নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
কেস স্ট্যাডি-১: বাংলাদেশের!
নতুন মডেলের মটর সাইকেল কিনে না দেওয়ায় ফারদিন হুদা মুগ্ধ নামের এক বখাটে ছেলে তার মা-বাবাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে! মাত্র এসএসসি পাশ করা এই ছেলেকে কিছুদিন আগেই তার বাপ ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি মটর সাইকেল কিনে দিয়েছিলেন। ছেলে এবার নতুন মডেলের মটর সাইকেল কিনতে চেয়েছিল। সেটা না পেয়ে মা-বাবাকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে।
কেস স্ট্যাডি-২: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের!
এবার সামারের ছুটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মেয়ে শাশা ওবামা একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করেছে। সেই হোটেলের ম্যানেজার শাশাকে টেবিল মোছা থেকে শুরু করে হোটেলের যাবতীয় সব কাজ করিয়েছে। হোটেলে অন্য কর্মীরা যা করেছে প্রেসিডেন্ট কন্যা শাশাও তাই করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মেয়ে বলে শাশাকে আলাদাভাবে কোন ধরনের ছাড় দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী প্রেসিডেন্ট বাবার সন্তান হয়েও শাশা হোটেলের এই কাজ করতে মোটেও লজ্জা পায়নি। বরং এই কাজকে কাজ মনে করেই একনিষ্ঠতার সঙ্গে কাজটি করেছে। ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা মেয়েকে হোটেলে কাজ করতে একবারও না করেনি বরং শাশাকে নানাভাবে কাজে উৎসাহিত করেছেন।
উপরের দুইটি কেস স্ট্যাডি থেকে আপনি এবার ভাবুন ছেলেমেয়েদের কীভাবে মানুষ করবেন। অর্থের দাপট, ক্ষমতা, দম্ভ, অন্যদের কাছে নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শন করে ছেলেমেয়ে মানুষ করবেন নাকি ছেলেমেয়েকে নিজেদের মত সাবলম্বী করার জন্য স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেবেন? মূলত আপনার সন্তান আপনি কীভাবে মানুষ করবেন এই সিদ্ধান্ত আপনাকেই (মা-বাবা) আগে নিতে হবে!
২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৫৪
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: দুটোর সাথে মিলিয়ে তো লাভ নেই।
প্রথমত, আমাদের অভিভাবকেরা শুধু নামেই অভিভাবক। আর, ওরা আসলেই অভিভাবক। আমাদের অভিভাবকরা আমাদের জন্য করে অনেক কিছুই - এটা অস্বীকার করা যাবে না। তবে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে করতে গিয়ে - আমাদেরকেই অথর্ব বানিয়ে ফেলে। যেটা পরবর্তীতে সবার জন্যই খারাপ হয়।
উন্নত দেশগুলোয় এই খারাপটা যাতে না ঘটে - সেটার জন্য কৈশরে পা দিতেই পাঠিয়ে দেয় - নিজ সামর্থে দুনিয়ায় টিকে থাকার চেষ্টা করতে।
দ্বিতীয়ত, আমাদের দেশীয় মনোভাবটাই অন্যরকম। শুধু পূর্ণ বয়স্ক না, বাচ্চা বয়স থেকেই এই মনোভাবটা ঢুকে যায়। দেখা যায় যে, মোটামুটি স্বচ্ছল পরিবারের ছেলে-মেয়েরা ১৫/১৬ বছর বয়সে কাজ করায় নামতে চায় না। যদি কেউ চায়ও তাহলে তার ঐ বয়সী বন্ধুরাই তাকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা শুরু করে। তাতে করে কাজ করতে চাওয়া বাচ্চাটারও মানসিকতা নষ্ট হয়ে যায়। আমাদের এখানে ঐ বয়সে খাটা-খাটুনী করাটাকে গরীব-বস্তির ছেলে-পেলেদের কাজ বলে ধরা হয়।
আমার ইচ্ছা হয়েছিল - এসএসসির পরের বন্ধটায় কোন একটা কাজে যুক্ত হতে। খবরের কাগজ বিলি করার কাজটা করা যেত সহজেই। তা থেকে কত আয় হত - সেটা কোন ফ্যাক্ট না। আমার ইচ্ছা ছিল - ঐভাবে কিছু টাকা জমিয়ে কলেজে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটা ব্যাগ কিনবো, আর তারপর কিছু বাঁচলে গল্পের বই। এমন না যে - আমি কারো কাছে চাইলে সেই টাকাটা পেতাম না। পেতাম - তবু, নিজে কিছু করে শখ মেটানোর খায়েশ ছিল। কিন্তু, করতে পারেনি - কারন, সবাই এত ঠাট্টা করেছে যে - করার মত সাহসটাই আর পাইনি। (বয়সটাও তো কম, সাহস তো আর অতটা পরিপক্ক ছিল না তখন)। ইভেন এটা নিয়ে এখনো এত বছর পরেও আমাকে বিদ্রুপ করা হয়।
এই সমস্যা মেটানো তো আর অত সহজ হবে না। কতজনকে আর বুঝানো যাবে?
৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: বাংলাদেশে এখন আর ওসব সম্ভব না। আমরা আয়ত্বের বাইরে চলে গেছি। পৃথিবীর নিকৃস্টতম মনুষ্য জাতি আমরা।
৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৪
রাশেদ রাহাত বলেছেন: আমি নতুন বাবা হয়েছি, আপনার এই অণুপ্রেরণা মূলক পোস্টের জন্য ধন্য বাদ।
৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৫
চেনা পথের অচিন পথিক বলেছেন: ভালো লিখেছেন
৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩৯
আমি মাধবীলতা বলেছেন: রক্তিম ভাইয়ার সাথে একমত ...সেই সাথে এটাও সত্য যে মানসিকতার দিক দিয়ে আমরা এখনও অনেকটাই পিছিয়ে..
তারপর আবার দিনদিন কমে যাচ্ছে মূল্যবোধ , সংযম , অনুভূতি......
৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: সন্তান কীভাবে মানুষ করবেন?!! সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে! রেজা ঘটক
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫২
হানিফঢাকা বলেছেন: সমাজ, সমাজ, সবকিছুই সমাজ। দেশে এই ধরণের ক্ষেত্র তৈরী হয়নি। আমারিকার উদাহরণ টেনে লাভ নাই ভাই। জিনিষটা আপানার নিজেরও জানা উচিত।
করিতে পারিনা কোন কাজ
সদা ভয়ে সদা লাজ
সংশয়ে সঙ্কল্প সদা টলে
পাছে লোকে কিছু বলে
(কবির নাম মনে নাই)