নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
আজ ৮ নভেম্বর ২০১৫, রবিবার, মিয়ানমারের প্রায় তিন কোটি ভোটার ২৫ বছর পর আবার সকল দলের অংশগ্রহণে সাধারণ নির্বাচনে ভোট প্রদান করবেন। ১৯৯০ সালের পর এবারই মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কোনো সাধারণ নির্বাচন। সকাল থেকেই ভোট শুরু হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী সোমবারের পর যে কোনো সময় নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে হয়তো দেশটিতে পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা সামরিক শাসনের অবসান হতে পারে।
মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট জেনারেল থিয়েন শিয়েন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং ফলাফল যাই হোক না কেন তাকে সম্মান জানানো হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন। তবে সেখানকার মানবাধিকার সংগঠনগুলো মুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করায় এই নির্বাচনকে ত্রুটিপূর্ণ বলে অভিহিত করেছে। যদিও নতুন সংবিধান প্রবর্তনের জন্য ২০১০ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে রোহিঙ্গা মুসলিমরা ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু এ বছর অস্থায়ী পরিচয়পত্রধারী প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম ভোট দিতে পারছেন না। মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গাদের এখনও নাগরিক বলে স্বীকার করে না।
আজ মিয়ানমারে এই নির্বাচনে প্রায় তিন কোটি বার্মিজ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। ৯০টি রাজনৈতিক দলের প্রায় ছয় হাজার প্রার্থী ৬৬৪টি আসনের জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবারের নির্বাচনে মিয়ানমারের সেনা-সমর্থিত ক্ষমতাসীন ইউনিয়ন সলিডারিটি ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) নির্বাচনের অন্যতম প্রভাবশালী প্রতিদ্বন্দ্বী দল। যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রধান বিরোধী নেত্রী অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে পার্লামেন্টে জয়ী হতে যাচ্ছে।
নির্বাচনের সংক্ষিপ্ত চিত্র:
নির্বাচনে অংশ নেওয়া মোট রাজনৈতিক দলের সংখ্যা: ৯০টি
নির্বাচনে প্রার্থী: ৬০০০
পার্লামেন্টে মোট আসন সংখ্যা: ৬৬৪টি (উচ্চকক্ষে ২২৪টি ও নিম্নকক্ষে ৪৪০টি)
পার্লামেন্টের শতকরা ২৫ ভাগ আসন সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত (মোট ১৬৬টি আসন সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত, যার মধ্যে উচ্চকক্ষে ৫৬টি ও নিম্নকক্ষে ১১০টি আসন)
শতকরা ৭৫ ভাগ আসনে আজ সরাসরি নির্বাচন হবে। অর্থ্যাৎ মোট ৪৯৮টি আসনে আজ ভোট হবে। যার মধ্যে উচ্চকক্ষে ১৬৮টি ও নিম্নকক্ষে ৩৩০টি আসন।
সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন দুই তৃতীয়াংশ বা ৬৭% আসন।
প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল: সেনা সমর্থিত সেনা-সমর্থিত ক্ষমতাসীন ইউনিয়ন সলিডারিটি ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) এবং প্রধান বিরোধী নেত্রী অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)।
মিয়ানমারের সংবিধান অনুসারে, সরকার গঠন করতে হলে কোনো দলের অবশ্যই দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন পেতে হবে। তাছাড়া সংবিধানে নির্বাচনে সংসদীয় আসনের ২৫ শতাংশ সামরিক বাহিনীর জন্য সংরক্ষিত। ধারণা করা হচ্ছে, সামরিক বাহিনীর এই ২৫ শতাংশ আসন সেনা-সমর্থিত ক্ষমতাসীন ইউনিয়ন সলিডারিটি ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি)'র পক্ষে যাবে। তবে সারা বিশ্বে মাইলফলক হিসেবে আখ্যা পাওয়া এই নির্বাচনকে মৌলিকভাবে ত্রুটিপূর্ণ বলে অভিহিত করেছে সেদেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো দাবি করছে, ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকা এবং দেশটির লাখ লাখ মুসলিম সম্প্রদায় এবং রোহিঙ্গা নাগরিকদেরকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এ বছর অস্থায়ী পরিচয়পত্রধারী প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা ভোট দিতে পারছেন না। মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গাদের নাগরিক বলেও স্বীকার করে না। তাছাড়া ভোটার তালিকায় অনেক মৃত ব্যক্তিকে ভোটার হিসেবে দেখানো হয়েছে। মিয়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গুন থেকে বিবিসি'র সাংবাদিক জোনাহ ফিশার জানাচ্ছেন, দেশটিতে নির্ভরযোগ্য কোনও জনমত জরিপ না থাকায়, ভোটের ফলাফল ঠিক কোন দিকে যাচ্ছে সে সম্পর্কে আগে থেকে কোনও ধারণা করা যাচ্ছে না। নির্বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তা কড়াকড়ি বাড়ানো হয়েছে এবং চল্লিশ হাজার পুলিশ সদস্যকে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছে।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট জেনারেল থিয়েন শিয়েনের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ইউনিয়ন সলিডারিটি ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। যদিও এবার ক্ষমতাসীন দলটি তেমন জোরালো কোনো নির্বাচনী প্রচারণা চালায়নি। তাই তারা ভিন্ন উপায়ে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে জেনারেল থিয়েন শিয়েন শুক্রবার বলেছেন, নির্বাচনের ফলাফল যা-ই হোক না কেন, সরকার ও সেনাবাহিনী তা মেনে নেবে। শান্তিপূর্ণ ক্ষমতার পালাবদল নিশ্চিত করতে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে কাজ করার কথাও বলেছেন তিনি।
এদিকে নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচির রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) আজকের নির্বাচনে বড় সাফল্য পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনে এনএলডি বিজয়ী হলেও সুচি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। কারণ, মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী, কারও সন্তান বিদেশি নাগরিক হলে তাঁর প্রেসিডেন্ট হওয়ার সুযোগ নেই। তবে গত বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে অং সাং সুচি বলেছেন, এনএলডি সরকার গঠন করলে ক্ষমতার রাশ তাঁর হাতেই থাকবে।
মিয়ানমারে ১৯৬২ সাল থেকে প্রায় ৫৩ বছর ধরে সামরিক জান্তা দেশটি শাসন করছে। যদিও ২০১১ সালে সেনা-সমর্থিত বেসামরিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেখানে কিছু সংস্কারকাজ শুরু করে। তবে দেশটির বর্তমান সংবিধান সেনা শাসকদেরই তৈরি। সংবিধানে তাঁরা দেশটির পার্লামেন্ট ও সরকারের ওপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার সব সুযোগ রেখেছেন। যদি আজকের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়, তাহলে তা পার্লামেন্টের ৭৫ শতাংশ আসনের প্রতিনিধি চূড়ান্ত করবে। বাকি ২৫ শতাংশ আসন অনির্বাচিত সেনা কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে। তাই যে দলই ক্ষমতায় আসুক, সেনাবাহিনীর আধিপত্য কমার কোনো সুযোগ নেই।
স্বাধীন বার্মা:
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি, 'ইউনিয়ন অব বার্মা' নামে বার্মা বৃটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। সাও স্যুই থাইক দেশটির প্রথম প্রেসিডেন্ট আর ইউ নু প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো যারা বৃটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর কমনওয়েলথ সদস্য ভুক্ত হিসেবে চিন্থিত, বার্মা সেখানে কমনওয়েলথ-এর সদস্য নয়। এর আগে স্বাধীন বার্মায় ১৯৫১, ১৯৫৬ ও ১৯৬০ সালে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তখন চেম্বার অব ডেপুটিস এবং চেম্বার অব ন্যাশনালিটিসদের নিয়ে দুই কক্ষ বিশিষ্ট বার্মার পার্লামেন্ট নির্বাচন হতো।
১৯৬১ সালে বার্মার প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সেক্রেটারি ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বার্মার প্রতিনিধি উ থান্ট জাতিসংঘের মহাসচিব নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সাল পর্যন্ত টানা ১০ বছর উ থান্ট জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬২ সালের ২ মার্চ জেনারেল নে উইন এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বার্মার ক্ষমতা দখল করেন। ১৯৬২ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত সোভিয়েত সমর্থিত জেনারেলদের মাধ্যমে স্যোশালিস্ট রিভ্যুলুশনারি কাউন্সিল বার্মা শাসন করে। ১৯৭৪ সালে এক দলের শাসন সম্বলিত একটি সংবিধান চালু করে সোভিয়েত সমর্থিত ক্ষমতাসীন জেনারেলগণ। ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত সেভাবেই দেশটি শাসিত হয়।
অং সান সুচি:
প্রায় ২৭ বছর পর ১৯৮৯ সালের ৩১ মে বার্মার সামরিক সরকারের অধীনে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তখন দেশটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় মিয়ানমার। ওই নির্বাচনে গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচির রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) পার্লামেন্টের ৪৯২টি আসনের মধ্যে ৩৯২টি আসনে বিজয়ী হয়। যা মোট আসনের প্রায় শতকরা ৮০ ভাগ এবং কাস্টিং ভোটের শতকরা ৫২.৫ ভাগ। কিন্তু সামরিক সরকার তখন অং সান সুচি'র কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানায়। ১৯৯১ সালে অং সান সুচি নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।
অং সান সুচি'র বাবা জেনারেল অং সান ছিলেন বার্মার কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা। বার্মার স্বাধীনতা আন্দোলনে তিনি ছিলেন প্রধান ব্যক্তি। কিন্তু বার্মার স্বাধীনতা লাভের মাত্র ছয় মাস পূর্বে ১৯৪৭ সালের ১৯ জুলাই বিরোধী এক দল বিচ্ছিন্ন সেনাদের হাতে অং সান নিহত হন। ১৯৬০ সালে ক্ষমতাসীন সরকার সুচি'র মা খিন কাইকে ভারতে বার্মার অ্যাম্বাসিডর হিসেবে নিয়োগ দেয়। পরে তিনি নেপালে বার্মার অ্যাম্বাসিডর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই সময় অং সান সুচি মায়ের সঙ্গে ভারত ও নেপালে অবস্থান করেন।
১৯৬৪ সালে দিল্লির লেডি শ্রীরাম কলেজ থেকে সুচি পলিটিক্সে গ্রাজুয়েশান ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬৯ সালে সুচি অক্সফোর্ডের অধীনে বৃটেনের সেন্ট হগ কলেজ থেকে ফিলোসফি, ইকোনোমিক্স ও পলিটিক্সে এমএ করেন। ১৯৭২ সালের ১ জানুয়ারি ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ ডক্টর মাইকেল এরিসকে বিয়ে করেন অং সান সুচি। ১৯৭৩ সালের ১২ এপ্রিল তাঁদের বড় ছেলে আলেক্সান্ডার এরিস জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন তাঁদের ছোট ছেলে আলেক্সান্ডার কিম। ১৯৯৯ সালের ২৭ মার্চ সুচির ৫৩তম জন্মদিনে বড় ছেলে আলেক্সান্ডার এরিস রহস্যজনকভাবে মারা যায়। ১৯৮৯ সালের নির্বাচনের পর থেকে সুচি বার্মায় দীর্ঘদিন গৃহবন্দী ছিলেন। ২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর সামরিক জান্তা সুচিকে গৃহবন্দী দশা থেকে মুক্তি দেন।
মিয়ানমারের পরিচিতি:
মিয়ানমারের আয়তন ৬ লাক্ষ ৭৬ হাজার ৫৭৮ বর্গকিলোমিটার। ২০১৪ সালের আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী, মিয়ানমারের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৫ কোটি ১৫ লাখ। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে মাত্র ১৯৭ জন। মিয়ানমারের ১৪ প্রদেশের অধীনে ৬৩টি জেলা রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বার্মা ছিল পৃথিবীর সর্বোচ্চ ধান উৎপাদনকারী দেশ। এখনো দেশটির প্রধান অর্থনীতি কৃষি নির্ভর। দেশের অন্তত ৬০ ভাগ জমিতে ধান উৎপন্ন হয়। তাছাড়া খাদ্যের শতকরা ৯৭ ভাগের যোগান আসে প্রধান কৃষিপণ্য ধান থেকে। ১৯৬২ সাল থেকে মিয়ানমার সামরিক জান্তা শাসন করছে। ২০১১ সালের ৩০ মার্চ সামরিক জান্তা মিয়ানমারের জন্য নতুন সংবিধান প্রবর্তন করে। ১৯৮৯ সালের পর আজ ৮ নভেম্বর ২০১৫ আবারো সকল দলের অংশগ্রহণে মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যদিও মুসলিম রোহিঙ্গারা এবারের নির্বাচনে ভোট দিতে পারছে না। কারণ মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে না। আজকের নির্বাচনে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা ভোটার ভোট প্রদান করতে পারবে না। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের কক্সবাজারে জাতিসংঘ উদ্বাস্তু বিষয়ক হাইকমিশনের অধীনে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা ১৯৭৭ সাল থেকে বসবাস করছে।
............................
৮ নভেম্বর ২০১৫
ঢাকা
২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫০
গেম চেঞ্জার বলেছেন: এরা অসভ্য এক জাতি!!
৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৪
শিশির খান ১৪ বলেছেন: আন্তর্জাতিক চাপের কারণে আর না পেরে মিলিটারী জান্তা ২৫ বছর পর নির্বাচন দিচ্ছে যদিও শতকরা ২৫ ভাগ সংসদ সদস্য মিলিটারী জান্তার ইচ্ছাতেই আসবে মানে সংরক্ষিত আসন তারপর আবার রয়েছে নানা রকম চালাকি যেমন রোহিঙ্গা দের ভোট দেয়া থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে আনা হয়েছে সংবিধানে নানা রকম পরিবর্তন কারো বিদেশি স্বামী থাকলে সে রাষ্ট্রপতি হতে পারবে না। প্রধান বিরোধী নেত্রী অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) যাতে কোনো ভাবে ক্ষমতা গ্রহণ না করতে পারে সেই জন্যই এরকম নিয়ম করা হয়েছে যদিও পাতানো নির্বাচন তারপর ও ভালো কারণ গতো ২৫ বছরে কোনো নির্বাচন হয় নি। নাই মামার চে কানা মামা ভালো।ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ক্ষমতায় যেতে পারবে না তা জেনেও নির্বাচন করছে এখান থেকেও আমাদের রাজনৈতিক নেতা দের শিক্ষা নেয়া উচিত।
৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৬
অগ্নি সারথি বলেছেন: গেম চেঞ্জার বলেছেন: এরা অসভ্য এক জাতি!! - চরম ভাবে সহমত।
অসভ্যের সাথে বর্বর ও।
৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তারা অগণতান্ত্রিক শাসনের চক্র থেকে যেভাবেই হোক বেরুনোর চেষ্টা করছে আমরা কি সেই চক্রে ঢুকতে যাচ্ছি
মায়ানমারের রোহিঙ্গা ইস্যু তাদের হীনমন্যতারই পরিচায়ক। সাম্প্রদায়িকতার এক জঘন্য উদাহরন।
৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৫৪
নিমগ্ন বলেছেন: পোস্ট করেছি: ৬০৮টি
মন্তব্য করেছি: ১১৬৩টি
মন্তব্য পেয়েছি: ৪৩৯৯টি
ব্লগ লিখেছি: ৭ বছর ৯ মাস
অনুসরণ করছি: ৩৩ জন
অনুসরণ করছে: ১৬৪ জন
এই না হলে ব্লগার!
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
২৫% সেনাবাহিনির জন্য বরাদ্দ... লে হালুয়া!
৭৫% ভাগ আসনে নির্বাচন। সেখানেও আছে সেনাসমর্থিত দল।
//মানবাধিকার সংগঠনগুলো দাবি করছে, ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকা এবং দেশটির লাখ লাখ মুসলিম সম্প্রদায় এবং রোহিঙ্গা নাগরিকদেরকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এ বছর অস্থায়ী পরিচয়পত্রধারী প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা ভোট দিতে পারছেন না। মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গাদের নাগরিক বলেও স্বীকার করে না। তাছাড়া ভোটার তালিকায় অনেক মৃত ব্যক্তিকে ভোটার হিসেবে দেখানো হয়েছে। মিয়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গুন থেকে বিবিসি'র সাংবাদিক জোনাহ ফিশার জানাচ্ছেন, দেশটিতে নির্ভরযোগ্য কোনও জনমত জরিপ না থাকায়, ভোটের ফলাফল ঠিক কোন দিকে যাচ্ছে সে সম্পর্কে আগে থেকে কোনও ধারণা করা যাচ্ছে না।//
-গোলমেলে অবস্থা!
তবু বার্মিজ জনতার জন্য শুভেচ্ছা। গণতন্ত্রের অভ্যাস গড়ে ওঠুক।