![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সারাবিশ্বে এখন আলোচিত নাম কাসেম সোলায়মানি। ইরাকে মার্কিন বাহিনীর হামলায় ইরানের এই মেজর জেনারেল নিহত হয়েছে। কিন্তু ইরানের সামরিক প্রধান ইরাকে কেন গেলেন? কি করছিলেন? এমন প্রশ্ন ঘুরছে অনেকের মনে।
অপ্রচলিত যুদ্ধের জন্য তৈরি ইরানের বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) অভিজাত শাখা কুদস্ বাহিনীর প্রধান ছিলেন জেনারেল সোলায়মানি।
১৯৮০-১৯৮৮ এ ইরান-ইরাক যুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকার জন্য ‘জাতীয় বীর’ বনে যান সোলেইমানি।তারপর অনেকটা নিভৃতে তিনি কাজ করতে থাকেন। তার কৌশলের কারণে লেবাননের হেজবুল্লাহ, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত বাহিনী এবং ইরাকের শিয়াপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে জোরদার সম্পর্ক গড়ে ওঠে ইরানের।
সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর পশ্চিমাদের তদারকিতে ইরাকে সরকার গঠিত হলে সেসময় ওই দেশের রাজনীতিতে ক্ষমতা বাড়াতে তৎপর হন সোলেইমানি। ইরাকের দুই প্রধানমন্ত্রী ইব্রাহিম আল-জাফরী ও নুরী আল-মালিকীর সময়ে তিনি এই তৎপরতা বেশি বাড়ান। ওই সময় ইরাকে ইরানের পুরোনো ‘ছদ্মবেশী শক্তি’ বলে পরিচিতি বদর অর্গানাইজেশনের রাজনৈতিক শাখা থেকে স্বরাষ্ট্র ও পরিবহনমন্ত্রী দায়িত্ব পেলে সোলেইমানির কীর্তি নজর কাড়ে তেহরানের।
সোলেইমানির কুদস্ বাহিনী সাম্প্রতিক সময়ে ইরান সীমানার বাইরে কর্মক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সফলতার পরিচয় দিয়েছে সিরিয়া এবং ইরাকে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ যখন গৃহযুদ্ধের কারণে পতনের দ্বারপ্রান্তে, তখন সোলেইমানির নেতৃত্বে তার বাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে কৌশলী ভূমিকা নেয়, এই ভূমিকার কাছে হেরে যায় আসাদবিরোদী সুন্নি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো। এছাড়া ইরাকে এবং সিরিয়ার বিশাল অংশে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস দমনে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার পাশাপাশি সোলেইমানির বাহিনীও রাখে অনস্বীকার্য ভূমিকা।
৩ তারিখ, ভোরের বেশ আগে বাগদাদ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে আসেন ইরানের বিপ্লবী কুদস এলিট ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানী। তাঁকে এয়ারপোর্টে রিসিভ করতে আসেন ইরাকী মিলিশিয়া কমান্ডার আবু মাহদী আল মুহান্দিস।
ইরাক জুড়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছে কয়েক মাস ধরে। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে নিহতের সংখ্যাও শতাধিক। ইরান নিয়ন্ত্রিত শিয়া সরকার বিক্ষোভরত সুন্নীদেরও হত্যা করেছে নির্বিচারে। তারপরও নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি এই বিক্ষোভ। এই বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের জন্যই ইরাক গিয়েছিলে জেনারেল কাসেম সোলেইমানী।
২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: চাঁদগাজীর পোষ্ট এবং মন্তব্য পড়ে যা জানলাম-
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কাজটা ভালো করে নি। সন্ত্রাসী জেনারেলকে শাস্তি দেওয়ার অবশ্যই দরকার ছিল। কিন্তু এই ভাবে শাস্তি দিয়ে সন্ত্রাসীদের আরও উস্কে দিলেন। ফলে খুনাখুনি চলতে থাকবে! একজন জেনারেলের নিজকে রক্ষা করে চলার বুদ্ধি এত কম কেন ভাবতেও অবাক লাগে। আমিরিকান প্রযুক্তি ও কৌশল সম্পর্কে তাদের ধারনা কতটুকু তা প্রশ্নের মুখামুখি হয়েছে।
বিশ্ব যাচ্ছে শিক্ষা, টেকনোলোজী ও বিজ্ঞানের দিকে, মুসলমানেরা যাচ্ছে উল্টা দিকে। ইরানী সন্ত্রাসীরা মুসলমানদের কবর দিচ্ছে। শিয়া বাহিনীগুলো আরবদেশ গুলোকে মৃতপুরীতে পরিণত করেছে। ইরানীরা আরব নয়, কিন্তু সব আরবী-শিয়াদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে।
ইরান আমেরিকার কিছু হয়তো করতে পারবে না। ইরান আছে বলে এখনো সিরিয়া টিকে আছে। আমেরিকা সব কাজ সঠিক করে না, কিন্তু ওরা কোন দেশে নিজের থেকে প্রবেশ করে, সাধারণ মানুষের হাতে অস্ত্র দেয় না। আমেরিকার বেশী চর্বি হলে উত্তর কোরিয়া ও চীনের সাথে লড়ুক?
আমেরিকায় ছয় লাখ বাঙ্গালী বাস করেন। আগামী বিশ বছরে আরো পাঁচ-ছয় লাখ আসবে। ইরানে কোন বাংগালী থাকতে পারবে না। ইরান ইরানের জায়গায় সঠিক আছে। ইরান কোনো জঙ্গি তৈরি করে না। যেমন বাংলাদেশ কোনো জঙ্গি তৈরি করে না। বাংলাদেশে জঙ্গি তৈরি হয় যার যার নিজ মতবাদে। এই জন্য বাংলাদেশ দায়ী নয় ঠিক তেমনি ইরানও দায়ী নয়।
বিশ্বে এখন শান্তি নেই, কোন দেশে শান্তি নেই, কোন পরিবারেও শান্তি নেই, এবং বলা যায় ব্যক্তিগতভাবে কেউ শান্তিতে নাই।
৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আগের মত যুদ্ধ আর হবে না। সাদ্দাম, গাদ্দাফি এদের মতো তথাকথিত শক্তিশালীদের পরিণতি কী হয়েছে, তা' সবাই জানে। সুতরাং, চীন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া ছাড়া অন্যদের বেশি লাফ ঝাঁপ না করাই ভালো।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: আমি অবাক হই।
এই আধুনিক পৃথিবীতে এসেও মানুষ সভ্য হতে পারে নি।