নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
বর্তমানে বাংলাদেশে মোট ভোটার ৯,৬২,২৬,৫৪২ জন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের ৯ম সাধারণ নির্বাচনের সময় দেশে ভোটার ছিল ৮,১১,৩০,৯৭৩ জন। নির্বাচনে ভোট কাস্ট হয়েছিল শতকরা ৮০ ভাগ। আওয়ামী লীগ কাস্টিং ভোটের শতকরা ৪৯ ভাগ ভোট পেয়ে জয় পেয়েছিল ২৩০ আসনে। আর বিএনপি ৩৩.২০ ভাগ ভোট পেয়ে পেয়েছিল ৩০ আসন। জাতীয় পার্টি ৭ ভাগ ভোট নিয়ে পেয়েছিল ২৭টি আসন।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ১০ম নির্বাচনে ভোটার ছিল ৯, ২০, ০৭, ১১৩ জন। বিএনপি নির্বঅচন বর্জন করায় আওয়ামী লীগের ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হয়। কাস্টিং ভোট দেখানো হয়েছিল ৫১.৩৭ ভাগ। এছাড়া সব মিলিয়ে আওয়ামী লীগ ২৩৪ আসন পায়। যা কাস্টিং ভোটের শতকরা ৭৯.১৪ ভাগ। জাতীয় পার্টি ৩৪ আসন পায়, যা কাস্টিং ভোটের ১১.৩১ ভাগ।
এবার একটা সরল সমীকরণ করা যাক। ৯ কোটি ২০ লাখ ৭ হাজার ১১৩ জন ভোটারের মধ্যে কাস্টিং ভোট ৫১.৩৭ ভাগ। মানে ভোট প্রয়োগ করেছেন মানে ৪ কোটি ৭২ লাখ ৬৪ হাজার ৫৩ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন বলে জানা যায়। যদিও আমাদের নির্বাচন কমিশন রহস্যজনক কারণে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ওয়েব পেইজে আপডেট করেননি। যাউকগা, এবার ৪ কোটি ৭২ লাখ ৬৪ হাজার ৫৩ জন ভোটারের ৭৯.১৪ ভাগ কত হয়? ৩ কোটি ৭৪ লাখ ৪ হাজার ৭৭১ জন ভোটার আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে এই হিসাব ঠিক থাকে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ভোট পেয়েছে হিসাবে তা দেখানো হয় ৩ কোটি ৬১ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮৩টি। এখানেও হিসাবে একটা রহস্য রয়ে গেছে। যদি সেই সংখ্যাটি ৩ কোটি ৬২ লাখও হয়, তাহলে তা ২০১৪ সালের মোট ভোটারের ৩৯.৩৪ ভাগ। গণিতের হিসাবে এটা যদি ৪০ ধরি, তাহলে ৬০ ভাগ মানুষ কিন্তু আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়নি। ৯ম জাতীয় সংসদ থেকে তাহলে ১০ম জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের ভোট কার্যত কমেছে প্রায় শতকরা ১০ ভাগ। কিন্তু মুর্খের গণতন্ত্রের নিয়মে তারা এখন ক্ষমতাসীন।
তাহলে গণতন্ত্রের হিসাবটা খুব সোজা। একটি দেশের মোট জনসংখ্যার যদি অর্ধেকও ভোটার হয়, সেই অর্ধেক ভোটারের শতকরা ৩৩ থেকে ৪০ ভাগ ভোট নিয়ে একটি দল সরকার গঠন করে। দেশের বাকি ৬০ থেকে ৬৭ ভাগ মানুষ সেই ক্ষমতাসীন দলের বাইরের। আর ক্ষমতায় যাবার পর সেই দল তখন সেই ৩৩ থেকে ৪০ ভাগ লোকের চাওয়া-পাওয়া স্বার্থ মেটাতে ব্যস্ত হয়। রাষ্ট্রের ১০০ ভাগ মানুষের দায় তারা কখনও নেয় না। বর্তমান সরকারের আচরণেও সেই চিত্র বর্তমান। দেশের সকল নাগরিকের দায়িত্ব তারা ওউন করেন না। তারা নিজেদের দলের স্বার্থ মেটাচ্ছেন। এটা হলো বর্তমান গণতান্ত্রিক পদ্ধতির সবচেয়ে ভয়ংকর দুর্বল জায়গা।
একটা খসড়া হিসাবে গতকাল বলেছিলাম বাংলাদেশের জনসংখ্যা ২০ কোটি ছাড়িয়েছে ২০১৫ সালে। যদি সেটা ১৮ কোটিও হয়, তাহলে একটি দল মাত্র ৩ কোটির বেশি ভোট পেলেই সে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবে। গণতন্ত্র আমাদের সেই শিক্ষা দেয়। গণতন্ত্রের সবচেয়ে সহজ হিসবাটি এমন। যদি রাষ্ট্রের জনসংখ্যা হয় ১০০ জন এবং নির্বাচনে ক, খ, গ এবং ঘ ৪টি দল অংশ নেয় এবং তারা যথাক্রমে ক ৪০টি, খ ৩০টি, গ ২০টি ও ঘ ১০টি ভোট পায় (শতভাগ ভোট কাস্টিং) তাহলে ৪০টি ভোট পেয়ে ক ক্ষমতাসীন হবে। বাকী ৬০ ভোটের শতকরা ৬০ ভাগ মানুষ ক্ষমতাসীন দলকে ভোট না দিলেও তাদের শাসন শোষণ মানতে বাধ্য। অতএব গণতন্ত্র মানে সহজ বাংলায় যে লাউ সেই কদু।
..............................
২ জানুয়ারি ২০১৬
২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০২
হাবীব কাইউম বলেছেন: সারা দুনিয়ার মানুষরে গণতন্ত্র খাওয়ানের জন্যি আম্রিকা কত টাকা খরচ করে অস্ত্র বানাচ্চে, আর আপনি কী কচ্চেন এ সব? যাই হোক, গণতন্ত্র অবশ্যই দরকার, তবে স্থান কাল পাত্র অনুযায়ী অবশ্যই বাস্তবসম্মত হওয়া উচিত।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৮
সুলতানা রহমান বলেছেন: কত লম্বা হিসাব! যদি নির্বাচনই না দিতো তাহলে কি হতো?
নির্বাচন দেওয়ার পর ও পোস্টমর্টেম করেন?