নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
একটা বিষয় খেয়াল করলাম, মেডিকেল কলেজে ভর্তির প্রশ্নপত্র ফাঁসের পর ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের উপর পুলিশ যেভাবে বর্বর হামলা করেছে, সেই খবর ও হামলার ছবি বড় বড় জাতীয় দৈনিকগুলোর প্রথম পাতায় স্থান পায়নি। মানে খুব সোজা, সংবাদপত্র ও মিডিয়ার উপর এক ধরনের কৌশলী অদৃশ্য সেন্সর রয়েছে।
মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী, প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে এটা যখন আর অস্বীকার করার কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না, তখন ভর্তি পরীক্ষা কেন বাতিল হবে না? ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে যাদের মেডিকেলে ভর্তি করতে চান, তারা কী সত্যি সত্যি মেডিকেলে পড়ার যোগ্যতা রাখে? এমনিতে দেশের স্বাস্থ্যখাতের যে দুরাবস্থা, চিকিৎসা সেবা যেখানে পন্যে পরিণত হয়েছে। সেখানে নকল ডাক্তার দিয়ে বাংলাদেশের কী লাভ হবে?
বুঝলাম মন্ত্রী-এমপি-রাজনীতিবিদ-আমলরা বিদেশে গিয়ে ভালো চিকিৎসা নেবেন। তাই বলে দেশে যাতে ভালো ডাক্তারও তৈরি করা না যায়, সেই ব্যবস্থাও চূড়ান্ত করার এই বদ মতলব যাদের মাথা থেকেই আসুক না কেন, এটা একটা জাতিকে ধ্বংস করারই অপপ্রয়াস।
গণতান্ত্রিক কোনো দেশ হলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের দায়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয় নিজে পদত্যাগ করতেন নতুবা তাকে বরখাস্ত করা হতো। আর বাংলাদেশে উল্টো স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হুমকিতেই আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের উপর পুলিশ দিয়ে বর্বর হামলা করানো হচ্ছে। এটা কোনো সভ্য দেশের ব্যবস্থা হতে পারে না।
দেশের যে কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়, তাহলে দেশে নানান কিসিমের এত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, উপদেষ্টা দিয়ে দেশের কী লাভ হচ্ছে? মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের উপর তো পুলিশের বর্বর হামলা নজরে আসলো না। অথচ এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করছেন, তাদের উপর পুলিশি বর্বর হামলা করে জনগণ থেকে যে সরকার বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে, সেই কথা কী কোনো রাঘব বোয়ালদের মাথায়ই আসছে না?
আন্দোলনে এখন পর্যন্ত কেবল মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের দাবিতেই সীমাবদ্ধ আছে। পুলিশি এই হামলা যদি চলতেই থাকে, তাহলে আন্দোলনের তীব্রতা অনুসারে এর সঙ্গে নতুন যে দাবি যোগ হবে, তা হলো অযোগ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিঃশর্ত পদত্যাগ। ছাত্রছাত্রীদের ন্যায্য আন্দোলনের দাবি মেনে নিয়ে সময় থাকতে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করুন। নইলে পুলিশ দিয়ে শেষ রক্ষা হবে না।
বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা দেখে এটা এখন সুস্পষ্ট যে, প্রশ্নপত্র ফাঁস এখন এক শ্রেণীর লোকের অবৈধ আয়ের একটি অন্যতম উৎস। এদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের পরিবর্তে ছাত্রছাত্রীদের ন্যায্য দাবিকে পুলিশি বর্বরতা দিয়ে সরকার বরং অন্যায়কেই প্রশ্রয় দেবার নজির সৃষ্টি করছে। যা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
কথা সামান্যই। মেডিকেল কলেজের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে ভর্তি পরীক্ষা নেবার ব্যবস্থা করুন। নইলে আমও যাবে ছালাও যাবে। একটা জিনিস বুঝি না, মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে, সেই পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত তো সরাসরি মেডিকেল কলেজ গুলো যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন, সেসব বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর নিজেদেরই নেওয়ার কথা। মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোন দুঃখে জড়াবে? স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কী মেডিকেল ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনা করাবে, নাকি ক্লাস নেবে? তাহলে মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা অভিন্ন প্রশ্নপত্রে যদি হয়েও থাকে, সেই বিষয়ে নাক গলানোর কথা তো বিশ্ববিদ্যালয়ের। সেখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আর পুলিশ জড়ায় কি ভাবে?
এই রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করার যে প্রক্রিয়া বিদ্যমান, প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানোর প্রক্রিয়া সেই একই প্রক্রিয়ারই চলমান অংশ। কেবল স্বাস্থ্যমন্ত্রী আর পুলিশ একটু বেশি আগ্রহী সেই চলমান ধ্বংসলীলায় সামিল হবার প্রক্রিয়ায়। যা একটি সুস্থ জাতি গঠনে একটি অন্যতম বড় বাধা।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের পর মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা কেন বাতিল হবে না এই মর্মে তো একটি সুস্থ জাতি গঠনের জন্য আমাদের সুবিবেচক মাননীয় বিচারপতিরা সউদ্যোগে রুল জারি করতে পারেন। নাকি মাননীয় বিচারপতিগণ ছাত্রছাত্রীদের উপর নির্দয়ভাবে পুলিশি বর্বরতার কোনো ছবি বা খবর চোখবন্ধ করে এড়িয়ে চলেন?
মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা কেন বাতিল হবে না এ নিয়ে কোনো চেতনাবাজেরও আজ পর্যন্ত দেখা মিললো না, যারা কিনা মাননীয় আদালতের শরণাপন্ন হয়ে এর বিরুদ্ধে একটি রিট আবেদন করবেন? তাহলে আমরা আসলে কেমন একটি জাতি গঠনে সবাই মনোযোগী হয়েছি? আমরা কী তাহলে এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম যেখানে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে মেডিকেল কলেজে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি করানোটা জায়েজ? মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী, আপনার কাছে এই প্রশ্নের জবাব চাই।
............................
১ অক্টোবর ২০১৫
ঢাকা
২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৪
গেম চেঞ্জার বলেছেন: নদী ভাইয়ের সাথে একমত। তবে সরকারের মন্ত্রীরা সেবা নিক সমস্যা নাই। সমস্যা হলো উনাদের জলজ্যান্ত মিথ্যা বলার ব্যাপারটা। এগুলো নিয়ে অনেকেই হাসে। কিন্তু আমি মনে করি এসবের সূদুরপ্রসারী পরিণতি আছে।
৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১১
জল ও ছবি বলেছেন: মন্ত্রী মহোদয় হয়তোবা ভাবতেছেন বেয়াদব ছেলে মেয়েরা কেন যে বলতেছে প্রশ্ন ফাঁস, আমরাতো ছাত্রলীগ যারা করে তাদের সাজেশন দিয়েছি, হয়তো কোন দুষ্টু ছেলে দুষ্টুমি করে ফেসবুকে সাজেশন দিয়েছে তা নিয়ে এত হই হুল্লার কি আছে।
৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৪
মোহাম্মদ জামিল বলেছেন: ভাই আগামীতে আরো অনেক কিছু দেখবেন আর চমকাবেন, চমকাতে চমকাতে শেষ মেস আমরা সবাই এই সরকারের "চামচা" তে পরিনত হব। দেশের জাতীয় সব পত্রিকা, টিভি চ্যানেল যখন "চামচা" হয়ে গেল আমাদের বইলা কোন লাভ হবে না। প্রশ্ন পত্র ফাস হোক সবাই ২ নম্বর পদ্ধতিতে ভর্তি হোক, শিক্ষা ব্যবস্থা রসাতলে যাক, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু ঠিক থাকলে হলো। আর কিছু লাগে না।
৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২৩
সুমন কর বলেছেন: তাহলে তো আরো অনেক পাবলিক পরীক্ষা বাতিল করতে হবে।
এতো প্রশ্ন ফাঁস হয়---তবুও সরকার চুপ। কেন ? কেন ? কেন ?
৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১৮
অগ্নি সারথি বলেছেন: জবাব চাইয়া লাভ নাই।
৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩
দেওয়ান তাহমিদ বলেছেন: সবচে বড় সমস্যা, মিডিয়া আমাদের পক্ষে নাই। আশানুরূপ প্রচার হচ্ছে না।ভ্যাট বিরোধী আন্দোলনে মিডিয়া যতটা কাজ করেছে, ততটা করলেও হতো। ফেসবুক আর ব্লগেও মানুষ এই নিয়ে ততটা সরব না।
৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩
মোহাম্মদ জামিল বলেছেন: সবাই বিক্রী হয়ে গেছে।
৯| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০৮
মুর্শিদুল ইসলাম বিপ্লব বলেছেন: এদেশ এখন র্দুবৃত্তায়নের কবলে আছে , তাই মন্ত্রীর কাছে জবাব চাইয়া লাভ নাই।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৮
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: কোন এক অজানা কারনে আমাদের এইসব মন্ত্রীরা স্বীকারই করতে চাননা যে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। তাদের সন্তানেরা পাবলিকে চান্স না পেলেও তাদের টাকা আছে বিদেশে পড়ানোর, কিন্তু ভর্তুকির জায়গা এই পাবলিকে যোগ্যতমদেরই পড়া উচিত। ভর্তুকির সুফল যোগ্যতমরাই ভোগ করুক। উনাদের কাজ মন্ত্রী হয়ে রাস্ট্রীয় সেবা গ্রহন করা না, রাস্ট্রের জনগনকে সেবা দেয়া। আর এইটাই উনাদের সবাই ভুলে যান। এইরকম ব্যাপারে তীব্র আন্দোলন দরকার। নাহলে সরকারের টনক নড়েনা।