![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পেশা সাংবাদিকতা। মানুষকে সাহায্য করাটা নেশা। পছন্দ করিনা অসততা। স্বচ্ছতা নিয়ে পথচলা। সমাজের জন্য কিছু একটা করার চেষ্ঠা। সুখি সমৃদ্ধ একটি দেশের স্বপ্ন দেখা।
ফিদেল কাস্ট্রো ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শাভেজকে বেশ ভালোবাসতেন। নিজের ছেলের মতোন পছন্দ করতেন শাভেজকে। প্রায় সময় কাস্ট্রো শাভেজকে সতর্ক করে দিয়ে বলতেন, শাভেজ সতর্ক হও..ওরা প্রযুক্তির উন্নতি ঘটাচ্ছে। তুমি খুবই অসতর্ক। বিশেষ করে খাবারের ব্যাপারে সতর্ক থেকো।' কাস্ট্রোর ইঙ্গিত ছিল আমেরিকান সিআইএ'র প্রতি। ফিদেলের এ অাশঙ্কাকে সত্যি পরিনত করলো গার্ডিয়ানের একটি নিবন্ধ। শাভেজের মৃত্যুর পর প্রকাশিত নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি রাসায়নিক বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শাভেজকে। গার্ডিয়ানে প্রকাশিত নিবন্ধে সাংবাদিক রবি ক্যারল বেশ কিছু যুক্তি তুলে ধরে উল্লেখ করেন, আর্জেন্টিনার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নেস্টর কিরচনার আক্রান্ত হন কোলন ক্যানসারে', ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইগনাশিও লুলা ডি সিলভা আক্রান্ত হন থ্রোট ক্যনাসারে'। এ দুজনই মার্কিন বিরোধী বামপন্থি নেতা। সাাংবাদিক ক্যারল যুক্তি তুলে ধরে বলেন, এ দু'নেতার হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত রয়েছে মার্কিন সিআইএ। হুগো শাভেজকেও বিষ প্রয়োগে হত্যা করে সিআইএ।
সিআইএ অর্থ সেন্ট্রাল ইনটালিজেন্স এজেন্সি।' সাবর জানা এ নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে হাজার হাজার অপরাধ ও দেশ ধংসের চিত্র। নামটি এতই এখন পরিচিত যে, কোন দেশে রজনৈতিক কোন ঘটনা ঘটলে মানুষের প্রথম অনুমান যায় সিআইএর প্রতি। সারা বিশ্বে এখন চলছে সিআইএর দাপট। বিশেষ করে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে পড়ার পর রাশিয়া আর কেজিবি' কে শক্তিশালি রাখতে পারেনি। ফলে সিআইএ এখন এতই অপ্রতিরোধ্য যে তার হাতে নারী, মদ, অস্ত্র,ক্ষমতা সব কিছুই আছে। আর এসব দিয়ে সিআইএ সারা বিশ্বে অশান্তি জিইয়ে রেখেছেমানুষে মানুষে ভুল বুঝাবুঝির ফলে গড়ে উঠেছে শক্রুতা। আর সেই শক্রুতা বাচিয়ে রাখার জন্য সৃষ্টি সিআইএর। সিআইএ শুধু বাচিয়েই রাখছে না, সৃষ্টি করছে নতুন নতুন শক্রুতা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে গঠিত অফিস অব দ্যা স্ট্র্যাটেজিক সার্ভিসের উত্তরসুরি হিসেবে সিআইএর জন্ম। ১৯৪৭ সালের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট বা জাতীয় নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে সিআইএ গঠন করা হয়। সিআইএর প্রধান কাজ ছিল দেশের অভ্যন্তরীন এবং বৈদিশিক রাষ্ট্র সমুহের বিভিন্ন রাজিনিতক ঘটনাবলী সরকারকে জানানো। কিন্ত পরবর্তিতে সিআইএর কাজ এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌছে সরকারী ইলেকশনের ব্যাপারেও নাক গলাতে শুরু করে। দেশের ভেতর তো বটে বিদেশে সিআইএ প্রভাব বিস্তার শুরু করে প্রবলভাবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বহুল আলোচিত ওয়াটারগেট কেলেংকারীতে জড়িয়ে প্রেসিডেন্ট নিক্সন শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করেন। কারন নিক্সন ইমপিচমেন্টের শিকার হচ্ছেন এমন আভাস সিআইএ আগে ভাগে প্রচার করে দিয়েছে। এমনকি যে নিক্সনের আমলে সিআইএ ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে সেই নিক্সন প্রশাসনকে সিআইকে সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। নিক্সনের পরে প্রেসিডেন্ট হেনরি কিসিঞ্জার ক্ষমতায় আসার পর সিআইএর প্রভাব আরও বেড়ে যায়। ক্রমান্বয়ে সিআইএ স্পাইং কাউন্টার ছাড়াও নিজ দেশের স্বার্থে সরকারের জনমত গঠন, অপপ্রচার, গুজব সৃষ্টি করা, মানসিক যুদ্ধ তৈরি করা, ঠান্ডা লড়াই শুরু করা, গেরিলাদের অস্ত্র ও অর্থ দেয়া, ব্যাক্তিমালিকানাধীন ব্যবসায় মার্কিন ব্যবসায়ীদের প্রভুত্ব বজায় রাখা, সিআইএ পরিচালিত ছদ্ম,নামে ব্যবসা পরিচালনা, বিদেশী কুটনীতিক নানা দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে মার্কিন স্বার্থসিদ্ধি করাসহ নানা কাজে জড়িয়ে পড়ে।
সিআইএর প্রধান কাজ হলো মিথ্যা বলা। কোন কিছু অস্বিকার করা। সিআইএতে ডিরেক্টরের পদটি আছে অনেকটা কাগজে কলমে। এটির নিয়ন্ত্রন থাকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের হাতেই এবং সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো সিআইএর কাজ নিয়ে খোদ প্রেসিডেন্টই মিথ্যা বলেন! ১৯৫৮ সালে সিআইএ ইন্দোনেশিয়াতে ব্যর্থ অভ্যুথান করেছিল যা পরে ধরা পড়লেও বেমালুম অস্বিকার করে। ১৯৬১ সালে কেনেডি প্রশাসন কিউবা আক্রমনের প্রস্ততি নিয়েছিল, যখন কিউবার হাতে ধরা পড়ে তখন বেমালুম অস্বীকার করে বসে। সিআইএর সব কাজ যে সফলভাবে শেষ হয় তা নয়। অনেকাংশে ব্যর্থ হয়ে হাত গুটিয়ে নেয়। বাংলাদেশের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা ফখরুদ্দিন সরকারের ক্ষেত্রে সিআইএর হাত ছিলো এটা অনেকটা ওপেন সিক্রেট। তারা মনে করেছিলো দু'নেত্রীকে দেশ থেকে নির্বাসনে দিয়ে সিআইএর আজ্ঞাবহ একটি সরকার বাংলাদেশে বসাবে। কিন্ত হলো না। এ মিশন ব্যর্থ হলো। সিআইএর হয়ে যারা কাজ করে তারা যদি পরে ব্যর্থও হয় তাদের আমেরিকাতে সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকার ব্যবস্থা হয়ে যায়। যেমনটি হয়েছে ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনের ক্ষেত্রে।
রাশিয়া যখন একিভুত ছিল তখন রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবি বা চীনের গোয়েন্দা সংস্থা চাইনিজ সিক্রেটের সাথে সিআইএর তুলনা হতো। কিন্ত সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙ্গার পর সমাজতন্ত্রের পতনের কারনে সিআইএর সাথে বাকি দুটো আর পেরে উঠে নি। সিআইএ এ দুটো দেশের উপরও যে নজর দেয় নি তা নয়। সিআইএর হাত থেকে রক্ষা পায় নি তারাও। ১৯৫২-৬৪ সাল পর্যন্ত কেজিবি'র দাপট ছিলো প্রবল। রাশিয়ায় অবস্থানরত প্রতিটি আমেরিকান নাগরিকের কথাবার্ত টেপ থেকে শুরু করে তাদের খবরাখবর সংগ্রহে সিদ্ধহস্ত ছিলো কেজিবি। আর এ বিষয়টি সিআইএ জেনেও না জানার ভান করে থাকে। সিআইএ খোদ মস্কোতে বসে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন যন্ত্রের সাহায্যে
রাশিয়ান নতেৃবৃন্দের কথোপকথন সংগ্রহ করতো। তবে কম্যুনিষ্ট চীনের ব্যাপারে এখনও সিআইএ তেমন সুবিধা করতে পারে নি। ১৯৫০ সালের দিকে চীনের বিপ্লবের সময় জন দাউনেভ ও রচার্ড কেকটু নামের দু'এজেন্টকে সিআই্এ চীন পাঠায়। তাদের দায়িত্ব দেয়া হয় মাও সরকারের বিরুদ্ধে গেরিলা বাহিনী গড়ে তোলা। কিন্ত তারা তেমন সুবিধা করতে পারেনি। ধরা পড়ে যায় চাইনিজ সিক্রেট এর হাতে। তবে সিআইএ সবচেয়ে বেশি শিক্ষা পায় কিউবার কাচ থেকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর বসে রাজত্ব করছে কিউবার ফিদেল কাস্ট্রো। ফিদেলকে মারার জন্য সিআইএ সবচেয়ে বেশি পদক্ষেপ গ্রহণ করে। তবে কিউবার প্রশিক্ষিত সেনাদের কাছে বার বার হার মানে সিআইএ। সারা বিশ্বে সিআইএ'র যত ব্যর্থ অভিযান ছিল তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে 'অপারেশন জ্যাপাটা'। বলা হয়ে থাকে, সিআইএ
গোয়েন্দা হামলার তালিকায় বরাবরই শীর্ষস্থানে রয়েচছ এই অপারেশন। আর এ অপারেশন থেকে শুধু সিআইএ নয়,বরং সারা বিশ্বের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাও শিক্ষা গ্রহণ করে । অপারেশন জ্যাপাট সিআইএ'র জন্য একটি দুর্ধর্ষ অভিযান ছিল তা নয়,গোয়েন্দা সংস্থা হিসেবে সিআইএ কতটা কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে সেটার একটি চ্যালেঞ্জও তখন সামনে এসে দাঁড়ায়। আর এ অপারেশন জ্যাপাট হলো কিউবার ফিদেল কাস্ট্রোকে হত্যা। সমাজতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে কিউবার নাম মুছে দেয়া। এ লক্ষে ১৯৬১ সালে কিউবায় প্রায় এক হাজার ৫০০ অত্যন্ত দক্ষ সিআইএ সেনা এই অপারেশনে অংশ নেয়। কিন্ত ঘটনা হয়ে যায় উল্টো। যে ফিদেলকে মারার জন্য এত আয়োজন, সেই ফিদেলের সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়ে সিআইএর প্রায় সব সেনা। গোয়েন্দা হামলা মারাত্মক ব্যর্থ হয়। এই অপারেশনে ধরা পড়া সেনাদের নৃশংসভাবে জবাই করে হত্যা করা হয়। ক্যাস্ট্রোর ব্রিগেড সিআইএ'র হামলা সম্পর্কে আগে ভাগে জেনে ফেলেছিল। জানার পর তাদের ধরার জন্য ক্যাস্ট্রোর সেনা ব্রিগেড ফাঁদ পাতে। আর বিছানো ফাদেঁই সিআইএ পা ফেলে। সব মিলিয়ে সিআইএ'র অপারেশন জ্যাপাটা ছিল একটা লম্বা দুঃস্বপ্ন। সেই অপারেশনের ক্ষয়ক্ষতি আজও পুষিয়ে উঠতে পারেনি তারা। পরবর্তিতে সিআইএ এ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে নিজেদের আরও শক্তিশালী করতে থাকে। তারপরও কিউবার কাছে সিআইএর পরাজয় এখনও পর্যন্ত ভুলতে পারে নি।আমেরিকান সিআইএ ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শাভেজকে হত্যার অভিযোগ উঠার পর নিকোলাস মাদুরোর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে সিআইএ। এবার শুরু হয় তাকে হত্যার পরিকল্পনা। শাভেজের উত্তরসূরি হিসেবে প্রেসিডেন্ট মাদুরো ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশের জনগনকে জানানো হয়, সমাজতন্ত্রের অন্যতম নেতা শাভেজকে হত্যা করেছে সিআইএ। এবার তাকে হত্যার মিশনে নেমেছে। সিআইএ ইতিমধ্যে তাকে হত্যা করার জন্য এলসালভেদর থেকে গুন্ডা ভাড়া করেছে। দু'মার্কিন কর্মকর্তা রজার নিরেয়াগো ও অট্টো রিচের নাম উল্লেখ করে মাদুরো ঘোষনা করেন, এলসালভেদরের দক্ষিন পন্থীদের নিয়ে সিআইএ এ ষড়যন্ত্রে নেমেছে।
মাদুরো যখন এসব কথা বলছিল তখন আগুনে ঘি ঢালার মতোন মার্কিন দৈনিক 'এল নুয়েভো হেরাল্ড' চাঞ্চল্যকর একটি তথ্য প্রকাশ করে। দৈনিকটিতে উল্লেখ করা হয়, ১৯৫৪ সালে গুয়েতেমালার রাষ্ট্রপ্রধান জ্যাকোবো আরবেনেজকে চক্রান্ত করে উচ্ছেদ করে সিআইএ। ৬০ বছর আগে গুয়েতেমালার উত্তর পূর্বাঞ্চলে ওপালকা বিমান বন্দরের কাছে ঘাটি গড়ে সিআইএ এ চক্রান্ত সাজায়। ১৯৫৩ সালে ধারাবাহিক সিআইএ ষড়যন্ত্রর কাছে হার মেনে উচ্ছেদ হয় আরবেনেজ।
সে যাক, সিআইএর বিরুদ্ধে অভিযোগের যে তীরটি বড় হয়ে দেখা দেয় তা হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী রাষ্ট্রনায়কদের হত্যা। প্যারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ফার্নাদো লুগো পছন্দ করতো না যুক্তরাষ্ট্রকে। মার্কিন নীতির ঘোর বিরোধদতার কারনে লুগোকে হত্যা করার একাধিক প্রচেষ্টা চালায়। শেষপর্যন্ত তাকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ করতে সমর্থ হয় সিআইএ। এর পর যে কাজটি করে তা হলো কৌশলে তার শরীরে ঢুকিয়ে দেয়া হয় মরণ বিষ। তার শরীরে বাসা বাধেঁ মরনব্যাধি 'লিমফোমিয়া'। আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্ডেজ আমেরিকার চক্ষুশুল একজন নেতা। সিআইএর চক্রান্তে ক্রিস্টিনা আক্রান্ত হয়;থাইরয়েড ক্যান্সারে'। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট দিলমা রোসেফও আমেরিকানদের অপছন্দের মানুষ। সিঅাইএ নজর তার দিকে পড়ার পর আক্রান্ত হন 'লিমফোমিয়া'য়। কলম্বিয়ার রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট জুয়ান ম্যানুয়েল সান্ডোস আক্রান্ত হন 'প্রোস্টেট ক্যানসারে'। এভাবে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর নেতারা একের পর একের বিষের শিকার হচ্ছেন তা বেরিয়ে আসে হুগো শাভেজের মৃত্যুর পর। মাদুরো প্রকাশ্যে বলেন, আমাদের প্রিয় প্রেসিডেন্ট হুগো শাভেজকে ঐতিহাসিক শক্রুরা বৈজ্ঞানিক আঘাতে হত্যা করেছেন। শাভেজের মৃত্যুর পর মার্কিন বিরোধী নেতারা তদন্ত করতে গিয়ে প্রমান পান সিআইএ কৌশলে বিষ প্রয়োগ করে একের পর এক নেতা হত্যার মিশনে নেমেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকলেও তারা তা মানছে না। ১৯৭২ সালে বায়োলজিক্যাল এন্ড টক্সিন ওয়েপেনস' কনভেনশনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন, বৃটেনসহ বড় বড় রাষ্ট্রগুলো একমত হয়ে রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধ করার বিষয়ে একমত হন। কিন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেও তারা এ পথ বন্ধ করে নি। ম্যারিলেন্ডের পোর্ট ডেট্রিকেতে মার্কিনী আর্মি ইনটালিজেন্স ও সিআইএ স্পেশাল অপারেশন ডিভিশন ক্যানসারের জীবানু তৈরির রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি ও উন্নয়নের কাজ অব্যাহত রাখে। গোপনে চলমান এ প্রকল্পের নাম রাখা হয় 'এম কে নাওমি'। সিআইএর তত্ত্বাবধানে এ অস্ত্রের প্রথম বলি হন লাতিন আমেরিকানরা। এ প্রকল্পের কথা গোপন রাখার চেষ্টা করলেও তা এক পর্যায়ে বেরিয়ে পড়ে। ৭৭ সালে সাফল্যের সাথে এ প্রকল্পে ৬০,০০০ লিটার ক্যানসারের রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি করে শিরোনামে আসে ওয়াশিংটন। এ মার্কিন রাসায়নিক অস্ত্র কাজ করে দু"ভাবে। একটি খাদ্যের ভেতর দিয়ে মানুষের দেহে প্রবেশ করানো হয়, অন্যটি পশুর দেহের মধ্যে দিয়ে মানবদেহে প্রবেশ করে।
বলা হয়ে থাকে, সিআইএ তাদের রাসায়নিক অস্ত্র দিয়ে প্রথম যে রাষ্ট্র নায়ককে হত্যা করে তিনি হলেন এ্যঙ্গোলার প্রথম প্রেসিডেন্ট অগুমতিনো নিটো। মার্কিন কংগ্রেসের কিছু নীতির বিরোধতিা করে সিআইএর নজরে পড়েন তিনি। তার ভেতরে প্রবেশ করানো হয় মার্কিন রাসায়নিক বিষ। পরিনতিতে ক্যানসাে আক্রান্ত হয়ে ১৯৭৯ সালে মস্কোর একটি হাসপাতালে মারা যান। এরপর চিলির স্বৈরশাসন বিরোধী নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট এদুয়ার্দো ফ্রেই সিআইএর টার্গেটে পড়ে। ১৯৮২ সালে সানদিয়োগোতে রহস্যজনকভাবে তার মৃত্যু হয়। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট শাভেজের শরীরের 'পেলভিক' অংশে ক্যানসার বাসা বাধেঁ। শাবেজের মৃত্যুর পর তদন্তে ধরা পড়ে খাদ্য, পানিয় বা টুথপেস্টের মাধ্যমে তার শরীরে এ বিষ ঢুকানো হয়। কাজ পাগল বলে খ্যাত শাভেজ কখনো শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে মাথা ঘামাতেন না। বলা হচ্ছে সিআইএর সর্বশেষ বিষ প্রয়োগের বলি শাভেজ। না জানি পরবর্তি কোন টার্গেটকে কেন্দ্র করে এগিয়ে যাচ্ছে সিআইএ।
©somewhere in net ltd.