নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
দখল জিনিসটা গতকাল নিজের চোখে দেখলাম। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সামনেই এই দখলের ঘটনাটি ঘটেছে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৪-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা, প্রযোজক, শিল্পী ও কলাকুশলীদের মঞ্চে ঠিক প্রধানমন্ত্রীর পেছনে সবার জন্য সুনির্দিষ্ট আসন বণ্টন করা হয়েছিল। কিন্তু দখলের ঘটনাটি ঘটল পুরস্কার বিজয়ীদের সঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী'র ফটোসেশনের সময়।
স্বাভাবিকভাবেই আজীবন সম্মাননা পাওয়া দুই গুণী শিল্পী সৈয়দ হাসান ইমাম ও রাণী সরকার এবং শ্রেষ্ঠ ছবি (নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ)-এর প্রযোজক মাসুদ পথিক ও শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা (মেঘমাল্লার) জাহিদুর রহিম অঞ্জন-এর আসন ঠিক প্রধানমন্ত্রীর পেছনে একেবারে সামনের সারিতেই ছিল। কিন্তু ফটোসেশনের সময় দেখলাম নায়ক ফেরদৌস কয়েকজনকে ল্যাং মেরে একেবারে সামনের দিকে জায়গা দখল করে নিলেন।
আজকে দেশের সকল দৈনিক পত্রিকায় যে ছবিটি ছাপা হয়েছে, সেখানে কোথাও এই দখলের বিষয়টি নেই। একটু খেয়াল করে দেখবেন, ওই ছবিতে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা (মেঘমাল্লার) জাহিদুর রহিম অঞ্জন-এর কোনো অস্তিত্ব বোঝা যায় না। আর নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ ছবিতে শিল্পী মমতাজ গান গেয়ে পুরস্কার পেয়েছেন, হয়তো সে কারণে তাঁর ছবির পরিচালককে একটু জায়গা করে দিয়েছেন, যে কারণে ছবিতে মাসুদ পথিকের কিছুটা অস্তিত্ব টের পাওয়া যায় বটে। নইলে আজকে গোটা জাতির সামনে যে ছবিটি প্রকাশিত, এই ছবির দখলদারিত্বের কারণে শ্রেষ্ঠ ছবির প্রযোজক ও শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতার ছবি সেখানে মোটেও উজ্জ্বল নয়।
অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ গায়ক পুরস্কার পেয়েছেন মাহফুজ আনাম জেমস (চলচ্চিত্র: দেশা দ্যা লিডার)। আমার অত্যন্ত প্রিয় শিল্পী জেমস যখন পুরস্কার নিতে মঞ্চে ওঠেন, তখন গোটা হলরুম সুউচ্চ করতালিতে ফেঁটে যাবার মত দশা ছিল। অথচ আজকের এই দৃশ্যমান ছবিতে কোথাও জেমস নেই। দখলদারিত্বের ছোবলে এই ছবিটি একটি উজ্জ্বল নির্দশন হয়ে থাকবে। অথচ আমাদের জাতি এই ছবির পেছনের দখলদারিত্বের ঘটনাটি কোনোদিনই জানতে পারবে না।
©somewhere in net ltd.