নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক জনাব শামসুজ্জামান খান এবার অমর একুশে বইমেলা শুরুর আগেই প্রকাশকদের 'উস্কানিমূলক লেখা' প্রকাশ না করতে 'সবক' দিয়েছেন। পাশাপাশি অমর একুশে বইমেলা চলার সময় লেখকদের মেলার আশেপাশের এলাকায় সাবধানে চলাচলের পরামর্শ দিয়েছেন। শনিবার বিকালে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা শোনালেন আয়োজক বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।
গত বছর আড়াই লাখ বর্গফুটের আয়তনে মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই বছরে চার লাখ ৭৮ হাজার বর্গফুটের পরিসরে মেলা আয়োজন করা হয়েছে। পরিসর বাড়ার পাশাপাশি মেলার সজা-সজ্জার পরিবর্তন আনা হয়েছে এবার। এবার বড় পরিসরে মেলা আয়োজনের কারণ হলো বাংলা একাডেমির হীরক জয়ন্তী উদযাপন। গত কয়েক বছর ধরে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শিশুকর্নার থাকলেও এবার তা মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গত বছর ৩৫১টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিল মেলায়, এবার সাড়ে চারশ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠা অংশ নিচ্ছে। একাডেমি প্রাঙ্গণে ৮২টি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩২০টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৯২টি লিটল ম্যাগাজিনকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমিসহ ১৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের এবার থাকছে ১৫টি প্যাভিলিয়ন।
এবারও একাডেমির নজরুল মঞ্চে এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকবে। বইমেলার দুই অংশেই ওয়াই-ফাই সুবিধা থাকবে। বইমেলায় বাংলা একাডেমি প্রকাশিত বই ৩০ শতাংশ কমিশনে এবং মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করার নির্দেশনা দিয়েছেন আয়োজক কমিটি।
শাহবাগ থানা সূত্র জানায়, বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলা প্রাঙ্গণ, দোয়েল চত্বর, শহীদ মিনার, টিএসসি এবং শাহবাগ মোড় পর্যন্ত পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব এলাকায় ১২০টি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে পুরো এলাকায় ২৫০টি ক্যামেরা বসানো হবে। পুলিশের পক্ষ থেকে বইমেলা প্রাঙ্গণ, প্রবেশ গেট, দোয়েল চত্বর, টিএসসি এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে আটটি ওয়াচ টাওয়ার বসানো হচ্ছে। তাছাড়া বইমেলা প্রাঙ্গণে র্যাবের পক্ষ থেকে আলাদা একটি ওয়াচ টাওয়ার বসানো হবে। বইমেলায় পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি কন্ট্রোল রুম এবং র্যাবের পক্ষ থেকে একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হবে। তাছাড়া টিএসসিতে পুলিশ ও র্যাবের একটি সমন্বিত কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হচ্ছে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেছেন, বইমেলাকে নির্বিঘ্ন করতে র্যাবের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বইমেলায় র্যাবের কন্ট্রোল রুম ও ওয়াচ টাওয়ার থাকছে। তাছাড়া বইমেলার নিরাপত্তায় পোশাকধারী সদস্যের পাশাপাশি সাদা পোশাকের র্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবে।
আগামী পহেলা ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টায় মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করবেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা এবং নজরুল সংগীত পরিবেশন করবেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের পৌত্রী অনিন্দিতা কাজী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই দেওয়া হবে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০১৫।
মেলার সময়সূচি:
ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে মেলা। তবে ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা এবং ২১শে ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
.............................
৩১ জানুয়ারি ২০১৬
২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
পড়ার মতো কিছু কি বের হবে?
৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
বইগুলো শেষে কি সের দরে ঠোংগার বানানোর জন্য বিক্রয় হবে?
৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯
বিজন রয় বলেছেন: অনেকবার যাবো এবার বইমেলায়।
৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০
তানজির খান বলেছেন: অপেক্ষা নিয়ে আছি। শুরু হলেই খুলে যাবে আরেকটা সম্ভাবনার দ্বার এই বিদঘুটে অন্ধকারে।
৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১০
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: বই মেলার জন্য রইলো শুভ কামনা । সকলে জ্ঞানে সমৃদ্ধ হোক, জীবন হোক সুন্দর ।
৭| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৮
রাজ বিদ বলেছেন: অভাগা আমি... একবারও যাওয়া হয়নাই...
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:২১
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: একুশের বইমেলায় দু'বার গেছি। এবার অসুস্থতার কারণে যেতে পারছি না। তা' ছাড়া ঢাকা থেকে ২৭০ কিলোমিটার দূরে রাজশাহী শহরে থাকি। চাইলেও সব সময় যাওয়া যায় না।
ধন্যবাদ রেজা ঘটক।