![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই পৃথিবীতে কেউ নিরপেক্ষ না,
সবাই প্রতক্ষ পরোক্ষভাবে তার বিশ্বাসকে আবর্তে নিরপেক্ষতার অভিনয় করে।
সেখানে নাস্তিক্য বা আস্তিক্য সবই এক কাতারে,
সেক্ষেত্রে নাস্তিক্যই সবথেকে বড় গোড়ামি
আস্তিকরা কখনও কখনও তাদের বিশ্বাস কে লুকিয়ে সমাজের সাথে তাল মেলায়
কিন্তু নাস্তিকরা ঠিক উল্টা।
যার যার বিশ্বাস কে ঠিক যার যার জায়গায় রেখে সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত
নির্দেশনা আশাকরি সব বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে।।
সেখানে বাধ সাধে এক্সট্রিমিস্টরা,
অনেক সময় নিজেদের একমুখী চিন্তার তাড়নায় নিজের চিন্তাকে কেন্দ্রবিন্দু করে কিছু জ্ঞান এবং যুক্তি দাড় করিয়ে গোলমাল টা পাকিয়ে ফেলে।
সেক্ষেত্রে তা অনেক সময় অন্যের বিশ্বাসের উপর গিয়ে ব্যাপকভাবে আঘাত হানে
কিন্তু সে বিষয়টা বিশৃঙ্খলাকারীরা ভাবতেও পারেনা কারণ তারা অনেক জ্ঞান অর্জন করে, কিন্তু তা নিতান্তই তার যুক্তির সমর্থনে।
কিন্তু আমার মনে হয় জ্ঞানের রাজ্য টা বড্ড বিশাল,
আমার কাছে যা ভাল মনে হয় তা ঠিক অন্যের খারাপ হতে পারে।
সেক্ষেত্রে জ্ঞানের বিশালতায় নিজেকে ক্ষুদে ভেবে
নিজের মত করে পালন করে যাওয়ায় শ্রেয়,
ঠিক তেমনি সতর্ক থাকাও উচিৎ যেন আমার কোন চিন্তার উগ্রতা যেন
কোন সম্প্রদায় বা সমাজের বিশেষ কোন অনুভুতিতে আঘাত না হানে,
কারণ ওই সমাজ বা সম্প্রদায়েও কিন্তু আমার মত যুক্তিশীল মানুষ থাকতে পারে এবং
তারা আমার মত করে একটা চিন্তার কেন্দ্রবিন্দু নিয়ে পথ চলছে।।
আসলে এই বিষয় নিয়ে বিতর্কের কোন শেষ নেই
এবং এগুলা আসলেই মানুস্য জ্ঞানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়,
তাই আমাদের উচিৎ জ্ঞানের সীমা অপরিসীম
এই কথাটা আদর্শ ধরে নিজের টা সফল ভাবে পালন করা
অন্যের অনুভুতি নিয়ে ক্ষতিকর কোন মন্তব্য না করা।।
আমি একজন মুসলিম,
আমার জ্ঞান দিয়ে ইসলাম কে অনুভব করার চেষ্টা করেছি,
কিন্তু তাতে আমার মনে হয়নি সেটা পালন করার জন্য কোন সংগঠনের আশ্রয় নিতে হবে।
হৃদয় দিয়ে পালন করার চেষ্টা করি হয়ত সব সময় পারফেক্টলি পারিনা,
সেক্ষেত্রে কোন সংগঠনে থাকলে যে তা পারফেক্টলি হবে এমন বলার এখতিয়ার কারো নাই।
আমার একান্তই ব্যক্তিগত মত হচ্ছে সংগঠন মানেই কিছু মানুষের মিলন মেলা
যা তাদের মতবিরোধিদের বিপক্ষে অবস্থানের জন্য।
যদিও তা গড়ে ওঠে অনেক সময় মহৎ কোন তত্ত্ব নিয়ে
কিন্তু শেষ ট্রিটমেন্ট সবারই কাছাকাছি কিছু হয়।
অভিজিৎ রয়ের মৃত্যুতে আমি সমবেদনা প্রসব করতে পারিনাই
তার মানে এই না আমি এই হত্যা সমর্থন করি,
পারিনি এই জন্য যে আমি প্রতিটি মানুষের মৃত্যুকে যেন মেনে নিতে পারিনা,
মানুষের মৃত্যু না ঘটিয়ে মানুষের চিন্তার মৃত্যু ঘটানোকে আমি বেশি সমর্থন দেই তবে সে চিন্তা যদি ক্ষতিকর হয়।
সেক্ষেত্রে আমার সমবেদনা ছিল, এবং সেটা কাউকে দেখানোর প্রয়োজন মনে করিনাই,
কারণ আমার সমবেদনা শুধু মুক্তমনা মানুষের জন্য পক্ষপাতদুষ্ট নয়,
তা নিতান্তই মানুষের জন্য, তা কোন নাস্তিকের, শিবিরের বা ছাত্রলীগের জন্য বিশেষায়িত কিছু নয়।
শিবির মরলে উইকেট পড়েছে বলে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন
ঠিক কিছুক্ষন পরে মুক্তমনা নামধারী ইসলাম অবমাননাকারীকে মানুষ বলে
সার্টিফিকেট দিচ্ছেন।
আবার নাস্তিক মরলে বলছেন সালা গেছে
এবার ইসলাম উদ্ধার।।
এতে আপনার অবস্থান কি বলে???
নাকি শিবিরের ছেলে মরেছে সেখানে সমবেদনা দেখালে ছাত্রলীগের পেদানী খাবেন সেই ভয়ে এমন স্ট্যাটাস??? আর নাস্তিকের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দিলে মহান ইসলামবিধ??
ছাত্রলীগ, শিবির বা নাস্তিক যদি খারাপ হয় তবে তা আদর্শ দোষে দুষ্ট,
আপনার যদি তা ধ্বংস করতেই হয় তবে সেই আদর্শ ধ্বংস করেন।
একটা মানুষ মেরে কি আদর্শের মৃত্যু ঘটানো সম্ভব???
বরং নিরাপরাধ মায়েদের কোল খালি করার অপরাধে আপনি ওইসকল আদর্শ বিভ্রান্ত থেকে বড় অপরাধী।
কি লাভ হল অভিজিৎ কে মেরে??
বরং তার সমমনা যারা ছিল এতদিনে নিশ্চুপ হয়ে এখন তারা প্রকাশ্যে আদর্শ বিভ্রান্তির সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে গেল,
এখন দোষটা কি অভিজিৎ কে দিব নাকি আপনাকে??
আমি ত আপ্নাকেই দিব, কারণ অভিজিৎ শিক্ষিত নাগরিকদের পৌছানো লেভেলে
আক্রমন করেছে যা শিক্ষিতদের উচিৎ ছিল চেতনাগতভাবে মোকাবেলা করা,
এখন আপনি যে মহান কাজ করে তা তৃণমূলে পৌছে দিলেন,
এটার দায়ভার তো পুরাটাই আপনার...।।
ব্যক্তিগতভাবে আমি শিবির, ছাত্রলীগ অন্যকোন সংগঠন কে আদর্শ হিসেবে সমর্থন করিনা তার পেছনেও আমার নিজস্ব যুক্তি অকাট্য বলেই আমি মানি।
তবে মানুষ মরলে মন কাদে, সত্যিই কাদে যখন বীভৎস শরীরের প্রতিচ্ছবিটা সামনে আসে,
তখন পৃথিবীর সব যুক্তি তর্ক অসার মনে হয়।
বেচে থাকার মাহাত্ম খুজতে গিয়ে সবাইকে কোননা কোন মায়ের সন্তান মনে হয়,
উইকেট, নাস্তিক বা কুত্তা কথাগুলি মাথায় আসেনা।।
কারো অন্যায়ের শাস্তি দেওয়ার বিধান রাষ্ট্রের আছে,
কোন নির্দিষ্ট মতাদরশীদের নয়।
সেক্ষেত্রেও সেই অমোঘ বানীটা মনে রাখা দরকার
"দণ্ডিতের সাথে দণ্ডদাতা কাঁদে যবে সমানে আঘাতে সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিচার"
আর কারো মতাদর্শ ধ্বংস করার জন্য একজন মানুষ বা একটা সম্প্রদায়ের মৃত্যু কখনোই উত্তম সমাধান নয়,
বরং বাচিয়ে রেখে মতাদর্শের মৃত্যু ঘটানোর উপায় খুজতে হবে,
এটাই মানুষের কাজ এখানেই মানুষ নামের স্বার্থকতা।।
©somewhere in net ltd.