![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক দিন ধরে জমানো একটা কথা শেয়ার করতে খুব বেশি ভয় পাচ্ছি,
তবুও ধরে রাখতে পারছিনা। স্বল্প জ্ঞান নিয়ে
মহামনিষীকে নিয়ে আমার কিছু ভাবনা যা হয়ত,
বিখ্যাত কেউ করলে নাম দেওয়া হত গবেষণা।
তিনি আমাদের হুমাউন স্যার,
ব্যক্তিগতভাবে আমি তাকে একজন সাদাসিদে মানের
দার্শনিক হিসেবে মানি।
কিন্তু কোনভাবেই আমার স্বল্পজ্ঞান তাকে সাহিত্যিক হিসেবে
ধনাত্মক যুক্তির আওতায় আনতে পারেনা।
কেন, কি কারনে বা কিভাবে??
আমি সে প্রশ্নের উত্তরে যাবনা,
কারণ আগেই বলেছি এটা আমার একান্তই ব্যাক্তিগত পর্যবেক্ষণ।
তবে তার লেখার থেকে বিশ্লেশায়িত একটা প্রভাব নিয়ে
আজ আমি কিছু বলতে চাই।
অনেকের মতে তিনি হারিয়ে যাওয়া সাহিত্যচর্চার
পুনর্জন্মের ধারক।
নিরস সাহিত্যকে তিনি রস দিয়ে মানুষের আগ্রহ বাড়িয়েছেন,
বিভিন্নভাবে পাঠককে তিনি টেনে এনেছেন বইয়ের দিকে।
কিন্তু এই টেনে আনাটা কতটা ধনাত্মক হয়েছে সে বিষয়ে আমার উদ্বেগ রয়েছে।
তার লেখাটা সাধারণত সদ্য যৌবনে পা দেওয়া মানুষ গুলাকে বেশি আকৃষ্ট করে,
যেখানে তিনি সেই সমস্ত পাঠকের মনস্তত্ব বিশ্লেষণ করে তাদের ভাললাগার
স্থান গুলাকে লক্ষমাত্রা হিসেবে নিয়েছেন।
তার মধ্যে উল্লেখ্য একটা দিক হচ্ছে ঐদাশিন্য!!!
যারা সাহিত্যের জগতে নতুন প্রবেশ করে, (স্বদ্যোগে)
সময়টা সাধারণত উচ্চমাধ্যমিক পড়া অবস্থায় বা সম্মান শ্রেনীতে ভর্তি হয়ে।
সাধারণত বাংলাদেশের যুব সমাজ এই সময়টাতে
তাদের জ্ঞানের দ্বার উদার ভাবে খুলে থাকে।
স্বাধীনভাবে জীবন, সমাজ তথা সামগ্রিক পারিপার্শ্বিকতার সাথে নিজেকে
মিলিয়ে নিজের জীবনকে গঠন করার প্রক্রিয়াতে আসে।
ঠিক সে সময়ে তারা পায় এমন এক শ্রেণীর বই,
যার বেশিরভাগ কথাগুলিই এ বয়সের ভাললাগা মন্দলাগার সাথে মিলে যায়,
তখন আগ্রহ বেড়ে একটা সময় নেশায় রুপ নেয়।
বই গুলির উপজীব্য গুলি অনেকটা উদাস কোন মানুষের
কারিস্ম্যাটিক জীবন ধারা,
উদাসী ধারায় জীবন সাজানো বা জীবনের সকল চলক গুলির বহতা।
পড়তে পড়তে কখন যে অনুকরণপ্রিয় মানুষ গুলি
নিজের অজান্তে নিজেকে আলাদা করার আনাড়ি চেষ্টায় জড়িয়ে পড়ে
অনেক সময় নিজেও অজ্ঞাত থাকে সে বিষয়ে।
সঙ্গাহীন কিছু অনুভুতির জন্ম নেয় তার ভেতরে,
হিমু হয়ে কখনও অপ্রকিতিস্থ কিছু আচরন
কখনও বা মিসির আলীর কিছু উদ্ভট চালাকির বাস্তব প্রতিফলনের অপচেষ্টা।
এভাবেই কেটে যায় সময়, কখন কোথায় বা কিভাবে, কেউ ভাবেনা।
অথচ উল্লেখিত সময়টাতেই হয় মানুষের সত্যিকারের নিজেকে খুজে পাওয়ার সময়
যা সে কোন এক অজানা মাদকতার মাঝে ভাবলেসহীনভাবে কাটিয়ে দিচ্ছে।
ফলস্রুতিতে পিছিয়ে পড়ে জীবনের দৌড় থেকে
যা তার পেশাগত জীবনের একটা বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়াচ্ছে,
কখনও কখনও তার কিংকর্তব্যবিমূঢ় আচরনে প্রিয় মানুষগুলার প্রত্যাশার
পাহাড় গুলা বালুর স্তুপের ন্যায় ধ্বসে পড়ছে অবলীলায়,
কেউ কেউ হয়ত জীবন থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।
আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণে আমি যত হুমাউন ভক্ত দেখেছি
তাদের সিংহভাগের মধ্যে কিছু না কিছু সাদৃশ আচরন প্রতিয়মান হতে দেখেছি।
বয়স হয়ত অনেক কম তবুও আমার আশংকা আশাকরি যুক্তির বিচারে বাস্তবসম্মত,
সেক্ষেত্রে কিছু অনন্ত জলিল ছাড়া বাকিদের পক্ষে দুরহ হয়ে যায় নিজেক মানিয়ে নেওয়াতে।
যাইহোক আমার অধিকার নাই কাউকে নিরুতসাহিত করার
বা এই লেখাটা কাউকে নিরুৎসাহিত করার নিমিত্তেও নয়।
বরং পড়ার পর ভেবে দেখার জন্য অনুরোধ থাকলো
এই স্বল্প তথ্যের বা জ্ঞানের মানুষটির কথার আসলে কোন যৌক্তিকতা আছে কিনা,
আর যদি থাকে তবে অনুরোধ থাকবে অনুগ্রহ করে
বই কে শুধু বিনোদনের দর্শন থেকেই পড়ুন,
জীবনে যেন সুক্ষভাবে তার ক্ষতিকর কোন দিক যেন বিশেষ কোন প্রভাব না ফেলে।।
যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন তবে পছন্দের লেখককে নিয়ে সমালোচনা করার জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:০৬
রেজওয়ান হুসাইন বলেছেন: আমার দুই একটা বানান ভুল কি তার সমালোচনার জন্য ব্যাপক বাধা হয়ে দাড়াল? আমি লেখাটা একটু কম সময় নিয়ে টাইপ করেছি যেকারনে ভুল গুলার শিকার হতে হয়েছে। তাছাড়া এখানে টাইপ করাটাও আমার জন্য রীতিমত ভোগান্তির ছিল। আর তর্কে যাবনা এজন্যই যে লেখা গুলি অনেকটা নেশার দ্রব্যের মত। যে সেবন করেছে সেই তর্কে আসবে। আর নেশাদ্রব্যে আসক্ত কাউকে উক্ত নেশার সম্পর্কে বুঝিয়ে এ পৃথিবীতে কেউ ধনাত্মক ফলাফল পায়নি এবং আমিও বোধকরি পাবনা। তাই অনর্থক তর্ক বাড়িয়ে সময় নষ্ট করার মত ঝুকি নেওয়াটাকে আমি যুক্তিযুক্ত মনে করিনি। আর তার লেখা বই কম পড়েছি এটা বলে যুক্তি দেওয়াটা যে আপনার অকারণ আত্মবিশ্বাস বৈ কিছু নয়। শিকার করছি শুরুর দিকে লেখাগুলির মান নিয়ে প্রশ্ন করা যাবেনা। এখনও নন্দিত নরকে আমার পড়া উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে একটা। কিন্তু গড় হিসাবে সিংহভাগ লেখাগুলি হয়ত তাৎক্ষণিক বিনোদন দিতে যথেষ্ট কিন্তু তা সাহিত্যের আওতায় ফেলা মুশকিল। আমি কোথাও উল্লেখ করিনি আমি একজন মহান সাহিত্যিক হিসেবে হুমায়ূন স্যারের সমালোচনা করছি। বরং আমি তাকে তার প্রাপ্য সম্মান দিয়েছি, কিন্তু সাহিত্যিক এর সম্মান টা দিতে পারিনি। আমার লেখা ভেঙ্গে ভেঙ্গে গেছে এ যুক্তি দিয়ে হুমায়ূন স্যার কে সাহিত্যিক প্রমাণ না করে বরং সাহিত্যকে অনুভব করার চেষ্টা করে তবেই যুক্তি দাড় করান। আমি আবারও স্বীকার করছি তিনি একজন বড় মাপের লেখক। কথা সাহিত্য দিয়ে তিনি অনায়াসে পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সামর্থ্যবান। পাশাপাশি তিনি একজন দার্শনিক ও বটে।
২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:৫২
অবিবাহিত ছেলে বলেছেন: শুধু হিমু ও মিছির আলিই হুমায়ন আহমেদের চরিত্র না । আরো অনেক চরিত্র আছে যারা সংসারের ঘানি টানছে । যদি টিনেজাররা তার পাঠক হয় তবে তিনি তরুনদের সাহিত্যিক । উনি সাহিত্যিক না হলেই বা ক্ষতি কি । উনি যা পাবার তার পুরোটাই পেয়েছেন আর আমরাও মন ভরে তার সৃষ্টির রস গ্রহন করছি । সাহিত্যের সংজ্ঞা নিয়ে আপনি ডুগডুগি বাজান ।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:০৯
রেজওয়ান হুসাইন বলেছেন: সেক্ষেত্রে আপনার সাথে তো আর আমার কোন বিপত্তি থাকার কথা নয়। সাহিত্য সাহিত্যের লেভেলে ডুগডুগি বাজতে থাকুক আর যারা এই ধারার লেখার রস নিয়ে যাচ্ছে তারা রসে টয়টুম্বুর হতে থাকুক।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:৫৮
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: কিন্তু কোনভাবেই আমার স্বল্পজ্ঞান তাকে সাহিত্যিক হিসেবে
ধনাত্মক যুক্তির আওতায় আনতে পারেনা।
কেন, কি কারনে বা কিভাবে??
আমি সে প্রশ্নের উত্তরে যাবনা,
কারণ আগেই বলেছি এটা আমার একান্তই ব্যাক্তিগত পর্যবেক্ষণ।
উপরের কথাগুলো আপনার। প্রশ্নের উত্তরে যদি যেতে না-ই চান, তবে ব্লগে আর শেয়ার করার কেন? ব্যক্তিগতভাবেই রেখে দেন।
হুমায়ূন আহমেদ নিয়ে নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন, অথচ উনার মতো একজন সাহিত্যিকের নামটাই ঠিকভাবে লিখতে পারেন নাই। তাই সহজেই সন্দে হচ্ছে আপনি উনার বই খুব একটা পড়েন নাই। পড়লে নামের বানানটা অন্তত ঠিক করে লিখতে পাড়তেন। তাই যার বই-ই ঠিক ভাবে পড়েন নাই, তাঁর সম্বন্ধে আপনি সমালোচনা কোন সাহসে করতে এসেছেন? আগে উনার বই ঠিক ভাবে পড়ুন, তারপর ইচ্ছামতো সমালোচনা করতে পারেন। স্বল্প জ্ঞান নিয়ে উনার মতো লেখক সম্বন্ধ সমালোচনা করা মানে তাঁকে অপমান করা। বেশ কিছু বানানও ছুটে গেছে। লিখেছেন কবিতার মতো ভেঙে ভেঙে। এই জ্ঞান নিয়ে কীভাবে আপনি হুমায়ূন আহমেদের সমালোচনা করতে এসেছেন আমার মাথায় ধরছে না।