![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নাম রিদওয়ান। পিউর আকীকা দেওয়া নাম। অনেক বড় বড় স্বপ্ন দেখি। খেতে পছন্দ করি। গানও ভালবাসি। একটু অলস,বেশি না। ইচ্ছা হলেই লিখি। পছন্দের তালিকাটা বিশাল। অপছন্দের তালিকাটা খুব ছোট। খামাকা ত্যানা প্যাচান যারা তাদের অপছন্দ করি। অপছন্দ করি যারা যুক্তির বাইরে এরোগেন্স বা ওদ্ধত্যকে প্রকাশ করেন। আমার ব্লগে আসতে হবে এমন কোন কথা নেই। তবে পিলাস মাইনাস দেওয়ার আগে পোষ্টটা পড়তে হবে, এটা দাবি।\nফি আমানিল্লাহ।
“উমার যখন আমাকে পদচ্যুত করেন, আমি মর্মাহত হই। কিন্তু আমি এখন বুঝতে পারছি, উমার যা করেছেন সঠিক করেছেন। কারণ উমার শুধুমাত্র ঈমানদারদের কল্যাণ চেয়েছেন। এবং উমারের জন্য আমার মনে কোন রকম কালিমা নেই।”
যখন তিনি মৃত্যুশয্যায় তখন লোকজন তাকে দেখতে আসতো। তিঁনি তাদেরকে তাঁর হাত দেখাতেন। তাঁর শরীরে এমন এক বিঘত জায়গাও ছিলো না, যেখানে তরবারীর আঘাত ছিলো না।তিঁনি তাঁর ডান হাত দেখাতেন, তাঁর বাম হাত দেখাতেন , তাঁর বুক খুলে দেখাতেন তার ডান পা দেখাতেন।
আর বলতেন,
“ আমার দিকে দেখো, আমি শতাধিকবার দন্দ্বযুদ্ধে জড়িয়েছি। অসংখ্য যুদ্ধে অংশ নিয়েছি। আর দেখো ,আমি আমার বিছানায় মৃত্যুবরণ করছি?”
খালিদ বিন ওয়ালিদ র.তার বিছানায় মৃত্যুবরণ করছেন?
একজন বললো
“ ওহে খালিদ! ,তুমি কী বুঝতে পারোনি? যেদিন রাসুল স. তোমাকে আল্লাহর তরবারী উপাধি দিয়েছেন, সেদিন হতে যুদ্ধের ময়দানে তোমার মৃত্যুবরণ করা অসম্ভব হয়ে উঠেছে? যদি তুমি যুদ্ধের ময়দানে মুত্যূবরণ করতে তাহলে এটার মানে হতো আল্লাহর তরবারী একজন অবিশ্বাসী ভেঙ্গে ফেলেছে। আর নিশ্চয়ই আল্লাহর তরবারী কখনো ভাংতে পারে না।”
তাঁর আন্তরিক ইচ্ছা স্বত্ত্বেও খালিদ বিন ওয়ালিদ রা. তার বিছানায় মৃত্যুবরণ করেন। অথচ , মু’তার যুদ্ধে খালিদ বিন ওয়ালিদ রা. নয়টি তরবারী ভেঙ্গে ফেলেছেন।
কেন?
কারণ সেগুলো ছিলো খালিদের তরবারী।
অন্যদিকে, খালিদ রা. ছিলেন আল্লাহর তরবারী। তাই তিনি কখনও ভাঙতে পারেন না।
আর এই হলো সেই ব্যক্তি, যিনি তৎকালের দুটো সুপার পাওয়ারকে পদানত করেছেন।
আর তিঁনি তাঁর বিছানায় মৃত্যুবরণ করছেন?
কেন তিঁনি এটা নিয়ে আক্ষেপ করবেন না? কেন তিঁনি শাহাদাত চাইবেন না?
শহীদের মর্যাদা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা নিজেই দিবেন।
রাসুল স. বলেছেন,
“শহীদকে গোসল দিয়ো না। কেননা তার রক্ত আল্লাহর কাছে সাক্ষ্য দিবে। তাঁর জামা পরিবর্তন করো না, কারণ তার জামা আল্লাহর কাছে সাক্ষ্য দিবে।”
কেন খালিদ বিন ওয়ালিদ রা. শাহাদাতের মৃত্যু কামনা করবেন না?
কেন তিঁনি তাঁর রক্তকে সাক্ষ্য হিসেবে চাইবেন না?
বস্তুত , খালিদের রা. রক্ত , তাঁর জামা তাঁর শাহাদাতের সাক্ষ্য দিবেন না। কিন্তু যারা এই পর্যন্ত আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হয়েছেন, তারা প্রত্যেকে খালিদের জন্য সাক্ষ্য দিবেন। কারণ এমন কোন শহীদ পাওয়া যাবে না, যিনি খালিদ সাইফুল্লাহর রা. দ্বারা প্রভাবিত হন নি। যারা সাইফুল্লাহ রা. এর দ্বারা উজ্জীবিত হননি।
বর্ণিত হয়েছে, তিঁনি তাঁর ঘোড়া এবং তরবারী হযরত উমারের রা. কাছে পাঠিয়ে দেন। যখন হযরত উমার রা. এগুলো দেখেন, তখন তিঁনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন।
“আবু বকর , আমার চেয়ে মানুষকে ভালোভাবে চিনেছেন। তিঁনি খালিদ বিন ওয়ালিদের উত্তম গুণ সম্বন্ধে বুঝতে পেরেছিলেন।”
চিন্তা করা যায়!
এমন কোন লোক পাওয়া যাবে যে খালিদের রা. ঘোড়ায় আরোহণ করবে? এমন কেউ কি আছে যে খালিদের রা. তরবারী হাতে নেবে?না, নেই।কারণ কেউই এই জিনিসের হ্বক খালিদের রা. মতো আদায় করতে পারবে না।বর্ণিত হয়েছে,যখন খালিদ রা. মৃত্যুবরণ করেন, তখন বনু মাখযুমের নারীরা বিলাপ করা শুরু করেন। হযরত আবুবকর রা. মৃত্যুবরণ করার পর হযরত আয়িশার রা. বাড়িতে নারীরা বিলাপ করছিলো। হযরত উমার রা. এদেরকে তীব্র ভৎর্সনা করেন । এবং বিলাপ করার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
কিন্তু যখন খালিদ বিন ওয়ালিদের রা. জন্য বিলাপ করা হচ্ছিলো, তখন এক ব্যক্তি হযরত উমারের রা. নিকট এসে অভিযোগ করলেন,
“হে উমার , বনু মাখযুমের নারীরা খালিদের জন্য বিলাপ করছে”
জবাবে উমার রা. বললেন,
“তোমার মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুক। খালিদের মতো ব্যক্তিদের জন্য যারা কান্না করছে তাদের কাঁদতে দাও। ওয়াল্লাহি, পৃথিবীতে আর কোন নারী খালিদের মতো পুরুষের জন্ম দিবে না।”
এটাই হলো আমাদের পূর্বসূরীদের অবস্থা।
আর, আমরা কোথায় যাচ্ছি?فَأَيْنَ تَذْهَبُونَ [٨١:٢٦] অতএব, তোমরা কোথায় যাচ্ছ?
বলছি না যে, আমি ভালো। অথবা আমরা অন্য সবার চেয়ে উত্তম।
وَمَا أُبَرِّئُ نَفْسِي ۚ إِنَّ النَّفْسَ لَأَمَّارَةٌ بِالسُّوءِ إِلَّا مَا رَحِمَ رَبِّي ۚ إِنَّ رَبِّي غَفُورٌ رَّحِيمٌ [١٢:٥٣] আমি নিজেকে নির্দোষ বলি না। নিশ্চয় মানুষের মন মন্দ কর্মপ্রবণ কিন্তু সে নয়-আমার পালনকর্তা যার প্রতি অনুগ্রহ করেন। নিশ্চয় আমার পালনকর্তা ক্ষমাশীল, দয়ালু।
কিন্তু, আমরা কোথায় যাচ্ছি?আমরা যুবকরা আজ কোথায় যাচ্ছি।
ওয়াল্লাহি যদি আমরা খালিদ বিন ওয়ালিদের রা. দিকে তাকাই , দেখতে পাবো,চেঙ্গিস খান, নেপোলিয়ান বোনাপার্ট, তৈমুর লং, ফ্রেডরিক দি গ্রেট সবার গুণ এই এক খালিদ বিন ওয়ালিদ রা. এর ভিতর পাওয়া যাবে।
খালিদ বিন ওয়ালিদ রা. পলায়নপর বাইজেন্টাইন সৈন্যদের উদ্দেশ্য করে বলেন,
“যদি তোমরা মেঘের উপর থাকো, তাহলে আল্লাহ আমাদের উর্ধ্বে আরোহণ করাবেন, অথবা তোমাদেরকে নীচে নামাবেন , যাতে আমরা যুদ্ধ করতে পারি।”
ওয়াল্লাহি, আল্লাহ আমাদেরকে অবশ্যই বিজয়ী করবেন। আমাদের শুধু খালিদের রা. মতো মনোবল চাই।
৩০ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৪৮
রিদ্ওয়ান মাহমুদ বলেছেন: ওরা বিভ্রান্ত। কখনো ক্ষুদ্র একটি দলকে দিয়ে পুরো একটি সম্প্রদায়কে বিচার করা, অযৌক্তিকই বটে।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২| ৩০ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৯:৪৮
নিজাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাল লেখার জন্য।
৩০ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৪৯
রিদ্ওয়ান মাহমুদ বলেছেন: জাযাকআল্লাহু খাইর। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন
৩| ৩০ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:২০
রাঘব বোয়াল বলেছেন: সুন্দর পোস্ট এবং সেই সাথে পোস্টে +
৩০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:২৯
রিদ্ওয়ান মাহমুদ বলেছেন: জাযাকআল্লাহু খাইর।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৮:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
এখন বিন ওয়ালিদরা সিরিয়া, ইয়েমেন, ইরাক, আফগানিস্তান, পাকিস্তান শেষ করছে; প্রথমে অন্যদের মেরেছে, যখন অন্যদের মারতে পারছে না, ওদের সাথে পারে না, এবার নিজেরগুলোকে মারছে<