![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তরুন প্রজন্মের রোমান্টিকতা নিয়ে
আমার কিছু ভাবনা
তরুন প্রজন্মের কাছে সামাজিক যোগাযোগ
ব্যবস্থা বিশেষ করে ফেইসবুক এখন
এক বিশাল নেশার মাধ্যম হিসেবে
পরিনত হয়েছে। এর বৈশিষ্টের নানাবিধ
দিক রয়েছে। যার এক এক দিক সেই মানসিকতার
মানুষগুলাকে বিশেষ ভাবে আকর্ষিত করে।
তার মধ্যে একটা দিক রোম্যান্টিক পেইজ গুলা
অনেকে ভাবতে পারেন এখানে আবার কি দোষ হল
একটু ভেঙ্গে বলি, জনপ্রিয়তার নিমিত্তে ব্যাঙ্গের ছাতার
মত অসংখ্য রোম্যান্টিক পেইজ রয়েছে ফেইসবুকে
বিভিন্ন দেশের প্রেক্ষাপটে
সেখানে প্রতিনিয়ত প্রকাশিত হয় বিভিন্ন রঙ
বেরঙ্গের রোম্যান্টিক প্রেম কাহিনী
যার প্রায় সবগুলাই অসাধারণ রোম্যান্টিক
এবং অতি সহজে মানুষকে আবেগে আপ্লুত করতে
সক্ষম। রোমান্টিসিজম আসলে প্রতিটি মানুষের
সহজাত একটা বৈশিষ্ট, প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে
প্রতিটি মানুষের ভিতরে একটা রোম্যান্টিক সত্ত্বা রয়েছে।
আমরা বিভিন্ন সময়ে উদগ্রীব থাকি সেই রোম্যান্টিক
স্বত্বাকে জাগিয়ে তুলতে জান্তে বা অজান্তে।
আর এ প্রক্রিয়াটা আরো বেশি স্বক্রিয় হয়ে ওঠে
যখন আমাদের সাবকন্সাস বা কন্সাস মাইন্ডে
কোন রোম্যান্টিক ঘটনা দেখি বা পড়ি।
অনেক সময় আমরা পেইজে প্রকাশিত
ঘটনাগুলার সাথে নিজেদের জীবনকে মেলাতে
থাকি বা কাছের মানুষগুলার থেকে তেমনটা
প্রত্যাশা করি, কিন্তু ব্যাবহারিক জীবনে দেখা
যায় তার কোন প্রতিফলন হয়না ফলশ্রুতিতে
আমাদের জীবনে নেমে আসে খুনসুটি,
সম্পর্কের রসায়ন মেলাতে বিপর্যয়,
কখনওবা তার থেকে ভয়াবহ কিছু।
এ সম্পর্ক শুধু প্রেম বা ভালবাসা নয়
এটা হতে পারে বাবা মায়ের সাথে সন্তানের
বা বন্ধু নির্বাচনে অথবা ভাই বোনের সম্পর্কেরও।
যেমন ধরুন যারা শহুরে জীবন যাপনে অভ্যস্ত
স্বভাবতই তাদের বাবা মায়ের সম্পর্কের ধরনটা
গ্রামের বাবা মায়ের থেকে একটু আলাদা হবে
সুতরাং কোন বিষয়ে হয়ত আমরা শহুরে বাবা
মায়ের মত গ্রামের বাবা মায়ের থেকে সিমিলার
রেসপন্স নাও পেতে পারি।
এবার আসা যাক প্রেমের দিকটায়
প্রতিটি মানুষের জীবন যাত্রায়
কিছু নিজস্বতা রয়েছে
হয়ত তার সিচুয়েসন দিয়ে তার প্রেম
কাহিনী সাজানো হয়ত সেখানে ভাললাগার
মত অনেক কিছু রয়েছে
কিন্তু একথাও সত্য যে বিহাইন্ড দ্য সিন
আপনার আমার মত তারও হয়ত কোথাও না কোথাও
অপরিপূর্ণতা রয়েছে যেটা হয়ত ঐ ছোট লেখাটিতে
স্থান পায়নি।
যারা কোন রিলেশনে আছে শুধু যে তাদের জন্যই
রোম্যান্টিক গল্পের প্রভাব আছে তা নয়
বরং যারা সিঙ্গেল তাদের জন্য এটা আরও
বেশি কার্যকর, হৃদয় ছুয়ে যাওয়া গল্পগুলা
কখনো কখনো মানুষকে প্রেম করতে এত বেশি উদবুগ্ধ
করে যেখানে প্রেম না করতে পারাটাকে ব্যর্থতা হিসেবে ভাবতে থাকে
এবং বিভিন্ন সময়ে মানুষ গুলা বিভিন্ন
মানসিক অবসাদে ভোগে।
যার ফল হয়ত তার ক্যারিয়ারে একটা বড়
প্রভাব রাখে হয়ত এ কথাগুলা দেওয়ালের ওপাশে
থেকে যায় হাস্যকর পরিস্তিতি থেকে পরিত্রানের উপায়
হিসেবে।
যাইহোক আমার উদ্দেশ্য পেইজগুলা থেকে রোম্যান্টিক
গল্প পড়াকে বিরত রাখতে মোটিভেট করা নয়
বরং এগুলাযে আমাদের জীবনের একটা ঐচ্ছিক বিষয়
সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরী। একটু প্রাক্টিক্যালি বিষয় টা
ভাবলেই এর সমাধান।
একটা বড় সত্য কথা এটাই যে
প্রতিটি মানুষই তার জীবন সিনেমার প্রধান চরিত্র
যেটা একেবারেই স্বতন্ত্র সুতরাং কাউকে অনুকরণ করার
মাধ্যমে যদি কখনো সুন্দর জীবন চলার পথ কণ্টকাকীর্ণ হয়
তবে মানব স্বত্বার জন্য কিছুটা হলেও কলঙ্কজনক অধ্যায় নয় কি?
©somewhere in net ltd.