি বছর হজ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ খরচ করছে। যার প্রধান অংশটি হচ্ছে সৌদি সরকারের আয়।

তার মানে হিসাবটা সহজ করলে দাঁড়ায়, প্রতি বছর বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রায় যা আয় করছে, তার অন্তত এক তৃতীয়াংশ হজ উপলক্ষ্যে খরচ হচ্ছে। আর যা সৌদি সরকারের আয়ের একটি প্রধান খাতের অংশ। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিবছর কত বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রায় আয় করছে, কত মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স হিসেবে আয় করছে, আমরা সারা বছর কেবল সেই হিসাব দেখেই অভ্যস্থ। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর হজ উপলক্ষ্যে কত বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হচ্ছে, সেই হিসাব দেখানো হয় না। হজ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ সহ গোটা বিশ্বের মুসলিম দেশগুলো প্রতি বছর যা খরচ করে, তার প্রধান অংশটি মূলত সৌদি সরকারের আয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত এখন থেকে প্রতি বছর বৈদেশিক মুদ্রায় কত আয় হয়, রেমিটেন্স আকারে কত আয় হয়, রপ্তানি হিসেবে কত আয় হয় ইত্যাদির পাশাপাশি হজ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের কত ব্যয় হয়, বিদেশে চিকিৎসা সেবা নিতে বাংলাদেশের কত ব্যয় হয়, বিদেশে শিক্ষা নিতে বাংলাদেশের কত ব্যয় হয়, বিদেশে ভ্রমণজনিত কারণে বাংলাদেশের কত ব্যয় হয়, সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণে কত ব্যয় হয়, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বিদেশ সফরে কত ব্যয় হয়, সেই হিসাবগুলো সুস্পষ্টভাবে দেখানো। নইলে সার্বিক বিচারে বৈদেশিক মুদ্রায় আয়ের আসলেই কত ডলার বাংলাদেশে থাকল, সেই হিসাবটি আমরা কেউ জানতে পারি না।

এখন আমরা বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা ও শিক্ষা উপলক্ষ্যে দেশের বাইরে প্রতি বছর কত টাকা খরচ করি, তার যদি সঠিক তথ্য পাওয়া যায়, বিদেশে বাংলাদেশীদের ভ্রমণজনিত কারণে কত ডলার খরচ হয়, সরকারের বিদেশ সফরে বছরে কত ডলার খরচ হয়, তার যদি সঠিক তথ্য পাওয়া যায়, তাহলে দেশ থেকে কত ডলার বাইরে চলে যাচ্ছে, তার একটি সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া সম্ভব। তার সঙ্গে আমাদের রেমিটেন্সের আয়, রপ্তানি আয়, বৈদেশিক দান থেকে আয় সহ যাবতীয় বৈদেশিক মুদ্রায় আয়ের সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রায় যাবতীয় ব্যয়ের একটি তুলনামূলক আলোচনা করা সম্ভব হয়, তাহলে হয়তো দেখা যাবে, বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রায় যত ডলার আয় করছে (যার প্রধান সেক্টর রেমিটেন্স) তার চেয়ে হজ, চিকিৎসা, শিক্ষা ও ভ্রমণ বাবদ বিদেশে আমরা বেশি খরচ করছি। অথচ আমাদের গণমাধ্যমে সারা বছর আমরা রেমিটেন্সের আয় নিয়ে অনেক সোরগোল দেখি। কিন্তু দেশের বাইরে আমরা কত ডলার খরচ করি, তার তুলনামূলক কোনো সংবাদ দেখি না। বাংলাদেশের অর্থনীতির ছাত্রছাত্রীদের এই বিষয়ে নতুন করে গবেষণা শুরু করা দরকার বলে আমি মনে করি। অন্তত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের উচিত এই হিসাবটি প্রতিবছর দেশবাসীকে জানানো। তাহলে হয়তো শুভংকরের এক বিশাল ফাঁকি আমাদের রাজনীতিবিদদের নজরে আসতে পারে।
...............................
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫
ঢাকা

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৭

SohanX বলেছেন: তাহলে আপনি কি হজ বিরোধী ?

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৪

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আমি মোটেও হজ বিরোধী নই। কারণ এটা ইসলামের একটা বিধান। এমন কী আমার পরিবারের সদস্যদের কেউ কেউ হজ করেছেন। আমি বরং লক্ষ্য করেছি, বাংলাদেশ থেকে যাঁরা হজ করে আসেন, তাঁদের অনেকের মধ্যে কেবল বেসভূষার পরিবর্তন দেখা গেলেও ধর্মীয় পরিশুদ্ধতার ব্যাপারে অনেকের আচরণগত পরিবর্তন নাই। আবার যে অন্যায় গুলো হজ করার আগে করতেন, হজ করার পরেও সেই অন্যায় গুলো অনেককে করতে দেখা গেছে। অথচ হজের যে বিধান ও নিয়মকানুন ইসলামে আছে, সেভাবে কতজন তা পালন করেন, সেই বিষয়টি সন্দেহের উদ্রেক করে। অনেকের হজকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে অনেক অন্যায়ও করারও নজির আছে।
আমি বলতে চাই, হজ করতে গিয়ে প্রতিবছর আমরা যত টাকা খরচ করি, আমাদের তুরাগ নদীর পারে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইজতেমাকে আরো পরিকল্পিতভাবে আয়োজন করে, হজের চেয়ে আরো বেশি আয় করার একটা উপায় আমাদের বের করতে হবে। এটা পরিকল্পিতভাবেই করতে হবে। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগেই করতে হবে। প্রয়োজনে তুরাগের আশেপাশে সৌদিদের অনুকরণে ভালো ভালো থাকা খাওয়ার হোটেল গড়ে তুলতে হবে। এবং সরকারি ভাবে এটাকে বিদেশে আরো প্রচার করে আরো বিদেশিদের নিয়ে আসতে হবে। তাহলে হজের খরচকে আমরা এখানে ব্যালেন্স করতে পারব। এমন কি সরকারি আয়ের একটা প্রধান খাত হিসেবে এটাকে গড়ে তোলাও সম্ভব। বিশ্ব ইজতেমাকে আরো পরিকল্পিত ভাবে আয়োজন করা ছাড়া এটা সম্ভব নয়।

২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৬

মামু১৩ বলেছেন: রেমিট্যান্স কোন খাতে কত ব্যয় হয়, জনগণের কাছে পরিষ্কার হিসাব দেয়া উচিত। হজ্বে ব্যয় করলে, কারা , কত করতে পারবে--এমন কথার যুক্তি থাকলেও বলা যাবে না--বোকা,গোয়াড় জনগণ কিছুই বুঝতে/মানতে নারাজ।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৫

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৬

ডা: এনামুল হক মনি বলেছেন: সৌদির হজে কত পার্সেন্ট রেমিটেন্স যায় সে হিসেব তো ভালোই দেখালেন । শুধুমাত্র সৌদি থেকে বাংলাদেশে মোট রেমিটেন্সের কত পার্সেন্ট আসে সেটার হিসেব আছে ??

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৬

রেজা ঘটক বলেছেন: এই হিসাবটা আলাদাভাবে এখনো সংগ্রহ করতে পারিনি। করতে পারলে জানাব। ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৫

হানিফঢাকা বলেছেন: ভাই আপনার হিসাবে একটা বড় ভুল আছে। আপনার কথামত ধরলাম এক বছরে ৪১ কোটি বা ৪১০ মিলিয়ন ডলার হজ্ব হিসাবে যায়। বাংলাদেশের ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে এক বছরের রেমিট্যান্স হচ্ছে ১৫৩১.৭ কোটি ডলার। তাহলে প্রতি বছর হজ্ব হিসাবে রেমিট্যন্সের ২.৬৮% খরচ হয়, এক তৃতীয়াংশ নয়। বাংলাদেশ ব্যঙ্কের হিসাব অনুযায়ী ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে ওয়েজ রেমিট্যন্স এসেছেঃ

বছর ২০১৩-২০১৪ (মিলিয়ন ডলার)


জুলাই-----------১৪৩৯.৩৪
আগস্ট----------১৩২২.৭৭
সেপ্টেম্বর--------১২৯৭.৪৯
অক্টোবর----------১৩৩৮.৩১
নভেম্বর---------১১৯০.৬০
ডিসেম্বর---------১২৪৩.২৫
জানুয়ারি---------১২৭৫.০৬
ফেব্রুয়ারি--------১১৮৩.৯৫
মার্চ--------------১০১৮.০৩
এপ্রিল---------১৩৪৪.২৭
মে-------------১১৭৪.৩৭
জুন-----------১৪৯২.৪৭
---------------------------
মোট ১৫,৩১৬.৯১ মিলিয়ন ডলার বা ১৫.৩২ বিলিয়ন ডলার বা ১৫৩১.৭ কোটি ডলার।
(তথ্য সুত্রঃ বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক ওয়েবসসাইট, ইকনোমিক ডাটা, ওয়েজ আরনার্স রেমিট্যন্স)

আপনি সম্ভবত ১ মাসের ডাটা কে ১ বছরের ডাটা হিসাবে ভুল করেছেন। দয়া করে আপনার লেখার অঙ্কটা একটু সংশোধন করে দেবেন, তা না হলে কনফিউশন তৈরি হবে।

আপনাকে ধন্যবাদ।


১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৪

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আমি নীট আয় বা ব্যালান্সটা নিয়েছি। বৈদেশিক মুদ্রায় অর্জিত আয়টা নিয়েছি। যার মধ্যে প্রধান হলো রেমিটেন্স। আমরা প্রবাসীদের বৈদেশিক মুদ্রায় অর্জিত আয়, রপ্তানি বাবত আয় এবং ফরেন গ্র্যান্টস এন্ড লোনস বাবদ আয় থেকে আমাদের আমদানি ব্যয়, লোনস এন্ড গ্র্যান্টস পরিশোধের খরচ এবং ভ্রমণ খাতের খরচ বাদ দিয়েছি।

৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫০

মো: খায়রুল বাসার বলেছেন: সৌদি সরকারের আয় ৪১ কোটি মার্কিন ডলার ? হজ্ব উপলক্ষ্যে একজন হজযাত্রীর খরচ সব সৌদি সরকারের কোষাগারে জমা হয় ?
সব সৌদি সরকারের আয় ? বোকার মত হিসাব । Plane fair, Hotel cost, food cost, local transport cost, service cost কে দিবে ? হজ agency কি তাদের service বিনা পয়সায় দিবে ? হজ্বে সৌদি সরকারের কোন খরচ নাই ?
আমাদের সরকারের কোন খরচ নাই ? আপনার post এ সঠিক তথ্য নাই । আছে গন্ধ ।
আরেকটা কথা মনে রাখবেন, আমাদের সরকারের যত আয় বাইরে আসে, রেমিট্যন্স হচ্চে 1 no. । তারপর হচ্চে garments export । আমি, আপনি, আমাদের সরকারের যত নাচানি-কুদানি হচ্চে, তার মুলে আছে এই রেমিট্যন্স ।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৫

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। অবশ্যই সব টাকা সৌদি সরকারের আয়ের খাতে যায় না। তবে আয়ের একটি বিশাল অংক হজ থেকে আসে। জি, অন্যান্য খরচ বাদ দিয়েও সৌদি সরকারের সবচেয়ে প্রধান আয়ের খাত বার্ষিক হজ থেকে। আমরা বরং সৌদিকে অনুসরণ করে বিশ্ব ইজতেমাকে আরো পরিকল্পিতভাবে আয়ৌজন করে, এটাকে সরকারি আয়ের একটা বড় খাত বানাতে পারি।
ভাই, কোন তথ্যটি সঠিক নয়, দয়া করে বলবেন !! আর এখানে আপনি কিসের গন্ধ পাচ্ছেন, আপনার কথাটি বুঝলাম না। আমরা রেমিটেন্সকে যত বড় আকারে দেখাই, সেভাবে আমাদের খরচ গুলোকে দেখাতে অভ্যস্থ নই। তাই আপনি বরং আরো চিন্তা করে দেখেন, বৈদেশিক মুদ্রায় আমাদের যে আয়, তার সবচেয়ে বড় খাত হল রেমিটেন্স। আর আমরা মেডিকেল ও শিক্ষা খাতে দেশের বাইরে যা ব্যয় করছি, তা এর সঙ্গে যুক্ত করলে বরং বৈদেশিক মুদ্রায় আয় আমাদের ব্যালান্সে থাকবে না। আমরা বরং মাইনাসে থাকব।

৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫০

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনার উত্তরের জন্য ধন্যবাদ। আসলে এই ব্যপারটা ক্লিয়ার হবার জন্য আরও ইনফরমেশন দরকার। এই ইনফরমেশনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের ওয়েব সাইটে আমি প্রবেশ করতে পারছিনা। ওয়েবসাইট অনেক স্লো। যাই হোক, আমার মনে হয় যদি আপনি নীট ব্যলেন্স নিয়ে থাকেন তবে, ব্যয়ের মধ্যে এই খরচ অলরেডি ইঙ্কলুডেড (সম্ভবত ভ্রমণ খাতের মধ্যে)। এইটা ডাটা না দেখে বলতে পারবনা। এটা হলে আপনার অঙ্কের অর্থ গ্রহণযোগ্য না। কারন উদাহরণ স্বরুপ, আপনি যদি আমদানি ব্যায়ের শতকরা হিসাব এই নিট আয়ের উপর করেন, তাহলে দেখবেন এর শতকরা হার ৪-৫ গুন (নীট আয়ের ৪০০-৫০০%)। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

খরচের % কখনো নীট আয়ের উপর হিসাব করা হয়না।

আরেকটা কথা, আপনি যেহেতু নীট আয় নিয়েছেন, সেহেতু "এবার দেখা যাক, চলতি বছরে বাংলাদেশ রেমিটেন্স হিসেবে কত আয় করল? বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, গত বছর জুলাই থেকে এবছর জুন পর্যন্ত ১.৪৩ বিলিয়ন মার্কিন বা ১৪৩ কোটি মার্কিন ডলার রেমিটেন্স বাংলাদেশে এসেছে। গত বছর যা ছিল ১.২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার"।
এই লাইন গুলি কনফিউজিং। কারন আপনি এখানে আয় বলেছেন, নীট আয় বলেননি।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২১

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আসলে আমি বৈদেশিক মুদ্রায় অর্জিত আয়ের ব্যালেন্সটা নিয়েছি। যেখানে রেমিটেন্স সবচেয়ে বড় আয়ের খাত। হ্যা, ওই লাইনগুলো আমি এডিট করেছি দেখেন। ওটা বৈদেশিক মুদ্রায় আয় হবে।

৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৮

হানিফঢাকা বলেছেন: @ডা: এনামুল হক মনি: এভারেজে ২০-২২% আসে সৌদি থেকে।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৩

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। কোন দেশে থেকে কত আসে, সেই ডাটা এখনো আমি পুরোটা পাইনি। আর রেমিটেন্স না, বৈদেশিক মুদ্রায় আমাদের আয়ের ব্যালেন্সটা আমি নিয়েছি। আপনি কান্ট্রি ওয়াইজ রেমিটেন্সের তথ্যটি পেলে প্লিজ শেয়ার করবেন।

৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৩

হানিফঢাকা বলেছেন: বাংলাদেশ ব্যঙ্কের ওয়েবসাইটে যান। https://www.bb.org.bd/pub/publictn.php । এইটা আমার জন্য একটা বিশাল তথ্য ভান্ডার। আপনার দরকারি অর্থনীতির বেশিরভাগ ইনফরমেশন এখানে পাবেন। ধন্যবাদ।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫২

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪২

হানিফঢাকা বলেছেন: আমি বলতে চাচ্ছিলাম, বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রায় আয় ১৫৩১.৭ মিলিয়ন ডলার, এবং নীট আয় (সব ব্যয় নির্বাহ করার পরে) ১.৪৩ বিলিয়ন ডলার (আপনার হিসাবে)। এখন এই হজ্জ হিসাবে ৪১০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হিসাব করেই এই ১.৪৩ বিলিয়ন এসেছে। সুতরাং ৪১০ মিলিয়ন ডলারকে ১.৪৩ বিলিয়ন ডলারের % হিসাবের কোন অর্থ বহন করে না। আপনাকে % করতে হবে গ্রস ইনকাম বা রেভিনিউএর উপরে, নীট ইনকামের উপরে না। আশা করি বোঝাতে পেরেছি।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আমি নীট এখনো বের করতে পারিনি। কারণ সকল তথ্য সংগ্রহ করতে পারিনি। মোটামুটি বৈদেশিক মুদ্রায় আয়ের প্রধান তিনটি খাতের ব্যয় বাদ দিয়ে ব্যালেন্সটা দেখানোর চেষ্টা করেছি।

১০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩

রেজা ঘটক বলেছেন: আমি যে কথাটি বলতে চেয়েছি, সেটি হলো, আমরা রেমিটেন্স নিয়ে গণমাধ্যমে অনেক উচ্চবাচ্য দেখি। কিন্তু দেশের বাইরে আমরা কত খরচ করি, সেই হিসাবটা দেখি না। আমরা প্রবাসীদের বৈদেশিক মুদ্রায় অর্জিত আয় (রেমিটেন্স), রপ্তানি বাবত আয় এবং ফরেন গ্র্যান্টস এন্ড লোনস বাবদ আয় থেকে যেটা আয় করি, তা হলো আমাদের বৈদেশিক মুদ্রায় অর্জিত আয়। আর আমাদের আমদানি ব্যয়, লোনস এন্ড গ্র্যান্টস পরিশোধের খরচ এবং ভ্রমণ খাতের খরচ হিসাবে আমাদের যে ব্যয়, সেটা হল বৈদেশিক মুদ্রায় ব্যয়। এই দুটো যোগ বিয়োগ করলে আমরা বৈদেশিক মুদ্রায় অর্জিত আয়ের ব্যালেন্সটা পাই। যার অন্তত প্রায় এক তৃতীয়াংশ আমাদের হজ উপলক্ষ্যে ব্যয় হয়। এছাড়া বিদেশে চিকিৎসা ও শিক্ষা নেবার খরচ সহ অন্যান্য খরচের সঠিক তথ্য পাওয়া গেলে একটা তুলনামূলক কমপ্লিট চিত্র আমরা পাব। তখন হয়তো দেখা যাবে, বৈদেশিক মুদ্রায় আমরা যা আয় করি, তার চেয়ে বেশি খরচ করি।
বিষয়টি সবার নজরে আনার জন্য আমি চলতি বছরের হজের খরচটা এখানে এনেছি। চলতি বছরে বিদেশে বাংলাদেশীদের চিকিৎসা ব্যয়, শিক্ষা ব্যয়, ভ্রমণ ব্যয়, ইত্যাদি সংক্রান্ত সঠিক তথ্য পাওয়াটা খুব কঠিন। যেগুলো পাওয়া গেলে আমি বৈদেশিক মুদ্রায় আমাদের আয়ের সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রায় আমাদের ব্যয়ের একটা কমপ্লিট চিত্র হয়তো তখন পাব।
আমি বলতে চেয়েছি, বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত এই আয় ও ব্যয়ের একটি তুলনামূলক হিসাব তাদের ওয়েব সাইটে তুলে ধরা। তাহলে রেমিটেন্স নিয়ে আমাদের মধ্যে যত সোরগোল দেখা যায়, বাইরে কত আমরা খরচ করি, আর আমাদের সত্যিকারের ব্যালান্স কত, সেই হিসাবটি তখন সহজেই জানা যাবে।
সামনেই যেহেতু পবিত্র হজ। তাই আলোচনায় হজের হিসাবটি দেখানোর চেষ্টা করেছি। মেডিকেল, শিক্ষা, ভ্রমণ ইত্যাতি সংক্রান্ত অন্যায় ব্যয়ের হিসাবটি সংগ্রহ করতে পারলে, এ বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ আর্টিকেল লেখার ইচ্ছে আছে।
আরেকটা বিষয়, এখনো বাংলাদেশ থেকে আমরা কোটা পদ্ধতিতে হজ করার সুযোগ পাই। সৌদি আরবের হজ মন্ত্রী ড. বন্দর বিন হাজ্জাজ বলেছেন, আগামী পাঁচ বছর পর ৫০ লাখ লোক এক সঙ্গে হজ করতে পারবে। প্রতি বছর হাজিদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। তখন বাংলাদেশের উপর থেকে কোটা উঠে যাবে। তখন আরো বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি হজ করার সুযোগ পাবেন।
পাশাপাশি আমরা যদি তুরাগ নদীর তীরে আমাদের বিশ্ব ইজতেমাকে সৌদিদের অনুকরণে আরো পরিকল্পিত ভাবে আয়োজন করি, সেখানে থাকা ও খাওয়ার পর্যাপ্ত হোটেল নির্মাণ করি, তাহলে বিশ্ব ইজতেমা থেকে হয়তো সরকার বৈদেশিক মুদ্রায় আয়ের একটি বড় খাত করতে সক্ষম হবে বলে আমি মনে করি। সেজন্য বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে বিদেশে সরকারি উদ্যোগে আরো প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোতে।

১১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৪

মো: খায়রুল বাসার বলেছেন: আমাদেরকে প্রতি মাসে আমদানি করতে হয রফতানির চেয়ে প্রায় ৬ কোটি ডলার বেশী । রেমিট্যন্স না থাকলে কি দিয়ে এই ঘাটতি পুরন করতেন ? রেমিট্যন্স নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্ল করবেন না । রেমিট্যন্স না থাকলে বা বিদেশে প্রবাসীরা ডলার না পাঠালে আমাদের অবস্থা কাইত হইয়া যাইত ।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৪

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। রেমিটেন্স নিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য আমি কোথায় করলাম ভাই!!!

১২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫০

হানিফঢাকা বলেছেন: বাংলাদেশ ব্যঙ্কের ওয়েবসাইটে যান। https://www.bb.org.bd/pub/publictn.php ।এইখান থেকে মান্থলি ইকনোমিক ট্রেন্ড সিলেক্ট করুন। প্রতি মাসের দেওয়া আছে। সেখান থেকে এক্সেল ফরমেটে ঐ মাসের কপি ডাউনলড করুন। অইটার মধ্য সব পাবেন।

১৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৫

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। আপনি আমার আগের পোষ্টের লিঙ্ক ফলো করে ঐ মান্থলি ইকনোমিক ট্রেন্ড ডাউনলয়াড করে, সেখান থেকে "ব্যালেন্স অফ পেমেন্ট"- সহ আরও কিছু ডাটা দেখলে একটা অভারঅল ধারনা পাবেন। তবে একবারে মাইক্রো ডাটা পাবেন না। সেক্টরের সব ডাটা পাবেন।

ভাল থাকবেন।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৮

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

১৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮

মো: খায়রুল বাসার বলেছেন: হজ্ব হচ্চে একজন সচ্ছল মুসলমানের অবশ্য করনীয় ইবাদত । এর সাথে বানিজ্য নাই । সৌদি সরকারেরও হজ্বের সাথে বানিজ্য থাকা উচিৎ না । যার থাকবে তাকে আল্লার কাছে জবাবদিহী করতে হবে, এটি আমার বিশ্বাস ।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৮

রেজা ঘটক বলেছেন: এখনো বাংলাদেশ থেকে আমরা কোটা পদ্ধতিতে হজ করার সুযোগ পাই। সৌদি আরবের হজ মন্ত্রী ড. বন্দর বিন হাজ্জাজ বলেছেন, আগামী পাঁচ বছর পর ৫০ লাখ লোক এক সঙ্গে হজ করতে পারবেন। প্রতি বছর হাজিদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। তখন বাংলাদেশের উপর থেকে কোটা উঠে যাবে। তখন আরো বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি হজ করার সুযোগ পাবেন।
সৌদি সরকারের আয়ের একটি প্রধান খাত হজ থেকে এটি অস্বীকার করার উপায় নেই। কয়েকদিন আগে সৌদি বাদশাহ যুক্তরাষ্ট্র সফরে একটা গোটা হোটেল ভাড়া নিয়েছিলেন। ওই হোটেলে অন্য কোনো বাইরের লোককে এলাউ করা হয়নি। সেই হোটেলের ব্যয়টা নিশ্চয়ই পত্রিকায় পাওয়া যাবে। সৌদি বাদশাহ কয়েক দিন আগে তার মেয়ের বিয়েতে সোনার টয়লেট গিফট দিয়েছেন। সৌদি সরকার হজ নিয়ে বাণিজ্য করছে কিনা, তাকি আমি আপনি বলতে পারি?? আমরা বরং তাদের আচার-আচরণ বিলাসিতা ইত্যাদি বিচার বিবেচনায় একটা অনুমান করতে পারি মাত্র। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৫

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এখানে কারো কারো কথায় এককালের মহাক্ষমতাধর লতিফ সিদ্দীকির কথার প্রতিধ্বনি পাচ্ছি? হজ্জ্বকে নিয়ে কেউ তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবেন না। কারণ ইহাতে শুধু ফ্যাসাদই বাড়বে বই কমবে না। ধন্যবাদ।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৬

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। হজ নিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করার কোনো অধিকার আমার-আপনার, আমাদের কারো নেই। হজ ইসলামের একটি সুনির্দিষ্ট বিধান। আমরা যারা মুসলিম, আমাদের প্রায় সবার পরিবার থেকেই হজ করার ইতিহাস পাওয়া যাবে। আর এটা নিয়ে ফ্যাসাদ হওয়ার প্রশ্নই আসে না। বরং ভুল বোঝাবুঝি করে এটাকে অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার প্রবণতা আমাদের মধ্যে বেশি।
আমি বরং আমাদের বিশ্ব ইজতেমাকে সৌদি সরকারের অনুকরণে আরো পরিকল্পিত ভাবে আয়োজন করার জন্য সরকারকে উদ্যোগ নিতে বলার পক্ষে। তখন হজ থেকে আমাদের যত খরচ হোক না কেন, বিশ্ব ইজতেমা থেকে আমরা সেই খরচ পুষিয়ে নিতে পারব।

১৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৩

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: :(

১৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৫

জেকলেট বলেছেন: আপনার এই লম্বা প্রতিবেদনের পুরটা অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে পড়লাম। আমার কয়েকটা অবজারভেশন:
১) খুব সম্ভবত আপনি মুসলিম নন। ধর্মিয় ভাবে নিবেন না। মুসলিম না হোওয়াটা কোন দোষের না বা অমুসলিম হিসেবে মুসলিম কোন রিচুওয়াল নিয়ে সমালোচনা মূলক কিছু লেখটা ও দোষের কিছু না। দোষটা হচ্ছে নিজের আইডেন্টিটি লোকানো। আর মুসলমান হলেও আপনার ইসলাম সম্পর্কে পড়ালেখা নাই বা আপনি পুরাই নিরক্ষর। যেটা কোনভাবেই সম্ভব না।
কারন: একজন অতি মূর্খ মুসলমান ও জানে হজ্ব ও বিশ্ব ইজতেমার ব্যাবধান। সাধারনত অমুসলিমরা এইটা নিয়া একটু ধোয়াসায় থাকে। বিশ্ব ইজতেমায় ৯৫% মানুষ হচ্ছে দেশী। একমাত্র সরকার যদি বিশ্ব ইজতেমায় আসলে ডলার অফার করে তাহলে হজ্বের মত ফরেইন ডেলিগেট হ্য়ত সম্ভব।
২) আপনি হয় অর্থনীতির টার্মসগুলো বুঝেন না। আর না হয় বুঝলেও শুধু হজ্বকে বিতর্কিত করার উদ্দেশ্যে এই পোষ্ট দিয়েছেন
কারন: হানিফঢাকা ভাই আপনাকে অনেক ভাবে বুঝানোর চেষ্টা করেছেন যে এক তৃতিয়াংশ পরিমানটা ভুল কিন্তু আপনি ঠিক বুঝতে নারাজ। আবার আপনি উল্টা পাল্টা উত্তর দিচ্ছেন। হজ্বের জন্য যে খরচ হয় তার পুরাটা এমনকি অর্ধেক ও সৌদি সরকার পায়না। বাংলাদেশ থেকে যে সকল লোক হজ্ব করতে যান তাদের সিংহভাগ ই যান বিমান বাংলাদেশে। বিমান ফেয়ারটা বাংলাদেশ বিমান পায়, বাংলাদেশের হজ্ব এজেন্সিগুলো কমিশন পায়, ঐ খানে গিয়ে থাকা-খাওয়ার সাধারন খরচটা কাউন্ট করতে পারেন, সৌদি সরকার যে হ্জ্ব ব্যাবস্থাপনার পিছনে ব্যায় করে যা থাকবে তাই ইনকাম। তারপর ও যদি আপনার সমস্যা থাকে তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে অর্থনীতির বৈশিষ্টই এমন। এই যে সৌদি আরব থেকে শুধু ২০১৫ সালের এই নয় মাসে আমরা ডাইরেক্ট ২০১৪.৯ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স ইনকাম করলাম তার কি হবে??? এই এমাউন্ট তো আমরা হজ্বে যা খরচ করছি তার কয়েকগুন!!!
এবার আসুন ইনডাইরক্ট ইনকাম: সৌদিতে বৈধ অবৈধ মিল প্রায় ২০ লাখ বাংলাদেশি আছে। এরা সৌদিতে থাকে, খায়, নিজের খরচ নিজে ব্যায় করে অর্থাৎ চাকুরী বা ব্যাবসায় জড়িত। এই লোকগুলো যদি সৌদিতে না গিয়ে বাংলাদেশে থাকত তাহলে ২০১৪.৯ মিলিয়ন ডলার ও ইনকাম হতনা আর এদের সবাইকে বাংলাদেশেই কর্মসংস্থানের সুজোগ করে দিতে হত। আপনি কয়জনকে পারতেন। আর আদারস ফরেন ইনকাম থেকে রেমিটেন্সের সুবিধা হচ্ছে এটা ডাইরেক্ট ইকোনমিতে ইন হয়। কোন এডিশনাল খরচ ছাড়া। আপনি হয়ত বলবেন এর দ্বরা সৌদি আরব ও তো লাভবান হয়। এইটা অন্য হিসাব। আধুনিক অর্থনিতির বৈশিষ্টই এমন।
এই সকল খোচানো পোস্ট আর ভালো লাগেনা।

১৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৫

ফয়েজুল হাসান বলেছেন: ভাই রেজা ঘটক সৌদি সরকার কিভাবে আয় করছে এটা আমাদের দেখার বিষয় নয়, আমদের দেখার বিষয় হচ্ছে আমাদের মোট অর্জিত বৈদেশিক আয়ের কতভাগ হজ্বে খরচ হচ্ছে। আপনি এক তৃতীয়াংশ বলে এটাকে হাইলাইটস করছেন এবং একটা ধোঁয়াসার সৃষ্টি করছেন। আপনি ইচ্ছাকৃত নাকি অনিচ্ছাকৃত এটা করছেন আমার জানা নেই। এইসব বিষয়ে ভুল প্রকাশ করা একেবারেই অনুচিত। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২০

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: কমেন্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে, পোস্টে তথ্যগত ভুল রয়েছে...লেখক দয়া করে একটু রিভিউ করে নিন :)

২০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৫

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ সবাইকে। চলতি বছরে কেবল অফিসিয়াল হজের হিসাবে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার আয়ের শতকরা প্রায় ২৮.৬৭ ভাগ ব্যয়ের কথা বলেছি। এর সঙ্গে সারা বছরে ওমরা হজ পালনে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশীদের খরচ হয়, সেটা যোগ করলে এটা এক তৃতীয়াংশ ছাড়াবে কিনা সেই হিসাব নিশ্চয়ই আপনারাও বের করতে পারেন।
আমি আবারো বলছি, যদি আমরা বিশ্ব ইজতেমাকে আরো পরিকল্পিত ভাবে আয়োজন করতে পারি, তাহলে আমাদের হজের খরচ এখানে এডজাস্ট করা সম্ভব। এমন কি সৌদিদের অনুসরণ করে এটা করা গেলে লাভজনকও হতে পারে। ভালো থাকবেন সবাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.