নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রেজওয়ান করিম

রেজওয়ান করিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

দোতলা মাটির ঘর

১৯ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯

ইট-পাথরের দালানের ভিড়ে আজকাল মাটির ঘর তেমন নেই বললেই চলে। শহরেতো নয়ই গ্রামেও কম।

এককালে উত্তরের জনপদ নাটোরের সিংড়ায় দেখা যেতো মাটির দোতলা ঘর। স্থানীয়রা এ ধরণের ঘরগুলোকে বলেন তালা। এখনো রয়েছে তবে একদম কম নয়। পারিবারিক ঐতিহ্য বা দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে এখনো এর দেখা মেলে উপজেলার স্থাপনদীঘির চৌগ্রাম, হুলহুলিয়া, গোয়ালবাড়ীয়াসহ আশেপাশের গ্রামে। দেখতে হলে আপনাকে চলন বিলের পাশ ঘেষে ইট-শুড়কী আর মাটির রুগ্ন পথ ধরে চলতে হবে ঘন্টা খানিকের পথ।

মাটির সহজলভ্যতা, প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাবের কারণে এ জনপদের বাসিন্দারা এ ধরণের বাড়ি নির্মানে আগ্রহী হয়। এছাড়া সে সময় একান্নবর্তী পরিবারের সদস্যদের থাকার জন্য বেশী ঘরের প্রয়োজন দেখা দেয়াও এ রকম দোতলা বাড়ি তৈরীর আরেকটি কারণ। শীত, গরম দুই ঋতুতেই আরামদায়ক এই মাটির ঘর। শীত মৌসুমে বাইরে যখন প্রচন্ড ঠান্ডা ঘরের তখন ভেতর উষ্ণ আর প্রচণ্ড গরমেও ঘরের ভেতর তুলনামূলক শীতল থাকে বলে জানায় এসব গৃহের গৃহাস্থীরা।
বাড়িগুলো একতলা মাটির বাড়ির মত দুর্বল নয়। যথেষ্ট মজবুত। প্রচন্ড ঝড়, বৃষ্টিতেও এগুলোর ক্ষতি হয়না। এ বাড়িগুলোর দেয়ালের প্রশস্ততা বেশি। নির্মান কৌশল ভিন্ন হওয়ায় যুগের পর যুগ সামান্য রক্ষণাবেক্ষণেই থাকে মজবুত।

গ্রীষ্ম বা বর্ষায় বৃষ্টির আশংকা থাকায় সাধারণত শীতকালে এ ধরণের বাড়িগুলো নির্মান শুরু হয়। এটেল বা দোঁআশ মাটির সঙ্গে পানি মিশিয়ে কাদা তৈরী করা হয়। গাঁথুনি দেয়ার সময় কারিগররা মাটিকে ভালোভাবে পিষিয়ে তাতে পাটের আঁশ, খড়, ধানের চিটা, কুঁড়া বা সিমেন্ট মিশিয়ে দিত। ২০ থেকে ৩০ ইঞ্চি মোটা দেয়াল তৈরী করা হয়। সুপারি বা শাল কাঠের মোটা বিম দিয়ে তৈরী হয় পিলার ও ছাদের ভীত। প্রথম তলার উচ্চতা ৮ থেকে ৯ ফুট। তক্তা ও বাঁশ ব্যবহার করা হয় ছাদ তৈরীতে। আর দ্বিতীয় তলার উচ্চতা ৬ থেকে ৭ ফুট। সেটি বেশীরভাগ ক্ষেত্রে পুরোটাই একটা কক্ষ হয়। তাতে রেলিং বারান্দা থাকে। তার উপরে থাকে টিনের চাল। ঘরগুলোর দৈর্ঘ্যের তুলনায় প্রস্থ কম হয়। আয়তাকার আকারের। দরজা-জানালা কাঠের। এভাবেই দেড় থেকে ৬ মাসে তৈরী হয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষম বাড়িগুলো।

এর কোল ঘেষে থাকে রান্নাঘর। সেটার ছাদ টালির। বাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে বাইরে গেলে উঠোন। তার একপাশে বাথরুম, ট্রয়লেট।
প্রতিবছর ঘরগুলোতে নতুন করে মাটির প্রলেপ দেয়া হয়। ফলে সব সময়ই দেখায় ঝকঝকে। অনেকে চুনকামও করেন। সম্ভ্রান্ত পরিবারের ঘরগুলোতে নানা ধরণের নকশাও দেখা যায়।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭

হাইপারসনিক বলেছেন: এর জন্যে কি নির্দিষ্ট কোন আবহাওয়ার প্রয়োজন নাকি যে কোন স্থানেই বানানো সম্ভব?

২০ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৮

রেজওয়ান করিম বলেছেন: না যেকোন স্থানেই বানানো সম্ভব। ধন্যবাদ

২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৫৭

সুমন কর বলেছেন: ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে দিলেন। আগে গ্রামে গেলে মাটির ঘর দেখা যেত, এখন আর নেই। আমি নিজেও তৈরি করতে দেখেছিলাম।

স্মৃতি মনে করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ।

২০ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৮

রেজওয়ান করিম বলেছেন: হুম স্মৃতি, ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন

৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:০৮

প্রামানিক বলেছেন: খুবই আরাম দায়ক ঘর। দিনাজপুর গিয়ে এরকম ঘরে থাকার সৌভাগ্য আমারও হয়েছিল।

২০ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪০

রেজওয়ান করিম বলেছেন: হুম আরাম দায়ক

৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫

জীবনের খাতা বলেছেন: আমি এরকম মাটির দুতালায় শোয়া অবস্থার মন্তব্য লিখলাম। খুব ভাল।

২০ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪০

রেজওয়ান করিম বলেছেন: হা হা হা, ধন্যবাদ

৫| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৫১

ডাক্তার পিঁপড়া দ্যা নিবেদিত প্রাণ বলেছেন: Hmmm viya (bashar)

২৭ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৫৪

রেজওয়ান করিম বলেছেন: বাশার

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.