নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর সারাদেশের ব্যাচেলর মেস ভাড়ায় আগের চেয়ে কঠোর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। পুলিশের দাবি জঙ্গি কার্যক্রমে মেসবাড়ি ব্যবহার হচ্ছে। এ অবস্থায় শুধু ব্যাচেলর মেস নয়, সকল ভাড়াটিয়ার তথ্যই পুলিশ সংগ্রহ করছে। এসব তথ্য এখন যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। কেউ মিথ্যা তথ্য দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে মেস ভাড়া দিতে কোনো বাধা নেই। কিন্তু বাড়ির মালিকরা বাড়তি সতর্কতার কারণে এখন বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিচ্ছেন ব্যাচেলর ভাড়াটিয়াদের। এখন হাজার হাজার ব্যাচেলর তাহলে কোথায় যাবেন? চাকরি বা পড়াশোনার জন্য যেসব ব্যাচেলর শহরে আসেন, তারা তাহলে থাকবেন কোথায়?
সাম্প্রতিক জঙ্গি ইস্যুতে জননিরাপত্তার কারণে পুলিশ যে কারো তথ্যই সংগ্রহ করতে পারে। সংগৃহীত তথ্যের একটি সেন্ট্রাল ডাটাবেস থাকলে বিষয়টি নজরদারি করতে পুলিশের আরো সুবিধা হবে। নগর থেকে ব্যাচেলরদের তাড়িয়ে দিয়ে জঙ্গি সমস্যার আদৌ কোনো সমাধান হবে না। বরং এটি ভবিষ্যতে বুমেরাং হওয়ার আশংকা মোটেও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। পুলিশ বরং নগরের প্রতিটি থানায় একটি সেল খুলতে পারে। যেখানে নগরের ব্যাচেলররা নিজ দায়িত্বে পুলিশের চাহিদা অনুযায়ী সকল তথ্য দিয়ে আসবে। বিনিময়ে পুলিশ একটি আইডি কার্ড ইস্যু করতে পারে। কারণ যারা এখন উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থী তাদের কারো জাতীয় পরিচয়পত্র নেই। তাই এরকম ব্যাচেলরদের পুলিশকে নতুন আইডি কার্ড ইস্যুর দায়িত্ব নিতে হবে।
জননিরাপত্তার স্বার্থে কেবল মেসের সদস্যের কেন, সবারই তথ্য পুলিশের কাছে থাকা উচিত। অল্পসংখ্যক জঙ্গির অপরাধের দায় লাখ লাখ ব্যাচেলর মেস সদস্যের ওপর গণহারে চাপানো যাবে না। পাশাপাশি পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করার জন্য বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়া সবাইকেই আন্তরিক হতে হবে। আবার কাউকে খামাখা পুলিশি হয়রানি করার কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে সেই দিকটিকে পুলিশকেই নিশ্চিত করতে হবে। সবাইকে মনে রাখতে হবে নগরে আগুন লাগলে উপাসানালয় কিন্তু রক্ষা পায় না।
...................................
২৭ জুলাই ২০১৬
২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৪৮
বিবেক ও সত্য বলেছেন: সরকার ব্যাচেলারদের জন্য আলাদা বাসা তৈরি করতে পারে,যেখানে তারা ভাড়া দিয়ে থাকবে।
৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:২৩
তারেক৭০৭ বলেছেন: ব্যাচেলারদের দোষ দিয়ে লাভ নাই । বাড়ীওয়ালাদের মনে রাখতে হবে, সন্ত্রাসীদের যায়গার অভাব নেই । ব্যাচেলারদের উপর এককভাবে দোষ না চাপিয়ে বরং সকলেই নিজ দায়ীত্বে সংশ্লিষ্ট থানায় প্রয়োজনীয় তথ্য লিপিবদ্ধ করুন ।আমি ও একজন বাড়ীর মালিক ঢাকার শ্যামলী এলাকায় । আমার বাসায় ফ্যামেলী এবং ব্যাচেলার উভয় ভাড়াটে আছে । আমি ব্যক্তিগতভাবে ব্যাচেলারদের ভালো মনে করি । ব্যতিক্রম থাকতেই পারে ।ব্যাচেলারদের উপর সহনশীল হউন । তারাতো আমাদেরই ভাই অথবা বোন ।
৪| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:১৫
অনিন্দ্য অবনী বলেছেন: যারা মনমানসিকতায় আদতে সন্ত্রাসী তারা বিবাহিত বলে বাসা ভাড়া নিতে পারে,এমনকি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে পারে,,,এক্ষেত্রে সকলকেই সজাগ দৃষ্টি রাখা জরুরি।।
৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৭:৪৪
মাদিহা মৌ বলেছেন: বাড়িওয়ালাদের কে বোঝাবে?
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৫২
চাঁদগাজী বলেছেন:
সন্ত্রাসীদের যায়গার অভাব নেই; জামাতীরা ও শিবিরেরা ওদের জন্য সব ব্যবস্হা করে রেখেছে; বাকীরা সঠিক কাগজ পত্র সংগ্রহ করবে; সমস্যা কোথায়? আপনি নিজেই অবশ্য একটা সমস্যা