নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

অভিনন্দন জাস্টিন ট্রুডো: কানাডার তরুণ প্রধানমন্ত্রী !!!

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪২

গতকাল ১৯ অক্টোবর ২০১৫ সোমবার ছিল কানাডার ৪২তম সাধারণ নির্বাচন। ৩৩৮ আসনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে মোট পাঁচটি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। ক্ষমতাসীন কনজারবেটিভ পার্টি, নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি, লিবারেল পার্টি, ব্লোক কুইবিকোইজ ও গ্রিন পার্টি। নির্বাচনী ফলাফলে ১০ বছর পর লিবারেল পার্টি আবার চূড়ান্তভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। ক্ষমতাসীন কনজারবেটিভ পার্টির প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হারপার পরাজয় মেনে নিয়েছেন। কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন লিবারেল পার্টির নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডো'র পুত্র ৪৩ বছর বয়সী জাস্টিন ট্রুডো। ইতোমধ্যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হারপার নতুন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

নির্বাচনী ফলাফলে লিবারেল পার্টি পেয়েছে ১৮৪টি আসন। দ্বিতীয় অবস্থানে কনজারবেটিভ পার্টি, তারা পেয়েছে ৯৯টি আসন। তৃতীয় অবস্থানে নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এনডিপি), তারা পেয়েছে ৪৪টি আসন। চতুর্থ অবস্থানে ব্লোক কুইবিকোইজ, তারা পেয়েছে ১০টি আসন। আর গ্রিন পার্টি পেয়েছে ১টি আসন। কানাডার ৪২তম সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী লিবারেল পার্টি মোট কাস্টিং ভোটের ৩৯.৫ ভাগ ভোট পেয়েছ। প্রধান বিরোধীদল কনজারবেটিভ পার্টি পেয়েছে ৩১.৯ভাগ ভোট। এনডিপি পেয়েছে ১৯.৭ভাগ ভোট। ব্লোক কুইবিকোইজ পেয়েছে ৪.৭ ভাগ ভোট। আর গ্রিন পার্টি পেয়েছে ৩.৫ ভাগ ভোট।

কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডোকে বলা হয় আধুনিক কানাডার জনক। এবার তাঁর যোগ্য উত্তরসুরী জাস্টিন ট্রুডো হচ্ছেন কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী। ২০১১ সালের নির্বাচনে লিবারেল পার্টি মাত্র ২০.৬ ভাগ ভোট পেয়ে পার্লামেন্টে তৃতীয় দল হিসেবে অবস্থান করেছিল। পার্লামেন্টে তৃতীয় অবস্থান থেকে সরাসরি চুড়ান্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় যাবার এটিই প্রথম কোনো ঘটনা কানাডার নির্বাচনী ইতিহাসে। ক্ষমতাসীন কনজারবেটিভ পার্টি ২০১১ সালের চেয়ে অন্তত ৭.৭ ভাগ ভোট কম পেয়েছে এবার। এনডিপি'র ভোট ২০১১ সালে ছিল ১০.৯ ভাগ থেকে এবার বেড়ে ১৯.৭ ভাগ হলেও পার্লামেন্টে আসন সংখ্যা ৫১ থেকে কমে হয়েছে ৪৪টি। ব্লোক কুইবিকোইজ ২০১১ সালের ৮ আসন থেকে এবার ১০ আসন পেলেও ভোট অন্তত ১.২ ভাগ কমেছে।

নির্বাচনে জয় নিশ্চিত হওয়ার পর লিবারেল পার্টির নেতা জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, প্রকৃত পরিবর্তনের লক্ষ্যেই কানাডিয়ানরা আমাদের ভোট দিয়েছেন। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হারপার নির্বাচনে আগাম পরাজয় স্বীকার করে নিয়ে দলটির নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। কানাডার নির্বাচনী ইতিহাসে এবারই সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে প্রচারণা চালানো হয়েছে। প্রাথমিক জরিপে দলগুলোর মধ্যে ব্যবধান ছিল সামান্যই। ফলে এবারের নির্বাচনকে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন বলে অভিহিত করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী হারপার জাস্টিন ট্রুডোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এছাড়া তিনি জানিয়েছেন, কনজারভেটিভরা নির্বাচনের ফলাফল দ্বিধাহীনভাবে মেনে নেবে।

প্রধানমন্ত্রী হারপারের ওই ঘোষণার কিছুসময় পরই জাস্টিন ট্রুডো তাঁর সমর্থকদের উদ্দেশে বলেছেন, কানাডার জনগণ আজ রাতে একটি পরিষ্কার বার্তা দিয়েছে- পরিবর্তনের এখনই সময়। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী হারপারকে দেশকে সেবা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদও জানিয়েছেন। এনডিপি নেতা টম মুলকারও ট্রুডোকে অগ্রিম অভিনন্দন জানিয়েছেন।

১৯৭২ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন চার মাসের জাস্টিন ট্রুডোকে কোলে নিয়ে ভবিষ্যৎ বাণী করেছিলেন যে, আমি কানাডার একজন ভবিষ্যত প্রধানমন্ত্রীকে কোলে নিয়েছি। নিক্সনের সেই ভবিষ্যৎ বাণী শতভাগ কার্যকর হলো। পাশাপাশি কানাডায় শুরু হলো ট্রুডো ডাইনেস্টি যুগ।

উল্লেখ্য ৩৩৮ আসনের পার্লামেন্টে সরকার গঠনের জন্য একটি দলের প্রয়োজন ন্যূনতম ১৭০টি আসন। লিবারেল পার্টি ১৮৪ আসন নিয়ে এককভাবেই এখন সরকার গঠন করবে। আর কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন লিবারেল পার্টির নেতা ৪৩ বছর বয়সী জাস্টিন ট্রুডো। অভিনন্দন জাস্টিন ট্রুডো। তারুণ্যের জয় হোক।

................................
২০ অক্টোবর ২০১৫
ঢাকা

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০৩

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: এইডা কুনু নির্বাচন হয় নাই। হাফের বেশি এম্পি খালি মাঠে গোলই দিবার পারে নাই, এইডা কুনু নির্বাচন না। কানাডার লোকদের বৈলেন, বাঙলাদেশে আইসা নির্বাচন কাহাকে বলে ও কত প্রকার তা যেন শিক্ষা কৈরা যায়। এরপরে নির্বাচন দিলে বুঝতাম যে হেরা বাপের বেটা হৈসে একেকডা। নিঃসন্দেহে বাঙলাদেশ নির্বাচনে সারা পৃথিবীর জন্য আদর্শ উদাহরণ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.