নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাটির মানুষ

কাজী রিদয়

পেশা সাংবাদিকতা। মানুষকে সাহায্য করাটা নেশা। পছন্দ করিনা অসততা। স্বচ্ছতা নিয়ে পথচলা। সমাজের জন্য কিছু একটা করার চেষ্ঠা। সুখি সমৃদ্ধ একটি দেশের স্বপ্ন দেখা।

কাজী রিদয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেসবুক নিষিদ্ধ দেশে দেশে...

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬

ফেসবুক সাধারন মানুষের কাছে নায়কের মতোন হলেও সরকারের কাছে ক্ষেত্রবিশেষে ভিলেন হয়ে যায়। তাই ইরাক, তুরস্ক, পাকিস্তান, চীন, ইরান, ভিয়েতনাম, তাজিকিস্তান, সিরিয়া, উত্তর কোরিয়া, মিশরসহ নানা দেশে বিভিন্ন সময় ফেসবুক নিষিদ্ধ ছিল। পরে আবার অনেক ক্ষেত্রে চালু করা হলেও অনেক দেশে হয়নি। বাংলাদেশে যখন ফেসবুক একবার বন্ধ হলো এবার সরকার টম এন্ড জেরির মতোন আচরণ করবে। ফেসবুক বন্ধ আর খোলা হবে। হয়তো আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ফেসবুক খুলে দেয়া হবে। বাংলাদেশে অবশ্য এমন কোন পরিস্তিতি সৃষ্টি হয়নি যার জন্য সারাজীবন ফেসবুক বন্ধ থাকবে। ফেসবুক কতৃপক্ষের সাথে বিভিন্ন দেশের চুক্তি রয়েছে। গত তিন ধরে ফেসবুকের লোকজন বাংলাদেশে এসে যা করেছেন তা তারা অনেক দেশেই করেছেন। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যখন গণ আন্দোলন চলছিল তখন থেকেই অনেক দেশ সচেতন হয়ে গেছে। ফেসবুকের মাধ্যমেও যে গণ জাগরণ সৃষ্টি হতে পারে এমন উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন দেশে। ফেসবুকের উপর সবচেয়ে বেশি ক্ষুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সরকাররা। তাইতো মিশরে ২০১১ সালে ফেসবুক বন্ধ করে দেয়া হয়। পরিস্থিতি অনুকুলে এলে তা আবার খুলে দেয়া হয়। ইরানের সাধারন মানুষ ফেসবুকের স্বাদ পাচ্ছে না। ২০০৯ সাল থেকে যখন ইরানের আশপাশের দেশগুলোতে ডিজিটাল বিপ্লব চলছিল তখন সরকার ফেসবুক বন্ধ করে দেয়। আজও যা খোলা হয় নি। ইরানের সাধারন মানুষকে সরকার থেকে বুঝানো হয়েছে ফেসবুক খোলা থাকলে তথাকথিত আরব বসন্ত ইরানের উপরও চড়াও হবে।
যে সিরিয়াকে নিয়ে এখন এত টানাটানি হচ্ছে সে সিরিয়ার আসাদকে ক্ষমতা থেকে নামানোর জন্যও ফেসবুক আন্দোলন শুরু হয়। কিন্ত বুদ্ধি করে আসাদ সরকার ফেসবুক বন্ধ করে দেয়। টানা ৪ বছর বন্ধ রাখার ফেসবুক আবার খুলে দেয়া হয়। তাও আবার নজরদারীর মাধ্যমে চলছে। ইরাকে আইএস উত্তেজনার কারনে ফেসবুক বন্ধ করে দেয়া হয়। ইরাকের জনগন এখন ফেসবুকের স্বাদ পাচ্ছে না। গত জুলাই মাস থেকে ইরাকে ফেসবুক বন্ধ রয়েছে।
এবার আসি চীনের কথায়। বর্তমানে চীন পৃথিবীর অন্যতম উন্নত রাষ্ট্র। ফেসবুকের ঢেউ সারা বিশ্বে চীন থেকে সবচেয়ে বেশি লাগে। ফেসবুক চীনের মানুষকে মোহগ্রস্ত করে তোলে। ২০০৮ সালের পর থেকে চীনের ফেসবুক এত বেশি ছড়িয়ে যায় যার প্রভাব পড়ে ২০০৯ সালের দাঙ্গায়। চীনের জিংজিয়ায়ে প্রায় ২০০ মানুষ দাঙ্গায় প্রাণ হারায়। এত বেশি মানুষের মৃত্যুর জন্য ফেসবুককে দায়ী করা হয়। পরবর্তিতে চীন সরকার ফেসবুক বন্ধ করে দেয়। ২০১৩ সালে শুধুমাত্র সাংহাইয়ে ফেসবুক খুলে দেয়া হয়। তাই চীনে কেউ ফেসবুক ব্যবহার করতে চাইলে তাকে সাংহাই এ আসতে হবে। আরও মজার ব্যাপার ঘটে সুন্দর দেশ মরিশাসে। দেশটির প্রধানমন্ত্রীর নামে ভুয়া ফেসবুক খোলা এবং তাতে আপত্তিকর বিষয় সংযুক্ত করার কারনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ফেসবুক বন্ধ করে দেয়া হয়। অবশ্য তার উপদেষ্টারা তাকে বুঝিয়ে শান্ত করলে ১দিন পর তা খুলে দেয়া হয়। পাকিস্তানেও ১৪দিন ফেসবুক বন্ধ ছিল। ২০১০ সালে ফেসবুকে মহানবীকে নিয়ে বির্তকিত কাটুর্ন প্রকাশ হলে বন্ধ করে দেয়া হয় ফেসবুক। পরে ফেসবুক কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা এবং কড়া নজরদারীর মধ্যে ফেসবুক খোলা হয়।
ফেসবুক নিয়ে এখনও কোন কথা বলতে পারে না উত্তর কোরিয়ার জনগন। শুধু ফেসবুক কেন ইন্টারনেট নিয়ে বিশেষ কোন আগ্রহ দেখাতে পারে না এ দেশের জনগন্। তাই ফেসবুকসহ অনেক সামাজিক যোগাযোগ সাইট এ দেশে নিষিদ্ধ। তুরস্কেও বন্ধ রয়েছে ফেসবুক। সরকারের বিরুদ্ধে নানা বিষয় ফেসবুকে আসার পর এ বছরের শুরু থেকে সরকার ফেসবুক বন্ধ করে দেয়। ভিয়েতনামেও ফেসবুক একবার বন্ধ আবার একবার খোলা হয়। ২০০৯ সালে, ২০১৩ সালে বিভিন্ন দফায় ফেসবুক বন্ধ করে পুরো সাইটগুলোকে নজরদারীতে আনা হয়। রাশিয়াতে ফেসবুক চালাতে হলে অনেক গুলো পদক্ষেপ পার হতে হয়। এখানকার কড়া ইন্টারনেট আইনের মধ্যে চলে জনসাধারন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.