নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
প্রিমেনেস্ট্রুয়াল সিনড্রম বা পিএমএস বিষয়টি নারীঘটিত। সাধারণত মেয়েদের ঋতুস্রাবের দুই বা এক সপ্তাহ আগে থেকে এই শারিরীক ও মানসিক পরিবর্তনগুলো দেখা দেয়। তবে এটি সিরিয়াস আকার ধারণ করে ঋতস্রাবের ছয় দিন আগে থেকে। এই সময়ে মেয়েদের আচরণে অদ্ভুত কিছু লক্ষণ দেখা যায়। এই সময়ে মেয়েরা রিয়েল ওয়ার্ল্ডের চেয়ে ইমাজিনারি ওয়ার্ল্ডে বেশি বসত করে। বাস্তবতার চেয়ে কল্পনায় তাদের বেশি ঘোরাঘুরি থাকে। মেজাজের কোনো মা-বাপ থাকে না। এই খুব স্বাভাবিক আবার একটু পরেই কোনো কারণ ছাড়াই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে। যে কোনো ইস্যুতে জোরপূর্বক ঝগড়া করতে চায়। হাসবে কাঁদবে রাগ হবে, অভিমান দেখাবে, যুক্তির কোনো ধার ধারবে না। সোজা কথায় এই সময়ে মেয়েরা অনেকটা আউলা থাকে। স্বাভাবিকভাবে মনে হতে পারে হয়তো নেশা জাতীয় কিছু খেয়েছে! আচরণে এমন বিদঘুটে ব্যাপারস্যাপার দেখায় যে, এই সময়ে মেয়েদের পৃথিবীর কোনো পুরুষের পক্ষে বোঝা মুশকিল।
এমনিতে মেয়েদের মধ্যে ডেভিল আর অ্যাঞ্জেল দুটো বিষয়ের সংমিশ্রণ রয়েছে। কিন্তু পিএমএস কালে মেয়েদের শতকরা ৯৯ ভাগ ডেভিল আচরণ করতে দেখা যায়। এই সময়ে মেয়েরা সুস্থচিন্তা করতে পারে না। অর্থ্যাৎ এই সময়ে মেয়েরা মানসিকভাবে অসুস্থ থাকে। তবে এই মানসিক অসুস্থতা ব্যক্তি বিশেষ বিভিন্নরকম হয়ে থাকে। এই সময়ে মেয়েরা কফি, আইসক্রিম, কোক, ড্রিংকস, মিস্টি ইত্যাদিতে আসক্তি দেখায়। এই সময়ে পুরুষ সঙ্গীটিকে দিনের মধ্যে অন্তত দুইশোবার নানান কিসিমের অছিলায় জ্বালায়। এই সময়ে স্বয়ং ইশ্বরও মেয়েদের আচরণ ঠিকঠাক বুঝতে পারেন কিনা সন্দেহ! পুরুষদের তো এই সময়ে মেয়েদের ঠিকঠাক বুঝতে পারার প্রশ্নই ওঠে না। কারণ এই সময়ে মেয়েরা কী কি চায় তা তারা নিজেরাও জানে না।
এই সময়ে মেয়েরা অন্যদের ভুল ধরে, অন্যদের সমালোচনা করে, অন্যদের সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করে, খিস্তিখেউর করে, পারলে দুনিয়া উল্টায়ে ফেলতে চায়! কারণ এই সময়ে মেয়েরা যা কিছু চিন্তাভাবনা করে তার প্রায় পুরোটাই কল্পনার জগত, বাস্তবের সঙ্গে সেইসব কল্পনার খুব একটা অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। পিএমএস সময়ে মেয়েদের এই আচরণ কেন হয়? চিকিৎসাবিজ্ঞান বলে, এই সময়ে মেয়েদের শরীরে কিছু হরমোনাল ব্যাপার স্যাপারের উল্টাপাল্টা আচরণের কারণে তাদের আচরণেও সেটি ফুটে ওঠে। এই সময়ে মেয়েরা খুব ইমোশনাল হয়ে যায়। কার সঙ্গে যে কী ধরনের আচরণ করবে আগে থেকে ঠাওর করা কঠিন। কারো কারো এই সময়ে মারাত্মক ইমোশনাল হবার লক্ষণ দেখা যায়। আবার কারো কারো নিজস্ব সংযমের কারণে মাইল্ড ইমোশনাল হবার লক্ষণ দেখা যায়।
চিকিৎসাবিজ্ঞান এই সময়ে মেয়েদের শরীরে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পর্যবেক্ষণ করে পিএমএস সময়ে মেয়েদের বেশি বেশি ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সেবনের পরামর্শ দেয়। যে সকল খাবারে বেশি বেশি ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি রয়েছে, পিএমএস কালে মেয়েদের সেসব খাবার ডেইলি খাবার রুটিনে যুক্ত করা উচিত।
যে সব মেয়েরা হাই-সল্ট, অ্যালকোহল বা ক্যাফিনে আসক্ত, তাদের জন্য পিএমএস সময়টা খুবই ঝুঁকির সময়। এই সময়ে এরা এসব খাবারের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে নিজেদের জন্য আরো ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলেন। এই সময়ে তাদের হাই-সল্ট, অ্যালকোহল ও ক্যাফিন ব্যবহার কমিয়ে বিভিন্ন ধরনের এক্সারসাইজ করা উচিত। মানসিক চাপ কমাতে পছন্দের গান শোনা, পছন্দের জায়গায় বেড়ানো, পছন্দের কেনাকাটা করা ভালো। এই সময়ে মানসিক চাপ কমানোর দিকেই সবচেয়ে বেশি নজর দেওয়া উচিত। আর যদি আচরণ একদম কন্ট্রোল করা না যায় বরং সেই বিরূপ আচরণ কেউ আরো বাড়ানোর বা বেশি বেশি প্রাকটিস করার দিকে যেতে চায়, তাদের কারো কারো কিন্তু পাগল হয়ে যাবারও সম্ভাবনা থাকে! মেয়েদের উচিত তাদের পুরুষ সঙ্গীটিকে পিএমএস সময়ে তার কী কী বিরূপ আচরণ হতে পারে, সে সম্পর্কে আগে ভাগেই একটা ধারণা দেওয়া। নইলে প্রতি মাসের পিএমএস সময়ে মেয়েদের এধরনের বিরূপ আচরণ থেকে অনেকের ঘর ভাঙারও কারণ হতে পারে। পুরুষ সঙ্গীটিকে পিএমএস সম্পর্কে মেয়েরাই তাদের নিজের শারিরীক ও মানসিক আচরণের এই বিরূপ প্রক্রিয়াগুলো আগে ভাগে বুঝিয়ে দিলে সঙ্গী পুরুষটি বিষয়টি তখন হুট করেই বুঝতে পেরে সে অনুযায়ী ব্যাপারগুলো সামাল দেবার চেষ্টা করতে পারবে। নইলে পিএমএস সময়ে মেয়েদের বিরূপ আচরণ থেকে অনেক ভুল বোঝাবুঝি ঘটতে পারে। সংসার ভাঙতে পারে। বন্ধুত্ব নষ্ট হতে পারে। অতএব পিএমএস সম্পর্কে মেয়েদের পাশাপাশি পূর্ণবয়স্ক পুরুষদেরও সঠিক ধারণঅ থাকা উচিত।
আমার এই লেখার সঙ্গে বন্ধুরা যদি কিছু পজিটিভ বিষয় যুক্ত করতে চান, করতে পারেন। কিন্তু কোনোভাবেই এটাকে নেগেটিভ ভাবে দেখলে পিএমএস বিষয়টিকে উপেক্ষা করা হবে। একটি পূর্ণবয়স্ক মেয়ের যেহেতু প্রতি মাসেই একবার ঋতুস্রাব হয়। তার মানে প্রতি মাসেই সেই মেয়ের প্রিমেনেস্ট্রুয়াল সিনড্রম বা পিএমএস-জনিত বিরূপ আচরণও থাকবে। এটি একটি চক্র। যা মেনোপজ শুরু হলে অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যায়।
..................................................
১১ এপ্রিল ২০১৬
২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৩৮
খালি বালতিফারখালি বালতি বলেছেন: মির্জা বাড়ির বউড়া নামে এক বেশরম মাল্টির কারণে বেলের শরবত, শরণার্থী, আখের রস তিনটা নিক ব্যান হয়েছে আমার। তবুও আমি অগ্নিসারথির হয়ে চিকা মারা থামাব না। এখনকার অবস্হা দেখেন
জার্মান প্রবাসেঃ ১৬৪৬
অগ্নি সারথির ব্লগঃ ৩০৭
ইস্টিশন ব্লগঃ ১৯৫
প্রবীর বিধানের ব্লগঃ ৬১
ইতুর ব্লগঃ ৩২
আপনাদের বুঝা উচিত আপনাদের কম ভোট দেয়ার কারণে অন্যরা সুযোগ নিচ্ছে। জার্মান প্রবাসে ওয়েব সাইটটি টাকা দিয়ে ইন্টারনেটে ভোট কিনছে, ওদের প্রতিযোগিতা থেকে বহিঃস্কার করা উচিত। জার্মান প্রবাসে ব্লগ জার্মানীতে একটা চাকচিক্যময় জীবনের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে চলা ব্যবসায়ি এজেন্সি ছাড়া কিছু না। সেখানে অগ্নি সারথি এই ব্লগের শতাব্দির সেরা ব্লগার। সেখানে আমার ভরষা শুধু নিজেদের ব্যাক্তিগত ফেসবুক একাউন্ট টি যেখানে বন্ধু মাত্র ১০২৪ জন। আর কিছু সহব্লগার।
মাননীয় জুরি বোর্ডের প্রতি আমার আকুল আবেদন, শুধু আমাকে আর ইতুর ব্লগকে বিবেচনা করতে, বাকিরা সব কয়টা ভন্ড। একজন ব্লগার শুধু ব্যাক্তি তথা ইউজার একজন আর একটি ব্লগ হল কয়েক হাজার ব্লগারের সমন্বিত রুপ। আর বিষয়টা যেহেতু যোগ্যতার চেয়ে যোগাযোগের এর সেহেতু আমাকে জয়যুক্ত করা হোউক। একজন ব্লগার কখনোই পুরো একটা ব্লগের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে টিকে থাকতে পারেনা। আশা করি আপনারাও বিষয়টা নিয়ে ভাববেন এবং আমাকে ব্লগে রেসিডেন হিসাবে নিয়োগ দেবেন।
নববর্ষের উৎসবে যাওয়ার আগে পরে আমাকে দুইটা করে ভোট দিয়ে যান, আমি জিতলে সামু জিতবে।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৩:১২
মহা সমন্বয় বলেছেন: অনেক কিছু জানা হল।