![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইংরেজি Art শব্দটির উৎপত্তি একজন ব্যক্তির নামে Arthur.
শিক্ষা জীবনের শুরু হতে প্রায় দীর্ঘ দশটি বছর ধরে জানতাম
এটি একটি বিভাগ যেখানে অপেক্ষাকৃত দুর্বল ছাত্রছাত্রীদের
পাশ করার নিমিত্তে কিছু অতি সহজ বিষয় গলাধঃকরণ করানো হয়।
পরবর্তীতে ভ্রান্ত ধারনা থেকে মুক্তি পেলাম,
আভিধানিক অর্থ বলে এটা আসলে নকশা করা বা আকাজোকা করার শিল্প।
কিন্তু তখনও ধোঁয়াশার মাঝেই হয়ত থেকে গেছি।
কিন্তু কখনো ভাবিনি এতো ছোট একটা শব্দ কতটা বিস্তর অর্থ বহন করে।
চিন্তার জগতের প্রসারতা কখন যে তা বোঝার সক্ষমতা এনে দিছে হয়ত নিজেই বুঝিনি।
গুরুত্ব অনুধাবন থেকে আর্ট কথাটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করছি।
আমাদের পার্থিব জগতের ভালো বা মন্দ প্রতিটি কাজের মধ্যেই আর্ট বিদ্যমান।
একটা সুনিপুণ, দক্ষ, সুসজ্জিত বা আকর্ষণপূর্ণ ফলাফল সমৃদ্ধ কাজ কে না চায় বলুন?
জীবনের প্রতিটি কাজ, কথা, আচার-আচরণ, ভঙ্গিমা বা চলাফেরায় আর্ট যেন এক সুক্ষ সুতার বন্ধন।
যুগে যুগে আর্টিস্টিক কাজের জন্যই মানুষ বেচে থাকে মানুষের মধ্যে।
আর্টস কে নির্দিষ্ট সংজ্ঞার ফ্রেমে বাধতে গেলে আমরা তিনটা দিকের সাথে পরিচিত হই,
ভিজুয়াল আর্টস, ডেকোরেটিভ আর্টস এবং ইন্টার্যাক্টিভ আর্টস।
কিন্তু এদের পরিসীমা এতটাই বিস্তৃত যে পুরা হিউম্যান লাইফ কাভার করে ফেলবে।
আর একটা মজার ব্যাপার হচ্ছে আর্টস এমন একটা জিনিস
যা মানুষের কল্পনা শক্তির ফিজিক্যাল এক্সিস্ট্যান্স দেয় এবং বিভিন্ন মনস্তাত্ত্বিক দিকগুলার শুন্যতা পূরণ করে।
এই তিনটা অংশ এতটাই সম্পর্কযুক্ত যে ট্রেস করাটা পুরাই মনের ব্যাপার।
যেমন ধরুন একজন ফাইন আর্টসের ছাত্র একটা চিত্র আকলো তার মনের সমস্ত মাধুরী দিয়ে,
ছবিটা তখন ভিজুয়াল আর্টসের রুপ পেল।
এবার ছবিটা ছিল
একটা মেঘযুক্ত আকাশ, বৃষ্টির ঘনঘটায় সিক্ত কদমগুলা থেকে চুয়ে পড়ছে ফোটাফোটা জ্বল। নিঃসাড় প্রকৃতি, কোথাও কেউ নেই। কদম পাতার আড়ালে গা ঢাকা দেওয়ায় প্রয়াসরত একটা নিঃসঙ্গ কুহক।
ছবিটি যখন প্রদর্শনীতে স্থান পায় তখন সেটা কোন শিল্পপ্রেমী
তার অন্তরের আকর্ষণবোধ থেকে ক্রয় করে নিয়ে ঘর সাজায়।
যেটা ডেকোরেটিভ আর্টসের পূর্ণতা দেয়।
আবার অন্তঃকরণের আকর্ষণবোধটাই হল ইন্টার্যাক্টিভ আর্ট।
বিষয়টা যদি এম্পেরিক্যালি চিন্তা করা হয়
দেখুন আমাদের জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ, উদ্দেশ্য বা ধ্যান ধারনা কিছুই এর বাইরে নয়।
যেহেতু আমরা ছাত্র বা ছাত্রী
সুতরাং আমাদের জীবনের আলোচনাগুলি যদি আর্টসের দৃষ্টিকোণ থেকে মেলাই তবে এমন হবে
ধরুন আমরা কি হতে চাই বা কি নিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চাই সেটা নির্ধারণ হতে পারে আমাদের ভিজুয়াল আর্টস।
যখন সেটা অর্জনের নিমিত্তে কাজ করব
যেমন সুন্দর হাতের লেখা বা ইনফরমেটিভ পড়াশোনা বা
উপযুক্ততার সর্বচ্যটুকু প্রদর্শন বা অর্জন করতে পারব সেটা হবে ডেকরেটিভ আর্টস।
যা আমাদের অভীষ্ট লক্ষে পৌছানর অলংকার স্বরুপ।
আর এই লেভেলটার পূর্ণতার জন্য আমাদের বিভিন্ন সময়ে ভাইভার মুখোমুখি হতে হয়
যেখানে আমাদের স্কিল দিয়ে ইম্প্রেস করতে হয় ভাইভা গ্রহনকারীদের যা ইন্টার্যাক্টিভ আর্টসের পূর্ণতা দেয়।
এখানেই শেষ নয়, পরবর্তী জীবনটাও ঠিক কোননা কোন ভাবে এই নকশার আওতাধীন।
এটা একটা ভিসাস সাইকেলের মত।
আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক বলে প্রতিটি মানুষের মধ্যে সুন্দর একটা স্বত্তা রয়েছে
যার প্রকাশের একমাত্র উপায় এই আর্ট।
সেটা কথায়, কাজে বা অংশগ্রহণে যেভাবেই হোক।
অন্তরের সত্য ও সুন্দরকে পরিস্ফুটনের এই সফলতম উপায়ই পারে
একটি সমাজকে সুন্দর মনোরম কোন পরিবেশ দিতে।
প্রয়োজন শুধু চিন্তার জগতের প্রসারতা।
আপনাকে বলছি,
হ্যা আপ্নাকেই বলছি,
আপনার অন্তরে লুকিয়ে থাকা আর্টস খুজতে থাকেন দেখবেন এখানেই পূর্ণতা এখানেই প্রাপ্তি।
আসুন আর্টসকে ফাইন আর্টস বা আকর্ষক কোন সুসজ্জার উপকরণের মধ্যে সসীম না রেখে
জীবনের সাথে মেলানোর চেষ্টা করি,
সুন্দর করি জীবনের সাথে জড়িত সকল চলককে সর্বোপরি জীবনটাকে।
[অন্তর্নিহিত ভাবগুলা ফুটিয়ে তোলার স্বার্থে বাংলা ইংরেজির জগাখিচুড়ী মার্কা ব্যবহারের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।]
২০ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৯
রেজওয়ান হুসাইন বলেছেন:
২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:২৬
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: বাহ! চমৎকার।
৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৪৪
রেজওয়ান হুসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ বন্ধুবর
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: একটা মেঘযুক্ত আকাশ, বৃষ্টির ঘনঘটায় সিক্ত কদমগুলা থেকে চুয়ে পড়ছে ফোটাফোটা জ্বল। নিঃসাড় প্রকৃতি, কোথাও কেউ নেই। কদম পাতার আড়ালে গা ঢাকা দেওয়ায় প্রয়াসরত একটা নিঃসঙ্গ কুহক।