নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

চলে গেলেন মহাশ্বেতা দেবী !!!!

২৮ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৪

মানবাধিকার ও আদিবাসী অধিকার আন্দোলন কর্মী, 'হাজার চুরাশির মা' ও 'অরণ্যের অধিকার' খ্যাত লেখক মহাশ্বেতা দেবী আর নেই। দীর্ঘ রোগভোগের পর আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩.১৬ মিনিটে মিন্টো পার্কের বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গত ২২ মে থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এই নবতিপর সাহিত্যিক। কখনও একটু উন্নতি আবার কখনও অবনতি, শেষ কয়েকদিন এরকমই ছিল 'হাজার চুড়াশির মা'র শারীরিক অবস্থা।

তাঁর চিকিৎসার জন্য গঠিত হয়েছিল আট সদস্যের মেডিকেল টিম। চলছিল ডায়ালিসিস। মাঝে নবতিপর এই লেখিকার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ৯ জুলাই ভেন্টিলেশন দেওয়া হয়। গত সাতদিন আগে শারীরিক অবস্থার বেশ কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। জীবনদায়ি মাধ্যম ছাড়াই শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে সক্ষম হচ্ছিলেন তিনি। তবে ভেন্টিলেশন থেকে বের করা সম্ভব হয়নি।

মহাশ্বেতা দেবীর প্রয়াণে ট্যুইটারে শোকবার্তা জানান দিল্লি সফররত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ট্যুইট, 'ভারত এক অসাধারণ লেখিকাকে হারাল। বাংলা হারাল এক মা'কে। আমি আমার এক পথপ্রদর্শককে হারালাম। মহাশ্বেতাদি'র আত্মার শান্তি কামনা করি'। দিল্লি সফর কাটছাঁট করে কলকাতা ফিরছেন মুখ্যমন্ত্রী।

১৯২৬ সালের ১৪ জানুয়ারি তৎকালীন পূর্ববঙ্গের ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন মহাশ্বেতা দেবী। বাবা মণীশ ঘটক ও মা ধরিত্রী দেবী দু'জনই সাহিত্যের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। তাঁর পিতা মনীশ ঘটক ছিলেন কল্লোল যুগের প্রখ্যাত সাহিত্যিক এবং তাঁর কাকা ছিলেন বিখ্যাত চিত্রপরিচালক ঋত্বিক ঘটক। দেশভাগের পর কলকাতায় চলে আসে তাঁর পরিবার। বিশ্বভারতী থেকে ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে স্নাতক হন। পরে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজীতে এমএ ডিগ্রী লাভ করেন।

বিয়ে করেন আইপিটিএ আন্দোলনের পুরোধা তথা নাট্য ব্যক্তিত্ব বিজন ভট্টাচার্যকে। তাঁর পুত্র নবারুণ ভট্টাচার্যও জীবনের শেষদিন পর্যন্ত সাহিত্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিলেন। কর্মজীবনের শুরুতে কিছুদিন অধ্যাপনার পর কিছুদিন সাংবাদিকতাও করেন। তাঁর কর্মজীবনের অধিকাংশ সময়ই দলিতদের উপর অত্যাচার নিয়ে সোচ্চার ছিলেন। লেখায় বারে বারে উঠে আসত দলিতদের ছবি।

তাঁর লেখা বইগুলোর মধ্যে অন্যতম হাজার চুড়াশির মা, অরণ্যের অধিকার, অগ্নিগর্ভ। পেয়েছেন সাহিত্য আকাদেমি (১৯৭৯), পদ্মশ্রী (১৯৮৬), জ্ঞানপীঠ (১৯৯৬), রামন ম্যাগসাইসাই (১৯৯৭), পদ্মবিভূষণ (২০০৬), বঙ্গবিভূষণ (২০১১)-র মতো পুরস্কার। তাঁর লেখা কয়েকটি গল্প রুপোলি পর্দাতেও প্রদর্শিত হয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম সংঘর্ষ, রুদালি, হাজার চুড়াশির মা।

.................................
২৮ জুলাই ২০১৬

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:১৩

শাহ আজিজ বলেছেন: ঈশ্বর তার সহায় হোন ।

২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২০

পবন সরকার বলেছেন: মহশ্বেতা দেবীর আত্মার শান্তি কামনা করি

৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: নক্ষত্রের পতন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.