নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের কঠিনতম ব্যাপার গুলাকে সহজলভ্য করার প্রত্যয়ে এগিয়ে চলার মাঝে পথের দিশা খুজছি

রেজওয়ান হুসাইন

মানুষ হওয়ার চেষ্টায় সংগ্রামরত একজন সাধারন জনতা।

রেজওয়ান হুসাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আর্ট ফিল্ম নিয়ে কিছু ভাবনা।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:২৭

আজকের লেখাটা পড়ে অনেকে ভাবতে পারে আমার স্বভাবটাই



হচ্ছে সমীকরন থেকে ঋণাত্মক মান বের করা।



কি করব আসলে সমস্যার সাগরে ডুবে থেকে আমরা সবাই



সুক্ষ অনেক ঋণাত্মক ঘটনাকে ধনাত্মক করার অভিপ্রায়ে মত্ত্ব।



কথায় আসা যাক, বিনোদন মানুষের আদি থেকে অন্তিম পর্যন্ত



ওতপ্রোত সঙ্গী সেটা যে মাধ্যমেই হোক। মৌলিক চাহিদা গুলোর



পর যদি দ্বিতীয় পর্যায়ের মৌলিক চাহিদা থাকে তবে নিঃসন্দেহে



তা বিনোদন ছাড়া কিছু নয়। যুগে যুগে যা বিভিন্ন মাধ্যমে মানুষ



উপভোগ করে থাকে। তন্মধ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠান উদযাপন, খেলাধুলা,



নাটক ও সিনেমা দেখা ইত্যাদি। এদের মধ্যে আধুনিক কালের সবথেকে



বেশি জনপ্রিয় সম্ভবত সিনেমা।



উনবিংশ শতাব্দীর মোটামুটি মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়ে যা পরবর্তীতে



পূর্ণাঙ্গ শিল্পে রুপ নিয়েছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আঙ্গিকে সিনেমাই



মূলত বিনোদনের মাধ্যম গুলার মধ্যে সবার উপরে অবস্থান করেছে।



বিভিন্ন সময়ে এর পট পরিবর্তন হয়েছে মাত্র, কখনো দর্শকের রুচির



প্রয়োজনে সাজানো হয়েছে সিনেমার ধারাকে কখনো বা সিনেমার



ধারায় পরিবর্তিত হয়েছে দর্শকদের রুচি। সিনেমার পট পরিবর্তন



গুলার মধ্যে কখনো এসেছে চরিত্র প্রধান, কখনো কাহিনী প্রধান,



কখনো একসান নির্ভর কখনো বা নোংরামির ছড়াছড়িতে পরিপূর্ণ।



আমাদের প্রজন্মটা আসলে দিন বদলের মত ঐতিহাসিক সময় টাতে



এসে পড়ায় অসংখ্য ধনাত্বকের মধ্যেও কিছু ঋণাত্মক বিষয়কেও



চরমভাবে মোকাবেলা করতে হচ্ছে।



তার মধ্যে একটা হচ্ছে এই নোংরামি নির্ভর সিনেমা।



বিগত দশকে বাংলা সিনেমা শিল্পে চরমভাবে নোংরামি হয়েছে



যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের বেশির ভাগ সিনেমাপ্রেমী দর্শকের



গতিপথ চলে গেছে অন্যান্য দিকে। মধ্য বয়স্ক নারীরা ঝুকে গেছে



বিভিন্ন সিরিয়ালের দিকে। আর তরুন প্রজন্ম তো সবসময়ই



কালের স্রোতে গা এলাতে পছন্দ করে, বৈরাগ্য সাধনে মুক্তির



নিমিত্তে মত্ত্বতায় নিমজ্জিত। সেই ধারাবাহিকতায় ঝুকে পড়েছে



বিদেশী সিনেমাগুলার দিকে। যেগুলার মধ্যে ভারতীয় আর্ট ফিল্মগুলা



অন্যতম। এটি একটি বিশেষ ধরনের সিনেমা যেখানে তরুণদের দুর্বল



করার মত যথেষ্ট কারুকার্যের সমাহার থাকে এবং সেটা বেশিরভাগই



শিক্ষিত ও বুদ্ধিদীপ্ত তরুণদের জন্য। কারণ এই ফিল্ম গুলা উপভোগ করার



মত ধৈর্য অবশ্যই কোন শাকিব বা অনন্ত ভক্তের হবে না। ফিল্মগুলা একদিক



থেকে যেমন সমাজের বিভিন্ন সমস্যা গুলোকে সুন্দরভাবে উপস্থাপনের



মাধ্যমে সবাইকে সচেতন করছে, তেমনি অন্যদিকে এমন কিছু অসাভাবিক



বিষয়কে স্বাভাবিকভাবে উপস্থাপন করে ধনাত্মক করছে।



সমকামিতা থেকে শুরু করে সেক্সুয়াল প্রেজেন্টেশন, অশ্রাব্য ভাষায়



গালি ও আরও নিকৃষ্টতম বিষয়গুলাকেও আমজনতার নিকট অত্যান্ত



সাবলীলভাবে তুলে ধরছে। আর আর্ট করার স্বার্থে আমরা সেগুলাকে



আর্ট হিসেবে নিতেছি। বেড়ে যাচ্ছে পরকীয়া বা অসম সমীকরন



মেলানোর হিড়িক। যারা এধরনের ফিল্মগুলা প্রডিউস করছে



তাদের প্রতি আমার কোন কমপ্লেইন নাই কারণ এটা তাদের পরিবেশ



এবং তারা প্রতিনিয়ত এগুলাতে অভ্যস্ত।



দুঃখ আমার নিজেকে নিয়ে। কাক হয়ে কোকিলের রঙ গায়ে মেখে



আর কতদিন থাকতে পারব সে বিষয়টাও অস্পষ্ট।



আক্ষেপ, কেন যে লালন বেটায় বাঙ্গালীর মাথায় বৈরাগ্য সাধনে



মুক্তির চিন্তা মাথায় ঢুকিয়ে দিয়ে গেছে???????

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.