নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আফগান ক্রিকেটের রূপকথা রচিত হলো বুলাওয়েতে !!!

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৬:৩৭

গতকাল শনিবার বুলাওয়েতে একদিনের ক্রিকেটে জিম্বাবুয়েকে ৭৩ রানে হারিয়ে ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন করে নাম লেখালো আফগানিস্তান। এই প্রথম আইসিসির কোনো পূর্ণ সদস্য দেশের বিরুদ্ধে ৩-২ সিরিজ জিতলো আফগানিস্তান। পাঁচ ম্যাচের সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে শনিবার জয়ের জন্য স্বাগতিকদের ২৪৬ রানের সাদামাটা টার্গেট দিয়েছিল আসগর স্তানিকজাইর আফগান দল। আফগান বোলাদের দারুণ মুন্সিয়ানায় সেই মাঝারি লক্ষ্যই পাহাড়সম হয়ে উঠল জিম্বাবুয়ের কাছে। অবশ্য জিম্বাবুয়ের শন উইলিয়ামস একাই ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করে একটা ব্যর্থ চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৭২ রানেই গুড়িয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। নিজেদের মাঠে হার মানে ৭৩ রানে।

জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক এল্টন চিগুম্বুরা টস জিতে আফগানদের ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান। বুলাওয়ায়োর কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৪৫ রান করতে সক্ষম হয় আফগানিস্তান। মোহাম্মদ শাহজাদের (২৬) সঙ্গে ৩৫ রানের উদ্বোধনী জুটিতে দলকে ভালো ভিত্তি গড়ে দেন নুর আলি জাদরান। দ্বিতীয় উইকেটে মোহাম্মদ নবির সঙ্গে ৯৭ রানের জুটিতে দলকে আরো ভালো সংগ্রহের দিকে নিয়ে যায় এই জুটি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করা নুর আলির ৮৮ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৫টি চারের মার। তার বিদায়ের পর ক্রিজে বেশিক্ষণ টেকেননি সাবেক অধিনায়ক নবি (৫৩)। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় আফগানিস্তান। কিন্তু অধিনায়ক আসগর স্তানিকজাইয়ের ধৈর্য্যশীল ৩৮ ও মিসওয়াইস আশরাফ (১৬ বলে ২১) ও দৌলত জাদরানের (৯ বলে অপরাজিত ১৩) দুটি আক্রমণাত্মক ইনিংসে মোটামুটি লড়াই করার মত একটা পুঁজি গড়ে আফগানরা। জিম্বাবুয়ের পক্ষে ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও সিকান্দার রাজা তিনটি করে উইকেট নেন।
২৪৬ রানে লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৪৪ ওভার ১ বলে ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। শুরুটা যাচ্ছে তাই ছিল স্বাগতিকদের। মাত্র ১৫ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারায় জিম্বাবুয়ে। দৌলত জাদরান ফিরিয়ে দেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান চামু চিবাবা ও রিচমন্ড মুতুমবামিকে। তিন নম্বর ব্যাটসম্যান ক্রেইগ আরভিনকে বিদায় করেন মিরওয়াইস আশরাফ। তৃতীয় ওভারে ক্রিজে আসা উলিয়ামস এক প্রান্তে নটআউট থাকলেও অন্য প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। আমির হামজা নিজের তিন ওভারের মধ্যে টিনোটেন্ডা মুটুমবডজি ও রাজাকে ফিরিয়ে দিলে ১৫তম ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৫১। এরপর ক্যাপ্টেন এল্টন চিগুম্বুরা (১৪) ও টেন্ডাই কিশোরো (১০) দুই অঙ্কে পৌঁছালেও শন উইলিয়ামসকে খুব একটা সঙ্গ দিতে পারেননি কেউ। তাই ক্যারিয়ারের প্রথম শতক করেও দলের হার এড়াতে ব্যর্থ হয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান শন উইলিয়ামস। জিম্বাবুয়ের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ১০২ রান। তার ১২৪ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৩টি চার ও ৪টি ছক্কার মার। ২২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে আফগানিস্তানের সেরা বোলার দৌলত। ৪১ রানে ৩ উইকেট নেন হামজা।

২০১১ সালে ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়ার মাত্র চার বছরের মধ্যেই আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজ জিতে যোগ্যতার প্রমাণ রাখলো আফগানরা। এ পর্যন্ত খেলা ৫৬টি ওয়ানডের মধ্যে হার-জিতের হিসাবে আফগানিস্তান এখন সমানে সমান। ২৮টি জয় ২৮টি পরাজয়। ঘরের মাঠে প্রথত শতক পাওয়া শন উইলিয়ামস পরে দৌলত জর্দানের সঙ্গে যৌথভাবে ম্যান অব দ্য ম্যাচও নির্বাচিত হন। জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার নয় নম্বরে ব্যাট করতে নামা লুক জংউয়ি। ১৬ রান করা এই বোলারের সঙ্গে এদিন আর মাত্র দুই ব্যাটসম্যান দুই অংকের রান করতে সমর্থ হন।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জিতে আফগান ক্রিকেট রূপকথায় চিরদিনের জন্য জড়িয়ে গেলেন পাকিস্তানের সাবেক ব্যাটসম্যান ইনজামাম-উল হক। বর্তমান আফগান দলটির কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে ইনজামাম এই সাফল্য এনে দিলেন আফগানদের। গোটা সিরিজে দুইবার পিছিয়ে পড়ে শেষপর্যন্ত সিরিজ জেতাতে কোচ হিসেবে ইনজামান আফগানদের কাছে এখন বীরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন।

সহযোগী দেশগুলোর বিপক্ষে শেষ ৬ ম্যাচের চারটিতেই হারল জিম্বাবুয়ে। এর আগে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে শেষ ওয়ানডেতে হেরেছিল চিগুম্বুরার দল। এই হার হজম করতে না করতেই জিম্বাবুয়েকে পড়তে হবে টাইগার্সদের হামলার মুখে। আমরা সেই খেলা দেখার প্রত্যাশায় আছি। আফগান ক্রিকেটের এই ইতিহাস রচিত জয়ে সকল আফগান ক্রিকেটারদের জানাই প্রাণান্ত শুভেচ্ছা। জয়তু ক্রিকেট।

..........................
২৫ অক্টোবর ২০১৫
ঢাকা

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:০০

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: আফগান ক্রিকেটের এই ইতিহাস রচিত জয়ে সকল আফগান ক্রিকেটারদের জানাই প্রাণান্ত শুভেচ্ছা। জয়তু ক্রিকেট।
আসলেই তারা বীরের জাতি..................

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:১৯

নাবিক সিনবাদ বলেছেন: আফগানদের বোলিংটা সত্যিই দারুণ।।

৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: জয়তু ক্রিকেট। জয়তু আফগানী ক্রিকেট।

৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৪

তৌফিক মাসুদ বলেছেন: হ্যাঁ ওরা world cup জিতবে একদিন। তবে আমরা তিন বার জেতার পর।

৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: এখন আফগানী খেলোয়ারদের ভাবটা আরো বেড়ে যাবে।
আমাদের সাথে খেললে তো ওদের ভাব আকাশে থাকে।

এখন কই যে থাকবে কে জানে!

তবে, রূপকথা রচনা করায় লাভই হল। দল একটা বাড়লো। খেলাও বাড়বে।

৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৬

নীলসাধু বলেছেন: ধন্যবাদ রেজা ভাই। আমিও মনে করি এই জয়ে তারা আরো উজ্জীবিত হবে, তাদের জন্য অভিনন্দন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.