নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাটির মানুষ

কাজী রিদয়

পেশা সাংবাদিকতা। মানুষকে সাহায্য করাটা নেশা। পছন্দ করিনা অসততা। স্বচ্ছতা নিয়ে পথচলা। সমাজের জন্য কিছু একটা করার চেষ্ঠা। সুখি সমৃদ্ধ একটি দেশের স্বপ্ন দেখা।

কাজী রিদয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাইকেল প্যারেন্টির কলংকিত সত্য...

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৫

মাইকেল প্যারেন্টি আমেরিকার একজন সাধারন মানুষ। জম্মের পর থেকে যখন বুঝার বয়স হলো তখন থেকে আমেরিকার দাদাগিরি দেখতে দেখতে বেশ বিরক্ত হতো। নিজের দেশের এমন সব কর্মকান্ড প্যারেন্টি পছন্দ করতো না। অন্য দেশের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে নিজের দেশে বসে আরাম আয়েশে রাজনীতিকরা বাস করেন এটি প্যারেন্টির সহ্য হতো না। তাই আমেরিকার যত কুকীূতি নিয়ে কলম ধরেন প্যারেন্টি। পত্র পত্রিকায় লিখতে থাকেন একের পর এক সরকারের সমালোচনা। এক সময় তার লেখা আমেরিকান সমাজে বেশ আলোড়ন তোলে। মার্কিন সরকারও প্যারেন্টির ব্যাপারে বেশ নড়াচড়া শুরু করেন। প্যারেন্টি তখন বিশ্ববিদ্যালয় আঙ্গিনায় পা দেয়ার চিন্তা। তার ভক্ত-অনুরাগীও অনেক হয়ে যায়। প্যারেন্টি তাদের বুঝাতে থাকেন আমেরিকান রাষ্ট্রব্যবস্থার কারনে নিজেরা তো ঝুকির মধ্যে পড়ছে তার উপর অন্য দেশে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে যুদ্ধ। ততক্ষনে অনেক দেরি হয়ে গেছে। প্যরেন্টি যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পারে তার জন্য সরকার জারী করে নিষেধাজ্ঞা। ফলে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারে নি প্যারেন্টি।
ক্ষোভ আর আমেরিকান সরকারের নানা হয়রানির মুখে প্যারেন্টি লিখেন তার ঐতিহাসিক বই 'কলংকিত সত্য'। ১৯৯৬ সালে যখন বইটি প্রকাশিত হয় তখন আমেরিকান সমাজে এটি বেশ নাড়া দেয়। রীতিমতো হৈ চৈ পড়ে যায়। আমেরিকাতে এটি বেস্ট সেলার হিসেবে গুরুত্ব পায়। ছড়িয়ে পড়ে বিদেশেও। কি আছে এই বইতে?
বইয়ে প্যারেন্টি প্রকাশ করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি বছরে ২৭ মার্কিন নাগরিক আত্মহত্যা করে। ৫ হাজার আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। ২৬ হাজার মানুষ মারা যায় ঘরের ভেতরে কোন না কোন দুর্ঘটনায়। ২৩ হাজার মানুষ খুন হয়। ৮৫ হাজার মার্কিন নাগরিক আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা হামলার শিকার হন। এদের মধ্যে মারা যান ৩৮ হাজার। যার মধ্যে রয়েছে ২ হাজার ৬০০ শিশু। ১ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন নানা রকম অপরাধের কবলে পড়ে। ১ লাখ ৩৫ হাজার শিশু স্কুলে যায় অস্ত্র নিয়ে। ৫৫ লাখ ব্যাক্তি নানা অপরাধে গ্রেফতার হন। ১ লাখ ২৫ হাজার ব্যাক্তি মাদক দ্রব্য গ্রহন করে অকালে প্রান হারায়। ৪ লাখ ৭৩ হাজার ব্যাক্তি তামাক জাতীয় দ্রব্যের শিকার হন, যার মধ্যে ৫৩ হাজারই ধুমপান করেন না। ৬৫ লাক ব্যাক্তি নিয়মিত হিরোইন সহ নানা মাদক ব্যবহার করে। ৫ হাজার অবৈধ ড্রাগ গ্রহন করে মারা যায়। প্রতি ৬ জনে ১ জন ব্যবহার করেন আবেগ নিয়ন্ত্রনকারী ড্রাগ। ২ লাখ লোককে দেয়া হয় ইলেকট্রিক শক। যাদের বেশিরভাগই মাথার যন্ত্রনায় ভোগে এবং বেশিরভাগই মহিলা। প্রতি ১০ জনে ১ জন মানসিক রোগের কারনে ডাক্তারের কাছে যায়। ১ লাখ ২৬ হাজার শিশু বড় ধরনের জম্মগত ত্রুটি নিয়ে জম্মায়। ১৪ লাখ শিশু বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। এদের বেশির ভাগই পিতা-মাতা বা নিকট আত্মীয়দের যৌন নির্যাতনের শিকার।এদের মধ্যে দেড় লাখ শিশুকে খুজে পাওয়া যায় না। নাম পরিচয়হীনভাবে অনেককে সমাধিস্থ করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মহিলা নির্যাতনের ক্ষেত্রে দ্বীতিয়। ২০ লাখ থেকে ৪০ লাখ মহিলা নির্যাতনের শিকার হন। ৭ লাখ নারী ধর্ষিতা হন। যা প্রতি ৪৫ জনে ১ জন! ১০ লাখ লোকের এইডস আছে। যাদের মধ্যে মারা গেছে আড়াই লাখ। প্রতি ৪ জন মহিলার মধ্যে ১ জন ছোটকালে যৌন নিপীড়নের দুঃসহ স্মৃতি। পরিবারের মধ্যে বসবাসকারি ১৮ লাখ বৃদ্ধ মানুষ নির্যাতনের শিকার হন। তাদের হয় বন্দী করে রাখা হয়। প্রয়োজনের তুলনায় খাবার কম দেয়া বা প্রহার করাও হয়।
প্যারেন্টি উল্লেখ করেন, এসব তথ্য সাধারনত জনসমক্ষে প্রকাশ পায় না। এমনকি মিডিয়াতেও এসব প্রকাশ পায় না। তবে বাস্তবতা অনেক কঠিন। কঠিন বাস্তবতার মাঝ দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে আমেরিকান মানুষের দিনকাল। এর ভবিষ্যত কি আরও খারাপ কত কিছু আছে তার জন্য শন্কিত সাধারন মানুষ...

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩২

কল্লোল পথিক বলেছেন: এই আমেরিকা!!!

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৮

কাজী রিদয় বলেছেন: এই আমেরিকা..

২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৭

জনাব জব্বর বলেছেন: ওনার নাম প্যারেণ্টি তো? আপনি শিওর? নাকি প্যাণ্টি থেকে নিজের নাম প্যারেন্টি করে নিয়েছেন?

আমেরিকানদের যা চালচলন, কিছুরই ঠিক নাই!

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৯

কাজী রিদয় বলেছেন: জব্বর বলেছেন জনাব জব্বর...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.