নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রলাপ

হয়তো আমি নিয়ত আবর্তনশীল এক আবদ্ধ ঘূর্ণিপাকে

রিয়াসাত মোর্শেদ খান

জিরো ডিভাইডেড বাই জিরো

রিয়াসাত মোর্শেদ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুভি রিভিউঃ গিফটেড হ্যান্ডস- দ্য বেন কারসন স্টোরি

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৬

“Gifted Hands- The Ben Carson Story” যতোটা না চলচ্চিত্র তার চেয়ে বেশি একটা "দলিল"। দলিলটি বেড়ে ওঠার, সংগ্রামের, প্রতিকূলতার, তার সঙ্গে লড়াইয়ে সফলতার এবং ইতিহাসের। নায়ক বেঞ্জামিন কারসন নামের এক নিউরোসার্জন।

এ চলচ্চিত্রের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক তার সংলাপ। প্রতিটি কাহিনীর প্রেক্ষাপটে ছোট্ট “বেনি” আর তার মায়ের কথোপকথন অনেকখানি অনুপ্রেরণার আর মাঝেমাঝে তার চেয়ে বেশি আশ্বাসের।

“I’m a dumb boy, mother”

-“No, you ain’t. You are a smart kid. You just ain’t using your smartness”

-“You can do anything anyone can do. But only you can do it better”

-“Just use your imagination. You just got to see beyond what you can see.”

“Everything in the world is there, Benne”

কথাগুলো শুধুমাত্র কোন সিনেমার সংলাপ না বরং একজন মায়ের তার সন্তানের প্রতি প্রবল বিশ্বাসের আর আমাদের মতো দর্শকের জন্য একজন দৃঢ়প্রত্যয়ী মায়ের প্রতিচ্ছবি; যে মা বিশ্বাস করেন তার ছেলেকে দিয়েই হবে, যে মা বিশ্বাস করেন তার ছেলেই সবচেয়ে ভালোটা করতে পারে আর যে মা তার বিশ্বাস সঞ্চারণ করতে পারে তার ছেলের মাঝে যার মধ্যে নিহিত থাকে একজন বিশ্ববরেণ্য মনীষী হওয়ার বীজ। আর এ কথাগুলো ছোট্ট বেঞ্জামিন বিশ্বাস করতে শিখেছে; আর এ বিশ্বাসই হয়তো তার বড় হওয়ার কিংবা বড় কিছুর চিরউৎস।

সিনেমার প্রথম দিক থেকে দেখানো হয় লেখাপড়ায় অমনোযোগী এক ছাত্রকে যে “এফ” গ্রেড পাওয়াকে তার কন্সট্যান্ট রেজাল্ট বানিয়ে ফেলেছে! আর তারপর তার মায়ের অনুপ্রেরণাদায়ী একের পর এক বক্তব্য, নিজের উপর বিশ্বাস তাকে পরিচালিত করে হাই স্কুলের এইটথ গ্রেডের বেস্ট স্টুডেন্ট হিসেবে।

অবশ্য এর মধ্যে তার মায়ের এক প্রফেসরের বাসায় কাজ নেয়ার প্রেক্ষিতে বইয়ের এক উন্মুক্ত জগতের সাথে পরিচিত হওয়া আর তারপর সেই জগত বেঞ্জামিন আর তার বড়ভাই কার্টসের মাঝে ঢুকিয়ে দেয়া- সবমিলিয়ে সেই “ডাম্বেস্ট কিড”- বেঞ্জামিনকে পরিণত করে “স্মার্ট স্টুডেন্ট” এ।

এরপর পরিচালক দেখান তথাকথিত মহান আমেরিকার ভিন্ন রূপ-“বর্ণপ্রথা”। যার শিকার হন “কালো” কিশোর বেন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এক শিক্ষকের বর্ণবাদী কথার শিকার হয়ে বেঞ্জামিন স্কুল ছাড়ে আর নতুন স্কুলে গিয়ে পড়ে অসৎসঙ্গে; যা পরবর্তীতে এক সহপাঠীকে ছুরিকাঘাত করা পর্যন্ত গড়ায়। সৌভাগ্যক্রমে সে ছুরি বেল্টের বাকলসে লেগে ফিরে এলে ভীত বেঞ্জামিন বাসায় এসে বাইবেল বুকে জড়িয়ে ধরে আর সৃষ্টি করে এ ছবির অন্যতম এক অনুপম দৃশ্যের। এক ক্ষমাপ্রার্থী কিশোর তার ক্রোধ থেকে পরিত্রাণের আশায় বাইবেল থেকে ভার্স উচ্চারণ করছে- এর চেয়ে ক্লাসিক দৃশ্য আর কি-ই বা হতে পারে!! অবশ্য এটা এ ছবির একটা উল্লেখযোগ্য দিক- সৃষ্টিকর্তার প্রতি আনুগত্য-বিশ্বাস; যার প্রতিফলন দেখতে পাই যখন তিনি নিজেই বলেন “I daily say my prayer”!

যাই হোক, বেঞ্জামিন কলেজ পাস করে যখন জন হপকিন্সে অ্যাডমিশন-ইন্টার ভিউতে যায় সেখানে এ চলচিত্রের আরেক সার্থক “সংলাপ-দৃশ্য”। প্রফেসরের প্রশ্নের জবাবে সে কেন ব্রেইন-ডক্টর হতে চায়

“It’s a miracle. There’s not a lot of faith among the physicians. But the fact is there’s still so many things we just can’t explain. I believe we all are capable of performing miracles., up here(marking the head!). I believe we all are blessed with astonishing gifts and skills. “

এরপর তার করা এক অপারেশন কোন সুপারভিশন ছাড়া যা তার পুরো ক্যারিয়ারকেই হুমকির মুখে ফেলে দিতে পারে এমন দু;সাহসী কাজ আমাদের সামনে একজন নৈতিক “Dr. Carson” কে-ই তুলে ধরে। এরপর আরেকটি দুঃসাহসী অপারেশন। আর এরই মাঝে তার নিজের বাচ্চার মৃত্যু- ব্যক্তি কার্সনকে এক অসহ যন্ত্রনায় ফেলে দেয় আর এরই মাঝে যখন একজন ডক্টরের স্ত্রী বলেন “Your patients need you”!! হয়তো চোখের পান আটকানো একটু কষ্টই হয়ে যায়।

এরপর সেই বিখ্যাত অপারেশনের জন্য ডাক্তারের প্রস্তুতি। সিনেমা শুরু হয়েছিলো একই মাথার টুইনের অপারেশন নিয়ে যার জন্য তাকে ডাকা হয় সুদূর পশ্চিম জার্মানী থেকে। আর তারপর থেকেই শুরু হয় তার বেড়ে ওঠার বৃত্তান্ত......

এরপর আর কি!! ইতিহাস কিংবা পরিসংখ্যানকে মিথ্যা প্রমাণ করে আবার তার সফলতা আর দিনশেষে একজন সফল মায়ের তৃপ্তিমুখের হাসি যিনি বলেন “So Proud of my boys”!!



এইতো গিফটেড হ্যান্ডস। :)



মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুম ...
রিভিউ পড়ে দেখতে ইচ্ছে করছে ।।

শুভ কামনা :)

২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২৮

রিয়াসাত মোর্শেদ খান বলেছেন: বস্তাপচা হলিউডি-বলিউডি সিনেমার ভীড়ে কিছু কিছু ঠিকই "দেখার মত" থাকে। আমার খুব ইচ্ছা এরকম "দেখার মত" সিনেমার কিছু লিস্ট তৈরি হোক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.