নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রলাপ

হয়তো আমি নিয়ত আবর্তনশীল এক আবদ্ধ ঘূর্ণিপাকে

রিয়াসাত মোর্শেদ খান

জিরো ডিভাইডেড বাই জিরো

রিয়াসাত মোর্শেদ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

নষ্টামির নতুন মোড়ক

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৫০

খুব বেশি পিছনে না; একটু পিছনে ফিরে তাকালেই হবে। ফেসবুক তখন নানা কনফেশন পেইজে সয়লাব। মানুষজন নানা ধরণের যে কনফেস করে ব্যাপারটা ঠিক তা নাহ। বিষয়বস্তু একটাই; ঘুরে ফিরে কে কার উপর “ক্রাশ” এবং কথিত “ক্রাশে”র নানা বিতিকিচ্ছি বিবরণ। “বিতিকিচ্ছি” বললাম কারণ এর চেয়ে বেশি বলাটা ঠিক শোভন বলে আমার মনে হচ্ছে নাহ; ছুঁচো মারতে হাত গন্ধ করে ফেলা টাইপের ব্যাপার।



জিনিসটা নষ্টামির শেষ সীমায় পৌঁছায় যখন ইনস্টিটিশন-ভিত্তিক এই কাজ শুরু হয়। এক অদৃশ্য নষ্টামির মুখে পড়ে যাই আমরা। আমাদের তথাকথিত শিক্ষা যে কতোটা অক্ষম, ব্যর্থ, কতোটা নির্লজ্জ পরিণতির শিকার তার নিকৃষ্টতর উদাহরণ এই পেইজগুলো। কারণ প্রজাতন্ত্র তার নাগরিকের জন্য যে বিদ্যা বিতরণ-কেন্দ্রের ব্যবস্থা করেছে সে বিদ্যায়তনের পাঠকরা স্বয়ং এই অরুচিকর কাজের প্রধান পাঠক এবং লেখক!



কী-বোর্ড ধরার মূল প্রতিপাদ্য এটা নাহ।



ইদানীং হর-হামেশাই ফেসবুকে ছেলেপেলের স্ট্যাটাস দেখা যায় যেখানে মেয়ে হোক কিংবা মহিলা হোক সবাইকে “পাখি”-সহ আরো নানা লালসাময় নামে অভিহিত করা হয় এবং তারা যে কত নিপুণতার সাথে এই পাখি দর্শন করলো, কয়জনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলো, কতজনের দিকে কতক্ষণ তাকিয়ে ছিলো, এবং কতজনকে তারা কতভাবে কামনা করে তার বিশদ বিবরণ থাকে। বিষয়টাকে আরো ভালোভাবে বোঝানো যেত কিন্তু আগেই বলেছি কী-বোর্ড গন্ধ করার ইচ্ছে আমার নেই।



ব্যাপারটা হলো এই যে- মানুষ তার যৌনতা, লালসা, কামনা যেন লাভার মতো জনসম্মুখে উদগীরন করে যাচ্ছে যেনো এতে কোন লজ্জা নেই; কোন সংকোচ নেই। নেই কোন অনুশোচনা কিংবা বিব্রতবোধ। যখন কোন কিছু ক্রমে ক্রমে সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়ায় কিংবা ট্র্যাডিশনে পরিণত হয় তখন সমাজে তা নিত্যকার বিষয়ের অংশ হয়ে যায়। এখন যেটা আমার কাছে অশোভন বা নষ্টামি বলে মনে হয় তখন তা নিতান্তই ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশের মতো লাজ-লজ্জাহীন মুখোশে রূপ নেয়।



আর “কালেক্টিভ অ্যানার্কি”র চেইন বিক্রিয়া হয়তো সমাজকে গ্রাস করে তার মূল্যবোধহীনতার বিচারালায় প্রস্তুত করে। কারণ সভ্যতার(আক্ষরিক কিংবা ভাবার্থ) সাধারণ শিক্ষা চিরন্তন; মূল্যবোধ পরিবর্তিত হয় না বরং পরিমার্জিত হয়। তবে পরিমার্জনের সংজ্ঞায়ণ যেন “যুগের সাথে তাল মিলানো”কে সমর্থন না করে। কারণ চাকা শুধু সামনে নাহ; পিছনেও ঘুরতে পারে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০০

বিপ্লব06 বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। আপনার কাছে এগুলোর কোন সমাধান আছে কি?

২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০৪

রিয়াসাত মোর্শেদ খান বলেছেন: দেখুন, সমাধান কিন্তু আমরা নিজেরাই।

কারণ সমস্যা যদি আমাদের হাতেই হৃষ্টপুষ্ট হয় তবে তার সমাধানও আমাদেরই হাতে।

৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ

আপনাদের প্রজন্ম হোক আমাদের অহংকার

অনেক অনেক দোয়া আর শুভ কামনা :)

৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩১

রিয়াসাত মোর্শেদ খান বলেছেন: আরো এত্তগুলা এত্তগুলা দোয়া কইরেন :)

৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৩

এনামুল রেজা বলেছেন: ইদানিং তাও আগের চেয়ে কমেছে ব্যাপারটা।

৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫২

রিয়াসাত মোর্শেদ খান বলেছেন: কনফেশন পেইজের ব্যাপারটা হয়তো ঠিক। তবে চিন্তাধারার বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হয় নি |-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.