নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

২০১৫ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ২০ কোটি ছাড়িয়েছে !!!

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৯

খ্রিষ্টিয় নতুন বছরের প্রথম দিনেই দেশের প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত চার কোটি ৪৪ লাখ ১৬ হাজার ৭২৮ জন শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে ৩৩ কোটি ৩৭ লাখ ৬২ হাজার ৭৭২ কপি নতুন বই। এছাড়া প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির ৩২ লাখ শিক্ষার্থী পাচ্ছে তিন কোটি ২৮ লাখ আট হাজার ৫৩টি বই ও অনুশীলন খাতা। ‘নতুন বইয়ের গন্ধ শুঁকে ফুলের মতো ফুটব, বর্ণমালার গরব নিয়ে আকাশ জুড়ে উঠব’—এই স্লোগানকে সামনে রেখে আজ শুক্রবার সারা দেশে শুরু হয়েছে পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবস। রাজধানীর ধানমন্ডির গভর্মেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল মাঠে সকাল ১০টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এই উৎসবের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দাবি করেছেন শিক্ষাক্ষেত্রে গত সাত বছরে যুগান্তকারী সাফল্য এসেছে। বিশেষ করে সংখ্যাগত দিক থেকে সাফল্য যুগান্তকারী। বেশ চমৎকার কথা। কিন্তু নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা কী শিখে বড় হচ্ছে? সেই খবর কী মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আছে? শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ২০১০ সালে যখন বিনামূল্যে এই বই দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয় তখন শিক্ষার্থী ছিল আড়াই কোটির মতো। আর এখন শিক্ষার্থী বেড়ে হয়েছে চার কোটি ৪৪ লাখ ১৬ হাজার। বইয়ের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৩ কোটি ৩৭ লাখ ৬২ হাজার ৭৭২ কপি।
শিক্ষামন্ত্রী'র কথিত সাফল্য সংখ্যার বিচারে যুগান্তকারী বটে। কিন্তু শিক্ষার মান, শিক্ষা পদ্ধতি, পরীক্ষা পদ্ধতি, পরীক্ষার খাতা দেখার ধরন, পরীক্ষার খাতা দেখায় শিক্ষকদের প্রদেয় শর্তাবলী, লোক দেখানো পাসের হার, এসব বিষয় বিবেচনায় নিলে শিক্ষামন্ত্রী গোটা জাতিকে একটি ভুল শিক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে পঙ্গু করা হচ্ছে কিনা সেটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করার সময় এখনই।
নতুন বই হাতে আনন্দিত শিক্ষার্থীদের আনন্দের কথা মাথায় রেখে শিক্ষা পদ্ধতি নিয়ে আজ লিখব না। বরং মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী'র উক্তি থেকে শিক্ষার্থী সংখ্যা নিয়ে বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা কত হতে পারে, তার একটি ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ দাঁড় করানো যাক। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, বাংলাদেশে ০ থেকে ১৪ বছর বয়সি জনগোষ্ঠী মোট জনসংখ্যার শতকরা ৩৪.৬৩ ভাগ। ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সি জনগোষ্ঠী মোট জনসংখ্যার শতকরা ৬০.৬২ ভাগ। এবং ৬৫ বা তদোর্ধ্ব বয়সি জনগোষ্ঠী মোট জনসংখ্যার শতকরা ৪.৭৫ ভাগ। আমরা হিসাবের জটিলতা এড়াতে ০ থেকে ১৫ বছর বয়সিদের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৩৫ ভাগ, ১৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সিদের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৬০ ভাগ এবং ৬৫ ঊর্ধ্ব বয়সিদের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৫ ভাগ হিসাবে ধরে এখন বিশ্লেষণ করব।
১. যদি প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী সংখ্যা চার কোটি ৪৪ লাখ ১৬ হাজার ৭২৮ জন হয় এবং প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার্থী ৩২ লাখ হয়, তাহলে প্রাক প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত মোট শিক্ষার্থী চার কোটি ৭৬ লাখ ১৬ হাজার ৭২৮ জন।
২. ইউনিভার্সিটি অব সাসেক্স ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি পরিচালিত ২০১০ সালের একটি গবেষণা থেকে দেখা যায়, বাংলাদেশে শতকরা ৫৩ জন ছেলে এবং শতকরা ৫৭ জন মেয়ে স্কুল থেকে ঝড়ে পড়ে। অর্থ্যাৎ বাংলাদেশে শিক্ষা থেকে ঝড়ে পড়ার গড় হার শতকরা ৫৫ ভাগ (২০১০ সালে)। চরম দারিদ্র্য, দারিদ্র্য, অপুষ্টি, পরিবারের ধরন, সচেতনতার অভাব, অসুস্থতা, শিশুশ্রম, মাইগ্রেশান, শিক্ষার প্রতি অনিহা ইত্যাদি কারণে স্কুল থেকে ঝড়ে পড়ার কারণ হিসাবে দেখানো হয়েছে। সেসব ফ্যাক্টরগুলোর কিছুটা উন্নতিকে বিবেচনায় নিয়ে বর্তমানে দেশে স্কুল থেকে ঝড়ে পড়ার হার শতকরা ৪৪ থেকে ৪৮ ভাগ। শিক্ষামন্ত্রী অবশ্য এক বক্তৃতায় স্কুল থেকে ঝড়ে পড়ার হার শতকরা ২১ দাবি করেছেন। যার কোনো ভিত্তি বা প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা নেই। যদি উন্নয়ন সূচক এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যও বিবেচনায় নেওয়া হয়, তাহলে বর্তমানে স্কুল থেকে ঝড়ে পড়ার হার শতকরা ৩০ ভাগের কম হবে না। তাহলে এবার ড্রপআউট বা স্কুল থেকে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বের করা যাক। আজকে যদি প্রাক প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা চার কোটি ৭৬ লাখ ১৬ হাজার ৭২৮ জন হয়, তাহলে ড্রপআউট বা স্কুল থেকে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থী সংখ্যাটি এই সংখ্যার অন্তত শতকরা ৩০ ভাগ বা তারও বেশি। যদি শতকরা ৩০ ভাগও হয়, তাহলে ড্রপআউট বা স্কুল থেকে ঝড়ে পড়া সংখ্যাটি হবে এক কোটি ৪২ লাখ ৮৫ হাজার ১৮ জন।
৩. বাংলাদেশে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে যেসকল শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে, সেই সংখ্যাটি সরকারিভাবে কোথাও নেই। এলিট শ্রেণি'র ছেলেমেয়েরা সাধারণত ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়াশুনা করে। তাই তাদের ড্রপআউট বা স্কুল থেকে ঝড়ে পড়া যদি শূন্য বিবেচনা করি, তাহলে সেই সংখ্যাটি কত? তিন লাখ? দুই লাখ? নাকি এক লাখ? নাকি আরো বেশি? আমরা যদি এই সংখ্যাটি দেড় লাখও বিবেচনা করি, তাহলে দেশে প্রাক প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত (অর্থ্যাৎ ৪ থেকে ১৫ বছর বয়সি পর্যন্ত) মোট শিশুর সংখ্যা কত? এক কথায় এটি হবে (৪,৭৬,১৬,৭২৮ + ১,৪২,৮৫,০১৮+১,৫০,০০০) বা ৬ কোটি ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৪৬ জন।
৪. ২০১১ সালের আদম শুমারিতে ০ থেকে ৪ বছর বয়সি শিশুর সংখ্যা দেখা যায় এক কোটি ৫০ লাখ ৬১ হাজার ৯৭০ জন। ২০১১ তে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১.০৪ ভাগ। জনসংখ্যা বৃদ্ধি বিবেচনায় নিলে ০ থেকে ৪ বছর বয়সি শিশুর সংখ্যা এখন কত হবে? তার সঙ্গে শিশু মৃত্যু হার বাদ যাবে। আমরা সরাসরি যদি এই সংখ্যাটি হিসাবের সুবিধার জন্য এক কোটি ৪০ লাখও ধরি (কারণ জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নিম্নমুখী বিবেচনায়) তাহলে ০ থেকে ১৫ বছর বয়সিদের মোট সংখ্যা দাঁড়ায় (৬,২০,৫১,৭৪৬ + ১,৪০,০০,০০০) বা ৭ কোটি ৬০ লাখ ৫১ হাজার ৭৪৬ জন। আমরা হিসাবে সুবিধার জন্য এই সংখ্যাটি ৭ কোটি ৬০ লাখ বিবেচনা করব।
৫. তার মানে ০ থেকে ১৫ বছর বয়সি জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৭ কোটি ৬০ লাখ মানে হলো, এটি দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র শতকরা ৩৫
ভাগ। তাহলে মোট জনসংখ্যা দাঁড়ায় ২১ কোটি ৭১ লাখ ৪২ হাজার ৮৫৭ জন।
৬. ২০১১ সালে মৃত্যু হার ছিল ৪.৮ ভাগ। এটি এখন কিছুটা উন্নতি হয়েছে। যদি মৃত্যু হার ৪.৫ ভাগ হিসাবে বিবেচনা করি, তাহলে ২১ কোটি ৭১ লাখ ৪২ হাজার ৮৫৭ জনে মারা গেছে অন্তত ৯৭ লাখ ৭১ হাজার ৪২৮ জন।
৭. তাহলে বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা দাঁড়ায় ২১ কোটি ৭১ লাখ ৪২ হাজার ৮৫৭ জন বিয়োগ ৯৭ লাখ ৭১ হাজার ৪২৮ জন বা ২০ কোটি ৭৩ লাখ ৭১ হাজার ৪২৯ জন। যদি কিছু সংখ্যা আমরা এরপরেও ফেলে দেই, তাহলে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ২০ কোটি ৫০ লাখের কম হবে না।

এখন কী আপনি সরকারি হিসাবে শিক্ষার্থী সংখ্যা কমিয়ে, ড্রপআউট বাড়িয়ে, জন্মহার কমিয়ে, মৃত্যু হার বাড়িয়ে, এক্সিডেন্ট বাড়িয়ে, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় মৃত্যু বাড়িয়ে বা অন্যান্য আরো জনমিতিক ব্যাপার স্যাপার এদিক করে করে চার কোটি জনসংখ্যা এদিক সেদিক করতে পারবেন? যদি না পারেন, তাহলে বাস্তব সত্য সত্য হলো, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ২০ কোটি ২০১৫ সালেই ছাড়িয়েছে। যদি এর কোনো বিপরীত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ আপনার কাছে থাকে, তাহলে তথ্য প্রমাণ সহ হাজির হন। আন্তাজে কোনো কথা এলাউ করা হবে না। বাংলাদেশের জনসংখ্যা ২০১৫ সালেই ২০ কোটি ছাড়িয়েছে, এটাই হলো বাস্তবতা। আর যদি ০ থেকে ১৫ বছর বয়সি জনসংখ্যা এদিক সেদিক করে কমিয়ে দেখান, তা কতটা কমাতে পারবেন? চেষ্টা করে দেখান। মাননীয় শিক্ষমন্ত্রী নিশ্চয়ই শিক্ষার্থী সংখ্যা কমাবেন না। সুতরাং জনসংখ্যা যে ২০ কোটি ছাড়িয়েছে সেই খেয়াল কী আছে বাংলাদেশের?

...........................
১ জানুয়ারি ২০১৬

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩৫

কালীদাস বলেছেন: আমি বাংলাদেসের পপুলেশন প্রজেকশন নিয়ে কখনও কাজ করিনি, তবে ট্রানজিশনের প্যাটার্ন (স্পেশালি ফার্টিলিটি ট্রানজিশন) বলে ষোলকোটির আশেপাশেই হবে টোটাল পপুলেশন। আপনার এই হিসাবটা পেপারে পাঠিয়ে দিন, দেখা যাক ব্যাখ্যা কি আসে।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪৮

রেজা ঘটক বলেছেন: ডেমোগ্রাফিতে টোটাল পপুলেশনকে মোটা দাগে ০-১৫, ১৫-৬৫ ও ৬৫+ এই তিন ভাগে দেখানো হয়। বাংলাদেশে ০-১৫ বছর বয়সি জনগোষ্ঠী ৩৩ থেকে ৩৫ ভাগের মধ্যে ওঠানামা করছে। পপুলেশান ট্রেন্ড তাই বলে। সে হিসাবে এটা আসে। সেনসাস-এ, টোটাল ফিগারকে ৫% প্লাস-মাইনাসের একটা ব্যাপার থাকে। ত্রুটি হিসাবে। এটা ডিজিটাল না হওয়া পর্যন্ত এই ত্রুটি থাকবে। বাস্তবে বাংলাদেশের জনসংখ্যা আসলেই ভয়াবহরূপে বাড়ছে। কারণ দেশে ১৯৯০ সালের পর থেকে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি কার্যত থেমে আছে।

২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪০

নতুন বলেছেন: ২০ কোটি হইলে তো সমস্যা....

আমার ধারনা ছিলো ১৬ কোটি হবে... এতো দ্রুত ২০ শে গেলে তো বিরাট সমস্যা...

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪৭

রেজা ঘটক বলেছেন: শুধু বিরাট না ভাইজান সবচেয়ে বড় সমস্যা এখন জনসংখ্যা!!!

৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৫৬

নতুন বলেছেন: যদি আমাদের জনগন শিক্ষিত/বুদ্ধিসম্পন্ন এবং সত হইতো হতে কাজ হইতো..

জনগনের মাঝে ভন্ডের সংখ্যা বেশি... :(

দেশে সবাই ভাল মানুষ ...তাইলে খারাপ কাজগুলি করে কে?

আামাদের দেশেও ১ সন্তান নীতি চালু করা দরকার...

ডায়লোগ হবে.... '' ছেলে হউক মেয়ে হউক এক শয়তানই যথেস্ট'' :)

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১৫

রেজা ঘটক বলেছেন: হা হা হা...ডায়লোগ পছন্দ হইছে...

৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৫৬

কালীদাস বলেছেন: সিপিআর স্টল করছে রিসেন্টলি, ৯০ থেকে ২০১০ পর্যন্ত বাড়ার হার খারাপ ছিল না। মাত্র চেক করলাম ডিএইচএস রিপোর্ট ৯৩এর দিকেও ৪৪% ছিল (টিএফআর ছিল ৩.৪), ২০১১ তে সেটা ৬১%। হায়েস্ট দেখলাম কলাম্বিয়ায়, ৭৯%, ওদের টিএফআর ২.১।

বাইদ্যাওয়ে, ২০১১ এর সেনসাস নিয়ে ডাউট আছে। আমার হিসাবে ৬৫+ আরও বেশি হওয়ার কথা মর্টালিটি ট্রানজিশনের ফল হিসাবে।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১৪

রেজা ঘটক বলেছেন: আমাদের সরকারি হিসাব করা হয় বিদেশি দাতাদের খুশি করার জন্য। বাস্তবতা তার চেয়ে চরম খারাপ। যে কারণে দেখবেন আমাদের গড় আয়ু এখন বাড়িয়ে বলা হচ্ছে ৭১ বা আরো বেশি। বাস্তবে আমরা কী দেখছি? স্টিল আমাদের ফার্টিলিটি রেট ২.২০ দেখানো হয়। আমাদের ডেনসিটি যা দেখানো হয়, বাস্তবে তা অনেক বেশি। বাস্তব দিয়ে সরকারি হিসাব চলে না। তাই সরকারি হিসাবে গরমিল আছে। আপনি দেখবেন, বাংলাদেশ ব্যাংক, প্লানিং কমিশন এবং জনসংখ্যা ব্যুরো তিন জনের ডাটা তিনরকম। আবার ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের আরেক রকম।

৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:০২

কালীদাস বলেছেন:
@ নতুন, লংরানে এটা খুবই খারাপ একটা নীতি। চাইনিজরা রিসেন্টলি এই নীতি উইথড্র করেছে, কিন্তু এর ফল হয়েছে ভয়াবহ গত চল্লিশ বছরে। সবাই ছেলে চাইত, ফলে এবরশন অসম্ভব বেশি ছিল এবং সবই ছিল আনরেজিস্টার্ড। সেকেন্ড, মেয়ে গেছে কমে, এখন চাইনিজ ছেলেরা বিয়ে করার জন্য মেয়ে পায় না বললেই চলে। থার্ড, এজিং-এর সমস্যা প্রকটভাবে দেখা গেছে, কাজ করার লোকের পোর্শন গেছে কমে। থার্ডটার কারণেই এই আইন বলবৎ করেছে ওদের সরকার।

৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:০৯

নতুন বলেছেন: সেটা অবশ্যই ঠিক কালীদাস...

কিন্তু ২০ কোটা যদি মানুষের মতন মানুষ না হয় তবে সেটা তো বিরাট একটা সমস্যা...

৭| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৪১

কালীদাস বলেছেন: ২০১১ সেনসাস বলেছিল ২.৪; লাস্টের ডিএইচএস-এ ফার্টিলিটি রেট ২.৩ দেখানো হয়েছে, যেটার ব্যাখ্যা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট না। আমার একটা (ফার্টিলিটি) প্রজেকশনে আমি পেয়েছিলাম ২০১৫তে এটা ২.১ হয়ে যাবে। শার্পলি ফল করছে গত পঁচিশ বছর ধরে, স্টল করার জায়গা এটা না। স্টল করে দুইটা কেসে, হাই ফার্টিলিটির ক্ষেত্রে (সাব সাহারান আফ্রিকার সব কয়টা দেশে পাবেন, ৫.৫ বা ৬ এর বেশি টিএফআর) অথবা ইউরোপিয়ান কনটেম্পোরারি পপুলেশনের যেটা হয় ১.৮৫। ২.১ এর কাছে এসে স্টল করার কেস খুবই কম, এবং যাদের হয়েছে তাদের সাথে কোনদিক থেকেই বাংলাদেশের ট্রানজিশনের কোন মিল নেই।

গড় আয়ু ৭১ হলে সমস্যা কি? মর্টালিটি ট্রানজিশন চলছে সবকয়টা এজ গ্রুপেই; ইনফ্যান্ট মরটালিটি অনেক কমেছে, কোন কোন ক্ষেত্রে থ্র্যাশহোল্ড পয়েন্টের নীচে। গড় আয়ুর হিসাবটা সবাই ৭১এর কাছাকাছিই পেয়েছে, সবার মেথড আর ডেটা কালেকশন সেইম না। সবচেয়ে স্ট্যান্ডার্ড ধরি ওয়াল্ড ব্যাংকেরটা, ওদেরটাও এরকমই।

তবে আপনার একটা পয়েন্টে আমি একমত, হিসাব সবই দেখান হয় দাতাদের খুশি করার জন্য। কারণটা পুরাপুরি দাতাদের জন্য না, বাংলাদেশে ফার্টিলিটির উপর রিসার্চ করে যে সিন্ডিকেটটা, তাদের ফান্ডের সোর্স বলবৎ রাখার জন্য। ওপেন ব্লগে ঐ সিন্ডিকেটের আস্তানাটার নামটা বললাম না। ডেটা পাওয়ার পর ম্যানিপুলেশনটা ওরাই করে হিসাবের সময়।

৮| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৪৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমার কাছে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো লাগলো। হুট করে ১৬ কোটি থেকে ২০ কোটি.......:|| :||

সরকারের উচিত বিষয়টিতে নজর দেয়া। জনশক্তিতে রুপান্তর করতে না পারলে জন অশান্তির জন্য এদের জুড়ি থাকবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.