নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংখ্যালঘু নির্যাতনের আরেকটি হাতিয়ার আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারা !!!

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৪

সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মোহন কুমার মণ্ডলের পর এবার মাগুরার স্কুল ছাত্র দীপু বিশ্বাসকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেবার কারণে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে কেবল ইসলাম ধর্ম নিয়ে কেউ কোনো কুরুচিপূর্ণ কটাক্ষ বা মন্তব্য করলে আইসিটি আইনের ৫৭ ধারার ক্ষমতা বলে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রকে ভারী তৎপর দেখা গেছে। কিন্তু বাংলাদেশে অন্য যেসব ধর্মের মানুষ বসবাস করেন তাঁদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার মত হাজার হাজার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ্যে ঘটলেও এ নিয়ে রাষ্ট্রের যেন কিছুই করার নেই। সুস্পষ্টভাবে বাংলাদেশে 'ধর্মীয় অনুভূতি' বলতে কী তাহলে রাষ্ট্র কেবল ইসলাম ধর্মকেই বুঝাতে চাইছে? অন্যান্য ধর্মের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি বলতে তাহলে রাষ্ট্র আসলে নিরব কেন? নাকি আইসিটি আইনের ৫৭ ধারার ব্যাপক অপব্যহারের কুফল এই ধর্মীয় অনুভূতি? স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর হঠাৎ বাংলাদেশের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি এতোটা চাঙ্গা হবার পেছনে কারণ-ই বা কী?

স্বাধীনতার পর একটি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণীত হয়। এরপর বাংলাদেশের সংবিধান নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সরকার নানাভাবে নিজেদের সুযোগ সুবিধা অনুযায়ী কাঁটাছেড়া করেছে। ১৯৮৮ সালের ৭ জুন তৎকালীন স্বৈরাচার জেনারেল এরশাদের সরকার পার্লামেন্টে অষ্টম সংবিধান সংশোধনী পাস করে। অষ্টম সংবিধান সংশোধনীতে বাংলাদেশে প্রথম রাষ্ট্রের ধর্ম হিসেবে ইসলামকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। নব্বইয়ের গণ-আন্দোলনে স্বৈরাচার এরশাদের পতন হলেও সংবিধান থেকে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম আর বদল হয়নি।

এমন কি সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতেও (যেটাকে বলা হয় ১৯৭২ সালের সংবিধানে ফিরে যাওয়া) রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম রাখা হয়েছে। যা নিয়ে অনেক বিতর্কের পর এবং সুপ্রিম কোর্টের অনেক রুলিং শেষে বাংলাদেশের হাই কোর্ট ২০১০ সালের ৪ অক্টোবর বাংলাদেশকে একটি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে রুল জারী করেন। কিন্তু বর্তমান সংবিধান মতে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ধর্ম এখনো ইসলাম। পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনীতে বরং অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের জন্য কিছু সুস্পষ্ট বিধি-বিধানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

এরপর ২০১৩ সালের ১৯ আগস্ট ইনফরমেশান অ্যান্ড টেকনোলজি অ্যাক্ট (সংশোধনী) ২০১৩ বা সংক্ষেপে আইসিটি অ্যাক্ট ২০১৩ পাস করা হয়। যেখানে এই আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় বাংলাদেশে যে কোনো ব্যক্তির ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রকাশিত কোনো মন্তব্য বা বক্তব্য যদি আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ হিসেবে গন্য হয়, তাহলে বিনা ওয়ারেন্টে তাকে গ্রেফতার করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে। যার সর্বোচ্চ শাস্তি রাখা হয়েছে সর্বনিম্ন ৭ বছর থেকে সর্বোচ্চ ১৪ বছর। আইসিটি অ্যাক্টের এই ৫৭ ধারা সুস্পষ্ট ভাবেই বর্তমান সংবিধানের আর্টিকেল ৩৯-এর সুস্পষ্ট লংঘন। সংবিধানের আর্টিকেল ৩৯-এ বাংলাদেশের নাগরিকদের চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাক স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের প্রশ্নে এই আইসিটি ৫৭ ধারার ক্ষমতা বলে কেবল ইসলাম ধর্মের মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লাগলে রাষ্ট্র যেভাবে সক্রিয় ব্যবস্থা গ্রহন করছে এবং অন্যান্য ধর্মের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের বেলায় রাষ্ট্র যেন ততটা নিরব থাকছে, যা সংবিধানের আর্টিকেল ২৭-এর সুস্পষ্ট লংঘন। সংবিধানের আর্টিকেল ২৭-এ বলা হয়েছে- আইনের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের সকল নাগরিক সমান সুযোগ ভোগ করবেন।

ধর্মীয় অনুভূতির প্রশ্নে রাষ্ট্রের এই এক চক্ষুমূলক দৃষ্টিপাত আবার সংবিধানের আর্টিকেল ১২-এর সুস্পষ্ট লংঘন। যেখানে সংবিধানের আর্টিকেল ১২-তে বলা হয়েছে রাষ্ট্র সকল নাগরিকের ধর্ম পালনে নিরপেক্ষ থাকবে এবং সকল ধর্মের নাগরিকের ধর্ম পালনের অধিকারের নিশ্চয়তা দেবে । কিন্তু আইসিটি আইনের ৫৭-ধারার বলে কয়েকটি ঘটনা পর্যবেক্ষণ শেষে মনে হয়েছে, এখানে সুস্পষ্ট ভাবেই সংবিধানের আর্টিকেল ১২-কে লংঘন করা হচ্ছে।

আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এখন হয়তো একটি খোড়াযুক্তি দাঁড় করাতে পারে। তা হলো- অন্যান্য ধর্মের কেউ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে এমন অভিযোগ করে তো মামলা করেনি। এমন কী লতিফ সিদ্দিকির উদাহরণ টেনেও এই যুক্তিকে শক্তিশালী আইন শৃঙ্খলা বাহিনী পক্ষে নেবার চেষ্টা করবেন। যারা মামলা করেছে কেবল তাদের বিরুদ্ধেই আইসিটি ৫৭-ধারার ক্ষমতা বলে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, আইসিটি আইনের যে ধারাটি সংবিধানের এত গুলো মৌলিক বিষয়কে লংঘন করে, সেই আইনের ক্ষমতা বলে কাউকে গ্রেফতার করা কতোটা যৌক্তিক?

আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারা সুস্পষ্টভাবেই একটি কালো আইন। তার সঙ্গে ইদানিং যুক্ত হয়েছে ধর্মীয় অনুভূতি। যা বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতেকেই কেবল নষ্ট করছে। স্বাধীনতার ৪৪ বছর চলে যাবার পর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে নতুন করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগার যে রাষ্ট্রীয় বিধান করা হয়েছে, এটা বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বাংলাদেশে বসবাসের জন্য আরো নিরাপত্তাহীন করে তুলছে। যে চিত্র আমরা এখন চোখের সামনেই দেখতে পাচ্ছি।

১৯৪১ সালে তৎকালীন পূর্ববঙ্গে শতকরা ২৮ ভাগ মানুষ ছিলেন হিন্দু সম্প্রদায়ের বা সনাতন ধর্মাবলম্বী। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ১৯৫১ সালের আদম শুমারিতে যা কমে দাঁড়ায় শতকরা ২২.৫ ভাগে। ১৯৬১ সালের আদম শুমারিতে যা আরো কমে দাঁড়ায় শতকরা ১৮.৫ ভাগে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের কারণে কোনো আদম শুমারি হয়নি। পরবর্তীতে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের প্রথম আদম শুমারিতে দেখা যায় বাংলাদেশে শতকরা মাত্র ১৩.৫ ভাগ জনগোষ্ঠী হিন্দু সম্প্রদায়ের বা সনাতন ধর্মাবলম্বী। ১৯৮১ সালের আদম শুমারিতে দেখা যায় হিন্দু জনসংখ্যা আরো কমে দাঁড়ায় শতকরা ১২.১৩ ভাগে। ১৯৯১ সালের আদম শুমারিতে হিন্দু জনসংখ্যা আরো কমে দাঁড়ায় শতকরা ১১.৬২ ভাগে। ২০০১ সালের আদম শুমারিতে দেখা যায় হিন্দু জনসংখ্যা কমার এই ধারা অব্যাহত ছিল। ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের বা সনাতন ধর্মাবলম্বী লোকসংখ্যা শতকরা মাত্র ৯.৬ ভাগ। ২০১১ সালের আদম শুমারি অনুযায়ী যা আরো কমে দাঁড়ায় শতকরা ৮.২ ভাগে।

এখন ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাস শেষ প্রায়। বর্তমানে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের বা সনাতন ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যার শতকরা হার কত? নিশ্চয়ই শতকরা ৮.২ ভাগের চেয়ে কম। সেটা কতটা কম রাষ্ট্র বরং এই প্রশ্নে বরাবর নিরব। কেবল নিরাপত্তাহীনতার কারণেই বাংলাদেশ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরবে দেশ ত্যাগের বিষয়টি যেমন আছে। তেমনি জোরপূর্বক হিন্দু সম্পত্তি দখল, বাড়িঘর দখল, মামলা মোকদ্দমায় জড়ানো, এসব ঘটনার কারণেই প্রতিদিনই বাংলাদেশ থেকে হিন্দু জনসংখ্যা কমছে, এটাই বর্তমান সময়ের বাংলাদেশের চিত্র। শুধু হিন্দু সম্প্রদায় না বলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠী প্রতিদিনই বাংলাদেশে কমছে, এটাই বর্তমান সময়ের বাংলাদেশের এক ভয়াবহ চিত্র।

পাশাপাশি আরেকটি চিত্রও বাংলাদেশে এখন দৃশ্যমান। বাংলাদেশের মানুষ আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি ধর্ম সচেতন। কথায় কথায় এখন মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে। আমাদের বাপ-দাদাদের চৌদ্দ গোষ্ঠী হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে পাশাপাশি বসবাস করেছে। কোনো দিন কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে আর তা নিয়ে মামলা মোকদ্দমা হয়েছে, এমন ঘটনা কোনো মুরব্বির কাছে কোনোদিন শুনিনি। বরং আমরা এতোদিন যেটা জানতাম যে, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। এখনো বাংলাদেশে যে কোনো ধর্মের উৎসবের সময় রাষ্ট্রীয় ভাবে এ কথাই সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু রাষ্ট্রযন্ত্রের আড়ালে নিরবে যে সংখ্যালঘুরা দেশ ত্যাগ করছে, সেটি আর ফলাউ করে সেভাবে প্রচার পায় না। বাংলাদেশের মন্ত্রী, এমপি, শাসক দলের বড় বড় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এখনো সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর দখল, সম্পত্তি দখল, মামলা করা ইত্যাদি খবর পত্রিকায় আসে। কিন্তু রাষ্ট্রযন্ত্র তার প্রতিকারের কোনো ব্যবস্থা করেনি। বরং আইসিটি আইনের ৫৭ ধারার ক্ষমতা বলে সংখ্যালঘুদের কিভাবে আরো সায়েস্তা করা যায়, সেই সম্ভাবনাকেই কেবল উসকে দিয়েছে। কথায় কথায় এখন সবার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগছে। যা বিগত ৪৪ বছরে কেন লাগেনি, তা নিয়ে খোদ রাষ্ট্রের হোমরা-ছোমরাদের বরং কোনো মাথাব্যথা নেই।

আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারায় বাংলাদেশে আইনের আরো অপব্যবহার হবার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। যা দেশের সংখ্যালঘুদের দেশছাড়া করার জন্য একটি সুস্পষ্ট রাষ্ট্রীয় স্বীকৃত বিধান। এটা এখন আর অস্বীকার করার উপায় নেই। একদিকে মুখে বাংলাদেশকে স্যেকুলার রাষ্ট্র বলে সবখানে রাষ্ট্রীয় ভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে, অন্যদিকে নিরবে সংখ্যালঘু নিধনের সকল আলামত রাষ্ট্রীয় ভাবেই জিয়িয়ে রাখা হচ্ছে। যা একই রাষ্ট্রে দুই ধরনের আইনের ব্যবহার বলেই প্রমাণিত। আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারা যতক্ষণ বলবত আছে, ততক্ষণ বাংলাদেশে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগার প্রশ্নটি আরো মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে। আর সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীই এটির বেশি সুবিধা যে নেবে এটাই এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় আচার-আচরণে প্রতীয়মান।

আমরা বলতে চাই, সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক যে কোনো আইনই একটি দেশের জন্য অবশ্যই কালো আইন। আর সেই কালো আইনের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক ভাবমুর্তি নষ্ট করার জন্য এখন একশ্রেণীর মানুষের সুড়সুড়িও সক্রিয়। রাষ্ট্রকেই এই সুড়সুড়ি বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে। নইলে সেদিন আর বেশি দূরে নয় যখন সংখ্যালঘু কোনো সম্প্রদায়ের মানুষ খুঁজতে বাংলাদেশে বাটি চালান দিয়েও পাওয়া যাবে না। স্বাধীনতার পর থেকে ক্রমবর্ধমান হারে সংখ্যালঘুদের দেশ ছাড়ার যে প্রবনতা শুরু হয়েছে, সেই প্রবনতা এখনো সুস্পষ্টভাবেই সক্রিয় রয়েছে। আর রাষ্ট্রই সেই সুযোগকে আরো উসকে দিচ্ছে আইসিটি ৫৭ ধারার মত একটি কালো আইনকে সক্রিয় রেখে।

ধর্মীয় পরিচয়ের ঊর্ধ্বে আমরা সবাই যে মানুষ, রাষ্ট্র যেন দিন দিন সেই জায়গা থেকে নিরবে পিছে হাঁটছে। পাছে ধর্মীয় অনুভূতিকে প্রাসঙ্গিক করে অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার সকল আলামতকে কৌশলে উসকে দিয়ে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তহীনতা আরো বাড়িয়ে তুলছে। যা পরিণামে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বসবাসের জন্য আরো কঠিন হয়ে যাবে, এটা বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতেই বলা যায়। সবচেয়ে বড় যে প্রশ্নটি আসে তাহলো, আমরা কী এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম যেখানে সংখ্যালঘুদের দেশছাড়ের ব্যবস্থাই কেবল দিনদিন আরো পোক্ত করা হবে। তাহলে বড় গলায় বাংলাদেশকে স্যেকুলার রাষ্ট্র বলা কতটা যুক্তিযুক্ত হচ্ছে? বাংলাদেশে বর্তমানে শতকরা নব্বই ভাগের বেশি মানুষ মুসলমান। মুসলমান সম্প্রদায়দের ভেতর থেকেই এ বিষয়ে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাহীনতাকে কাটানোর জন্য মুসলমানদেরই আরো অসাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। নইলে সুযোগ সন্ধানীরা বাংলাদেশের স্যেকুলার পরিচয়কে একদিন বাস্তবেই খেয়ে ফেলবে। রাষ্ট্র যদি এ বিষয়ে এখনো সচেতন না হয়, তাহলে বাংলাদেশকে আর স্যেকুলার রাখা যাবে না। অতএব সাধু সাবধান।

................................
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫
ঢাকা

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৮

জুয়াদ ইসলাম বলেছেন: হিন্দু ধরম বলে কোন ধরম নাই, লেখক কে অনুরধ করছি লেখাটা এডিট করবেন

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৬

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪৫

Md Sultan Mahamud বলেছেন: যে কোন ধর্মকেই অবমাননা বা কটাক্ষ করা বা কু-রুচিপূর্ন মন্তব্য করা আন্যায়। সে জন্য সকলেরই (অবমাননাকারী) শাস্তি হওয়া উচিত।সে যে ধর্মেরই হোক না কেন।

৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫০

নিউ মার্কেট বলেছেন: “আমাদের বাপ-দাদাদের চৌদ্দ গোষ্ঠী হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে পাশাপাশি বসবাস করেছে। কোনো দিন কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে আর তা নিয়ে মামলা মোকদ্দমা হয়েছে, এমন ঘটনা কোনো মুরব্বির কাছে কোনোদিন শুনিনি।”

আপনার আমার মুরব্বিদের অভিজ্ঞতার ৪৪ বছরে ধর্মানুভূতি বিষয়টা ছিল না, ৪৪ বছরে ৫৭ ধারার অস্তিত্ব ছিলনা, তাহলে এই ৪৪ বছরে হিন্দু সম্প্রদায়ের তথা সংখ্যালঘুদের শতকরা হার কেন কমলো, কেন তারা ’দেশ ছাড়া’ হল সেটাও চিন্তার বিষয়। এক পোস্টে দুই রকম কথা হয়ে যাচ্ছে না? আপনার পোস্টের সারমর্ম দাড়িয়েছে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতি নাই।

“জোরপূর্বক হিন্দু সম্পত্তি দখল, বাড়িঘর দখল, মামলা মোকদ্দমায় জড়ানো, এসব ঘটনার কারণেই প্রতিদিনই বাংলাদেশ থেকে হিন্দু জনসংখ্যা কমছে”- এই কথার ঘোর বিরোধী আমি। বিশ্বাস করি না। আমার পাশের গ্রামটাইতো হিন্দু গ্রাম। ছোটকাল থেকেই তো দেখে আসছি। আর দেশের খবরও তো দেখি। আম্রিকার খবর জানার জন্য আম্রিকা যাওয়া লাগে না। বরং সম্পত্তি, বাড়িঘর দখল কিংবা অন্য যেসমস্ত ঘটনা ঘটে সেগুলোর সাথে সামপ্রদায়িকতাকে টেনে আনার কী দরকার? এসব ঘটনার শিকার তো শুধু সংখ্যালঘুরাই হয়না। যেখন যে ক্ষমতায় যায়, সেই বিরোধীদের উপর এরকম অত্যাচার চালায়। বিরোধীদের মধ্যে মুসলিম, হিন্দু বৌদ্ধ সবাই থাকে। এখানে সংখ্যালঘুর কথা তুলে সাম্প্রদায়িক অসহিষ্ণুতাকেই ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

তাছাড়া এখনতো মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র চেতনাধারী দল ক্ষমতায় আছে। চেতনা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যেই হয়তো ৫৭ ধারা চালু করেছে। বেচারা মোহন কুমার আর দ্বিপু বিশ্বাস হয়তো চেতনা বাস্তবায়নেরই বলি।

৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৮

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: বাঙ্গালীর মানবিক অনুভূতিরই কোন আগাপাছা নাই...আবার ধর্মীয় অনুভূতি!

৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৬:৫৩

রেজা ঘটক বলেছেন: সবাইকে ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.