![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পেশা সাংবাদিকতা। মানুষকে সাহায্য করাটা নেশা। পছন্দ করিনা অসততা। স্বচ্ছতা নিয়ে পথচলা। সমাজের জন্য কিছু একটা করার চেষ্ঠা। সুখি সমৃদ্ধ একটি দেশের স্বপ্ন দেখা।
মোগলদের হেরেম খানা আর এখনকার ফেস বুক। একটি ধরা অন্যটি অধরা। এ্যালেক্স রেদারর্ফোডের মোগল সাম্রাজ্যের কাহিনী পড়লাম অনেকদিন পর। বাংলা বিহার উড়িষ্যা পাকিস্তান আফগান মিলে যে রাজত্ব তার অনেকাংশে জুড়েই রয়েছে নারী। সম্রাট তৈমুরের পর সম্রাট বাবর, হুমায়ন, জাহাঙ্গির এর রাজত্বের তরবারী দিয়ে যুদ্ধ আর খুন খারাবী ছাড়া যে বিষয়টি অনেকটা প্রকাশ্যে ছিল তা হলো সুন্দরী নারীদের হেরেম খানা।
জাতিতে মুসলমান, সম্রাটের নামে জুমার নামাজে খুতবা সবই হতো। কিন্ত মানা হতো না একটি বিষয় তা হলো..ইসলামে বহু বিবাহরে রেওয়াজ। তবে ইসলাম চারটি বিয়ের কথা বললেরও আমাদের সম্রাটদের ছিল একাধিক পত্নি, উপপত্নি। ছিল হেরেম খানা, যাতে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত ছিল। আবার মজার বিষয় যে, সম্রাটের একাধিক স্ত্রী গ্রহণও নারীরা মেনে নিতো। এখনকার মতোন এক নারী থাকতে অন্য নারী বিয়ে করতে হলে যে সব কুরুক্ষেত্রের সম্মুখিন হতে হতো সে সব রাজারা পেতেন না। বিয়ে করতে ইচ্ছে হলে তারা বিয়ে করতো। তবে ঐ নারী হতে হতো কুমারী বয়স ১৫ থেক ১৭ বছরের মধ্যে। সুন্দরী নারীদের সাথে সম্রাটের আরাম দায়ক বিছানায় সঙ্গম হচ্ছে কিনা তাও দেখতেন সবাই। বিশেষ করে সম্রাটের মা, বোনরা। প্রথম সঙ্গমে নারীর রক্তক্ষরন হয়েছে কিনা যাছাই বাছাই হতো। আর সম্রাটের ইচ্ছের উপর নির্ভর করতো নারীদের ভোগের বিষয়টি। যেমন সম্রাটের কাউকে পছন্দ হয়েছে, তিনি যতি বিবাহিতাও হন তাহলে স্বামীকে খুন করে তাকে কাছে পাবার যন্ত্রনা মিটাতো রাজারা।
অনেকে আনারকলি-সেলিমের প্রেম কাহিনীর কথা শুনেছেন। এ আনারকলির সাথে বিছানায় গেছেন সম্রাট আকবর তার পুত্র সেলিমও। আনারকলিকে আনা হয়েছিল সম্রাট আকবরের মনোরঞ্জনের জন্য। সেই আনারকলিকে সম্রাট আকবরের মনোরঞ্জনের জন্য দেখে প্রেমে পড়ে পুত্র সেলিম। মানে সম্রাট জাহাঙ্গির। আনারকলিকে পাবার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়ে সেলিম। আনারকলিও ধরা দেয় সেলিমের কাছে। দু'জনের অনেক রাত কেটে যায় সুখ নিদ্রায়। কিন্ত বিষয়টি যখন জেনে যায় সম্রাট আকবর তখন তাকে জীবন্তর কবর দেয়ার জন্য আদেশ হয়। আনারকলি নির্মম মৃত্যু হলেও কিছুই হয় নি সেলিমের। তিনি কিন্ত এটাতে নিয়তি বলে ধরে নেন।
নারীকে হাতের কাছে পাওয়া সে সময়কার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি এখন ফেস বুকে। সে সময় রাজা বাদশাদের কাছ নারী হাতের কাছে পাওয়া কঠিন ছিল না। কিন্ত এখন ফেস বুকে নারীর ছড়াছড়ি। এক একজন ফেসবুক সম্রাটের কাছে অধরা আছে হাজার হাজার নারী। যাদে নিজে না দেখলেও নাম দেখাতে অসুবিধা কোথায়। আগেকার সময়ে বাস্তব সঙ্গমের পথটি এখন দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো। ফেসবুক ইন্টারনেটে এখন নারী অঙ্গের ছড়াছড়ি। কম্পিউটার মোবাইল এখন সে সময়ের জীবন্ত নারীর ভুমিকা পালন করেে চলেছে.....
©somewhere in net ltd.