![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৫ আগস্টের পরে কিছু রাজনৈতিক ভুল...
১/ আওয়ামীলীগের প্রতি দয়াবান হয়ে তাদের ও তাদের বাড়িঘর পরিবার পরিজনের নিরাপত্তায় মজলুমদের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি মাত্রার বিলাসিতা।
২/ প্রশাসনে পরিবর্তন না আনা এবং আয়নাঘর সহ সকল অপরাধ দ্রুততার সঙ্গে বিশ্বের কাছে উন্মুক্ত না করা ও জুলাই আগস্ট বিপ্লবকে ধারণ না করা।
৩/ রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে প্রত্যকে তাদের রাজনৈতিক কালচারের সঙ্গে প্রপারলি মিশে যাওয়া এবং রাজনৈতিক কোন্দল।
৪/ জেনারেল ওয়াকার,রাষ্ট্রপতি সহ সকল ধরণের শীর্ষ পর্যায়ের দায়িত্বরত আওয়ামী ব্যক্তিবর্গদের সরিয়ে দিয়ে এরেস্ট না করা।
৫/ ক্ষমাতা লোভী রাজনৈতিক দলগুলো বিপ্লবকে ধারণ না করে বিপ্লবী সরকারকে সাহায্য না করে ক্ষমতার জন্য নির্বাচনের চাপ সৃষ্টি করা। এরকম আরো অনেক পয়েন্ট আছে।
৫ আগস্ট থেকে এই সময় অব্দি প্রশাসন আপনাকে যা দেখিয়েছে তা হল নম্রতা,ভদ্রতা,পরিবর্তনশীলতা,ধৈর্য। আর আওয়ামী ব্যক্তিবর্গরা দেখিয়েছেন কিভাবে শান্ত থেকে পরিস্থিতি পালটিয়ে দেয়া যায়।
যে ওয়াকার ৪ তারিখেও রাষ্ট্রের সরাসরি পক্ষে থাকার ব্যাপারে ইনিয়েবিনিয়ে কথা বলতো সেই ওয়াকারের সেনারা কিভাবে কাজ করবে তা আমাদের তখনই ভেবে রাখা উচিৎ ছিলো,প্রশাসন থেকে শুরু করে সব ব্যাপারেই। আর ঠিক এই ছয়মাসে তারা অনেক অনেক প্রমাণ,অপরাধ,তথ্য লুকিয়ে ফেলেছে। যেটার ফল তারা আগামি ১০ বছর পরে হলেও পাবে,যখন আপনার ঘাড়ে চা/পা/তি কিংবা গু/লি থাকবে,অথবা ফাঁ/সি/র দড়ি।
স/শ/স্ত্র সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ যুবলীগ সহ সকল পেইড সন্ত্রাসীদের তারা সুসংগঠিত করে ফেলেছে তাদের লুটপাটের অর্থ ভাণ্ডারের সহযোগিতা দিয়ে। ফলাফল,অ/স্ত্রে/র মুখে নাগরিক অসহায়। নির্দিষ্ট একটা সময়ের জন্য ডাইনিটা অপেক্ষা করছিলো। যখন দেখলো রাষ্ট্র ও তার নাগরিকরা তাদের ক্ষমতার তথা ভোটের প্রয়োজনে আওয়ামী পূনর্বাসন,অর্থের বিনিময়ে সন্ত্রাসীদের আশ্রয় ও পালিয়ে যেতে সাহায্য করা। ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে সন্ত্রাসীদের আশ্রয় ও বিলাসি জীবন ব্যবস্থা ও সেইফ এক্সিস্ট নিশ্চিত করা। কিছু আওয়ামী নেতাদেরকে জনগনের চাপ ও রাজনৈতিক কৌশলের মাধ্যমে এরেস্ট করে নামকাওয়াস্তে জেল রিমান্ডের ব্যবস্থা করা।
যখন প্রি-প্ল্যান সাকসেস হল ঠিক তখনই আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলে পড়লো তাদের সেই পুরোনো ভয়ংকর লা/শে/র রাজনীতিতে। মানুষ হ/ত্যা/র সেই বিরাজনীতি,দেশকে অস্থিতিশীল অবস্থায় রেখে নির্বাচন আদায় ও তথ্য আদায় করার সেই পুরোনো কৌশলে মেতে উঠা।
আমাদের ঘাড়ে এখন রাজনৈতিক দলগুলো চেপে বসেছে,হয় তারা আমাদেরকে মুক্তি দেবে না হয় আমাদের ফাঁসির মঞ্চে,চা/পা/তি/র নিচে রেখে নিজেরা ক্ষমতায় বসবে। আপনাদের কোন কার্যক্রম কথাবার্তা যাতে ডাইনি বুড়ির পক্ষে কাজ না করে,আপনারা যারা এখন দেশে রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ন্ত্রণ করছেন তারা যদি ফ্যাসিস্ট না হইয়া থাকেন তাইলে আপনাদের পক্ষ থেইকা জোরালো স্টেটমেন্ট চাচ্ছে রাষ্ট্র,একি টেবিলে বসে আপনারা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দেন,একি প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে।
এই রাজনৈতিক ভুলগুলোর সমাধান করা এখনো সম্ভব,এখনো সম্ভব। আপনারা কি চাচ্ছেন ভবিষ্যতের জন্য,রাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য আপনাদের কি পরিকল্পনা সেটাও আমরা জানতে চাই।
বিপ্লব জারি থাকলো
ইনকিলাব জিন্দাবাদ
২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৩৪
কামাল১৮ বলেছেন: এই আন্দোলনের নেতৃত্ব ছিলো কিছু লোকের হাতে।সুধু কিছু নিরিহ লোক মারা পরেছে।যেই একশর অধিক সমন্বয়কারী ছিলো তাদের একজনও নিহিত হয় নাই।তারা নিরাপদে থেকে সাধারণকে এগিয়ে দিয়েছে মৃত্যুর জন্য।কিছু মৃত্যু বিতর্কিত।আবু সাইদের মৃত্যু নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে।
৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৩৫
কামাল১৮ বলেছেন: ভুল লোকের হাতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:২০
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: ৫ই অগাস্টেই বিড়াট ভুল করেছে সমন্বয়কেরা এবং রাজনৈতিক দলগুলো। দরকার ছিল ডঃ ইউনুসের নেতৃত্বে বিপ্লবী সরকার গঠন। জুলাই বিপ্লবের স্টেকহোল্ডারদেরই কেবল সরকারের উপদেষ্টামন্ডলিতে নেয়া উচিত ছিল। এখনতো শুনতে পাচ্ছি ব্রিগেডিয়ার সাখোয়াত ও স্বরাস্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর চরম আওয়ামিপন্থী। অথচ এই দুইজনকেই পর্যায়ক্রমে স্বরাস্ট্র উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে!! এদের কারনেই অন্তবর্তী সরকার ব্যর্থ হতে চলেছে।