নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
আমার মতে, ২৭ বছর ধরে বন্ধ থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের দাবিতে সম্প্রতি সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সন্ধ্যাকালীন স্নাতকোত্তর কোর্সের ছাত্র ওয়ালিদ আশরাফের একক অনশন করার আন্দোলনটি বছরের সেরা আন্দোলন। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে এক ওয়ালিদ আশরাফ গোটা দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার উপর এক দারুণ চপেটাঘাত করেছেন। ডাকসু নির্বাচন সেখানে প্রতীকি মাত্র!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের নিয়মিত নির্বাচন হয়। এমনকি কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও নিয়মিত নির্বাচন হয়। শুধু বিগত ২৭ বছর ধরে হয় না ডাকসু নির্বাচন। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো ছাত্রদের কোথায় কীভাবে দলীয় লেজুরবৃত্তিতে দাবিয়ে রেখে একেবারে ধ্বজভঙ্গ করে ফেলেছে, এটা তার এক জ্বলন্ত উদাহরণ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ডাকসু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওয়ালিদ আশরাফের অনশন ভেঙেছেন বটে। কিন্তু সেই নির্বাচন কখন কীভাবে হবে, তার কোনো গ্র্যান্টি নাই। আমাদের দেশের নির্বাচনের প্রধান শর্ত হলো- নিজের দল জেতার সম্ভাবনা না থাকলে কীসের আবার নির্বাচন? এই সংস্কৃতি যতদিন না যাবে ততদিন 'গণতন্ত্র' শব্দটি কেবল কাগুজে আবর্জনা।
ওয়ালিদ আশরাফের অনশন চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্রের বক্তব্য থেকে যেটা বোঝা গেছে, তা হলো এই অনশনে সংহতি জানালে তাদের হলের সিট বাতিল হতে পারে। সেই ভয়ে মেরুদণ্ডহীন এসব ছাত্ররা মুখ ফসকে কথা বলে না। গোটা জাতিকে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো ঠিক এমন এক সাক্ষাৎ জুজুর ভয়ের মধ্যেই আটকে রেখেছে।
স্বাধীনতার ৪৬ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। স্বাধীনতার পর মাত্র ৪৬ বছরে একটা জাতি এমন এক জুজুর ভয়ে মুখ ফুটে কথা বলতে সাহস পায় না। ভাবা যায়! অথচ এই জাতি বৃটিশদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে। আর সেই স্বাধীন দেশে এখন চলছে এক জুজুর ভয়। মর শালা পাবলিক ধুকে ধুকে মর!
স্বাধীনতার ৪৬ বছর পুর্তি তাই আমার কাছে কেন জানি কেবল একটা সংখ্যা মনে হয়। দেশের সাধারণ মানুষের অধিকারের জায়গাগুলো এখনো লেজে-গোবরেই রয়ে গেছে। কোনো কোনো কোনো অবস্থার ক্ষেত্রে আরো অবনতি হয়েছে। কৃষকের ফসলের ন্যায্য মূল্য নাই। জিনিসপত্রের তবু ঊর্ধ্বগতি! দেশের স্বাস্থ্যখাতের চরম দশা। কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক নেতারা বিদেশে ভালো চিকিৎসা নেন।
চারিদিকে কেবল দখল, লুটপাট, চুরি, আর ধান্ধার উদাহরণ ভুরিভুরি। দেশ নাকি এখন মধ্যম আয়ে পৌঁছেছে! আহা মরি মরি। পেঁয়াজের দাম কত ও চান্দুর মা? চালের দাম বা কত শুনি?
যতদিন তোমরা এক একজন ওয়ালিদ আশরাফ হতে না পারবা, ততদিন তোমরা কথিত জুজুর ভয়ে গর্তে লুকিয়ে তীলে তীলে মার খাবা। সেই সুযোগে দখলদাররা সারা বছর হানিমুন করবে। বাজাও তালিয়া!
-----------------------
১৫ ডিসেম্বর ২০১৭
২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৮
কালীদাস বলেছেন: আপনার পোস্টের টাইটেল নিয়ে একবার একটা তুড়ুম-তারাজ আন্দোলন হয়েছিল ব্লগে আমার চোখে ঐটা বাংলাদেশের ইতিহাসের টপটেন আন্দোলনের লিস্টে থাকার মত
৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:০৪
সোহানী বলেছেন: চাল কেন খাবে পোলাও খাবে... আর পেয়াজ!!! ওটার কোনই দরকার নেই..............
৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০৯
কলাবাগান১ বলেছেন: "চাল কেন খাবে পোলাও খাবে... আর পেয়াজ!!!"
এসি রুমে বসে এরকম কটাক্ষ করা কথা তাদের ই সাজে যারা যখন বিদ্যুত ছাড়া খাম্বা দিয়েছিল তখন চুপ করে ছিল...এখন তো তাও এসি রুমে বসে কি বোর্ডে ঝড় তোলা যায়...দেশ টা স্বাধীন না হলে..কি বোর্ড কেন ..একটা মাউস ও কিনার সামর্থ্য থাকত না...।
৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: এক নম্বর মন্তব্যকারীর সাথে সহমত।
৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: পেয়াজের দাম শয়ের উপরে........
রাজাকারী কারবার ..
৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৬
কলাবাগান১ বলেছেন: বিদ্যুত ছাড়া খাম্বা দিয়েছিল..সেটা মুক্তিযোদ্ধাকারী কারবার ....কেননা রাজাকার রা তো পেয়াজ....
৮| ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৭
বিদেশে কামলা খাটি বলেছেন: কলেজে পড়ার সময় আমি একবার ছাত্র সংসদ অফিসে গিয়ে এইচ এসসি পরীক্ষার রেজাল্ট এর কপি এসেছে কিনা জানতে চাইলে সংসদের এক ভাইয়া আমাকে ধমক দিয়ে যা, ভাগ জাতীয় কথা বলে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
ডাকসু বলেন আর ফাকসু বলেন এগুলো নাম আর টাকা কামানোর ফন্দি। সাধারণ ছাত্রদের কোন কল্যাণ তাতে নেই। আমি এটাই জানি,মানি।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
ডাকসু নির্বাচনে বিজয়ীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের অধিকার, পড়ালেখা ও রিসার্চের পক্ষে কিছু করেনি; ডাকাতগুলো বিনে পয়সায় মধুর ক্যান্টিনে খাওয়া দাওয়া করেছে।