![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানসিক সমস্যা কথাটা সমাজে খুব প্রচলিত,
তথাপি সমাজের চোখে এটাকে নেগেটিভ অর্থেই দেখা হয়।
কিন্তু একটু তাৎপর্য বিশ্লেষণ করতে গেলে দেখা যায়,
যারা এই রোগী সনাক্ত করছে তাদের স্বাধীন চিন্তাশীল একটা মনই নেই।
যেমন ধরুন একটা মানুষ টাকার পেছনে ছুটে অনেক টাকার মালিক হল
কেউ কিন্তু তাকে মানসিক রোগি বলছে না
কারণ, টাকাটা সমাজের প্রচলিত একটা স্রোত
যা বিভিন্ন ম্যাকানিজমে অর্জনের প্রয়োজনিয়তা দেখা দেয়,
কিন্তু একটা মানুষ যদি তার মনের ভেতরে জমে থাকা
আধ্যাতিকতা দিয়ে মানুষকে কিছু বোঝাতে চায়,
সেক্ষেত্রে সমাজ বলবে ওর মাথায় গণ্ডগোল হয়েছে
কি ওলট পালট বকছে।
অথচ তার ঐ ওলট পালট কথা গুলা একটু মনোযোগ দিয়ে শুনে
দেখুন, বক্তার পজিশন থেকে চিন্তা করে দেখুন
সে যা বলছে তা কি আপনি বা আমি টাকা দিয়ে অর্জন করতে পারব কিনা।
চিন্তাশীলতা আর মানুষ, দুইটা জিনিস একই সুত্রে গাথা
দেখুন প্রযুক্তির আশ্চর্যজনক আবিস্কার রোবট,
কিনা করতে পারছে,
অথচ সামান্য একটু অক্ষর বাকা দিয়ে বিভিন্ন ভেরিফিকেশন কোড ভাংতে
পারছেনা।
এদিয়ে অপূর্ব এক উদাহরন দেওয়া যায় মানুষের চিন্তাশীলতার গুরুত্ব বোঝাতে।
মানসিক রোগ (প্রচলিত) মূলত তৈরি হয় চিন্তার গভিরতা একটা গণ্ডি
অতিক্রম করার পর যখন নানাবিধ প্রশ্নের কোন উত্তর পাওয়া যায় না তখন।
যার স্বরুপ নির্ণয় আসলে কোন সাধারণ মোটা বুদ্ধির মানুষের দ্বারা সম্ভব নয়,
কেননা সাইকেলের ড্রাইভার দিয়ে ত আর প্লেন চালানো যায় না।
যার যার জায়গা থেকে তার আশেপাশের পরিবেশের কাছে বুদ্ধিদীপ্ত মানুষ হওয়া
বা টাকা পয়সার হিসেবে আসলে সফলতা নির্ণয় করা যায় না।
সফলতা অনেকটা চলকের মত,
সময়,স্থান বা ব্যক্তিভেদে এর স্বরুপ ভিন্ন হয়।
পৃথিবীতে কেউ সফলতা হিসেবে একটা মাপকাঠি ব্যবহার করে,
আবার কেউ সফলতার নেশায় ক্ষুদ্র জীবনের শেষ পর্যন্ত লড়ে যায়।
তন্মধ্যে মানুষের চিন্তাশীলতাকে ছোট করে তারাই,
যারা সুন্দর একটা বউ বা গার্লফ্রেন্ড পাওয়াকে সফলতা মনে করে,
যারা টাকা ওয়ালা স্বামী পেয়ে বেকার যুবক কে একটু বেসি আবেগি বলে টাটা দেয়,
বা সমাজে টাকার গরমে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি রাস্তায় দাড়িয়ে জ্ঞান দেওয়া ব্যক্তিকে তুচ্ছ করে।
এই মানুষ গুলার বরং কৃতজ্ঞ থাকা উচিৎ যে যাদের মানসিক রোগী বলে আখ্যা
দেওয়া হচ্ছে তাদের প্রতি, কেননা তাদের ভাগ্য ভাল যে এই মানসিক রোগীরা
টাকা বা সুন্দর বউ বা টাকা ওয়ালা জামাই, এগুলার প্রতি মন দেয়নি,
যদি দিত তাহলে ঐ লোক গুলার প্রতিযোগি বা যোগিনি বেড়ে যেত,
সেক্ষেত্রে এই মানসিক রোগীদের সম্ভাবনাই বেশি থাকত।
যাইহোক, চিন্তাগুনে মানুষ অনন্য,
একটু চিন্তা করে দেখুন আপনার আমার আশেপাশে যা কল্যাণকর
মনে হচ্ছে সবই কারো না কারো চিন্তার ফসল।
প্রতিটি স্বতন্ত্র চিন্তার বিশেষ তাৎপর্য আছে,
আপনি অসুস্থ হলে ডাক্তার চিন্তা করে আপনাকে ওষুধ দিয়ে সুস্থ করছে
সুতরাং আপনার মোটা মাথায় যে চিন্তাকে মেলাতে পারবেন না,
সেটাকে মানসিক রোগ বলে চালিয়ে দিবেন তা আদেও সঙ্গতিপূর্ণ??
নিজে না বোঝেন সেটা আপনার সীমাবদ্ধতা,
অনুগ্রহ করে সম্মান না করতে পারেন অন্তত ছোট করবেন না,
কারণ কে জানে কার ছোট একটা চিন্তায় ঘটে যেতে পারে কোন বিশেষ ঘটনা
যেমনটি ঘটিয়েছে যুগে যুগে বিভিন্ন বিজ্ঞানি বা মনিষীরা।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫৯
রেজওয়ান হুসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৯
নিলু বলেছেন: লিখে যান
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:০০
রেজওয়ান হুসাইন বলেছেন: ইনশাহআল্লাহ ট্রাই করব।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১৩
অবাকবিস্ময়২০০০ বলেছেন: ভালো বলছেন ++