![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহান মে দিবস আজ। বঞ্চনা, নির্যাতন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের সংগ্রাম আর অধিকার আদায়ের দিন। একশ’ ২৯ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে’ মার্কেটের সামনে ন্যায্য মজুরি ও দৈনিক আট ঘন্টার বেশি কাজ না করার দাবিতে আন্দোলন করে শ্রমিকরা। তাদের লক্ষ্য করে পুলিশের হামলায় হতাহতের ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতি বছর পয়লা মে সারাবিশ্বে পালিত হয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস।
১৮৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোয় অবস্থিত হে’ মার্কেটে ৮ ঘন্টা কাজের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর পুলিশের গুলিতে হতাহতের ঘটনা নাড়া দিয়েছিলো গোটাবিশ্বকে। মে মাসের ১ তারিখ, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিক্ষোভে নামে ফেডারেশন অব অর্গানাইজড ট্রেডস অ্যান্ড লেবার ইউনিয়ন। সমাবেশ ভাঙতে সেখানে গুলি চালায় পুলিশ। সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনামতে, এতে মারা যায় ৭ থেকে ৮ শ্রমিক, আহত হয় অসংখ্য।
এ ঘটনায় পুলিশের ওপর বোমা হামলার মিথ্যা অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় চার শ্রমিক নেতা অগাস্ট স্পাইস, আলবার্ট পারসন্স, অ্যাঞ্জেল ও এডলফ ফিশারকে। মিথ্যা অপবাদের প্রতিবাদে পরে আত্মহত্যা করেন লুইস লিং। এসব ঘটনায় পুঁজিবাদী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠে বিশ্বের মেহনতি মানুষ। তাদের এ আন্দোলন ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ে সারাবিশ্বে; রুপ নেয় শ্রমিকদের অসহযোগ আন্দোলনে।
এসব আত্মত্যাগের ঘটনাকে স্মরণ করেই মে মাসের এক তারিখকে ঘোষণা করা হয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। বিশ্বের প্রায় ৮০টিরও বেশি দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হয় দিবসটি। তবে ঘটনার ১শ’ ২৯ বছর পরও প্রতিষ্ঠিত হয়নি শ্রমিকের কাঙ্খিত অধিকার। এখনো গোটা বিশ্বে শোষণ আর বঞ্চনার শিকার মেহনতি মানুষ। যাদের হাতে গড়ে উঠছে বিশ্ব সভ্যতা, তারাই এখনো পায়নি ভালোভাবে বেঁচে থাকার ন্যায্য অধিকার।
এ ধরনের অন্য লেখা__
পয়লা মে ও টিভি সাংবাদিক
ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিনের ১৪৬তম জন্ম বার্ষিকী
©somewhere in net ltd.