নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাধঁ জোড়ার আওয়াজ > With Great Power, Comes Great Responsibility

রিফাত হোসেন

অন্ধকার প্রভাত...............এই তো ঘুরে ফিরে দিন যায়

রিফাত হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম নিয়ে কিছু জিজ্ঞাসা, ধমীয় অনুসন্ধানই বলেন আর ক্যাচাল বলেন

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৪০

ইসলাম, গনিমতের মাল এবং আমাদের মানবতা!

১৬ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:১৪

লিংক: Click This Link

গতকাল এবং গতপরশু সামহোয়্যারে বেশ কয়েকজনার সাথে তর্কের পরে কয়েকটা বিষয়ে আমরা(ইসলাম পন্থী এবং নাস্তিকরা) একমত হলাম যে, ইসলাম ধর্মের দাসীর সাথে ছহবত, যুদ্ধবন্দিনী হিসেবে প্রাপ্ত (গনিমতের মাল) নারী এবং শিশুদের দাস বানানো এবং সেই সকল নারীদের সাথে ইসলামী কায়দায় ছহবত করা জায়েজ হয়েছে। এজন্য সেই নারীকে বিয়ে করার বা দেনমোহর দেবার প্রয়োজন পরবে না।



Click This Link



ইসলামপন্থীদের দাবী, এই সকল কর্মকান্ডের ভেতরেও মহান মানবতা লুকিয়ে আছে, ইসলামই নাকি সেই সকল যুদ্ধবন্দিনী এবং দাসী নারীদের মর্যাদা এবং সম্মানের সাথে ছহবত করেছে। এই প্রসঙ্গে তাদের যুক্তিগুলো নিয়ে একটু আলোচনা করার ইচ্ছা হচ্ছে। এই বিষয়ে আমি পুর্বে অন্য একটি ব্লগে লিখেছিলাম, সেখান থেকে কিয়দাংশ এখানে আলোচনায় আনছি।



ধর্মানুভুতি অত্যাধিক স্পর্শকাতরদের কাছে অনুরোধ, লেখাটি আপনারা এড়িয়ে যান। আর লেখাটি একটা যৌক্তিক আলোচনার যুক্তি এবং পাল্টা যুক্তি হিসেবে এসেছে, মুহাম্মদকে ঘৃণিত প্রমাণের উদ্দেশ্যে নয়। মুহাম্মদের চমৎকার কিছু ভাল কাজ রয়েছে, সেগুলোর বস্তুনিষ্ট প্রশংসা অবশ্যই করতে হবে, কিন্তু যেসকল জায়গাতে তার দুর্বলতা ছিল, সেটাও চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া একজন সৎ ইতিহাস পাঠক হিসেবে আমার কর্তব্য। ধন্যবাদ।



আমরা বাঙ্গালীরা ৭১ এ একটা যুদ্ধ করেছি। এই যুদ্ধে আমাদের দুইলক্ষের বেশি মাবোন ধর্ষিত হয়েছে পাক বাহিনীর হাতে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী বিভিন্ন কায়দায় তাদের ধর্ষন করেছে। শোনা যায়, একটা কক্ষের ভেতরে নগ্ন করে সুন্দরী যুবতী মেয়েদের রাখা হত, যেন তারা জামা দিয়ে গলার ফাঁস বানিয়ে আত্মহত্যা করতে না পারে। সেই প্রবল ধর্ষন আর অত্যাচারে আমাদের মা এবং বোনেরা আত্মহত্যার চেষ্টা করতো, কিন্তু পাক বাহিনী তাদের মরে যেতেও দিতো না, কারণ মৃত মেয়েরা ধর্ষনের উপযোগী নয়। আবার সেই পাক বাহিনী বৃদ্ধা দেখলে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যেত না, ওখানেই গুলি করে মেরে ফেলতো। কারন বৃদ্ধা রমনী ধর্ষনের উপযোগী নয়।



এই যে পাক বাহিনী এবং তাদের এদেশিয় চামচা রাজাকার আলবদরদের সীমাহীন অত্যাচার, আপনারা যদি পাক বাহিনীর সেনাদের বা রাজাকার আলবদরদের কাছ থেকে ৭১ এর ইতিহাস শোনেন, কি জানবেন আমি বলে দিতে পারি।



তারা বলবেঃ



৭১ এ দেশপ্রেমিক পাক বাহিনী পাকিস্তান এবং ইসলাম রক্ষার মহান দায়িত্ব নিয়ে পুর্ব পাকিস্তানে এসেছিল এবং এখানে আসার পরে দুষ্কৃতিকারী কিছু ভারত ও হিন্দুদের দালালদের তারা দমন করে। কিছু বাঙ্গালী সুন্দরী রমনী পাক বাহিনীর শৌর্যবীর্যে মুগ্ধ হয়ে পাক বাহিনীর জেনারেন, মেজর এবং অন্যান্য সদস্যদের প্রেমে পরে যায় এবং স্বেচ্ছায় তাদের দেহদান করে। পরবর্তীতে দুষ্কৃতিকারী মুক্তিবাহিনী এবং ভারতীয় দস্যুরা এসে সেই সকল নারীদের ধর্ষন করে এবং হত্যা করে---



রাজাকার বাহিনীও একই কথা বলবে,



৭১ এ দেশপ্রেমিক রাজাকার আলবদর বাহিনী পাকিস্তান এবং ইসলাম রক্ষার মহান দায়িত্ব নিয়ে দুষ্কৃতিকারী কিছু ভারত ও হিন্দুদের দালালদের দমন করে। কিছু বাঙ্গালী সুন্দরী রমনী রাজাকার এবং আলবদর বাহিনীর শৌর্যবীর্যে মুগ্ধ হয়ে তাদের প্রেমে পরে যায় এবং স্বেচ্ছায় তাদের দেহদান করে। ধর্ষন এবং হত্যার জন্য মুক্তিবাহিনী এবং ভারতীয় বাহিনীই দায়ী।



আপনাদের কি কথা গুলো হজম হচ্ছে?



কথাগুলা কোন বাঙ্গালীর পক্ষে হজম করা সম্ভব না। কি নারকীয় ধর্ষন আর হত্যাই না করেছে পাক বাহিনী আমাদের উপর। কিছু বর্ণনা দিতেই হচ্ছে।



ধরা পরা কোন মেয়ে গর্ভবতী হয়ে পরলে সেই মেয়ে গুলো আর ধর্ষনের উপযোগী থাকবে না। গর্ভবতী হয়ে গেলে তাকে আর ধর্ষণ করা যাবে না, তাই গর্ভবতী হয়ে গেলে তাদের এক রাতে কয়েকজন মিলে ধর্ষণ করে পেট চিড়ে ফেলত।



আবার বয়ষ্ক মেয়ে মানুষও ধর্ষনের উপযোগী নয়। তাদেরকে রাখা হত ক্যাম্পের কাজের মানুষ হিসেবে এবং দেখা হত তাদের ধর্ষন করা সম্ভব কিনা, অথবা মেরে ফেলা হত।



এমনও দেখা গেছে, স্তন ছোট বা গায়ের রঙ কালো হলে সে সব মেয়েদের একবার ধর্ষণ করেই মেরে ফেলা হয়েছে।



আপনারা সকলেই হয়ত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভালভাবে পড়েছেন, ঘটনাগুলো জেনেছেন, প্রাসঙ্গিকভাবেই বললাম।



এবারে আসা যাক মুল আলোচনায়।



আপনারা জানেন যে মুহাম্মদ ইসলাম ধর্মের ঘোষনা দেয়ার পরে তার দলে বেশ কিছু মানুষ যোগ দেয় এবং বিপুল পরিমানে মানুষ তার প্রচারিত ধর্মের বিরোধীতা করে। বিরোধীতার প্রধান উদ্দেশ্য অবশ্য ছিল রাজনৈতিক। সে সময়ে আরবের মক্কায় দুটো গ্রুপ শক্তিশালী ছিল, একটা গ্রুপের সদস্য মুহাম্মদ নবী হবার দাবী করায় অন্য গ্রুপটি নিজেদের কর্তৃত্ব হারাবার ভয়ে মুহাম্মদের প্রবল বিরোধীতা করে।



সে সময়ে মুহাম্মদের প্রবর্তিত ইসলাম এবং সে সময়ের আরবের প্যাগান, খৃষ্টান এবং ইহুদীদের ভেতরে বেশ কিছু যুদ্ধ হয়। কোন কোন সময়ে মুহাম্মদের দল জয়লাভ করে, কোন কোন সময়ে কুরাইশরা এবং বিধর্মীরা।



নতুন প্রচারিত ধর্মে যোগদানের জন্য মুহাম্মদকে বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হয়েছে, আল্লাহর নামে(নাস্তিকদের/কুরআনে অবিশ্বাসীদের মতে) তিনি তার গ্রন্থ কুরআনে বলেছেন যে ইসলামের পথে জিহাদ করলে স্বর্গে অসংখ্য(৭২+) হুর গেলমান পাওয়া যাবে, দুধের সমুদ্র থেকে শুরু করে মদের নদী এমন কিছু নাই যে মুহাম্মদ লোভ দেখান নাই। এ সকলই নতুন প্রবর্তিত ধর্মে মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্য।



মানুষ সব সময়েই দুটি জিনিষের বাধ্য- লোভ আর ভয়। মুহাম্মদ দোযখের ভয় জনগনকে এমনভাবেই দেখিয়েছেন যে সেই ভয়েই অনেক দুর্বল হ্নদয়ের মানুষ সাথে সাথে ইসলাম কবুল করে। একই সাথে ছিল ইসলামে যোগ দিলে অশ্লীল লাভের প্রতিশ্রুতি, বেহেশত নামক পতিতাপল্লী এবং সুরীখানার প্রবেশাধিকার। দুইয়ে মিলে ভালভাবেই চলছিল নতুন ধর্মের প্রসার।



কিন্তু কিছু বাস্তবিক সমস্যা দেখা দিল।



কুরাইশ এবং বিধর্মীদের সাথে যুদ্ধে গনিমতের মাল বা যুদ্ধে শত্রু সম্পত্তি ভোগ এবং দখলকে কেন্দ্র করে জিহাদীদের মধ্যে দন্দ দেখা দিল। কিছু মানুষ মুহাম্মদের কাছে জানতে চাইলো যুদ্ধে মৃত শত্রুর ফেলে যাওয়া সম্পদ, স্ত্রী, শিশু, বাচ্চাকাচ্চা, বৃদ্ধ মা বাবা, উঠ, অর্থ এগুলো ভোগ করা যাবে কিনা...



আসুন দেখি আমাদের মানবতার মহান পুজারী মুহাম্মদ এ সম্পর্কে কি বলেছে!



বেশ কিছু সাহাবী মুহাম্মদের কাছে গিয়ে জানতে চাইলো যুদ্ধে প্রাপ্ত গনমতের মালের মধ্যে নারীদের ধর্ষণ করা জায়েজ কিনা।



পরম করুনাময় আল্লা তালাহ সাথে সাথে ওহী লাজিল করে বসলেন।



“তোমাদের জন্যে অবৈধ করা হয়েছে নারীদের মধ্যে সধবাগণকে (অন্যের বিবাহিত স্ত্রীগণকেও); কিন্তু তোমাদের দক্ষিন হস্ত যাদের অধিকারী- আল্লাহ তোমাদের জন্যে তাদেরকে বৈধ করেছেন”।(সুরা ৪:২৪)





দক্ষিণ হস্ত বলতে কি বুঝায় নিশ্চয়ই বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন নাই, ডান হাত বলতে বুঝায় শক্তি প্রয়োগে প্রাপ্ত। ডান হাত শক্তি বা তলোয়ারের প্রতীক এটা নিশ্চয়ই জানা থাকার কথা।



কোরাণের ৪:২৪ নং আয়াত (সুরা নিসা)ঃ “তোমাদের দক্ষিন হস্ত যাদের অধিকারী- আল্লাহ তোমাদের জন্যে তাদেরকে বৈধ করেছেন”।



এই আয়াতের ব্যাখ্যায় জালালান বলেন- “অর্থাৎ, যাদেরকে তারা যুদ্ধের ময়দানে আটক করেছে, তাদের সাথে সহবাস করা তাদের জন্যে বৈধ, যদি তাদের স্বামীগণ দারুল হরবে জীবিতও থাকে” (দারুল হরব অর্থ- অমুসলিম রাষ্ট্র বা দেশ)।

(অর্থাৎ স্বামী জীবিত আছে, এমন যুদ্ধবন্দীও ধর্ষনের উপযোগী)



**দক্ষিন হস্তের অধিকার বা ‘মালাকুল ইয়ামিন’ বলতে বুঝায় ক্রীতদাস বা দাসী (স্লেভস কিংবা মেইডস), যা যুদ্ধবন্দী হিসেবে কিংবা বাজার হতে ক্রয়সুত্রে মুসলমানদের দখলে আসে। ক্রীতদাসী মুসলমানদের দখলে আসলে তাদের সাথে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করা বৈধ এবং সঠিক। বর্তমান যুগেও যদি কোন কাফেরদের দেশ মুসলমানদের অধিকারে আসে, এই নিয়ম পালন করা বৈধ এবং সঠিক। কারণ কোরআন রোজ কেয়ামত পর্যন্ত যেমন আছে তেমনই থাকবে, কোরআনের কোন আয়াত পালটাবার, বা সময়ের প্রয়োজনে তা সংশোধন করার অনুমুতি কাউকেই দেয়া হয় নি।



আসুন আরও কিছু আয়াত লক্ষ্য করি।



8:69 -"But (now) enjoy what ye took in war (booty), lawful and good; but fear God..."Maal-E-Ganimat"



8:67 -"It is not fitting for an Apostle that he should have prisoners of war until He thoroughly subdued the land...." (Allah insisting Prophet to kill all the prisoners, and should not keep any prisoners alive)



Sura-47:4 -"when you meet the unbelievers, strike off their heads; then when you have made wide Slaughter among them, carefully tie up the remaining captives" (মহান করুনাময় আল্লাহ তালাহ মুমিন বান্দাদের উৎসাহ দিচ্ছেন অবিশ্বাসীদের কল্লা ফেলতে, এবং তাদের মধ্য থেকে বন্দীদের দাস বানাতে)



গাজওয়ায় যেসব নারীদের বন্দী হতো, তাদের মধ্য থেকে মুহাম্মদ স্বয়ং বেশ কয়েকজনকে নিজের স্ত্রী কিংবা উপপত্নী হিসেবে নির্বাচিত করেছিলেন। সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েটিকেই তিনি নিজের জন্যে রাখতেন।



রেফারেন্সঃ সিরাত ই রাসুলাল্লাহ, ইবনে ইসহাক



স্বভাবতই মুহাম্মদের মত একজন অত্যন্ত সম্মানিত মহামানবের কাছ থেকে আমি আশা করেছিলাম যে তিনি এই ধরণের কোন কাজের সাথে নিজেকে জড়িত করবেন না, বরঞ্চ তার দলের কেউ এই কাজে লিপ্ত হলে তার বিচার করবেন, মানবতাবিরোধী এই কাজগুলো নিষিদ্ধ করবেন। কিন্তু হতাশ হয়ে লক্ষ্য করলাম, তিনি তার কিছুই করেন নি, বরঞ্চ নিজেই সেই কাজগুলো করে তার উম্মতদের উৎসাহিত করেছেন!



এমনকি তিনি নিজের জামাইদেরকেও তিনি যুদ্ধবন্দিনীদের ভাগ দিতে কসুর করেননি, হযরত আলী এবং হযরত ওসমানকেও তিনি উদারভাবে মালে গনীমৎ বন্টন করেছেন। নীচের হাদিসটিতে দেখা যাবে, কীভাবে হযরত ফাতেমার স্বামী নবী জামাতা শেরে খোদা হযরত আলী বন্দিনীর সাথে সেক্স করছেন, যে বন্দিনীকে তিনি শ্বশুরের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পেয়েছেন।



মহান আমাদের দয়াল নবী মুস্তফা। নিজের কন্যার স্বামীর সাথে সেক্স করার জন্য যুদ্ধবন্দিনী দিতে এখনকার আধুনিক পিতারও বুক কেঁপে উঠবে, কিন্তু সেই সময়েই দয়াল নবী তা দেখিয়ে দিয়ে গেছেন।



সহি বুখারিঃ ভলিউম-৫, বুক নং-৫৯, হাদিস নং-৬৩৭:

বুরাইদা কর্তৃক বর্ণিতঃ

নবী আলীকে ‘খুমুস’ আনতে খালিদের নিকট পাঠালেন (যুদ্ধলব্ধ মালের নাম খুমুস)। আলীর উপর আমার খুব হিংসা হচ্ছিল, সে (খুমুসের ভাগ হিসেবে প্রাপ্ত একজন যুদ্ধবন্দিনীর সাথে যৌনসঙ্গমের পর) গোসল সেরে নিয়েছে। আমি খালিদকে বললাম- “তুমি এসব দেখ না”? নবীর কাছে পৌছলে বিষয়টি আমি তাকে জানালাম। তিনি বললেন- “বুরাইদা, আলীর উপর কি তোমার হিংসা হচ্ছে”? আমি বললাম-“হ্যা, হচ্ছে”। তিনি বললেন-“তুমি অহেতুক ইর্ষা করছ, কারণ খুমুসের যেটুকু ভাগ সে পেয়েছে তার চেয়ে আরও বেশী পাওয়ার যোগ্য সে”।



মহম্মদের (দঃ) সবচেয়ে প্রামান্য এই জীবনচরিত ইবনে ইসহাকের লেখা সিরাত এ রাসুল্লাল্লাহ (যে রচনাকে মুসলিম বিশ্বে সর্বদা রেফারেন্স হিসেবে ব্যাবহার করা হয়) পাঠ করে আমরা জানতে পারি, হুনায়েনের যুদ্ধে এক বৃদ্ধাকে ছেড়ে দেওয়া হলো, কারণ তার মুখমন্ডল ছিল শীতল, বক্ষদেশ সমতল, সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা ছিল না তার এবং বুকে দুধের ধারা শুকিয়ে গেছে। সুতরাং ছয়টি উটের বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হলো (রেফারেন্স-ইবনে ইসহাকের সিরাত রাসুলুল্লাহ, অনুবাদ- এ. গুইলম, ১৫তম সংস্করণ।, পৃ-৫৯৩)।



এবার আসুন যুদ্ধে প্রাপ্ত গনিমতের মাল হিসেবে নারীদের গর্ভধারন বন্ধ করার জন্য মুহাম্মদের অনুসারীরা কি করতেন, গর্ভধারন করলে নারী আর ধর্ষণের উপযোগী থাকে না, সুতরাং জিহাদী সাহাবী এবং মুহাম্মদের গর্ভবতী গনিমতের মালের কোন প্রয়োজন ছিল না।



সহি বুখারিঃ ভলিউম ৭, বুক নং-৬২, হাদিস নং-১৩৭:

আবুসাইদ আল খুদরি থেকে বর্ণিতঃ

মালে গনীমত (War Booty) হিসেবে আমাদের হাতে বন্দিনী আসলে আমরা তাদের সাথে সঙ্গমের সময় যোনিদেশের বাইরে বীর্যপাত ঘটাতাম। অতঃপর এ সম্পর্কে আল্লাহর রাসুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- “তোমরা কি সত্যিই এরূপ কর”? এই প্রশ্নটি তিনি তিনবার করেন। (তারপর তিনি বলেন) - “যে সব আত্মা জন্ম নেয়ার জন্যে নির্ধারিত, সেগুলি আসবেই, পুনরুত্থানের দিন পর্যন্ত”।

একজন মহামানবের কাছ থেকে যদি আমি আশা করে থাকি, যে তিনি এই কথা শোনার সাথে সাথে ঐ জেহাদীর বিচারের ব্যাবস্থা করবেন, এবং সেই যুদ্ধবন্দিনীকে তৎক্ষণাত মুক্তি দেবেন, তাহলে কি খুব বেশি আশা করা হয়ে যায়?





জিহাদিদের উন্মত্ত ধর্ষণপ্রক্রিয়ার ফলে যদি বন্দিনীটির গর্ভসঞ্চার হয় তাহলে কী হবে? অনেক জিহাদিই চাইত না যে তাদের সেক্স-মেশিনটি তাড়াতাড়ি গর্ভসঞ্চার করে বসুক, সুতরাং তারা আজল(আজল সম্পর্কে জানতে গুগল করুন) করতো। এই প্রথা সম্পর্কে মহম্মদের (দঃ) মনোভাব ছিল ঘোলাটে, কখনও তাকে এই প্রথার বিরুদ্ধে কথা বলতে দেখা যায়, কখনও বা তাকে নিরপেক্ষ ভুমিকা পালন করতে দেখা যায়। কিন্তু কোথাও সেই যুদ্ধবন্দিনীকে সাথে সাথে মুক্তি দিতে বলতে দেখা যায় না। সেই যুদ্ধবন্দিনীর সাথে আজল পদ্ধতিতে সেক্স করলো না কোন পদ্ধতিতে, সেটা মহামানব মুহাম্মদের কাছে এত গুরুত্ত্বপুর্ণ, অথচ সেই যুদ্ধবন্দিনীটি মোটেও গুরুত্ত্বপুর্ণ নয়?



সহি বুখারিঃ ভলিউম ৯, বুক নং-৯৩, হাদিস নং-৫০৬:

আবুসাইদ আল খুদরি থেকে বর্ণিতঃ

বানুমুস্তালিক গোত্রের সাথে যুদ্ধকালে কিছু বন্দিনী তাদের (মুসলমানদের) দখলে আসে। তারা বন্দিনীদের সাথে এমনভাবে যৌনসম্পর্ক করতে চাইল যেন মেয়েগুলি গর্ভবতী না হয়ে পড়ে। সুতরাং বাইরে বীর্যপাতের বিষয়ে নবীর নিকট জানতে চাইল তারা। নবী বলেন- “এটা না করাই বরং তোমাদের জন্যে উত্তম। কারণ আল্লাহ যাকে সৃষ্টি করবেন তা লেখা হয়ে আছে, পুনরুত্থানের দিন পর্যন্ত”। ক্কাজা বলেন- “আমি আবু সাইদকে বলতে শুনেছি যে নবী বলেছেন -‘আল্লাহর আদেশে আত্মার সৃষ্টি, আল্লাহর আদেশ ছাড়া কোন আত্মার সৃষ্টি হয় না”।



সহী বুখারী হাদীস #143, page-700 :Sulaiman Ibne Harb...Aannas Ibne Malek (ra) narrated, "in the war of Khaiber after the inhabitants of Banu Qurayza was surrendered, Allah's apostle killed all the able/adult men, and he (prophet) took all women and children as captives (Ghani mateer maal).. Among the captives Safiyya Bint Huyy Akhtab was taken by Allah's Apostle as booty whom He married after freeing her and her freedom was her Mahr."



অর্থাৎ যুদ্ধে জেতার পরে আল্লাহ রাসুল সকল প্রাপ্তবয়ষ্ক মানুষকে হত্যা করলেন এবং তিনি তাদের সকল নারী এবং শিশুকে বন্দী হিসেবে নিলেন।



সহী বুখারী হাদীস (#149, page-704): Ahmed Ibne Saleh...Annas Ibne Malek narrated, "....when we told Apostle of Allah about the paragon beauty of Safiya Bint Huyay (who was newly wed and the husband was killed in the battle), then Allah's Apostle sanctioned her for himself..."



অর্থাৎ সদ্য বিবাহিতা এক নারীকে যুদ্ধবন্দী হিসেবে পাবার পরে(তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছিল যুদ্ধে) আল্লার রাসুল তাকে নিজের জন্য রাখলেন।



"সীরাত এ রাসুলাল্লাহ বই থেকে" (page 464):



"Then they surrendered, and the apostle confined them in Medina in the quarter of al-Harith, a woman of B. al-Najjar. Then the apostle went out to the market of Medina (which is still its market today) and dug trenches in it. Then he sent for them and struck off their heads in those trenches as they were brought out to him in batches. This went on until the apostle made an end of them. Among them was the enemy of Allah Huyayy b. Akhtab and Ka`b b. Asad their chief, and they were brought with their hands bound to their neck by a rope.



মহম্মদের উপপত্নীদের অধিকাংশই ছিল হয় ইহুদি নয়তো খৃষ্টান। (রায়হান, জওয়াহিরা ও সাফিয়া ছিল ইহুদি, মারিয়া কিবতি ছিল খৃষ্টান)।



মুখ এবং স্বীয় ধর্ম বাঁচাতে ইসলামপন্থীরা এখন সমস্বরে বলে উঠবেন যে মহম্মদ বড়োই দয়ালু ছিলেন, ঐসব অসহায় তরুনীদের দুঃখ দেখে তার কোমল প্রাণ কেঁদে উঠল। তাই তিনি তাদের গ্রহন করে দাসী হিসেবে বিক্রি হওয়ার হাত থেকে তাদের রক্ষা করেছেন, বা মুসলিম জেহাদীদের হাতে হত্যা হওয়া থেকে রক্ষা করেছেন(কি বিভৎস চিন্তা, মেয়েগুলোকে কেনই বা ধরা হলো, কেনই বা এত মানবতা দেখিয়ে বিছানায় নেয়া হলো?)। তারা আমাদেরকে আরও বিশ্বাস করতে বলবেন যে ঐসব বন্দিনীরা মহম্মদকে বিয়ে করে খুবই সুখী হয়েছিল কারণ মহম্মদকে দেখামাত্র তার প্রেমে মাতোয়ারা হয়ে পড়েছিল তারা। কী অবিশ্বাস্য অপুর্ব যুক্তি, কি অসাধারন মনন! মাত্র ঘন্টাকয়েক আগে যার হাতে তার স্নেহময় পিতা প্রাণ দিয়েছে, বড় আদরের ভাইটি অকালে ঝরে গেছে, প্রেমময় স্বামীর প্রিয় মুখটি অশ্বের খুরাঘাতে দলিতমথিত হয়েছে- সেই হত্যাকারীর প্রেমে সে রাতারাতি পাগল হয়ে গেল !

মুহাম্মদ যা করেছেন, সে যুগে তাই ছিল রীতি। অনেকেই করেছেন, আলেক্সান্ডার থেকে শুরু করে হিটলার-সকলেই। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে তারা কি পরম পুজনীয় হবার যোগ্যতা রাখে কিনা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট মহামানব হবার যোগ্যতা রাখেন কিনা! একবিংশ শতাব্দির দোরগোড়ায় এসে কতগুলি খোড়া যুক্তি দিয়ে সেই বন্য রীতিকে জাষ্টিফাই করা অমানবিক। মানবতার প্রতি চরম অবমাননাকর।



কাফেরদের বিরুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর পরিচালিত অভিযানের পেছনে ড্রাইভিং ফোর্স হিসেবে কাজ করেছে কাফের রমনীদের শরীরের প্রতি জিহাদিদের অপরিমিত লোভ। এতই প্রচন্ড ছিল সেই লোভ যে কাংখিত নারীটি করায়ত্ত হওয়ার পর বিন্দুমাত্র বিলম্ব সইতো না জিহাদিদের। বন্দিনীদের ঋতুস্রাবও নিবৃত্ত করতে পারতো না তাদের, তার মাঝেই বন্দিনীদের উপর চড়ে বসতো তারা। এমতবস্থায় স্বয়ং আল্লাহপাককে বাণী নিয়ে এগিয়ে আসতে হলো, ডিক্রি জারী করতে হলো যে পিরিয়ড শেষ হওয়ার পরেই কেবল বন্দিনীদের ধর্ষণ করা যাবে। এই বিষয়ে মুহাম্মদকে কিছুটা কৃতিত্ত্ব দিতে হচ্ছে, যে তিনি তাড়াতাড়ি আল্লার আয়াত নামিয়েছিলেন, না হলে তার জেহাদীগন পিরিয়ডের সময়ই মেয়েগুলোর উপরে চড়ে বসতো।



ঐসব ইসলামী সৈনিকদের যৌনতাড়না এতটাই বর্বর ও ঘৃন্য ছিল যে তারা এমনকি কোনপ্রকার গোপনীয়তা অবলম্বনেরও ধার ধারত না। এমনও হয়েছে যে স্বামীদের সামনেই বন্দিনীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে জিহাদিরা। স্ত্রীকে এক নরপশু খাবলে খাচ্ছে, বন্দী স্বামী চোখ মেলে তাই দেখছে।



পরাজিত শত্রুটির সামনেই তার স্ত্রীকে ভোগ করতে বেশী পছন্দ করত। এ এক ধরণের যৌনবিকৃতি, যার কিছু নমুনা আমরা দেখেছি একাত্তরে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়। অথবা ২০০১ এ বিএনপির বিজয়ের সময়। পাঞ্জাবি এবং পাঠান সৈন্যরা একাত্তরে বাঙালি রমনীদের উপর যা করেছে, তার পুর্ণ সমর্থন মেলে এই হাদিসগুলি হতে। ইয়াহিয়ার জল্লাদ বাহিনী একাত্তরে যা কিছুই করে থাকুক, ইসলামী শাস্ত্রের বাইরে কিছু করেনি। ইসলামের প্রাথমিক গাজওয়াগুলিতে নবীর বাহিনী ঠিক এমনটিই করত।



অনেক জিহাদিই পৌত্তলিক স্বামীটির সামনে তার স্ত্রীর উপর বলাৎকার করতে দ্বিধান্বিত ছিল। মুহাম্মদ এখানে বিপদের গন্ধ পেয়েছিলেন, তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যে জিহাদিরা যা করতে চায় তা করতে না দিলে বিপদের সম্ভাবনা আছে। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে আল্লাহ যদি এই আনন্দোৎসবের অনুমতি না দেন, জিহাদিরা বেঁকে বসতে পারে, তাদের সমর্থন শূন্যে মিলিয়ে যেতে খুব বেশী দেরী হবে না। সুতরাং নবী মহামহিম আল্লাহর মধ্যস্থতা করলেন, তরিৎগতিতে আসীম করুনাময় আল্লার আরশ থেকে মঞ্জুরি নেমে এলো। মহান আল্লাহ কাফের রমনীদের (বিবাহিতা হলেও) ভোগ করার অনু মতি প্রদান করে ধন্য করলেন জিহাদিদের। কিছু কিছু জিহাদি স্বামী বর্তমান থাকতেও বন্দিনীদের সাথে সেক্স করে এবং কেউ কেউ তা করতে দ্বিধাগ্রস্থ হয়। (সুনান আবুদাউদঃ ১১:২১৫০)।



সুনান আবু দাউদঃ বুক নং-১১, হাদিস নং-২১৫০:



আবু সাইদ আল খুদরি বলেন- “হুনায়েন যুদ্ধের সময় আল্লাহর রাসুল (দঃ) আওতাসে এক অভিযান পাঠান। তাদের সাথে শত্রুদের মোকাবেলা হলো এবং যুদ্ধ হলো। তারা তাদের পরাজিত করল এবং বন্দী করল। রাসুলুল্লাহর (দঃ) কয়েকজন অনুচর বন্দিনীদের স্বামীদের সামনে তাদের সাথে যৌনসঙ্গম করতে অপছন্দ করলেন। তারা (স্বামীরা) ছিল অবিশ্বাসী কাফের। সুতরাং মহান আল্লাহ কোরাণের আয়াত নাজেল করলেন- “সমস্ত বিবাহিত স্ত্রীগণ (তোমাদের জন্যে অবৈধ); কিন্তু তোমাদের দক্ষিন হস্ত যাদের অধিকারী (যুদ্ধবন্দিনী)- আল্লাহ তোমাদের জন্যে তাদেরকে বৈধ করেছেন”। অর্থাৎ- পিরিয়ড শেষ হলে তারা তাদের জন্যে বৈধ (৪:২৪)।



যুদ্ধবন্দিনীর সাথে সহবাস বৈধ, তবে শর্ত থাকে যে তার মাসিক স্রাব শেষ গেছে কিংবা গর্ভবতী হলে তার গর্ভ খালাস হয়ে গেছে। তার যদি স্বামী থেকে থাকে, বন্দী হওয়ার পর সে বিবাহ বাতিল বলে গন্য হবে। (কোরাণ-৪:২৪, সহি মুসলিম-৮:৩৪৩২)।



সহি মুসলিমঃ বুক নং-৮, হাদিস নং-৩৪৩২:



আবু সাইদ আল খুদরি (রাঃ) বলেছেন যে হুনায়েনের যুদ্ধকালে আল্লাহর রাসুল (দঃ) আওতাস গোত্রের বিরুদ্ধে একদল সৈন্য পাঠান। তারা তাদের মুখোমুখি হলো এবং তাদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হলো। যুদ্ধে পরাজিত করার পর কিছু বন্দী তাদের হাতে আসল। রাসুলুল্লার কিছু সাহাবি ছিলেন যারা বন্দিনীদের সাথে সহবাস করতে বিরত থাকতে চাইলেন, কারণ তাদের স্বামীরা ছিল জীবিত, কিন্তু বহু ঈশ্বরবাদী। তখন মহান আল্লাহ এ সম্পর্কিত আয়াতটি নাজেল করলেন- “এবং বিবাহিত নারীগণ তোমাদের জন্যে অবৈধ, তবে যারা তোমাদের দক্ষিন হস্তের অধিকারে আছে তাদের ছাড়া”।



বানু আল-মুস্তালিক গোত্রের বন্দিনীদের ক্ষেত্রে কয়টাস ইন্টারাপশন পালন করতে মহম্মদ অনুমতি দেননি, তবে বন্দিনীদের ধর্ষণ করার ক্ষেত্রে তার কোন নিষেধ ছিল না (৫:৫৯:৪৫৯)।







আমি জানি না মুমিন মুসলমানেরা কি ধাতু দিয়ে গড়া, কিন্তু তারা হয়তো বলে বসবে, যুদ্ধেপ্রাপ্ত নারীদের মুহাম্মদ এবং তার সাহাবীরা ধর্ষন করেনি, বন্দীনীরা স্বেচ্ছায় জিহাদীদের শক্তি/শৌর্যবীর্যে তে মুগ্ধ হয়ে দেহদান করেছেন।



কি আশ্চর্য আমাদের চিন্তাভাবনা।



তবে কি ৭১ এ যে সকল রাজাকার গনিমতের মাল বলে, শর্ষিনার পীর থেকে শুরু করে যে সকল মোল্লারা আমাদের মা বোনদের উপরে ঝাঁপিয়ে পরেছিল, সে সময়ও কি আমাদের মা বোনেরা পাকি আর রাজাকারদের বীরত্ত্বে মুগ্ধ হয়ে তাদের বিছানায় গিয়ে উঠেছিল?



বিজয়ীরাই ইতিহাস লেখে। ইসলামের ইতিহাসে সেই সকল কাফের নারীর কান্না স্থান পায় নি। তাদের ধর্ষন, তাদের রক্তের ইতিহাস কোথাও নেই, কিন্তু রয়ে গেছে মুহাম্মদের জীবনী এবং হাদিস-কোরআনের আয়াত গুলো। বিজয়ীরা অনেক রাখ ঢাক করেই লেখে, নিজেদের অমানবিক কর্মকান্ড ঢেকে রাখার জন্য, কিন্তু তারপরেও যে সকল বিষয় লেখা রয়েছে, সেটুকুই ভয়াবহ। মুসলিমরা চাইলেও এগুলো পালটে ফেলতে পারবে না। সেই সকল হাদিস কোরআনের আয়াত সামনে আনলে আমরা কি দেখতে পাই? সেই নারীদের কান্নার দাগ সেখানে দেখা না গেলেও সহজেই বোঝা যায় সে সময় কি নারকীয় ধর্ষন আর হত্যাযজ্ঞ ঘটেছিল।



কিন্তু আমাদের আধুনিক মুসলিম ভাইয়েরা বলতে শুরু করেন, সেই সকল নারীর সম্মতিতেই নাকি ছহবত হয়েছিল, ওটা মোটেও রেপ ছিল না। যেই নারীর স্বামী, সন্তান, পিতা যুদ্ধে মারা গেছে মুহাম্মদের সৈন্যদের হাতে, সেই নারীরা মুহাম্মদের অসীম বীরত্ত্বে মুগ্ধ হয়ে তাদের বিছানায় উঠে গেল, এবং ছহবত করলো, দৃশ্যটা কল্পনা করতেই কেমন যেন গা গুলিয়ে আসছে। মনে পরে যাচ্ছে পাকিদের অপপ্রচারের কথা, যে আমাদের দেশের বীরাঙ্গনারা স্বেচ্ছায় পাকিদের দেহ দান করেছিল।



আজকে যখন ইসলামপন্থীরা গনিমতের নাম দিয়ে যুদ্ধবন্দিনী ধর্ষন করে, সেই প্রেরনা তারা কোথা থেকে পায়, সেটাই আপনাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন। সৌদী আরবে আমাদের দেশের নারীদের পাঠানো হচ্ছে, একজন নারীও তার সম্ভ্রম নিয়ে ফিরবেন না বলেই আমি মনে করি, সেই দাসী/মহিলা শ্রমিকদের সম্ভ্রম লূটে নিতে সৌদী আরবের মুসলিমরা কোথা থেকে প্রেরণা পাচ্ছে সেটাই আপনাদের কাছে আমার জিজ্ঞাসা।



ইসলামপন্থীদের মুখে হয়তো আমরা শুনবো, ১৪০০ বছর আগের ব্যাবস্থা আর বর্তমান অবস্থা এক নয়। কিন্তু আমরা তো জানি ইসলামে কুরআন এবং হাদিসে যে সকল নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যে সকল পরামর্শ দেয়া হয়েছে তা সকল সময়ের জন্য প্রযোজ্য। ইসলামে নতুন করে কেউ যেমন নারী নেতৃত্ত্ব বৈধ করতে পারবে না, তেমনি এই যুদ্ধবন্দিনী/দাসী ছহবতও কেউ অবৈধ ঘোষনা করতে পারবে না।



সেই সকল কোরআন হাদিস মেনে যদি এখন শর্ষিনার পীরের মত লোকেরা আমাদের দেশের নারীদের ধর্ষন করে, তাহলে সেই দোষ কি ইসলামের উপরেও খানিকটা বর্তায় না? যেহেতু মুহাম্মদের সমস্ত কাজই প্রত্যেক মুসলিমকে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে?



আল্লাহ তা'আলা পবিত্র কুরআনে তাঁর প্রশংসা করে বলেন; নিশ্চয় তুমি মহান চরিত্রের অধিকারী। (সূরা আল কলম: ৪)



হে নবী! লোকদের বলে দাও। তোমরা যদি প্রকৃতই আল্লাহকে ভালোবাস, তবে আমাকে অনুসরণ কর, তাহলে আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের গুণাহসমূহ মাফ করে দেবেন। তিনি বড় ক্ষমাশীল ও দয়ালু। (সূরা আল-ইমরান-৩১)



মহান আল্লাপাক আমাদের নবীর জীবন অনুসরন করতে পরামর্শ দিয়েছেন। নবীর জীবনই হচ্ছে একজন মুমিনের জন্য উত্তম আদর্শ।



কৃতজ্ঞতাঃ লেখাটির অংশবিশেষ অগ্নিসেতু থেকে নেয়া হয়েছে।



পরবর্তী অংশে দাস প্রথা নিয়ে আলোচনা করা হবে। লেখাটির যেকোন যৌক্তিক সমালোচনা আমি স্বাগত জানাবো।



-------------------

-------------------



উপরের অংশটুকু ব্লগের একজনের মন্তব্য থেকে নেওয়া হয়েছে, সম্ভবত কপি পেষ্ট । কিন্তু আমি শুধু কপি পেষ্ট নয় একটু আলোচনা ও সমাধানে আগ্রহী ।



হাদীস পরিবর্তন যোগ্য তবে কোরআন শরীফ সর্বদা ও সর্বকালের জন্য অপরিবর্তনীয় । তাই কোরআনের অর্থকে বিশ্বাস করি বেশী ।



আমার দৃষ্টিতে এই সব দাস দাসী উপপত্নী ব্যতী রেখে মহানবী সা: অবশিষ্ট জীবন গ্রেট স্বীকার করি । কিন্তু দাস দাসী ও যুদ্ধ বন্দীনি নিয়ে যে ... অশ্লীলতা স্পষ্ঠ হচ্ছে ..... ... বলা যায় বিবেকে লাগছে ।

কেউ কি আমাকে এই সব ব্যাপার একটু খন্ডিয়ে দিতে পারবেন ?



গত রাতে একটু চিন্তায় পড়েছিলাম তাই মনে মনে ক্ষুত না রেখে দিলাম একটা জানার জন্য পোষ্ট । :)



তবে এটা মহানবী সা: একজন মানুষ বৈ কিছু নন । ভুল করতেই পারেন কিন্তু অনবরত ভুল শোভা পায় না । তাই কোরআন শরীফের দাস প্রথাকে সরাসরি নিষেধ করে নাই । কেন করে নাই তার হাদীসের হাদীসের গোজামিল বুঝতে নারাজ আমি, কারণ বহু ব্লগে পড়েছি .. এমনকি পর্ব ভিত্তিক পোষ্ট করে অনেকে বুঝিয়েছেন দাস প্রথা ইসলামে নিষেধ করেছে !

যদিও এর স্পষ্ঠতা কোরআনে আছে ।



মহানবী সা: যাই করবে তাই আমাকে করতে হবে সেটা আমি মানতে নারাজ, তিনি যা ভাল করেছেন তাই আমি ফলো করার আগ্রহী ।



সে একজন মেসেঞ্জার । আর সাধারন মানুষ এইটা মাথায় রাখি, হোক তিনি লিডার । যদিও আমাদের থেকে শতগুনে গুনান্বিত তিনি ।



জানি আমার চিন্তা অনেকটা নাস্তিকতা টাইপেরই. কিন্তু আমি স্বীকার করি আমি একজন আস্তিক । একজন সুপ্রীম কমান্ড এ বিশ্বাসী সে এলিয়ান আর আল্লাহ হোক । আর সব জীবন বিধান থেকে ইসলাম একটু নয় বরং অনেক সু গঠিত ।

এখন প‌্রশ্ন থাকতে পারে আমি আরও অন্য কোন জীবন বিধান স্টাডি করি কিনা !

লৌল । :) আমার আশে পাশে বিভিন্ন ধর্মালম্বী আছে তাদের দেখি ও জিজ্ঞাসা করি কৌতুহূলপ্রবন হয়ে , আর কিছুই না ।



বিজ্ঞানের অল্প কিছু শাখা অনেকটা হুবুহু মিলে যায় কোরআনের সাথে .. যেমন গ্রহ নিয়ে, নদীর জল মিশ্রন ইত্যাদি । অনেকে এটাকে মহানবী সা: অভিজ্ঞতা থেকে সৃষ্টি বলে... যাই হোক



কিছু ক্ষেত্রে দ্বিমত থেকে যায় . যেমন ইসলামের ইতিহাসে বা কোরআন বা হাদীসে সব সময় আরব অঞ্চল বা কাছাকাছি জাতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে .. আম্রিকা মহাদেশের জাতি নিয়ে কোন আলোচনাই আসে নাই । হতে পারে ইসলামের আবর্তন আরব অঞ্চলের কাছ দিয়ে প্রবাহিত হবে বলে বিধি ঠিক করেছে .. ..



মূল কথা এইটা না এগুলো উটকো সন্দেহ আরকি :)



কিন্তু সব কিছু বিনাশ করে আসে জ্বীন নিয়ে । এই বিশ্বাসটাও আছে ...

বাস্তবে ১ বার অভিজ্ঞতা হযেছে ...



এখন কথা হল .. দাস প্রথা নিয়ে. মহানবী সা: এর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে । যদিও এটি আমার চিন্তার বিষয় নয় তিনি কিভাবে তার জীবনে চলবেন কি চলবে না.. কিন্তু বাধা হয়ে দাড়ায় যখন তিনি অনুসরনীয় কেউ হয়ে থাকে !

তার একটি বড় অংশ বিরাজমান...



এই খুটির উপর ভর করেই নাস্তিকরা হাদীস ও কোরআন নিয়ে দৌড়ে নামে !



এখন কথা হল আজাইরা মিথ্যা কথা বললে মানতে পারতাম না ঠিকাছে কিন্তু কোরআন ও হাদীসের আলোকে যখন বলে তখনই মনের মধ্যে ক্যাচঁ করে উঠে । :(



আল্লাহ সঠিক পথ দেখাবে আশা করি । :)

মন্তব্য ৫৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:১০

ধমাধম বলেছেন: সোনডেহো আর পোরোসনো কোরটে নাি, েটে ইমান ধিলা হোয়ে যাবে। াপনি বেষি বেষি কুরান পোড়ান। সোব থিক হোয়ে যাবে।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:১১

রিফাত হোসেন বলেছেন: হুম...

২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:১২

ধমাধম বলেছেন: ার াপোনার বেষির ভাগ কোঠার যুকটি েকানে খোনদোন কোরা হৈচে-
Click This Link

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:২৬

রিফাত হোসেন বলেছেন: পড়েছি কিন্তু ...

**দক্ষিন হস্তের অধিকার বা ‘মালাকুল ইয়ামিন’ বলতে বুঝায় ক্রীতদাস বা দাসী (স্লেভস কিংবা মেইডস), যা যুদ্ধবন্দী হিসেবে কিংবা বাজার হতে ক্রয়সুত্রে মুসলমানদের দখলে আসে। ক্রীতদাসী মুসলমানদের দখলে আসলে তাদের সাথে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করা বৈধ এবং সঠিক। বর্তমান যুগেও যদি কোন কাফেরদের দেশ মুসলমানদের অধিকারে আসে, এই নিয়ম পালন করা বৈধ এবং সঠিক।


জবাবে ঐ জনৈক ব্যক্তি বলেন.............


কিছুক্ষণ আগে দক্ষিণ হস্তের ব্যাখ্যায় বললেন,“শক্তি প্রয়োগে প্রাপ্ত”। আবার এখানে বলছেন, ক্রীতদাস বা দাসী। ক্রীতদাসী মুসলমানদের অধিকারে আসলেই তার সাথে সহবাস বৈধ ছিল না। যদি সে তার স্বামী ছাড়া বন্দী হত, যদি সে মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া না পেত, এরপর যদি সে কারো বন্টনে পড়ত, তাহলেই কেবল আরো কিছু শর্তসাপেক্ষে ঐ নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্য সে হালাল ছিল।

বর্তমান যুগে কাফেরদের দেশ মুসলমানদের অধিকারে আসলে এ বিধান থাকবে না। কারণ এখন সব কাফেরদের দেশকে গড়পড়তা দারুল হরব বলা যায় না। আর দারুল হরব না হলে ঐ বিধান থাকবে না।

সেসব দাসীর সম্ভোগ এজন্যই বৈধ ছিল কারণ স্বামী-স্ত্রীর একজন দারুল হরবে আর একজন দারুল আমানে ছিল। উভয়ে যদি যুদ্ধবন্দী হত, তাহলে সম্ভোগ বৈধ ছিল না। দার বা দেশগত পার্থক্য হলে সেসময় বিবাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার বিধান ছিল। ফলে অন্যকে বিবাহ করা, কিংবা, অন্যের দাসী হয়ে তার দ্বারা সহবাসকৃত হওয়া বৈধ ছিল/:)

-----------------------------------------------------------------

এই যুক্তি ভাল লাগে নাই । আমি করব না সহবাস........... বৈধ আবার অবৈধ কি ? জোর যার মুল্লুক তার নাকি ? X((

৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:১৪

ডাব্বা বলেছেন: এসব বিষয়ের সমাধান এখানে পাবেন বলে বলে মনে হ্য় না। এইট পাশ মওলানায় ভর্তি ব্লগ। আর নাস্তিকদের কদর্য ভাষার আলোতে কেবল নাস্তিককূল শিরোমনি ই আলোকিত হয়।

কোন আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত আলেম বা ইসলামিক স্কলার এর সাথে কথা বলে দেখতে পারেন যদি সত্যিই চান। যদি scabies মূলক পোস্ট না হয়।

শেয়ার করতে ভুলবেন না। অপেক্ষায় থাকব।

গুড লাক্‌।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৩২

রিফাত হোসেন বলেছেন: লোল :)

আমার দৌড় আশে পাশের মানুষ পর্যন্তই যতটুকু জানতে পারি ততটুকুই লাভ বা ক্ষতি । :)

স্কলার পাব কই ? যাও আছে তারা হলেন মসিজদের সাধারন ইমাম তারা নামাজ পড়ান , আর দেখাশুনা করেন , বিনিময়ে পয়সা পান !
ভদ্র ভাষায় সেলামী পান !

তাদের থেকে গুগল টাইপের আন্সারই পাব সম্ভবত । তবে ভয় হয় প্রথমেই বাকা চোখে দেখবে এই ভেবে :(

-------------

না মোটের চুলকানী টাইপের পোষ্ট নয় । :) আপনি চাইলে একটা কোয়েরী করতে পারেন আমার অন্য পোষ্টের । আমি গোড়া তেমন কেউ না, আর নাস্তিকও না , যেটা ভাল মন হয় সেটা মেনে চলার চেষ্টা করি :)

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৩৩

রিফাত হোসেন বলেছেন: লোল :)

আমার দৌড় আশে পাশের মানুষ পর্যন্তই যতটুকু জানতে পারি ততটুকুই লাভ বা ক্ষতি । :)

স্কলার পাব কই ? যাও আছে তারা হলেন মসিজদের সাধারন ইমাম তারা নামাজ পড়ান , আর দেখাশুনা করেন , বিনিময়ে পয়সা পান !
ভদ্র ভাষায় সেলামী পান !

তাদের থেকে গুগল টাইপের আন্সারই পাব সম্ভবত । তবে ভয় হয় প্রথমেই বাকা চোখে দেখবে এই ভেবে :(

-------------

না মোটের চুলকানী টাইপের পোষ্ট নয় । :) আপনি চাইলে একটা কোয়েরী করতে পারেন আমার অন্য পোষ্টের । আমি গোড়া তেমন কেউ না, আর নাস্তিকও না , যেটা ভাল মন হয় সেটা মেনে চলার চেষ্টা করি :)

৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:১৬

রিফাত হোসেন বলেছেন: وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ النِّسَاء إِلاَّ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ كِتَابَ اللّهِ عَلَيْكُمْ وَأُحِلَّ لَكُم مَّا وَرَاء ذَلِكُمْ أَن تَبْتَغُواْ بِأَمْوَالِكُم مُّحْصِنِينَ غَيْرَ مُسَافِحِينَ فَمَا اسْتَمْتَعْتُم بِهِ مِنْهُنَّ فَآتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ فَرِيضَةً وَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا تَرَاضَيْتُم بِهِ مِن بَعْدِ الْفَرِيضَةِ إِنَّ اللّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمًا

24
এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়-এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তোমরা তাদেরকে স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য-ব্যভিচারের জন্য নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ হবে না যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ সুবিজ্ঞ, রহস্যবিদ।

وَمَن لَّمْ يَسْتَطِعْ مِنكُمْ طَوْلاً أَن يَنكِحَ الْمُحْصَنَاتِ الْمُؤْمِنَاتِ فَمِن مِّا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُم مِّن فَتَيَاتِكُمُ الْمُؤْمِنَاتِ وَاللّهُ أَعْلَمُ بِإِيمَانِكُمْ بَعْضُكُم مِّن بَعْضٍ فَانكِحُوهُنَّ بِإِذْنِ أَهْلِهِنَّ وَآتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ مُحْصَنَاتٍ غَيْرَ مُسَافِحَاتٍ وَلاَ مُتَّخِذَاتِ أَخْدَانٍ فَإِذَا أُحْصِنَّ فَإِنْ أَتَيْنَ بِفَاحِشَةٍ فَعَلَيْهِنَّ نِصْفُ مَا عَلَى الْمُحْصَنَاتِ مِنَ الْعَذَابِ ذَلِكَ لِمَنْ خَشِيَ الْعَنَتَ مِنْكُمْ وَأَن تَصْبِرُواْ خَيْرٌ لَّكُمْ وَاللّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ

25
আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি স্বাধীন মুসলমান নারীকে বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে না, সে তোমাদের অধিকারভুক্ত মুসলিম ক্রীতদাসীদেরকে বিয়ে করবে। আল্লাহ তোমাদের ঈমান সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞাত রয়েছেন। তোমরা পরস্পর এক, অতএব, তাদেরকে তাদের মালিকের অনুমতিক্রমে বিয়ে কর এবং নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর এমতাবস্থায় যে, তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে-ব্যভিচারিণী কিংবা উপ-পতি গ্রহণকারিণী হবে না। অতঃপর যখন তারা বিবাহ বন্ধনে এসে যায়, তখন যদি কোন অশ্লীল কাজ করে, তবে তাদেরকে স্বাধীন নারীদের অর্ধেক শাস্তি ভোগ করতে হবে। এ ব্যবস্থা তাদের জন্যে, তোমাদের মধ্যে যারা ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার ব্যাপারে ভয় করে। আর যদি সবর কর, তবে তা তোমাদের জন্যে উত্তম। আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়।


----------

ইসলামে সরাসরি দাস প্রথা নিষিদ্ধ হয় নাই তাই ভাল লাগে নাই । :(

৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৪১

বিদ্রোহী২০০৩ বলেছেন: খুব সুকৌশলে মিথ্যাচার করেছেন। জনাবের জন্য শুধু একটা কথাই বলব:

'তারা আল্লাহ এবং ঈমানদারগণকে ধোঁকা দেয়। অথচ এতে তারা নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে ধোঁকা দেয় না অথচ তারা তা অনুভব করতে পারে না।' বাকারা: ৯

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৫০

রিফাত হোসেন বলেছেন: আপনার মাথা মুন্ডু করেছি !

বুঝেছেন আমার ছাতার মাথা..

জানতে চাইলাম কি জানালেন কি ?


--- কোন কৌশল টৌশল আরবী ফারসি বুঝি না । .. এক আল্লাহ বিশ্বাস করি.. কিন্তু যে সব বিষয় নিয়ে মনের মধ্যে মত বিরোধ কাজ করে সেটা নিয়ে জানতে চেয়েছি, আলোচনা করতে চেয়েছি ।


করবেন না আলোচনা.. আলোচনা ... শুরু করছেন করছেন আরেক জিনিস নিয়ে ।

আমি কখন বললাম আমি আল্লাহ ও রসূল এ বিশ্বাস স্থাপন করি না ?

আপনি চোখের ডাক্তার দেখান কাজে দিবে !

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৫৪

রিফাত হোসেন বলেছেন: বিশ্বাস স্থাপন এই জন্যই করি যে আমার কাছে অন্য সব জীবন বিধান বা ধরন থেকে একে উতকৃষ্ট মনে হয় তাই ।

আমি আপনার মত অন্ধ বিশ্বাসে বিশ্বাসী নয় । একটু ভেবে চিন্তা করেই বিশ্বাস স্থাপন করেছি আর যেসব বিষয় আমি মানতে নারাজ বা গড়রাজী সে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি ।

এটা সঠিক উপরের কপি পেষ্ট এর বেশীর ভাগ অংশই জোড়া তালি দেওয়া । কিন্তু ঐ নাস্তিকের ভিউ বুঝতে বাকি নাই আমার , আর সেই ভিউ টাকেই খন্ডনের চেষ্টা করছি ।

.......... মনে হয় আল কায়েদার জিহাদ আপনাকে অনেক অনুপ্রাণিত করে !

৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৪৩

বিদ্রোহী২০০৩ বলেছেন: খুব সুকৌশলে মিথ্যাচার করেছেন। জনাবের জন্য শুধু একটা কথাই বলব:

'তারা আল্লাহ এবং ঈমানদারগণকে ধোঁকা দেয়। অথচ এতে তারা নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে ধোঁকা দেয় না অথচ তারা তা অনুভব করতে পারে না।' বাকারা: ৯

৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৪৬

বিদ্রোহী২০০৩ বলেছেন: খুব চালাক।.....তারা আল্লাহ এবং ঈমানদারগণকে ধোঁকা দেয়। অথচ এতে তারা নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে ধোঁকা দেয় না অথচ তারা তা অনুভব করতে পারে না। বাকারা: ৯

৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৩৩

দানবিক রাক্ষস বলেছেন: বেহেশত নামক পতিতাপল্লী অস্থির কথা, যেই বলেছেন না কেনো আমি তার সাথে একমত।

আমারও ঠিক একই রকম অনেক প্রশ্ন আছে, কাল একটা পোস্ট দিবো এই ব্যাপারে।

কৃতদাস বলতে সম্ভবত কাজের লোক বুঝিয়েছে , কুরানের আক্ষরিক অনুবাদ না পড়ে যদি ভাবানুবাদ পড়া হয় তবে সেটা উত্তম হবে।

একটু লক্ষ করুন, রিফাত ভাইয়ের মন্তব্যে উল্লেখিত আয়াত দুইটিতে (সুরা আন-নিসা, আয়াত ২৪,২৫) কিন্তু কথাও ধর্ষণ কিংবা ব্যাভিচারের অনুমতি দাওয়া হয়নি।

ধরুন, আমি যুদ্ধে গেছিলাম এবং যুদ্ধে পরাস্ত দলের কিছু নারীকে ধরে এনেছি এখন আমার বাড়িতে কাজের লোক দরকার আমি সেই নারীগুলকে আমার বাড়ির কাজের লোক বানিয়ে রাখলাম।
এখন একজন গরিব মুসলিম যার ভালো ঘরের মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করার যোগ্যতা নেই তখন সে বিয়ের জন্য আমার কাজের লোক (যাকে কুরানে কৃতদাস বলা হয়েছে, (আমার মতে)) তাকে বিয়ের জন্য প্রস্তাব দিবে এবং উভয় পক্ষের সম্মতি থাকলেই তখন একটি নিদিষ্ট মহরানা দিয়ে তাকে বিয়ে করতে পারবে।

আর আমার যদি পরাস্ত দলের কোন মেয়েকে একটু বেশী ভালো লেগে যায় তবে আমি তখনি ভোগ করতে পারব যখন আমি তাকে উপযুক্ত মহোরানা দিয়ে বিয়ে করব।
সুরা আন-নিসা আয়াত ২৪, আর একবার দেখে নিনি।

আমি আপনার মত একজন মানুষ যার ধর্ম নিয়ে হাজারো প্রশ্ন, তবে আমি যত টুকু ব্যাখ্যা দিছি এটা সম্পূর্ণ আমার নিজের মত কুরানের আয়াত পড়ে যতটুকু বুঝতে পেরেছি , আমি জানি না ইসলামের পণ্ডিতরা এর কি ব্যাখ্যা দিছেন।

ভালো থাকবেন।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪

রিফাত হোসেন বলেছেন: মন্তব্য. ভাল. লাগলো . তবে পতিতালয়. বলতে নারাজ আমি।
হতে পারে তা কোন উপহার. সরুপ . তারা মানুষ. ণয় অন্ন কিছু .,

মবাইল. থেকে

৯| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:০৩

রামন বলেছেন:
হাদিস বলেই সব হাদিস বিশ্বাস করতে হবে তা নয়। দুর্ধর্ষ হালাকু খান মেসোপটেমিয়া আক্রমন করে বাগদাদ লাইব্রেরি জ্বালিয়ে দিলে সেখানে থাকা ইসলামের ঐতিহ্য নিয়ে লেখা বহু গুরুত্বপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য দলিল ও হাদিস পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে প্রয়োজন হয় নতুন করে হাদিস লেখার। কিন্তু পরবর্তীতে সংগ্রহকৃত হাদিসগুলোর সবই নির্ভরযোগ্য ছিল তা নয়। কিছু কিছু হাদিসের অন্তর্নিহিত অর্থ বিকৃত করার কারণে ঐ হাদীসগুলোর সত্যতা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

যাইহোক আল্লাহ আমাদের বুদ্ধি ও বিবেক দিয়েছেন, কাজেই আমাদের উচিত বুদ্ধি ও বিবেক খাটিয়ে ভালো জিনিষগ্রহণ করা এবং খারাপগুলো বর্জন করা।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬

রিফাত হোসেন বলেছেন: ++ মন্তব্য ভাল লাগ ল .
টবে কিছু কিন্তু থেকে যায় .


মবাইল থেক্বে

১০| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৩১

মেলবোর্ন বলেছেন: আমি আরো দুটি প্রশ্ন এড করি।

ঐ লেখকের পোস্টে বাংলাদেশের যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ইসলামের ইতিহাসের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করতে বলা হয়েছে ঠিক আছে তো বাংলাদেশকে পাকিস্তান আক্রমন করেছিল বাংলাদেশ করেনি, পাকিস্তানিরা এদেশে এসে হত্যা চালিয়ে ছিল তাই না।

এবার ইসলামের ইতিহাসে যুদ্ধ গুলো দেখুন কোথায় হয়েছে মদিনায় বা মক্কার বাইরে , কারা আক্রামন করেছে মক্কার কোরাইশরা তাই না, কারা যুদ্ধ শুরু করেছে মক্কার কোরাইশ রা তো যখন আপনি কউকে আক্রমন করতে যাবেন তখন যেই নারীদের নিয়ে যাচ্ছেন যুদ্ধ পরবতীতে তাদের কি হবে তা ভেবেছেন? সেই নারীরা কি সেচ্ছেয় যু্দ্ধে যায় নি? মুসলমানরা কি কখনো আগে আক্রমন করেছে?

বাংলাদেশের নারীরা এখানেই ছিল তারা এসে আমাদের আক্রমন করেছে আমাদের নিজেদের বাচাতে আমাদের নারীরা যুদ্ধে সহায়তা করেছে বলে পাকিরা আমাদের নারীদের এমন করে এখানে দোষ পাকিদের আর সেখানে দোষ কি সেই মক্কার কোরাইশদের নয় যারা নারীদের যুদ্ধে ব্যবহার করেছে ?

আর সবার শেষে যখন মক্কা বিজয় হলো তখন কতজন যুদ্ধ বন্দিনি ধরা হয়ে ছিল কতজন কে ধর্ষন করা হয়েছিল? তখন কি বলা হয়নি ..।

মোহাম্মদ (সঃ) মক্কা বিজয়ের পর কোরআইশদের উদ্দেশ্যে বলেন : " যে আবু সুফিয়ান এর বাসায় প্রবেশ করবে সে নিরাপদ, যে অস্ত্র ফেলেদিবেসারেন্ডার করবে সে নিরাপদ, যে ঘরের দরজা বন্ধ করেছে সেও নিরাপদ " এমন ক্ষমার দৃস্টন্ত পৃথিবীতে আজো বিরল, অতুলনীয়, শুধু তাই নয় মোহাম্মদ (সঃ) আরো বলেন :

আমি তোমাদের জন্য সেই কথাই বলবো যেমনটি ইউসুফ তার ভাইদের বলেছিল " আজ তোমাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। আল্লাহ তোমাদের কে ক্ষমা করুন। তিনি সব মেহেরবানদের চাইতে অধিক মেহেরবান। "

সুবহানাল্লাহ এরচেয়ে সুন্দর , ক্ষমার, ভ্রাতৃত্বের, বন্ধনের, আদর্শের উদাহরন আর কোথায় পাবেন ইসলাম ছারা।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯

রিফাত হোসেন বলেছেন: ++ eTa ত খেয়াল আসেনাই। আস্লেই ত মক্কা বিজয় এর পর ত কুন গনিমতের বাপারে আলোচনা নাই .

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০

রিফাত হোসেন বলেছেন: Mobile thaka

১১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫০

বলশেভিক বলেছেন: আমার মনে হয় আমাদের ধর্মীয় বিধানগুলো ঠিক আছে।ধর্মকে সোসাইটির মধ্য দিয়ে প্রোপেগেইট করতে হয়।সাম্রাজ্যবাদ আর ধর্মের সম্পর্ক সিমবায়োটিক।
যেকোন সাম্রাজ্য বিস্তারের জন্য যুদ্ধ করতে হয়।আর যুদ্ধ করে যদি কিছু না পাওয়া যায় তাহলে মানুষ যুদ্ধ কেন করবে?আসলে বর্তমান সময়ের সুশীল নিয়মগুলো কাপুরুষ সমকামীরা বা ইনসেস্ট ভক্তরা লিখেছে।যেমন রুশো।(আরও অনেকগুলা আছে নাম মনে নাই)।তাই আমাদের কাছে মানবতাবিরোধী মনে হয়।কিন্ত আফগান থেকে ইরাক যুদ্ধ কোনোটাই কি শিশু হত্যা বা ধর্ষন ছাড়া হয়েছে?সুশীল নিয়মগুলো শক্তিশালী সরকার ব্যাবস্থার অভাবে কাজ করে না।আজকে যদি আমেরিকা স্টেইটগুলো স্বাধীনতা ঘোষনা করে কোথায় থাকবে তাদের কমিটমেন্ট টু হিউম্যান রাইটস?হারিকেন কাট্রিনার সময় দুর্গত মানুষকে লুট ধর্ষন এটার প্রমান দেয়।আবার সোভিয়েট ইউনিয়ন ভাংতে না ভাংতেই সেখানকার মানুষের দ্রুত অমানুষ হয়ে উঠাও।

এক্ষেত্রে ধর্ম এমবেডেড মরালিটির কাজ করে।যে মরাল কোড ছোটো সময় থেকে আমাদের মধ্যে বুটস্ট্রাপ করা হয়।


আমিও একটা রিলিজিওন দেখতে চাই উইথ আ হিউম্যান ফেইস।কিন্ত এটা
কখনোই হবে না।কেননা বিবর্তন নিয়ম একরম না।
রিয়াল ওয়ার্লডে একরম নিয়ম সকম ধর্মেই থাকবে।না থাকলেও (বৌদ্ধ)
মানুষ (জাপানিয) রা এসব নিয়মের জন্য কারন বের করবে।

এই ব্যাপারে একটা সিনেমার কথা মনে পরে গেল।আ ফিউ গুড মেন।


Judge Randolph: *Consider yourself in Contempt!*
Kaffee: *Colonel Jessep, did you order the Code Red?*
Judge Randolph: You *don't* have to answer that question!
Col. Jessep: I'll answer the question!
[to Kaffee]
Col. Jessep: You want answers?
Kaffee: I think I'm entitled to.
Col. Jessep: *You want answers?*
Kaffee: *I want the truth!*
Col. Jessep: *You can't handle the truth!*
[pauses]
Col. Jessep: Son, we live in a world that has walls, and those walls have to be guarded by men with guns. Who's gonna do it? You? You, Lt. Weinburg? I have a greater responsibility than you could possibly fathom. You weep for Santiago, and you curse the Marines. You have that luxury. You have the luxury of not knowing what I know. That Santiago's death, while tragic, probably saved lives. And my existence, while grotesque and incomprehensible to you, saves lives. You don't want the truth because deep down in places you don't talk about at parties, you want me on that wall, you need me on that wall. We use words like honor, code, loyalty. We use these words as the backbone of a life spent defending something. You use them as a punchline. I have neither the time nor the inclination to explain myself to a man who rises and sleeps under the blanket of the very freedom that I provide, and then questions the manner in which I provide it. I would rather you just said thank you, and went on your way, Otherwise, I suggest you pick up a weapon, and stand a post. Either way, I don't give a damn what you think you are entitled to.
Kaffee: Did you order the Code Red?
Col. Jessep: I did the job I...
Kaffee: *Did you order the Code Red?*
Col. Jessep: *You're Goddamn right I did!*



১২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৩

জীবনযুদ্ধ বলেছেন: তখন ছিল জাহেলী যুগ । কোরআনে এমন অনেক আয়াত আছে যেগুলো নাযিল হয়েছে তখনকার পরিস্থিতির উপর বিবেচনা করে কিন্তু অনেক মানুষ তা বুঝতে পারে না । প্রত্যেক ধর্মেই ভালোকে ভালো এবং মন্দকে মন্দ বলা হয়েছে । এখানে ধর্মের বা নবীদের কোন দোষ নাই । দোষ মানুষের মনের । স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক শেখায় না বা কোন বইয়ে উল্লেখ নাই পড়াশোনা করে বড় অফিসার হয়ে ঘুষ খেতে হয় ও অনৈতিক কাজ করতে হয় । কিন্তু মানুষ তা করছে এখানে শিক্ষক বা বইয়ের দোষ কোথায়!

১৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৮

লোপা এসহক বলেছেন:
এত কিছু?
কিছুই তো জানতাম না।

১৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪৩

পালের গোদা বলেছেন: লেখাটি কোথা থেকে নিয়েছেন লিন্ক পেতে পারি?

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৪৩

রিফাত হোসেন বলেছেন: খেয়াল. তো নাই এক্টউ. গুগল করেন . :-) :-) :-)

১৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫০

মেহেদী পরাগ বলেছেন: আমার ব্লগটা দেখে আসবেন! আপনার জন্য ইন্টারেস্টিং কিছু আছে বলে আশ্বাস দিচ্ছি! 

১৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫৫

আহসান২০২০ বলেছেন: ভাইজান কি নতুন ধর্ম খুলে বসেছেন নাকি? সত্য-মিথ্যা মিশাইয়া জগা-খিচুরি বুঝাইয়া দিলেন। আপনার নামটাতো মুসলিম। আপনি কি ইহুদী বংশের সন্তান? মুহম্মদের নাম নেয়ার সময় (সাঃ) বলতে হয় এটা তও জানেন। দুঃখতি মন্তব্য করার জন্য।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:১৫

রিফাত হোসেন বলেছেন: আপ্নি কি অন্ধ?

ভাল করে পড়ে দেখেন . ঊপরের অর্ধেক লেখা কপি করা তাই নাস্তিক লেখে নাই। আমার নিজের লেখা নিছে .পড়ে দেখুন।


টেব থেকে

১৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০০

সবুজ সাথী বলেছেন: বালপুস্ট।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:০৯

রিফাত হোসেন বলেছেন: বুঝতে ভুল কর্লে . . .

১৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২২

মূসা আলকাজেম বলেছেন:
বুঝাই যাচ্ছে যে আপনি সমাজের পূজা করেন। আপনার কাছে ভালো মন্দের কোন যুক্তি সঙ্গত মাপকাঠি নেই। অন্ধ গোড়ামীর চিপা গলি থেকে বেড় হয়ে আস্তে হলে আমার নীচের তিনটি পোষ্ট কমেন্টগুলো সহ পড়ুন।

View this link


ভালো খারাপ ঠিক করতে গিয়ে ঐতিহাসিকরা যেসব ঐতিহাসিক ভুল করে।


নারী অধিকারের কথা বলে নারীদেরকে প্রকাশ্যে রাস্তায় ভোগ করার পরিকল্পনা।


بسم الله الرحمن الرحيم

সকল প্রশংসা আল্লাহর। অসংখ্য দরুদ নাযিল হোক তাঁর নবীর উপর বারবার।
ভালো মন্দের চূড়ান্ত মাপকাঠি হলো একমাত্র ধর্ম


১-এই কাজটা ভালো। এই কথার কি অর্থ ? উত্তর এলো, ভালো মানে হলো এটা একটি উত্তম কাজ।
২-উত্তম কাজ ! এর মানেই বা কি? উত্তর এলো, আরে উত্তম মানে আবার কি? মানে হলো এটা ন্যায়।
৩-এ্যা! ন্যায়! এই ন্যায় মানে কি? উত্তর এলো, ন্যায় মানে,... ন্যায় মানে এটা করা উচিৎ।এটা ভালো।
৪-আরে ভাই আপনি ঘুরে ফিরে এক কথাই বলছেন। বাদ দেন সংজ্ঞা। আসল কথা জিজ্ঞাসা করি।এটা করা উচিৎ , এই কথা আপনাকে কে বলেছে? আপনি বা অন্য কেউ বললেই আমাকে সেটা মানতে হবে কেন? আর ধরেন মানলাম উচিৎ, তো, তাতে কি হয়েছে? উচিৎ হলে করতে হবে ,অনুচিত হলে করা যাবে না, এই বাধ্যবাধকতা কে আরোপ করলো? আপনি বা সমাজ বললেই আমাকে মানতে হবে কেন? ........................
এই এক ঝগড়া, ভালো খারাপ নিয়ে, চলে আসছে অনেক আগে থেকে। ভালো খারাপ কাকে বলে? কিভাবে আমরা বুঝবো যে কোন কাজটা ভালো আর কোন কাজটা খারাপ? কি হবে এর মানদণ্ড ? কে নির্ধারণ করে দিবে এই মানদণ্ড?

এই প্রশ্নগুলোর উত্তর যাই হোক, তার আগে আসেন আমরা দেখি মানুষ মোট কয়ভাবে ভালো খারাপ নির্ণয় করে। কোন কিছু ভালো বা খারাপ আমরা বিবেচনা করি মোটামুটি চারভাবে।(কোনটা ঠিক আর কোনটা বেঠিক সে প্রশ্ন আপাতত থাক।)

১।ধর্মীয় মানদণ্ডঃ বিশ্বাসীরা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ভালো মন্দ বিবেচনা করে । ধর্ম যেটাকে ভালো বলেছে তারা সেটাকে ভালো বলে,এবং ধর্ম যেটাকে খারাপ বলেছে সেটাকে তারা খারাপ বলে।

২।নাস্তিকদের মানদণ্ডঃ নাস্তিকরা নাস্তিক্যবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে ভালো মন্দ বিচার করে। তারা যেহেতু ধর্মকে মানে না,তাই ধর্মীয় আদেশ নিষেধের কোন মূল্য তাদের কাছে নেই। আর সামজিক দৃষ্টিকোণকে তারা একেক জন একেক হিসাবে দেখে।একেক সামাজিক প্রথার ক্ষেত্রে তারা একেক রকম আচরণ করে। বরং সামাজিক অনেক প্রথাকেও তারা যুক্তি ও বিজ্ঞানের মাপকাঠিতে যাচাই করে। নাস্তিকদের দৃষ্টিকোণটা মনে হয় এরকম যে,যে যেটা ইচ্ছা করতে পারে, তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে করে অন্যের কোন ক্ষতি না হয়। সুতরাং বিবাহপূর্ব প্রেম, যৌনতা, মদপান, গান-বাজনা, বিবাহ ছাড়া এক সাথে জীবন যাপন ইত্যাদি তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে কোন অন্যায় নয়। (((আসলে নাস্তিকরা যেহেতু সৃষ্টিকর্তাকে মানেনা, সেই হিসাবে তাদের এই ভিত্তি ঠিকই আছে মনে হয়। ইসলামপন্থীরাও মনে হয় অনেকটা এরকমই বলে যে, আল্লাহ মানুষকে ঐ সকল কাজ করার আদেশই করেছেন যেটা তে মানুষের নিজেরও মঙ্গল, অপরেরও মঙ্গল, দুনিয়ার জীবনেরও মঙ্গল, আখেরাতের জীবনেরও মঙ্গল। অন্যদিকে আল্লাহ মানুষকে ঐ সকল কাজ করতেই নিষেধ করেছেন যেগুলো করলে মানুষের নিজের ক্ষতি বা অপরের ক্ষতি বা দুনিয়ার ক্ষতি বা আখেরাতের ক্ষতি।কিন্তু যেহেতু মানুষ নিজে বিবেক,বুদ্ধি,যুক্তি খাটিয়ে সবসময় এবং নির্ভুলভাবে এটা বুঝতে পারে না যে কোন কাজে তার মঙ্গল আর কোন কাজে তার অমঙ্গল, তাই আল্লাহ যুগে যুগে নবী পাঠিয়ে এটা জানিয়ে দিয়েছেন ।)))

কোন গোঁরা নাস্তিক বলতে পারে যে, আমার কোন কাজে কারো কোন ক্ষতি হলে সেটা খারাপ, সেটা করা যাবে না এটা কে নির্ধারণ করলো? কোন ভিত্তিতে নির্ধারণ করলো? কারো মন চাইলে সে এই বাধ্যবাধকতা মেনে চলুক, কিন্তু সে আমার উপর এটা চাপিয়ে দিতে পারেনা। আমার দরকার হলে আমি অবশ্যই চুরি, ডাকাতি, খুন করবো, রাস্তাঘাটে মেয়েদের জোর করে ধর্ষণ করবো , ঘরবাড়ি , দোকানপাঠ, যানবাহন ভাংচুর করবো ইত্যাদি ইত্যাদি যা খুশী তা করবো। দরকার না হলেও করতে পারি , আবার বিরত থাকতেও পারি । আমার সোজা কথা হলো ভালো খারাপ বলে কিছু নাই। যেটা মন চায় সেটাই আমি করতে পারি। মন চাইলে ভালো থাকতে পারি মন চাইলে খারাপ থাকতে পারি।

তখন সাধারণ নাস্তিক বলতে পারে যে, মানুষ যেহেতু সমাজবদ্ধ জীব, তাই আমাদেরকে সমাজবদ্ধ হয়ে একসাথে থাকতে গেলে, এবং পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে এই আইন মেনে চলতেই হবে যে অপরের ক্ষতি হয় এমন কাজ করা যাবে না।

এবার গোঁরা নাস্তিক বলতে পারে যে, হ্যাঁ, এটা বলো যে আমাদের নিজেদের স্বার্থে আমাদেরকে অপরের ক্ষতি হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। এখানে ভালো খারাপ বলে কোন কথা নাই।

৩।সামাজিক মানদণ্ডঃ আবার আমরা অনেকে সমাজের প্রথা বা চল হিসাবে ভালো মন্দ বিচার করি। সমাজের মানুষের মাঝে কোন একটা বিষয় খারাপ বা অনুচিত বা বেয়াদবী বলে গণ্য হলে আমরাও সেটাকে খারাপ হিসাবে দেখি। সমাজের মানুষ কোন একটা কাজকে ভালো বা খারাপ বললে আমরাও সেটাকে ভালো বা খারাপ বলি।

সমাজের এইসব প্রথা গড়ে উঠার পিছনে অনেক কিছুর প্রভাব থাকে, সেগুলোর মধ্যে ধর্মও একটি শক্তিশালী প্রভাবক। অনেক সময় ধর্মের রীতি আর সমাজের রীতির মধ্যে সংঘর্ষও হয়।সেক্ষেত্রে প্রকৃত ধার্মিকরা ধর্মীয় রীতি তথা সৃষ্টিকর্তার আদেশ নিষেধকে অগ্রাধিকার দেন।

আবার অনেক সময় কোন ধর্মীয় রীতি সমাজেরও রীতি হয়ে যায়। যেমন ঈদ, শবে বরাত ইত্যাদি । তখন প্রকৃত ধার্মিকরা সেটাকে ধর্মীয় নীতি হিসাবেই পালন করেন, দুর্বল ঈমান, বংশ সূত্রে মুসলমান যারা তারা সেটাকে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে হয়তো সমাজের রীতি হিসাবেই পালন করে।সবাই করছে ,না করলে কেমন দেখা যায়, লোকনিন্দার ভয়, পাছে লোকে কিছু বলে।

এখানে একটি অতিশয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে যে, আমি এক সমাজের রীতি দিয়ে কখনো অন্য রীতির সমাজের কোন মানুষকে মন্দ বলতে পারিনা।বর্তমানের সমাজের বা আমার নিজের সমাজের কোন প্রথার উপর অন্ধ ভক্তির কারণে অতীতের কোন সমাজের বা বর্তমানেরই ভিন্ন কোন সমাজের মানুষকে আমি খারাপ বলতে পারিনা। যেমন ধরেন আমাদের দেশের কোথাও কোথাও এই প্রথা আছে যে ঈদের দিন বা কোথাও বেড়াতে গেলে মুরুব্বীদের পা ধরে সালাম করতে হয়, না করলে বেয়াদবী মনে করা হয়, বলা হয় যে, আদব কায়দা কিছু শিখেনি। এখন এই কদমবুসির রীতির সমাজের মানুষ কিন্তু ভিন্ন রীতির আরেক সমাজের কাউকে কদমবুসি না করার কারণে বলতে পারেনা যে, আদব কায়দা কিছু শিখেনি বা অভদ্র ইত্যাদি। এরকম আরো অনেক রীতি আপনারা খুঁজলেই পাবেন। কথায় বলে এক দেশের গালি আরেক দেশের বুলি।এই বিষয়টি আর একটু ভালো করে বুঝতে হলে সামুর প্রখ্যাত নাস্তিক ব্লগার জনাব পারভেজ আলমের এই লেখাটি পড়ে দেখতে পারেন

আবার আপনি আপনার সমাজের কোন রীতিকে ভিন্ন সমাজের রীতির চেয়ে শ্রেষ্ঠ বলতে পারেন না এই হিসাবে যে এটা আপনার সমাজের রীতি। তাহলে ভিন্ন সমাজের লোকেরাও তো একই কথা বলবে। তেমনিভাবে আপনি বর্তমানের কোন রীতিকে অতীতের সমাজে প্রচলিত কোন রীতির চেয়ে ভালো বলতে পারেন না। সবার কাছেই তো নিজেরটা ভালো লাগবে। আপনার সমাজের রীতি তো অতীতের সমাজের রীতিকে ভেঙ্গেই তৈরী হয়েছে। অথচ তখন সেটাই ভালো ছিলো সমাজ হিসাবে।তাহলে ভালোকে ভেঙ্গে যেটা আসলো সেটা কি ? আবার বর্তমানের রীতিও পাল্টে যাবে একসময়।

এখন আপনি যদি বলেন যে, এমনি এমনি তো আমার সমাজের রীতিকে শ্রেষ্ঠ বলবো না , কোন যুক্তির ভিত্তিতেই বলবো। তাহলে কিন্তু আপনি আর এই ৩নং গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত রইলেন না ,যারা নাকি সামাজিক প্রথাকেই ভালো খারাপ নির্ণয়ের মানদণ্ড বা ভিত্তি মানে। আপনি তাহলে যুক্তির ভিত্তিতে ভালো খারাপ নির্ণয়কারীদের গ্রুপে পরবেন।

এখন ধরেন যদি আপনি কদমবুসি রীতি পালনকারী সমাজের পক্ষে যুক্তি দেন যে, এই রীতিটা ভালো, কেননা এতে করে বড়দের প্রতি বেশী সম্মান প্রকাশ পায়। তখন ঐ সমাজের মানুষ বলবে, বড়দের সম্মান করা বা একটু বেশী সম্মান করা যে ভালো এটা আপনি বললেন কোন যুক্তিতে। এখন যদি আপনি বলেন যে, আরে ভাই এটা সাধারণ বিবেকেই বুঝা যায়, আপনাদের বিবেক কি বলে ? এই কথা বললে তো আপনি যুক্তিবাদী গ্রুপের থেকে লাফ দিয়ে বিবেককে ভালো খারাপের মানদণ্ড নির্ধারণকারী গ্রুপের সদস্য হয়ে গেলেন। এখন তাহলে কথা হলো বিবেক কি ভালো খারাপের মানদণ্ড হতে পারে কিনা । এ ব্যাপারে সামনে আলোচনা আসছে। তাহলে দেখা যাচ্ছে আপনি ভালো খারাপ নির্ধারণ করার কোন ভিত্তি বা মানদণ্ড খুঁজে পাচ্ছেন না।

৪।বিবেকের মানদণ্ডঃ অনেকে বলেন বিবেক দিয়ে ভালো মন্দ নির্ণয় করতে হবে। বিবেক কি? সহজ ভাষায় বলা যায়, মানুষের ভিতর একটি শক্তি এমন আছে যেটা তাকে ভালো কাজ করতে বলে, খারাপ থেকে বিরত থাকতে বলে। এটাকে আমরা বিবেক বলি।(বা সু প্রবৃত্তিও বলি। ভুলে গেলে চলবে না যে মানুষের মাঝে কিন্তু খারাপ কাজের প্ররোচনা দানকারী কু প্রবৃত্তিও আছে) কিন্তু কথা হলো ভালো কাজ করতে আর খারাপ কাজ না করতে বলার আগে, ভালো খারাপ, উচিত অনুচিত নির্ধারণও কি বিবেকই করে? নাকি পূর্বের তিন ভিত্তির আলোকে মনের মধ্যে আগে থেকে নির্ধারিত ভালো খারাপকে বিবেক করতে বলে বা বিরত থাকতে বলে? যদি বলি বিবেক ভালো খারাপ নির্ধারণও করে তাহলে প্রশ্ন আসবে বিবেক ভালো খারাপ নির্ধারণ কিসের ভিত্তিতে করে ? বিবেক যে সব সময় সঠিক সিদ্ধান্ত দিবে সেটার কি নিশ্চয়তা? বিবেকে বিবেকে তো মতভেদ হয়। এখন এক বিবেক সঠিক হলে অন্য বিবেক ভুল। তাহলে তো বুঝা গেলো কারো কারো বিবেক ভুল করতে পারে। এখন কার বিবেক সঠিক সিদ্ধান্ত দিলো আর কারটা ভুল সিদ্ধান্ত দিলো এই ফায়সালা কে করবে? কোন ব্যাক্তি বা গোষ্টি কি বিনা যুক্তিতে বিনা বিচারে নিজেদের বিবেকের সিদ্ধান্তকে অন্য কারো উপর চাপিয়ে দিতে পারে? নিজের বিবেকের ফায়সালা মতো সে কি অন্য কারো কোন কাজকে খারাপ বলতে পারে? এখন যদি উভয় দল, এটা ফায়সালা করার জন্য বসে যে, কাদের বিবেকের সিদ্ধান্ত সঠিক ; তাহলে যেটার উপর ভিত্তি করে ফায়সালা করবে সেটাইতো ভালো মন্দের মাপকাঠি হয়ে গেলো, বিবেক আর মাপকাঠি রইলো না।(যদি ফায়সালার ভিত্তিটা যুক্তি হয় তাহলে আবার সেই আগের ৩নং পয়েন্টের চক্করে পরতে হবে, অনেকটা ডিম আগে না মুরগী আগে সেরকম অবস্থা আরকি) তাই আমার মনে হয় বিবেক কোন ভালো মন্দ নির্ণয়ের মাপকাঠি নয়, বরং ধর্ম, সমাজ, শিক্ষা, যুক্তি ইত্যাদির প্রভাবে একটা মানুষের মনে ভালো মন্দের যে একটা মোটামুটি লিস্ট তৈরী হয় সুস্থ বিবেক তাকে সেই লিস্ট থেকে ভালোটা করতে বলে আর মন্দটা থেকে বিরত থাকতে বলে। আবার এই বিবেকটুকুও কিন্তু খুব দুর্বল বা প্রায় মৃত হয়ে যেতে পারে, বারবার বিবেকের অবাধ্য হয়ে মন্দ কাজ চালিয়ে যেতে থাকলে। (বা কথাটা এভাবেও বলা যায় যে- এবং এভাবে বলাটাই অধিক শুদ্ধ মনে হচ্ছে- সুস্থ বিবেক ভালো মন্দ নির্ণয় করতে পারলেও, মতভেদের জায়গায় এটা ফায়সালা করা যায় না যে কার বিবেক সুস্থ আর কারটা অসুস্থ, কার বিবেকের সিদ্ধান্ত সঠিক আর কারটা ভুল। এই ফায়সালা একমাত্র তিনিই করতে পারেন যিনি ভালো মন্দকে সৃষ্টি করেছেন, সৃষ্টি করেছেন বিবেককে। তাই ধর্ম তথা আল্লাহর আদেশ নিষেধই হতে পারে ভালো মন্দ নির্ধারণের একমাত্র স্থির মাপকাঠি; ধর্মকে মাপকাঠি বিশ্বাস করলেই যে কেউ খারাপ কাজ করবে না এমন নয়। এই বিশ্বাস অনুযায়ী জীবন চালানোর জন্য লাগবে আল্লাহ্‌র শাস্তির ভয় , এবং এই পরিমাণ ভয় যে, যেসব জিনিষ (যেমন, রাগ, হিংসা, অহংকার, লোভ ইত্যাদি)মানুষকে খারাপ কাজের দিকে চালিত করে সেসবের উপর যেন তার ভয় জয়ী হতে পারে। )

আবার দেখুন, বিবেক বা সু প্রবৃত্তি শুধু ভালোর দিকে আপনাকে আহ্বান করতে পারে কিন্তু বাধ্য করতে পারেনা। সেই সাথে মানুষের মাঝে রয়েছে কু প্রবৃত্তি, যেটা মানুষকে খারাপ কাজের দিকে প্ররোচনা দেয়। মানুষ অভাবে পরলে টাকার জন্য , বিপদে পরলে তা থকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য, এক কথায় দুঃখকষ্ট , বিপদ আপদ থেকে বাঁচার জন্য এবং সুখ শান্তি, আরাম আয়েশ, ভোগ বিলাসের জন্য শতভাগের কাছাকাছি মানুষ নিজের বিবেকের কথা না শুনে নিজের কু প্রবৃত্তির কথা শুনে অনৈতিক কাজ করে, অপর মানুষের ক্ষতি করে। তাই সমাজের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য, এক মানুষকে অপর মানুষের ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য পুলিশ আদালত,জেল জরিমানা ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হয়েছে; যাতে করে মানুষ এসবের ভয়ে সমাজের শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্টকারী কোন কাজ না করে। কেননা, দুনিয়াতে খুব কম মানুষই শুধুমাত্র বিবেকের কথা স্বেচ্ছায়, কোন ধর্মীয় বা রাষ্ট্রীয় বা বৈষয়িক ভয় ও প্রলোভন ব্যতীত শোনে। আর যদি এমন হয় যে বিবেকের কথা শুনলে বরং দুনিয়াবী কোন ক্ষতি হতে পারে বা লোভনীয় কোন কিছু হাত ছাড়া হতে পারে ,তাহলে তো আর কথাই নেই ।অবলীলায় তখন মানুষ রাষ্ট্রীয় , সামাজিক, পারিবারিক ইত্যাদি সকল আইন পদদলিত করে। দুর্বল বিশ্বাসের সাধারণ মানের ধার্মিক, এবং যে নাকি ধর্মকে আল্লাহ্‌র হুকুম হিসাবে মানে না বরং সামাজিক প্রথা হিসাবে মানে এরা তখন সহজেই বিবেকের কথা অমান্য করে আল্লাহ্‌র আইন লঙ্ঘন করে ফেলে। বেশীরভাগ মানুষ নিজের ক্ষতি করে , লস করে বা নিজের সুবিধা, আরাম ত্যাগ করে শুধু বিবেকের কথায় সৎ পথে চলবে না, রাষ্ট্রের আইন মানবে না, সমাজের রীতি মানবেনা। কোন কিছুর ভয় বা আশা তার সামনে থাকতেই হবে।এই জন্য সর্ব যুগেই আইন ছিলো, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ছিলো। কিন্তু পুলিশ তো প্রত্যেক ঘরে ঘরে, অফিসে অফিসে পাহাড়া দিতে পারে না। যার ফলে খারাপ লোকেরা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঠিকই অবৈধ কাজ করে যাচ্ছে। দিন দিন বাড়ছে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অনাচার,খুন-রাহাজানি-ব্যভিচার,নির্যাতিত হচ্ছে মানবতা, নিষ্পেষিত হচ্ছে মানবাধিকার।বাতাসে ভাসে ক্ষুধার্ত, আহত শিশুদের ভয়ার্ত আর্তনাদ, বেদনার হাহাকার। নিয়ত ঘটছে শত অন্যায়-অত্যাচার, দুঃশাসন-ব্যভিচার, আর লুটপাট-রাহাজানি ; নিপীড়িতের হাহাকার কেউ নাই শুনিবার। এখন তাহলে কি উপায়? একটাই উপায় আছে, আর সেটা হলো মানুষের মাঝে আল্লাহ্‌র ভয় সৃষ্টি করা। আর আল্লাহর ভয় পুলিশের চেয়ে অনেক বেশী কার্যকরী, আইন শৃঙ্খলা রক্ষায়। কেননা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারো বেডরুমে পুলিশী প্রহরা বসাতে না পারলেও আল্লাহর ভয় কিন্তু বেডরুমে, রাতের অন্ধকারে, নির্জন প্রান্তরে সব জায়গায় পুলিশ হিসাবে কাজ করবে, যদি অন্তরে আসলেই আল্লাহর ভয় থাকে। এখান থেকেই আপনি বুঝুন ধর্মের তথা আল্লাহ ভীতির কি প্রয়োজনীয়তা। যেই কারণে পুলিশের, জেলখানার প্রয়োজন সেই কারণেই ধর্মেরও প্রয়োজন এবং তুলনামূলক বহুগুণে বেশী প্রয়োজন। আল্লাহ্‌র ভয় কিভাবে মানুষকে খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে তা জানতে হলে এখান থেকে একটু ঘরে আসুন। নীচে ৫নং কমেন্টেও এই লিংকের বক্তব্য দিয়ে দিলাম।


তাহলে আমরা একদম উপরের ৩নং ও ৪নং মানদণ্ডের আলোচনা থেকে বুঝতে পারলাম যে, ধর্মই হতে পারে ভালো খারাপ নির্ণয়ের একমাত্র স্থির মাপকাঠি।

এরপর আমরা বুঝতে পারলাম সমাজের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় ধর্মের কত প্রয়োজন। (ধর্মের সত্যতার কোন প্রমাণ যদি কেউ নাও পায় , তবুও তাকে সমাজের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য একটি সঠিক ধর্মের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করতে হবে)

এরপর আমরা নাস্তিকদের এ সম্পর্কীয় কিছু অযৌক্তিক প্রশ্নের উত্তর জানতে পারব কমেন্টে। আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ্‌র দয়ায় ১ম পর্ব শেষ হলো।

১৯| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৯

বাঙাল শিক্ষক বলেছেন: রাসুলের নাম নিয়া দরুদ পড়েন না আবার বলেন, আমি কখন বললাম আমি আল্লাহ ও রসূল এ বিশ্বাস স্থাপন করি না ? এ থেকেই বুঝা যায় আপনি মিথ্যাবাদী, ভন্ড।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:১৮

রিফাত হোসেন বলেছেন: আপ্নার. বলাতে কিছু যায়. আসে না। বুঝতে ভুল কর্ছেন.

কলা গাছ নিয়ে বসেক্থ কুন.




টেব থেকে

২০| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২০

বাঙাল শিক্ষক বলেছেন:
পোস্টটিকে আপত্তিকর হিসাবে অভিযোগ করুন।

২১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০

সুলতানা১২ বলেছেন: ____________উপযুক্ত সময়ে আপনি মুত্র ত্যাগ করিয়াচেন।
এখন নাস্তিক হনু'দের প্রজনন কাল চলিতেছে।
তাই পোস্টও স্টিকি করা আছে

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:১০

রিফাত হোসেন বলেছেন: Multi nickerrrrrr

২২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬

জ্ঞাতিবৈর বলেছেন: And let those who do not find the means to marry keep chaste until Allah makes them free from want out of His grace. And (as for) those who ask for a writing from among those whom your right hands possess, give them the writing if you know any good in them, and give them of the wealth of Allah which He has given you; and do not compel your slave girls to prostitution, when they desire to keep chaste, in order to seek the frail good of this world's life; and whoever compels them, then surely after their compulsion Allah is Forgiving, Merciful. (The Noble Quran, 24:33)"

২৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৯

জ্ঞাতিবৈর বলেছেন: যারা বিবাহে সামর্থ নয়, তারা যেন সংযম অবলম্বন করে যে পর্যন্ত না আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেন। তোমাদের অধিকারভুক্তদের মধ্যে যারা মুক্তির জন্য লিখিত চুক্তি করতে চায়, তাদের সাথে তোমরা লিখিত চুক্তি কর যদি জান যে, তাদের মধ্যে কল্যাণ আছে। আল্লাহ তোমাদেরকে যে, অর্থ-কড়ি দিয়েছেন, তা থেকে তাদেরকে দান কর। তোমাদের দাসীরা নিজেদের পবিত্রতা রক্ষা করতে চাইলে তোমরা পার্থিব জীবনের সম্পদের লালসায় তাদেরকে ব্যভিচারে বাধ্য কারো না। যদি কেহ তাদের উপর জোর-জবরদস্তি করে, তবে তাদের উপর জোর-জবরদস্তির পর আল্লাহ তাদের প্রতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৪৮

রিফাত হোসেন বলেছেন: হুম . ভাল এক্টি পয়েন্ট .+++

২৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৯

মূসা আলকাজেম বলেছেন:

ঐতিহাসিকরা ইতিহাস বিশ্লেষণ করতে গিয়ে যুগে যুগে যেসব ঐতিহাসিক ভুল করেছে এবং নাস্তিকরা ইসলামের দাস প্রথা, বহু বিবাহ ,বাল্য বিবাহ ইত্যাদি নিয়ে সমালোচনা করতে গিয়ে যেসব মারাত্মক ভুল করে সেগুলো বুঝতে হলে আমার নীচের লেখাটি খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। যেসব লিংক দিয়েছি সেসব পড়ুন। ইংরেজরা ছিলো অতি ধুরন্ধর। তাদের সমাজ বিজ্ঞানীরা বুঝেছিলো যে বেশীরভাগ মানুষই সমাজ যেটাকে ভালো বলে সেটাকে ভালো বলবে এবং সমাজ যেটাকে খারাপ বলে সেটাকে খারাপ বলবে। বেশিরভাগ মানুষই তলিয়ে দেখবে না যে, সমাজ যেটাকে নিন্দনীয় বা খারাপ বলছে সেটা কি আসলেই খারাপ কিনা বা সমাজের মানুষ এটাকে কিসের ভিত্তিতে খারাপ বলছে। আর দু'একজন তলিয়ে দেখলেও সে সমাজের নিন্দার ভয়ে সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে চলবে। তাই তারা পরিকল্পনা করলো যে একাধিক বিবাহ, বাল্য বিবাহ ইত্যাদিকে মুসলিম সমাজে যেভাবেই হোক ধীরে খারাপ হিসাবে তুলে ধরতে হবে। এরপর এটা যখন মানুষের মনে গেঁথে যাবে তখন এক সময় তারা নবীদেরকেও একাধিক বিবাহের কারনে খারাপ বলা শুরু করবে। এই সুচতুর সুগভীর ষড়যন্ত্রে যে তারা সফল হয়েছে তার প্রমাণ এই পোষ্ট। আল্লাহ্‌ আমাদেরকে রক্ষা করুন।



بسم الله الرحمن الرحيم
সকল প্রশংসা আল্লাহর। অসংখ্য দরুদ নাযিল হোক তাঁর নবীর উপর বারবার।
যারা শুধু এতটুকুর উপর ভিত্তি করে হুমায়ূন আহমেদের সমালোচনা করেন যে, তিনি ২য় বিবাহ করেছেন, তাদের জন্য এই লেখা।

যারা ১ম পর্ব পরেছেন,এবার আসুন আমরা একটু অন্যভাবে ভালো মন্দের মানদণ্ড নির্ধারণ করি।

নীতিবিদ্যাতে ব্যক্তি মানুষের কোন ঐচ্ছিক আচরণকে ভাল-মন্দ বা উচিত-অনুচিত সাব্যস্ত করার মানদণ্ডের বিষয়ে নীতিবিদদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। এ বিষয়ে একদল বলেন,মানুষের কোন কাজ ভাল কি মন্দ তা কাজের উদ্দেশ্য দিয়ে মূল্যায়ন করা উচিত। আবার অন্যদলের মতে,কাজের ফলাফলের উপর নির্ভর করে সে কাজের নৈতিক মূল্যায়ন করতে হবে। দু’মতের পক্ষেই শক্তিশালী যুক্তি যেমন রয়েছে তেমনি সেগুলির সমালোচনাও করা যায়।

সকল ঐচ্ছিক কাজের মূল্যায়ন,কাজটির উদ্দেশ্যের দিক থেকে করা উচিত বলে যারা মনে করেন তারা বলেন যে,কোন কাজ ভাল কি মন্দ তা কাজটির উদ্দেশ্যের দিক দিয়ে বিবেচনা করা দরকার। অর্থাৎ কোন কাজের উদ্দেশ্য ভাল হলে কাজটি ভাল আর উদ্দেশ্য মন্দ হলে কাজটি অবশ্যই মন্দ। যেমন: কোন ডাক্তার কোন রোগীর রোগ নিরাময়ের উদ্দেশ্যে তার দেহে অস্ত্রোপচার শুরু করলেন কিন্তু তাতে রোগীটি মারা গেল। এখানে যেহেতু ডাক্তারের উদ্দেশ্য ভাল ছিল সেহেতু কাজটির ফলাফল খারাপ হলেও কাজটি নৈতিকতার মানদণ্ডে ভাল বলে গণ্য হবে। এ মতের শেষ কথা হলো,কোন কাজের মূল্যায়ন ব্যক্তির নিয়ত বা উদ্দেশ্যের উপর নির্ভরশীল,ফলাফলের ভালোত্ব বা মন্দত্ব দ্বারা নৈতিকতার বিচার করা উচিত নয়।

সকল ঐচ্ছিক কাজের উদ্দেশ্যের বদলে ফলাফল দেখে যারা নৈতিক বিচারের পক্ষপাতি তাদের মতের মূল বক্তব্য হলো,‘শেষ ভাল যার সব ভাল তার’। কাজটির উদ্দেশ্য ভাল কি মন্দ তা এখানে বিবেচ্য বিষয় নয়, বরং কাজের ফলাফল দিয়ে কাজটির নৈতিকতা বা নৈতিক মূল্য বিচার করা উচিত। কাজটির ফলাফল ভাল মানে কাজটি ভাল এবং তা করা উচিত, আর কাজটির ফলাফল মন্দ মানে কাজটি মন্দ এবং তা করা অনুচিত। যেমন: একজন ভিখারি ভিক্ষা চাওয়াতে জনৈক ব্যক্তি ক্ষুব্ধ হয়ে যদি, তার দিকে পাঁচ টাকার কয়েন আঘাত করার উদ্দেশ্যে ছুড়ে মারেন, এবং ভিখারি যদি ঐ টাকা দিয়ে খাবার কিনে খায় তাহলে কাজটির উদ্দেশ্য মন্দ হলেও ফলাফল ভাল বলে কাজটি নৈতিকতার বিচারে ভাল। এ ব্যাপারে এই লিংকে আলোচনা আছে।

এখানে দ্বিতীয় দলের বক্তব্য স্পষ্ট নয়। আমার মনে হয় সব পাঠক ১ম মতটিকেই পছন্দ করবেন। আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ১ম মত অনুসারেই চলি। যে লোকটি কাউকে খুন করলো সেও একটা মানুষ মারলো আবার সরকার যাকে খুনের অপরাধে ফাঁসি দিচ্ছে এখানেও মানুষ মারা হচ্ছে। দুই জায়গাতেই মানুষ মারা হচ্ছে ; কিন্তু এক জায়গায় বলছি খুন আরেক জায়গায় বলছি ফাঁসি ; পার্থক্য কোথায়? ঐ উদ্দেশ্যের মধ্যে। আপনি কাউকে দান করলেন এখানেও আপনি অন্য একজন মানুষকে কিছু টাকা দিচ্ছেন, আবার কাউকে ঘুষ দিচ্ছেন এখানেও আপনি অন্য একজন মানুষকে কিছু টাকা দিচ্ছেন, আবার কাউকে টাকা ধার দিচ্ছেন এখানেও আপনি অন্য একজন মানুষকে কিছু টাকা দিচ্ছেন ; একই কাজ একেক জায়গায় একেক নাম পাচ্ছে কেন? একই কাজ এক জায়গায় ভালো , অন্য জায়গায় খারাপ হচ্ছে কেন? মূলত ঐ উদ্দেশ্যের ভিন্নতার কারণে। পিতা সন্তানকে মারলে হয় শাসন, আর কোন মস্তানে মারলে হয় নির্যাতন; কেন? ঐ মূলত উদ্দেশ্যের ভিন্নতার কারণে।কারো সাথে আপনার বন্ধুত্ব আছে বা ভালোবাসার সম্পর্ক আছে, আপনি এই বন্ধুত্বকে আরো মজবুত জন্য তাকে কিছু দিলেন, এটাকে বলে উপহার; পক্ষান্তরে আপনি যদি কোন স্কুল প্রধানকে কিছু দেন এই জন্য যে তিনি যেন আপনার অযোগ্য ছেলেকে তার প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করে নেন, তাহলে এটা হবে ঘুষ । (খেয়াল করুন বলছি "মূলত" কেননা অনেক সময় উদ্দেশ্য এক হলেও অন্য কিছু কারণেও একই কাজের ভিন্ন ভিন্ন নাম ও মান নির্ধারিত হয়।যেমন বিবাহ পূর্ব যৌন মিলন জোরপূর্বক হলে ধর্ষণ আর সম্মতিক্রমে হলে জেনা বা ব্যাভিচার। ধর্মীয় বিচারে উভয়টাই খারাপ কিন্তু নাস্তিকদের বিচারে ব্যাভিচার খারাপ কিছু নয়।)

কিছু কাজ এমন আছে যা মোটামুটি সব যুগে সব সমাজেই খারাপ হিসাবে গণ্য হয়, আর বিপরীত কাজগুলো ভালো হিসাবে গণ্য হয়। যেমন, বিনা দোষে বা বিনা কারণে কারো ক্ষতি করা, মিথ্যা বলা, ধোঁকা দেয়া, বিশ্বাসঘাতকতা করা, চুরি, ডাকাতি ইত্যাদি।

আসুন তাহলে আমরা বের করতে চেষ্টা করি কাজের উদ্দেশ্যের ভালো খারাপের দিক থেকে কারো কাজ মোটামুটি কত প্রকার হয়।

কিছু কাজ আছে ভালো উদ্দেশ্যে করলে ভালো আর খারাপ উদ্দেশ্যে করলে খারাপ। যেমনঃ কাউকে টাকা দেয়া, কোন মানুষের জীবন নেয়া, কাউকে বন্দী করে রাখা ইত্যাদি

কিছু কাজ আছে ভালো উদ্দেশ্যে করলেও ভালো হয় না। তা খারাপ বলেই গণ্য হয়। যেমনঃ চুরি, ডাকাতি । দান করার উদ্দেশ্যে করলেও চুরি ডাকাতি ভালো বলে গণ্য হবে না।

কিছু ভালো কাজও অনেক সময় খারাপ নিয়তের কারণে খারাপ হয়ে যায়। যেমনঃ সতীনের ছেলেকে বেশী করে কোলে করে রাখা যাতে সে ঠিকমত হাঁটা না শিখতে পারে।

কিছু খারাপ কাজ আছে যা ওজর বা ঠেকার কারণে বৈধ হয়ে যায়। যেমনঃ ভিক্ষা করা, প্রাণ চলে যায় মতো পিপাসায় পানি না পেয়ে মদ খাওয়া ইত্যাদি।

এমন হতে পারে যে, একটি কাজ যা সবাই সাধারণত ভালো উদ্দেশ্যেই করে থাকে, কিন্তু কোন লোক তা খারাপ উদ্দেশ্যে করতে পারে। পক্ষান্তরে এমনও হতে পারে যে কোন একটি কাজ যা সবাই সাধারণত খারাপ উদ্দেশ্যে করে, কিন্তু কোন কোন বিশেষ লোক তা ভালো উদ্দেশ্যেও করতে পারে।

যাই হোক বেশী সূক্ষ্মতার দিকে গিয়ে লাভ নেই। এখন যেটা প্রশ্ন সেটা হলো এই যে, যেসব কাজগুলো উদ্দেশ্যের ভিন্নতার কারণে ভালো বা খারাপ হচ্ছে সেসব ক্ষেত্রে আমরা কাজ সম্পাদনকারীর উদ্দেশ্য কিভাবে বুঝি।সাধারণত কেউ তো আর কাজ করার সময় বলে কয়ে করে না যে আমি এই নিয়তে কাজ করছি।

তো মোটামুটিভাবে বলা যায় যে, স্থান কাল পাত্র দেখে, ঘটনার পূর্বাপর দেখে আমরা উদ্দেশ্য ঠিক করি এবং সেই হিসাবে কাজটাকে ভালো বা মন্দ বলি। যেমন ধরুন, আপনি দেখলেন রাস্তায় একজন লোক একটি ভিক্ষুককে কিছু টাকা দিচ্ছে, তখন আপনি নিশ্চয়ই বলবেন যে, লোকটি ভিক্ষুককে দান করলো , নাকি আপনি বলবেন যে লোকটি ভিক্ষুককে ঘুষ দিয়েছে বা লোকটি ভিক্ষুক থেকে ধার নিয়েছিলো, এখন ধার শোধ করেছে। তো এখানে আপনি স্থান কাল পাত্র দেখে বুঝতে পারলেন যে লোকটি কি উদ্দেশ্যে ভিক্ষুককে টাকা দিচ্ছে। যদিও ১০০% নিশ্চিত আপনি বলতে পারেন না যে, সে দান করেছে। এমনও তো হতে পারে অন্য কেউ তাকে টাকা দিয়ে বলেছে, এই টাকাটা রাস্তার ঐ ভিক্ষুককে দিয়ে দিও। তাহলে সে দান করছে না বরং অপরের দান পৌঁছে দিচ্ছে। বাকি আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এতো সূক্ষ্ম হিসাব নিকাশ করি না, দরকারও নেই। কেননা এই সিদ্ধান্ত ভুল হলেও কোন ক্ষতি নেই। এছাড়া এখানে আমি ঐ লোকটা সম্পর্কে একটা ভালো ধারণাই করছি।

কিন্তু যখন আমি কারো কোন কাজ দেখে তার সম্পর্কে কোন খারাপ ধারণা করতে যাব, তখন কিন্তু আমাকে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে, সব সময় স্থান কাল পাত্র দেখে হুট করে কাউকে দোষারোপ করা যাবে না। ধরুন আপনি জানেন পারভেজ সাহেব তার সন্তানকে কোন নামকরা স্কুলে ভর্তি করার চেষ্টা করছেন। এমন অবস্থায় আপনি একদিন দেখলেন যে উনি কিছু উপঢৌকন নিয়ে ঐ স্কুলের হেড স্যারের বাসায় গিয়েছেন, এতটুকুর দ্বারাই কিন্তু আপনি বলতে পারেন না যে, পারভেজ সাহেব স্কুলের হেড স্যারকে ঘুষ দিয়েছে, যতক্ষন না আপনি পারভেজ সাহেবের মনের ভিতরে উদ্দেশ্যটি জানতে না পারবেন। আর এটা আপনি ঐ উপহার দেয়ার মজলিসে উপস্থিত থেকে তাদের কথাবার্তা না শুনলে কখনোই বলতে পারবেন না। ফলে আপনি কখনোই বলতে পারবেন না যে, পারভেজ সাহেব উপহার দিয়েছে নাকি ঘুষ দিয়েছে নাকি অন্য কিছু করেছে।

আপনাকে যদি কেউ বলে যে, নাসিম সাহেবকে দেখলাম রাস্তায় একজন কে কিছু টাকা দিচ্ছে। এখন কাকে দিলো, কেন দিলো তা যদি আপনি জানতে না পারেন তাহলে কি আপনি সারা জীবনেও বলতে পারবেন যে নাসিম সাহেব কি ভিক্ষাই দিলো , না ধার দিলো, না ঘুষ দিলো, না উপহার দিলো।

মোট কথা যে সকল কাজ নাকি বাহ্যিক দিক থেকে একই রকম কিন্তু উদ্দেশ্যের ভিন্নতার কারণে সেগুলো কখনো হয়ে যায় বৈধ, কখনো ভালো, কখনো খারাপ; সেরকম কোন কাজ কাউকে দূর থেকে করতে দেখলে বা শুনলে আমি বিনা প্রমাণে তার উদ্দেশ্যকে খারাপ বলে তার কাজটাকে খারাপ বলতে পারিনা।

আরেকটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই যে, একাধিক উদ্দেশ্যে করা যায় এমন কোন কাজকে হয়তো আপনি খারাপ উদ্দেশ্যে করতেই অভ্যস্ত। তাই বলে কি আপনি অন্য কেউ সেই কাজ করলে, সেও সেটা খারাপ উদ্দেশ্যেই করেছে এটা বিনা প্রমাণে বলতে পারেন, কখনোই পারেন না। কিন্তু আমরা এই ভুলটা সব সময় করি। নিজেকে দিয়ে অন্যকে যাচাই করি।
বা ধরুন একাধিক উদ্দেশ্যে করা যায় এমন কোন কাজকে হয়তো আপনার সমাজের মানুষ কোন একটা খারাপ উদ্দেশ্যেই করতে অভ্যস্ত; কিন্তু যদি বর্তমান যুগেরই ভিন্ন চিন্তা ধারার অন্য কোন সমাজের মানুষ , বা অতীতের ভিন্ন চিন্তা ধারার বা আপনার সমাজের চেয়ে উন্নত চিন্তা চেতনার কোন সমাজের মানুষ যদি ঐ কাজটি করে তাহলে আপনি আপনার সমাজের সাথে ঐ ভিন্ন ও উন্নত চিন্তার সমাজের মানুষদের একই পাল্লায় ফেলে একথা বলতে পারেন না যে তারাও এই কাজটি খারাপ উদ্দেশ্যেই করেছে, অতএব তারা খারাপ। (যারা সাহাবীদের সমালোচনা করে তারা এই ভুলটি করে)

মোটকথা
(১) কারো কোন কাজ দিয়ে তাকে খারাপ বলার আগে আমাকে অবশ্যই দেখতে হবে ঐ কাজটি কোন ধরনের কাজ। যদি কাজটি এমন হয় যে উদ্দেশ্যের ভালো খারাপের উপর ভিত্তি করে কাজটি ভালো বা খারাপ হয়ে যায়; তাহলে যেহেতু আপনি কোনদিনও তার উদ্দেশ্য সম্পর্কে সে নিজে না বলা পর্যন্ত নিশ্চিত হয়ে পারবেন না সেহেতু আপনি কোনদিনও তাকে সেই কাজের উপর ভিত্তি করে খারাপ বলতে পারেন না। এটা হলো তখন যখন নাকি আপনি কাজের স্থান কাল পাত্র সম্পর্কে জানেননা। আর স্থান কাল পাত্র সম্পর্কে জানা থাকলে যদিও কাজের উদ্দেশ্য অনেকখানি বুঝা যায় তথাপি আপনি এর উপর ভিত্তি করে ১০০% নিশ্চিতভাবে কারো কোন কাজকে খারাপ বলতে পারেন না।যেমন উপরে হেড স্যারকে উপহার দেয়ার উদাহরণে আমরা দেখেছি।

(২)আর যদি কারো কোন কাজ এমন হয় যে, সেটা ভালো উদ্দেশ্যে করলেও ভালো হয়না খারাপই থাকে তখনও হুট করে তাকে খারাপ বলে দেয়া যাবে না। দেখতে হবে সেটা তিনি কোন একান্ত ঠেকায় পড়ে , কোন অপারগতার কারণে করেছেন কিনা।

(৩) আরো দেখতে হবে যেই খারাপ কাজটি তিনি করেছেন সেটা কি সর্ব যুগের সব সভ্য মানুষের কাছে খারাপ বলে গণ্য হতো নাকি এটা নিয়ে মতভেদ আছে। যদি মতভেদ হয়ে থাকে আর উনি আপনার আমার সাথে ভিন্ন মত পোষণ করে থাকেন , তাহলে তো আমি আপনি তাকে আমাদের মতের ভিত্তিতে খারাপ বলতে পারিনা। কারণ তার হিসাবে তো তিনি কোন খারাপ কাজ করেন নি। হ্যাঁ, এটা নিয়ে তর্ক হতে পারে যে কার মতটি সঠিক। কিন্তু নিন্দা, সমালোচনা, কঠাক্ষ হতে পারেনা।

(৪)এছাড়া আরো একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল করতে হবে যে, দেখতে হবে কাজের পূর্বাপর, প্রেক্ষাপট , আগে পিছের ঘটনাবলী আমার ভালো করে জানা আছে কিনা সেটাও। কেননা অনেক সময় বাহ্যিক ভাবে দৃশ্যমান খারাপ কাজটির আড়ালে এমন কোন ঘটনা থাকে যেটা না জানার কারণেই মূলত আমাদের কাছে কাজটি খারাপ বলে গণ্য হয়; অথচ ঐ অজানা ঘটনাটি জানতে পারলে তখন আর আমরা সেই কাজটিকে খারাপ বলি না। ইতিহাসবিদরা এই জায়গায় খুব বেশী ভুল করেন। তারা অতীতের কোন ব্যাক্তির বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন , খন্ডিত, অসম্পূর্ণ ঘটনাবলীর আলোকে সেই লোককে খারাপ চরিত্র হিসাবে সাব্যস্ত করেন।তবে যার বেশীরভাগ কাজই খারাপ হিসাবে নির্ভরযোগ্য ইতিহাসে বর্ণিত থাকে, তার কোন একটা বাহ্যিক খারাপ কাজকে আমি বলছিনা যে জোড় করে ভালোর দিকে ব্যাখ্যা করার জন্য। হ্যাঁ, যার বেশীরভাগ কাজ ভালো হিসাবে ইতিহাসে উল্লেখ আছে তার এমন কোন কাজ যেটা বাহ্যিক ভাবে খারাপ অনুভূত হচ্ছে, তবে ইচ্ছা করলে সেটা ভালোর দিকে ব্যাখ্যা করা যায়, সে ক্ষেত্রে আমি বলছি যে, তার সার্বিক অবস্থার সাথে যে ব্যাখ্যা মিলে সেরকম ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা। এমনকি যার সার্বিক অবস্থা ইতিহাসের আলোকে বুঝা যায়না তার ক্ষেত্রেও হয় ভালোর দিকে ব্যাখ্যা করা না হয় চুপ থাকা।বিনা প্রমাণে আমি কারো উপর কোন অভিযোগ আনতে পারিনা।

কিছু উদাহরণের মাধ্যমে আমি এই বিষয়টি স্পষ্ট করার চেষ্টা করছি। আল্লাহ আমাকে তওফিক দান করুন।

১ম উদাহরণঃ কিছু দিন আগে ব্লগার মেহেদী পরাগ একটি পোষ্ট দিয়েছিলেন সাহাবী আবু হুরায়রা(রাঃ) কে নিয়ে। তখন ঘড়িতে জোহরের নামাজের জামাতের সময় চলছিলো। তখন আমি লিখতে চাইনা নিকের একজন ব্লগার মন্তব্য করেছিলেন যে,
"" হাসতাছি কারন সময়টা দেখেন
২২ শে জুন, ২০১২ দুপুর ১:৩৮
নামাজ বাদ দিয়া সামুতে ইসলাম নিয়া পোস্ট দিলেন, জব্বর মুসলিম!""
পরে মেহেদী পরাগ সাহেব জানিয়ে দিলেন যে তিনি সুইডেন থাকেন । দেখেন এখানে নামাজের সময় ব্লগিং করা কিন্তু একজন মুসলিমের জন্য খারাপ কাজই। কিন্তু এখানে এই ঘটনার আড়ালে আরেকটি ঘটনা ছিলো, যা নাকি ঐ সমালোচনাকারী ব্লগার জানতেন না বা ভুলে গিয়েছিলেন। দেখুন একেবারে সুস্পষ্ট বর্তমানের ঘটনার আলোকে একজন ব্যাক্তির সমালোচনা করতে গিয়ে যেখানে ভুল হয়ে যাচ্ছে, সেখানে অসম্পূর্ণ ইতিহাসের আলোকে অতীতের কোন ব্যাক্তির সমালোচনা করতে গেলে কত বড় ভুল হওয়ার সম্ভাবনা। তার উপর সেই ব্যাক্তি যদি হন চিন্তা ও কর্মে সাধারন মানুষের চেয়ে ভিন্ন ও উন্নত তাহলে তো তার কোন বাহ্যিকভাবে খারাপ কাজের সমালোচনায় লিপ্ত হওয়া আরো বেশী অন্যায়।
মেহেদী পরাগ আর আমি লিখতে চাইনা এই দুই ব্লগারের উদাহরণ আনলাম, কারণ এই দুইজনই সাহবীদের ব্যাপারে সমালোচনা করতে গিয়ে আমি যেই ভুলগুলির কথা বলবো সেই ভুলগুলো করেছেন।

২য় উদাহরণঃ একবার এক লোক তার ঘরের জানালার কাছে বসে সামনের বাড়ীর বারান্দার দিকে তাকিয়ে মিটি মিটি হাসছিলো । তখন ঐ বারান্দায় ঐ বাসার এক মেয়ে ছিলো । সে সোজা গিয়ে তার বাবা ভাইদের বললো যে পাশের বাড়ির একটা লোক জানালা দিয়ে তার দিকে তাকিয়ে হাসছে। তখন মেয়েটির বাবা ঐ বাড়ীতে নালিশ দিতে গিয়ে জানতে পারলেন যে, ঐ লোকটি আসলে অন্ধ।
দেখুন, এখানে যতটুকু ঘটনা বাহ্যিকভাবে ঘটেছে তাতে কিন্তু ঐ লোকটি অবশ্যই দোষী সাব্যস্ত হচ্ছে। কিন্তু যখন জানা ঘটনার অন্তরালের ঘটনা যখন জানা গেলো তখন বুঝা গেলো যে লোকটি আসলে কোন দোষ করেনি। তাই বলে আমি বলছি না যে, যাকে ইভ টিজার হিসাবে সবাই জানে তার ক্ষেত্রেও আপনি জোড় করে তার খারাপ কাজকে ভালোর দিকে ব্যাখ্যা করুন। বলছি তার ক্ষেত্রে যার সার্বিক অবস্থা ভালো বা যার সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানা নেই ।

৩য় উদাহরণঃ একবার একজন তার নিজের জীবনের ঘটনা বলতেছিলো যে, সে একদিন তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাসরুমে বসে রয়েছে। কোন কারণে শিক্ষক আসতে দেরী হচ্ছিল। তখন আর একজন ছাত্র বই নিয়ে এসে তাকে বললো যে আমাকে একটি পড়া বুঝিয়ে দেওতো ভাই। তখন সে বললো যে, ভাই আমার খুব ঘুম পেয়েছে, আমি এখন শিক্ষক আসার আগে একটু ঘুমিয়ে নিব। তোমাকে পরে বুঝিয়ে দিব, একথা বলেই সে ঘুমানোর জন্য টেবিলের উপর মাথা রাখলো। তখন অপর ছাত্রটি উঠে,তার সিটে গিয়ে বসে পড়লো। এদিকে যেই না সে চলে গেলো, অমনি ঐ প্রথম ছাত্র টেবিল থেকে মাথা উঠিয়ে পড়তে বসে গেলো। দেখুন এখানে মনে হতে পারে যে, প্রহম ছাত্রটি একটি মিথ্যা কথা বললো, আসলে সে ছাত্রটিকে বুঝিয়ে দিবে না, কিন্তু সরাসরি মানা না করে মিথ্যার আশ্রয় নিলো। কিন্তু এখানেও বাহ্যিক ঘটনার আড়ালে আর একটি ঘটনা আছে। তাহলো, আসলেই ঐ ছাত্রটির ঐ সময় খুব ঘুম পেয়েছিলো, কিন্তু যখনই সে ঘুমানোর জন্য টেবিলে মাথা রেখেছে তখনি তার মনে জাগলো যে, ঘুমালে তো এই সময়টুকু নষ্ট হবে, না ঘুমাবো না। তাহলে দেখা গেলো যে সে মিথ্যা বলেনি। যেটা করেছে সেটা হলো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন। দেখুন এখানে কিন্তু ঘটনা সব জানাই আছে, শুধু মাত্র মনের এক মুহূর্তের পরিবর্তনে কাজটি পাল্টে যাচ্ছে।

চতুর্থ উদাহরণঃ একবার একজন লোক মসজিদের ভিতর ইমাম সাহেবকে তারিখ জিজ্ঞাসা করলে পর তিনি তাকে ঐদিনের তারিখ বললেন; একটু পর মসজিদের মুয়াজ্জিন সাহেব ইমাম সাহেবকে তারিখ জিজ্ঞাসা করলে পর তিনি একটি ভিন্ন তারিখ বললেন। প্রথম লোকটি অনতিদূর থেকে তা শুনতে পেলো। সে ভাবলো যে ইমাম সাহেব মুয়াজ্জিনের সাথে মিথ্যা বলেছে। দেখুন এখানে ঐ লোকটি অন্তরালের যে বিষয়টি ভুলে গিয়েছিলো সেটি হলো, ইমাম সাহেব তো মুয়াজ্জিনকে আরবী তারিখও বলতে পারে। চিন্তা করুন যার নাকি আরবী তারিখ সম্পর্কে জানাই নেই সে কিন্তু সারা জীবনেও এই রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারবে না যে ইমাম সাহেব আসলে মিথ্যা বলেননি। এইজন্য বলছি কারো কোন বাহ্যিকভাবে খারাপ কাজ দেখে হুট করে তাকে নিন্দা করা শুরু করে না দিয়ে আগে ঐ লোকটিকে জিজ্ঞাসা করতে হবে যে ব্যাপার কি ভাই। কিন্তু যদি লোকটি হয় অতীতের তখন তো আর তাকে জিজ্ঞাসা করার কোন উপায় নেই।

এরকম একটি আশ্চর্য ঘটনা দেখুন, অবশ্যই দেখুন এখানে

এরকম বহু ঘটনা আপনার জীবনেও নিশ্চয়ই ঘটেছে। মোটকথা আমরা কাউকে তার কোন বাহ্যিকভাবে খারাপ কাজের ভিত্তিতে সমালোচনা করতে গিয়ে চার ধরনের ভুল করি।

১নং ভুলঃ একাধিক উদ্দেশ্যে(ভালো বা খারাপ) যে কাজ করা যায় সে ক্ষেত্রে বিনা প্রমাণে শুধু খারাপ উদ্দেশ্যেই উনি তা করেছেন বলে ধরে নেয়া। এই ভুলটা করার পিছনে কাজ করে ঐ ব্যাক্তির প্রতি আমাদের হিংসা, রাগ, শত্রুতা, ইত্যাদি। কিছু খারাপ মানুষ থাকে যারা সব সময় নিজের সাথে তুলনা করে অন্য ভালো মানুষদের কর্মকে বিচার করে। সে হয়তো একটা কাজ সব সময় খারাপ উদ্দেশ্যেই করে, এখন এটা যে কেউ ভালো উদ্দেশ্যেও করতে পারে এটা তার মাথায় কখনোই আসেনা। তার মনের ভিতরটা আবর্জনা দিয়ে ভরা, সেখান থেকে সুগন্ধ কিভাবে আসবে?

২নং ভুলঃ কেউ হয়তো নিশ্চিতভাবেই কোন একটি খারাপ কাজ করেছে। সেক্ষেত্রে আমরা এতটুকু যাচাই করার আগ পর্যন্ত নিজের মুখকে সামলে রাখতে পারিনা যে, লোকটি কি এই অন্যায়টি কোন একান্ত ঠেকায় পড়ে করেছে কিনা।

৩নং ভুলঃ আবার এটাও যাচাই করে দেখি না যে, এই কাজটি কি তার মতেও খারাপ কিনা। ভাবখানা এমন যে, আমার মতই মত, যেহেতু এটা আমার মত।

৪নং ভুলঃ কেউ হয়তো বাহ্যিকভাবে এমন একটা কাজ করেছে, যেটা ভালো বা খারাপ যেকোন উদ্দেশ্যেই করুক না কেন তা খারাপই থাকে; সেক্ষেত্রে ঐ ঘটনার অন্তরালের আরো ঘটনা না জেনেই আমরা সমালোচনা করা শুরু করে দেই।উপরের উদাহরণগুলো থেকে আমরা বুঝতে পারলাম যে একেবারে ক্ষুদ্র পরিসরের দুই তিনজনের সাথে সম্পৃক্ত সহজ সরল ঘটনার ক্ষেত্রেই অন্তরালের ঘটনা অজানা থেকে যাচ্ছে। এখন আপনি চিন্তা করে দেখুন, সেই ঘটনা যদি হয় অতীতের,যদি হয় বিস্তৃত পরিসরের ঘটনা, যদি হয় জটিল ঘটনা সেখানে অন্তরালের ঘটনাসমূহ অজানা থাকার সম্ভাবনাইতো প্রায় শতভাগ।

এই দুই পর্বের আলোচনার উপর ভিত্তি করে আমরা হুমায়ূন আহমেদের ২য় বিবাহের ভালো মন্দ নিয়ে আলোচনা করবো আল্লাহ চাহেতো ৩য় পর্বে।এছাড়া আপনি এই দুই পর্বের আলোচনা মনযোগ দিয়ে পড়ে চিন্তা করলে নবী সাহাবীদের একাধি বিবাহ, বাল্য বিবাহ, সাহাবীদের অন্তরকলহ
ইত্যাদি অনেক প্রশ্নের জবাব পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ। ৩য় পর্ব এখানে আছে

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৪১

রিফাত হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ. কিন্তু আমি সোজা সাপ্টা উত্তর খুজছি।

আপ্নার গোছানো উত্তর ভাল লেগেছে যদিও সরাস্রি উত্ত র ছিলনা।

মদ্যপান. যে রকম. সোজাভাবে হারাম সেভাবে সরাসরি উত্তর. খুজছিলাম.

২৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৫

ডাব্বা বলেছেন: @মূসা আলকাজেম: ভালো লাগল আপনার লেখাটা।

২৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৫

মেলবোর্ন বলেছেন: রিফাত ভাই ওদের এই প্রশ্নের জন্য *****নতুন প্রচারিত ধর্মে যোগদানের জন্য মুহাম্মদকে বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হয়েছে, আল্লাহর নামে(নাস্তিকদের/কুরআনে অবিশ্বাসীদের মতে) তিনি তার গ্রন্থ কুরআনে বলেছেন যে ইসলামের পথে জিহাদ করলে স্বর্গে অসংখ্য(৭২+) হুর গেলমান পাওয়া যাবে, দুধের সমুদ্র থেকে শুরু করে মদের নদী এমন কিছু নাই যে মুহাম্মদ লোভ দেখান নাই। এ সকলই নতুন প্রবর্তিত ধর্মে মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্য।

মানুষ সব সময়েই দুটি জিনিষের বাধ্য- লোভ আর ভয়। মুহাম্মদ দোযখের ভয় জনগনকে এমনভাবেই দেখিয়েছেন যে সেই ভয়েই অনেক দুর্বল হ্নদয়ের মানুষ সাথে সাথে ইসলাম কবুল করে। একই সাথে ছিল ইসলামে যোগ দিলে অশ্লীল লাভের প্রতিশ্রুতি, বেহেশত নামক পতিতাপল্লী এবং সুরীখানার প্রবেশাধিকার। দুইয়ে মিলে ভালভাবেই চলছিল নতুন ধর্মের প্রসার।********

দেখুন *পরিচ্ছন্ন সঙ্গিনীগণ / হুর প্রসংগে :কোরআনে হুরিস শব্দ চার বার ব্যবহার করা হয়েছে, যার অনুবাদে পরিবরর্তন হয়ে কালো চোখের, সুন্দর বক্ষ এবং উজ্জ্বল, যৌনাবেদন কুমারী মেয়ে হিসেবে পরিণত করা হয়, যদিও মূল আরবীতে সেখানে সুধুমাত্র একটি কথা: হুরিস। না সুন্দর বক্ষ না উজ্জ্বল, যৌবন কুমারী মেয়ে।

এখন এটি মনে হয় হতে পারে শুদ্ধ (পিওর) কিছু- যেমন ফেরেস্থা – অথবা গ্রীক করউস (Kouros or Kórē) এক অনন্ত যৌবন(পুরুষ/নারী উভয়ের ক্ষেত্রেই) , কিন্তু সত্য হল কেউ জানিনা , এবং সেটাই মুল বিষয় কারন কোরআন একদম পরিষ্কার যখন বলে “ একটি নতুন তৈরি কৃত প্রজাতি, আবার তোমাদের তৈরি করা হবে যা সম্পর্কে তোমরা জানো না” যা মনে হয় আরো আবাদনময়ি কুমারী মেয়ে থেকে। (আপনি একবার চিন্তা করেন আপনি হয়তো ৭২ হুর বা ওদের মতে যুবতী মেয়ে নিয়ে খুশি থাকতে পারেন একবার ভাবুন এই একই বিষয়ে আপনার বৈ কি খুশি হবে, বা আপনার মা বা আপনার বাবাকে কি আপনি ৭২ যুবতীর সাথে দেখ খুশি হবেন? ইসলামে এমন খারপ ভাবে কখনো বলেনি বরং এখানে দেখুন

As regards the word húr, it is a plural of ahwar (applied to a man) and of haurá’ (applied to a woman), signifying one having eyes characterized by the quality termed hawar, which means intense whiteness of the white of the eye and intense blackness of the black thereof.

The word ahwar (singular of húr) also signifies pure or clear intellect (Lane’s Lexicon). The other word, ‘ín, is plural of a‘yan (meaning a man wide in the eyes) and of ‘ainá’ (meaning a woman beautiful and wide in the eye). The latter word also signifies a good or beautiful word, or saying (Lane’s Lexicon). It may be noted that whiteness is also a symbol of perfect and unsullied purity, and hence the two words húr and ‘ín really stand for purity and beauty; and therefore, instead of white-eyed and large-eyed ones, I adopt the words pure and beautiful ones, as being more expressive of the true significance.

To realize the true significance of these words, two points must be borne in mind. The first is that paradise is a place for faithful women as well as for faithful men, and hence the Holy Quran often speaks of the faithful as being in paradise with their wives; see for instance 36:56, where the faithful are spoken of as sitting on thrones or raised couches with their wives, or 13:23 and 40:8, where they are spoken of as being in paradise along with their wives and offspring. The second is that the blessings of paradise are alike for women and men, there being not the least difference in this respect between the two sexes. The question then is what is meant by húr ‘ín here. It has already been explained that the Holy Quran does not speak of any conjugal relations being maintained in a physical sense in the life to come. Moreover, it has been shown on various occasions that, where the blessings of paradise are spoken of, these are nothing but physical manifestations of the spiritual blessings which the doers of good enjoy in this life too. There are gardens, trees, rivers, milk, honey, fruits and numerous other blessings spoken of as being met with in paradise, but that all these are not things of this life has been shown more than once in these footnotes, and a saying of the Holy Prophet already quoted makes it clear that the blessings of paradise are not the things of this life) সুত্র http://www.muslim.org/islam/hur.htm

এবং অনেকে যে ৭২ জনয হুর সম্পকে বলে সেই নাম্বার ৭২ কখনো দেখা যায়নি কোরআনে ৭২ কুমারির ধারনা শুধু আসে ৩০০ বছর পরে।

স্বর্গ হচ্ছে তাঁর উলটো এটা কুমারী মেয়ে নয় এটা ফিকান্দিটি (The quality or power of producing abundantly; fruitfulness or fertility. Productive or creative power: fecundity of the mind) স্বর্গ হচ্ছে সবার সমঅধিকারের জায়গা, যা বিশাল, অফুরন্ত, স্বর্গ হচ্ছে বাগান যার মাঝে রয়েছে পানি প্রবাহিত ঝরনা ধারা চির শান্তির স্থান।

অতএব বলাযায় ইসলাম কখনো নারীর লোভ বা ভয় দেখিয়ে প্রসার পায়নি বরং ইসলাম প্রচার হয়েছে এর ভাল গুনে।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৪৫

রিফাত হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ যদিও হুর বা জান্নাতের কোন বিষয় নিয়ে আমার পোষ্ট ছিল না । দাস দাসী বা গনিমত বা যুদ্ধ বন্ধী নিয়ে টার্গেট ছিল ।


هُمْ وَأَزْوَاجُهُمْ فِي ظِلَالٍ عَلَى الْأَرَائِكِ مُتَّكِؤُونَ

56
তারা এবং তাদের স্ত্রীরা উপবিষ্ট থাকবে ছায়াময় পরিবেশে আসনে হেলান দিয়ে।


-


جَنَّاتُ عَدْنٍ يَدْخُلُونَهَا وَمَنْ صَلَحَ مِنْ آبَائِهِمْ وَأَزْوَاجِهِمْ وَذُرِّيَّاتِهِمْ وَالمَلاَئِكَةُ يَدْخُلُونَ عَلَيْهِم مِّن كُلِّ بَابٍ

23
তা হচ্ছে বসবাসের বাগান। তাতে তারা প্রবেশ করবে এবং তাদের সৎকর্মশীল বাপ-দাদা, স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানেরা। ফেরেশতারা তাদের কাছে আসবে প্রত্যেক দরজা দিয়ে।

-

رَبَّنَا وَأَدْخِلْهُمْ جَنَّاتِ عَدْنٍ الَّتِي وَعَدتَّهُم وَمَن صَلَحَ مِنْ آبَائِهِمْ وَأَزْوَاجِهِمْ وَذُرِّيَّاتِهِمْ إِنَّكَ أَنتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ

08
হে আমাদের পালনকর্তা, আর তাদেরকে দাখিল করুন চিরকাল বসবাসের জান্নাতে, যার ওয়াদা আপনি তাদেরকে দিয়েছেন এবং তাদের বাপ-দাদা, পতি-পত্নী ও সন্তানদের মধ্যে যারা সৎকর্ম করে তাদেরকে। নিশ্চয় আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।

-
----------------

তবে হুর জাতীয় ভূল ধারনা অনেকটা দূরীভুত হয়েছে । :)
৭২ হুর সংক্রান্ত কোন হাদীস আদও আছে কি ?
আমি কোন একটি হাদীস পড়েছিলাম , ঠিক মনে পড়ছে না. যে... অস্থি মজ্জা দেখা যাবে তাদের মানে হুরদের ! এতটাই সুন্দর তারা ! আদও কি এরকম কোন প্রকার হাদীস আছে নাকি জাল বা দুবর্ল হাদীস বা বিকৃত ?




কিন্তু...


**দক্ষিন হস্তের অধিকার বা ‘মালাকুল ইয়ামিন’ বলতে বুঝায় ক্রীতদাস বা দাসী (স্লেভস কিংবা মেইডস), যা যুদ্ধবন্দী হিসেবে কিংবা বাজার হতে ক্রয়সুত্রে মুসলমানদের দখলে আসে। ক্রীতদাসী মুসলমানদের দখলে আসলে তাদের সাথে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করা বৈধ এবং সঠিক। বর্তমান যুগেও যদি কোন কাফেরদের দেশ মুসলমানদের অধিকারে আসে, এই নিয়ম পালন করা বৈধ এবং সঠিক।



জবাবে ঐ জনৈক ব্যক্তি বলেন............. Click This Link


কিছুক্ষণ আগে দক্ষিণ হস্তের ব্যাখ্যায় বললেন,“শক্তি প্রয়োগে প্রাপ্ত”। আবার এখানে বলছেন, ক্রীতদাস বা দাসী। ক্রীতদাসী মুসলমানদের অধিকারে আসলেই তার সাথে সহবাস বৈধ ছিল না। যদি সে তার স্বামী ছাড়া বন্দী হত, যদি সে মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া না পেত, এরপর যদি সে কারো বন্টনে পড়ত, তাহলেই কেবল আরো কিছু শর্তসাপেক্ষে ঐ নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্য সে হালাল ছিল।

বর্তমান যুগে কাফেরদের দেশ মুসলমানদের অধিকারে আসলে এ বিধান থাকবে না। কারণ এখন সব কাফেরদের দেশকে গড়পড়তা দারুল হরব বলা যায় না। আর দারুল হরব না হলে ঐ বিধান থাকবে না।

সেসব দাসীর সম্ভোগ এজন্যই বৈধ ছিল কারণ স্বামী-স্ত্রীর একজন দারুল হরবে আর একজন দারুল আমানে ছিল। উভয়ে যদি যুদ্ধবন্দী হত, তাহলে সম্ভোগ বৈধ ছিল না। দার বা দেশগত পার্থক্য হলে সেসময় বিবাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার বিধান ছিল। ফলে অন্যকে বিবাহ করা, কিংবা, অন্যের দাসী হয়ে তার দ্বারা সহবাসকৃত হওয়া বৈধ ছিল। /:)

-----------------------------------------------------------------

এই যুক্তি ভাল লাগে নাই । আমি করব না সহবাস........... বৈধ আবার অবৈধ কি ? জোর যার মুল্লুক তার নাকি ? X((

এইটা কিভাবে খন্ডন করা যায় ?

তবে আমি আনুমানিক একটা দাড় করিয়েছি ...

ধন্যবাদ ব্লগার রাক্ষস সাহেব কে ৮. ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৩৩
দানবিক রাক্ষস বলেছেন: বেহেশত নামক পতিতাপল্লী অস্থির কথা, যেই বলেছেন না কেনো আমি তার সাথে একমত।

আমারও ঠিক একই রকম অনেক প্রশ্ন আছে, কাল একটা পোস্ট দিবো এই ব্যাপারে।

কৃতদাস বলতে সম্ভবত কাজের লোক বুঝিয়েছে , কুরানের আক্ষরিক অনুবাদ না পড়ে যদি ভাবানুবাদ পড়া হয় তবে সেটা উত্তম হবে।

একটু লক্ষ করুন, রিফাত ভাইয়ের মন্তব্যে উল্লেখিত আয়াত দুইটিতে (সুরা আন-নিসা, আয়াত ২৪,২৫) কিন্তু কথাও ধর্ষণ কিংবা ব্যাভিচারের অনুমতি দাওয়া হয়নি।


এরকম যে, যুদ্ধ বন্দী করে রাখলে শুধু শুধু তাদের খাওয়া পড়া না দিয়ে সমাজের সবার মধ্যে তাদের শ্রমকে বন্টন করা । আর তাদের অধিকার আদায়ের অনেক আয়াত কোরআন শরীফে পেয়েছি । :)


তবে .. যে জন্য পোষ্টের মূল অবতারনা . যা পোস্টের শেষে বলেছিলাম
খন কথা হল .. দাস প্রথা নিয়ে. মহানবী সা: এর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে । যদিও এটি আমার চিন্তার বিষয় নয় তিনি কিভাবে তার জীবনে চলবেন কি চলবে না.. কিন্তু বাধা হয়ে দাড়ায় যখন তিনি অনুসরনীয় কেউ হয়ে থাকে !
তার একটি বড় অংশ বিরাজমান...


এর অনুকূলে যা পেলাম ।

এরপর আপনার জন্যে কোন নারী হালাল নয় এবং তাদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করাও হালাল নয় যদিও তাদের রূপলাবণ্য আপনাকে মুগ্ধ করে, তবে দাসীর ব্যাপার ভিন্ন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ের উপর সজাগ নজর রাখেন। কোরান, ৩৩: ৫২

আর সর্বাপরী ৩৩) সূরা আল আহযাব থেকে যা পাই.. আরও কাছাকাছি ইঙ্গিতপূর্ণ যা আয়াত আছে ।

বুঝলাম এটা উপওয়ালার উপহার স্বরূপ । কিন্তু আদও কি তিনি কোন সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন স্ত্রী ব্যতীত (শারীরিকভাবে) নাকি তা শুধু কোরআনেই লৈখিকই আছে বাস্তব প্রতিফলন নাই...

কারন যদি এটা হয়ে থাকে বিপরীত মুখী হয়ে গেল ব্যাপারটা .. মানে ব্যাভিচার টাইপের ! (আল্লাহ ভাল জানেন) যেহেতু আমি এটা উপলব্ধি করতে পেরেছি যে বিবাহ বর্হিভূত শারীরিক সম্পর্ক ব্যভিচার যতই হাদীস আসুক না কেন তাকে আমি ভুয়া বা জাল বা বিকৃত বলে ধরে নিব (সুরা আন-নিসা, আয়াত ২৪,২৫) প্রেক্ষিতে । :)

যদিও আমার গন্ডির বাইরে মহানবী সা: এর জীবনের খুব ব্যক্তিগত পর্ব নিয়ে , মানে এই নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলবে.. তবে ক্যচঁ ক্যচঁ করে বললাম না কারন অনেক স্পর্শকাতর ব্যাপার নিয়ে যদি আলোচনা করে থাকেন তিনি যেমন আজল ইত্যাদি, তাহলে তার এই ব্যাপারটা নিয়েও একটু পরিষ্কার হওয়া দোষের কিছু মনে হয় হবে না । (সম্মান সহিত)। :)



২৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৫১

সুখোই-৩৫ বলেছেন: এত বেশী প্রশ্ন কইরেন না। যেখানে আছেন সেখানেই থাকেন। একটা কথা খুবই সত্য, তা হল ignorance is bliss।

নাস্তিকতা বা ধর্মান্ধতা কোনটাই সাধারণ মানুষের জন্য না। আপনি যদি সাধারণ মানুষ হয়ে থাকেন, তাহলে ধর্মান্ধ বা নাস্তিক কোনটাই হইয়েন না। সাধারণ মানুষের জন্য ধর্মের দরকার আছে। বিপদে আপদে পড়লে সৃষ্টিকর্তারে ডেকে একটু হলেও সান্তনা পাওয়া যায়। কিংবা মাঝে মাঝে প্রার্থনা করে একটু হলেও মানসিক শান্তি পাওয়া যায়। নাস্তিক হলে এই শান্তিটুকু নষ্ট হবে। আমি আপনার মত এইসব প্রশ্নের উত্তর খুজতে যেয়ে নাস্তিক হয়ে গেছি। এখন কোন সমস্যায় ঈশ্বরকে আর ডাকতে পারি না, কারণ যুক্তি ও জ্ঞান আমার ঈশ্বরবিশ্বাস নষ্ট করে দিয়েছে। আমার পক্ষে আর কোনদিন হয়তো আস্তিক হওয়া সম্ভব না। এখন আমার আস্তিকদের দেখলে হিংসা হয়। আস্তিকরা যেমন ঈশ্বরের উপর নির্ভর করতে পারে, আমার সেরকম নির্ভর করার কেউ নাই। আবার ধর্মান্ধ হওয়াও ভাল না। নাস্তিকতা যেমন সাধারণ পাবলিকের জন্য খারাপ, ধর্মান্ধতা বা পুরোপুরি ধর্ম মেনে চলাও তেমন সাধারণ মানুষের জন্য খারাপ। দুইটাই জীবনকে কঠিন করে দেয়। যেমন অতি ধার্মিক হলে আপনি নাচ, গান, শিল্পকলা এইসব বর্জন করতে হবে, এতে জীবনের আনন্দ বা রস বলে আর কিছুই থাকবে না। সাধারণ স্বাভাবিকভাবে চলেন, মসজিদেও যান আবার গানও শোনেন। ধর্মকে এত গবেষণাও কইরেন না, এতে নাস্তিকতার দিকে মন ঝুকে যাবে, আবার ধর্মকে এত সিরিয়াসলিও নিয়েন না, এতে স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হবে। রোজার মাসে রোজা রাখবেন, ঈদের দিন হলে যেয়ে ছবি দেখবেন। বিপদের সময় নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাবেন আবার পার্টিতে নাচ গানও করবেন। সাধারণ মানুষ আছেন, সাধারণভাবেই জীবনযাপন করেন। এইসব গবেষণা জ্ঞানীদের জন্য ছাইড়া দেন, যারা অস্বাভাবিক জীবন যাপন করে, খালি গবেষনা করে। আপনার আমার জন্য এইসব না। জ্ঞান কম থাকাই ভাল, ignorance is bliss। এতে জীবন সহজ হয়। বাদ দেন এইসব। কারণ যত ঘাটবেন তত অবিশ্বাস বাড়বে আর জীবনের শান্তি নষ্ট হবে। নরমাল মানুষ আছেন নরমাল থাকেন। ভাষ্কর্যও বানান আবার জুমার নামাজও পড়েন। ছবিও আকেন আবার রোজাও রাখেন। কোনকিছুরই বাড়াবাড়ি করার দরকার নাই। কোনদিন যদি অসাধারণদের কাতারে যান, কোনদিন যদি বড় কোন জীববিজ্ঞানী হোন, সেদিন এইসব নিয়া ঘাইটেন, কারণ তখন আপনার মনমানসিকতা একজন নাস্তিকের মত হতে হবে বিবর্তন বুঝতে হলে। কট্টর মোল্লা হবারও দরকার নাই, দাসী ছহবতও করার দরকার নাই, চাইর বউ রাখারও দরকার নাই আবার মদ খাবারো দরকার নাই, পতিতাগমনেরও দরকার নাই। এইসব গবেষণা বাদ দেন, এগুলা নিয়া মাথা ঘামানি বাদ দেন। আখেরে আপনারই লাভ হবে। কারণ ধর্মবিশ্বাস উঠে গেলে খোদার কাছে যে মানসিক আশ্রয়টা পাইতেন সেটা আর পাবেন না। মনের শান্তি নষ্ট হবে শুধু শুধু। আপনি তো আর বড় বিজ্ঞানী না যে যুক্তির পথে হাটার জন্য আপনার নাস্তিকতা দরকার। বিজ্ঞানীর নাস্তিকতা সাজে, কারণ সে মানসিক তৃপ্তি খোদার কাছে না পাইলেও জ্ঞানচর্চার মাঝে পায়। আপনি ঐ পথে হাটলে বিজ্ঞানীর সেই জ্ঞানচর্চার তৃপ্তি তো পাবেনই না, মাঝখান দিয়া মনের শান্তিটা নষ্ট হবে। যেমনে আছেন, সেমনেই থাকেন।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২০

রিফাত হোসেন বলেছেন: মনে ধরেছে..

২৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৪

ধমাধম বলেছেন: সুখোই-৩৫- ের কোমেনটে জাঝা

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২০

রিফাত হোসেন বলেছেন: হুম

২৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১২

জালাল উদ্দিন ফরিদী বলেছেন: "পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন।"

ইসলামে মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো মেটানর পরে প্রথম ফরয হল পড়া, না নামায, না রো্যা।

কিন্তু মুসলমানরা তা কম-কম করেন। ফলে কোরান-হাদীসের সূক্ষ্ম বিষয় দূরে থাক অনেক মৌলিক বিষয়গুলো সম্মন্ধেও ধারণা কম বা আদৌ নেই। কিন্তু নাস্তিক বা বিধর্মীরা আমাদের তুলনায় অনেক অনেক পড়ে। কোরান-হাদীস আরবিতে হওয়ায় এর অনুবাদ করার সময়ে যথেষ্ঠ সততা ও জ্ঞান থাকা আবশ্যক। কারণ একটি শব্দের অর্থ অন্য ভাষায় একাধিক হতে পারে। সেইক্ষেত্রে সঠিকভাবে অর্থ বাছাই করা জরুরী।


আমি আপনাকে কিছু প্রশ্ন করতে চাই এবং কিছু জানাতে চাই। আর বিদ্যমান বিষয়গুলোর সঠিক ব্যাখ্যা পেলেই আপনাকে জানাবো।

১. "নতুন প্রচারিত ধর্মে যোগদানের জন্য মুহাম্মদকে বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হয়েছে, আল্লাহর নামে(নাস্তিকদের/কুরআনে অবিশ্বাসীদের মতে) তিনি তার গ্রন্থ কুরআনে বলেছেন যে ইসলামের পথে জিহাদ করলে স্বর্গে অসংখ্য(৭২+) হুর গেলমান পাওয়া যাবে, দুধের সমুদ্র থেকে শুরু করে মদের নদী এমন কিছু নাই যে মুহাম্মদ লোভ দেখান নাই। এ সকলই নতুন প্রবর্তিত ধর্মে মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্য।"

এটা একটা ১০০% ভুল কথা। কারণ, ভালো কাজ করলে কোন পুরস্কার পাওয়া যাবে কিনা আর খারাপ কাজ করলে কি শাস্তি হবে একথা ইসলামের প্রাথমিক সময়ে কখনোই আসেনি। তাহলে কেন মানুষ ইসলামে আসছিল?

"মানুষ সব সময়েই দুটি জিনিষের বাধ্য- লোভ আর ভয়। মুহাম্মদ দোযখের ভয় জনগনকে এমনভাবেই দেখিয়েছেন যে সেই ভয়েই অনেক দুর্বল হ্নদয়ের মানুষ সাথে সাথে ইসলাম কবুল করে। একই সাথে ছিল ইসলামে যোগ দিলে অশ্লীল লাভের প্রতিশ্রুতি, বেহেশত নামক পতিতাপল্লী এবং সুরীখানার প্রবেশাধিকার। দুইয়ে মিলে ভালভাবেই চলছিল নতুন ধর্মের প্রসার"

কোরান-হাদীসে কোথাও মানুষকে জান্নাত পাওয়ার জন্য বা জাহান্নাম থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর ইবাদত করতে বলা হয়নি। যাদের নিয়ত এমন তারা প্রতিনিয়ত শিরক করে যাচ্ছেন। যাকে বলা হয় গোপন শিরক। রাবেয়া বসরি (রহঃ) একদিন ডানহাতে আগুন আর বামহাতে পানি নিয়ে দৌড়াচ্ছিলেন। লোকজন জিজ্ঞ্যেস করলে তিনি বললেন যে তিনি আগুন দিয়ে জান্নাত পুড়িয়ে দিতে চান এবং পানি দিয়ে জাহান্নাম-এর আগুন নিভিয়ে দিতে চান। কারণ, মানুষ জান্নাতের আশায় আর জাহান্নামের আগুনের ভয়ে ইবাদত করে, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নয়।

২. "কুরাইশ এবং বিধর্মীদের সাথে যুদ্ধে গনিমতের মাল বা যুদ্ধে শত্রু সম্পত্তি ভোগ এবং দখলকে কেন্দ্র করে জিহাদীদের মধ্যে দন্দ দেখা দিল। কিছু মানুষ মুহাম্মদের কাছে জানতে চাইলো যুদ্ধে মৃত শত্রুর ফেলে যাওয়া সম্পদ, স্ত্রী, শিশু, বাচ্চাকাচ্চা, বৃদ্ধ মা বাবা, উঠ, অর্থ এগুলো ভোগ করা যাবে কিনা..."

যুদ্ধের সময় মহিলারা সাধারণত বড়জোর পিছনে থেকে গান-বাজনার মাধ্যমে সৈন্যদের উতসাহ দিতেন। যুদ্ধে পরাজিত হলে তারা পালিয়ে যেতেন না মাঠে থাকতেন তা একটা জানার ব্যাপার। তবে কোরান-হাদীসে আদেশ করা হয়েছে যে বেসামরিক লোক, শিশু-বয়স্ক, নারী, অসুস্থ ব্যক্তির ক্ষতি না করতে, ফসল না নষ্ট করতে এবং ঘর-বাড়ি না নষ্ট করতে। ব্যাক্তিগত ইচ্ছার জন্য কোন সাহাবি বা তৎকালীন লোকের যুদ্ধ করতেন না। যুদ্ধ শেষে ঐ এলাকার লোকদের ইসলামের প্রতি আহ্বান করা হত। যারা মুসলিম হত তারা বাদে যারা হত না তাদেরকে একরকম কর দিতে হত। নারীদের দখল করার ইতিহাস পাওয়া যায়না। আপনি যে আয়াতের উল্লেখ করেছেন সেখানে আসলে কি অর্থ বোঝানো হয়েছে সেটা আগে জানা জরুরী। সেই সাথে আগের ও পরের আয়াতের কথাগুলোও দেখতে হবে।

এটা আংশিক আয়াতঃ “তোমাদের জন্যে অবৈধ করা হয়েছে নারীদের মধ্যে সধবাগণকে (অন্যের বিবাহিত স্ত্রীগণকেও); কিন্তু তোমাদের দক্ষিন হস্ত যাদের অধিকারী- আল্লাহ তোমাদের জন্যে তাদেরকে বৈধ করেছেন”।(সুরা ৪:২৪)

৪-২৪ "এবং নারীর মধ্যে তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসী ব্যতীত সকল সধবা তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ*, তোমাদের জন্য এটা আল্লাহর বিধান। উল্লিখিত নারীগণ ব্যতীত অন্য নারীকে অর্থব্যয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করতে চাওয়া তোমাদের জন্য বৈধ করা হল, অবৈধ যৌন সম্পর্কের জন্য নয়। তাদের মধ্যে যাদেরেকে তোমরা সম্ভোগ করেছ তাদের নির্ধারিত মাহর অর্পণ করবে। মাহর নির্ধারণের পর কোন বিষয়ে পরস্পর রাযী হলে তাতে তোমাদের কোন দোষ নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।"

*সধবা দাসী কারো অধিকারভুক্ত হলে তার পূর্ব-বিবাহ বাতিল হয়ে যায়। সুতরাং তাকে বিয়ে করা বৈধ।

উল্লিখিত নারীগণ বলতে এখানে যাদের সাথে বিয়ে হারাম তাদের কথা বলা হয়েছে-যা আগের আয়াতে বর্ণিত আছে। দক্ষিণ হস্ত বা ঢাল-তলোয়ারের কথা আমি তো পেলাম না। ইসলামে গ্রহণের পূর্বে অনেকের অধীনে দাসী ছিল এখানে সেই দাসীদের বিষয়ে সমাধান দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ তাদের সাথে বিয়ে ব্যতীত যৌন সম্পর্কের প্রশ্নই আসে না। যদি এমনটা কেউ চাইতো তাকে সেই দাসীকে বিয়ে করতে হবে যেমনটা একজন সাধারণ মেয়েকে বিয়ে করতে হয় লোকসম্মুখে এবং জানিয়ে।

৩. "গাজওয়ায় যেসব নারীদের বন্দী হতো, তাদের মধ্য থেকে মুহাম্মদ স্বয়ং বেশ কয়েকজনকে নিজের স্ত্রী কিংবা উপপত্নী হিসেবে নির্বাচিত করেছিলেন। সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েটিকেই তিনি নিজের জন্যে রাখতেন।"

রেফারেন্সঃ সিরাত ই রাসুলাল্লাহ, ইবনে ইসহাক

"সিরাত ই রাসুলাল্লাহ" মুসলিম পণ্ডিতগনের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য তা ভাববার আছে। আর বইটা মূল কোন ভাষায় লেখা এবং তা ঠিকমত বাংলায় অনূদিত হয়েছে কিনা দেখার বিষয়। একটি ঘটনা আছে এরকমঃ এক এলাকা মুসলমানদের দখলে আসার পরে মুসলিমরা সেখানে ইসলামের দাওয়াত দেন এবং সেখানকার শাসকগোষ্ঠীর জীবিতরা অনেকেই তা মেনে নেন। সেখাঙ্কার রাজকুমারী নবীজিকে (সঃ) বিয়ের প্রস্তাব দিলে নবীজি (সঃ) (সম্ভবত রাজনৈতিক কারণে) সেই প্রস্তাব গ্রহন করেন।

দেখলেন তো একই কোরান শরীফের ভিন্ন ভিন্ন বাংলা অনুবাদ। বাকীগুলো পরে জানতে পারলেই জানাবো। কারণ, একই সহীহ বুখারি, মুসলিম ও আবু দাউদ শরীফেরও তো ভিন্ন অনুবাদ থাকতে পারে। দোষ অনুবাদকের।

পৃথিবীর আকার সম্মন্ধে কোরানে যে শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে তার বাংলা অর্থ আসেঃ বর্তুলাকার, গোলাকার, বৃত্তাকার প্রভৃতি। এখন কোনটা নিতে হবে? বর্তুলাকার মানে অনেকটা কমলা লেবুর মত, দুপাশে খানিকটা চ্যাপ্টা। আরবীতে এই আকৃতির কথা বলা হয়েছে। এখন কোন অনুবাদক যদি লেখে গোলাকার তবে তো বিজ্ঞানী বলবেন যে কোরানে ভুল লেখা আছে।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৮

রিফাত হোসেন বলেছেন: Dhonnobad tobe ospostho uttor.

৩০| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১০

জালাল উদ্দিন ফরিদী বলেছেন: আমার কাছে বুখারী বা অন্য হাদীস শরীফের কোন বই নেই। তাই সব বিষয়গুলো পরিস্কার করতে ব্যর্থ হয়েছি। সূরা নিসার যে আয়াতের বাংলা অনুবাদ এখানে উল্লেখ করা হয়েছে সেটা খুব সম্ভবত সৌদি বাদশাহ কর্তৃক বিনামূল্যে বঙ্গানুবাদসহ যে কোরান শরীফ দেয়া হয় সেখান থেকে নেয়া। যাইহোক এটা আপনার ও আমাদের সবার ব্যর্থতা। কারণ আপনি ভালোভাবে যাচাই না করে তাদের যুক্তির কাছে দ্বিধান্নিত হয়ে গিয়েছেন। আমরা ইসলামের প্রথম ফরয পালন না করায় আজ এই অবস্থা। আমি বিষয়গুলো জানার চেষ্টায় আছি। ভুল বা অসম্পূর্ণ অনুবাদের জন্য মূল কোরান বা হাদীসের দোষ দেয়া অন্যায়।

একটা জাল হাদীস পড়ুনঃ

"ওহুদের যুদ্ধে যখন নবীর চেহারা মুবারক অথবা মাথায় শিরস্ত্রাণের দুটি শলাকা ঢুকে যায় তখন হযরত আবু বকর (রাঃ) দৌড়ে অগ্রসর হলেন এবং অন্য দিক হতে হযরত আবু ওবায়দা (রাঃ) দৌড়ে শিরস্ত্রাণের শলাকা দাঁত দ্বারা কামড়ে একটি শলাকা বের করতে সক্ষম হন। তাতে আবু ওবায়দার একটি দাঁত ভেঙ্গে যায়। আবু ওবায়দা (রাঃ) দাঁত ভাঙ্গার পরওয়া না করে দ্বিতীয় লৌহ শলাকা দাঁত দিয়ে কামড় দিয়ে বের করেন, তাতে তার দ্বিতীয় আরেকটি দাঁত ভেঙ্গে যায়। লৌহ শলাকা বের করার সময় হুজুরের (সঃ) শরীর থেকে রক্ত বের হচ্ছিল। হযরত আবু সায়ীদ খুদরীর (রাঃ) পিতা মালেক বিন সিনান (রাঃ) সে রক্ত চুষে খেয়ে ফেললেন। নবী (সঃ) বল্লেনঃ যার শরীরে আমার রক্ত মিশেছে তাকে দোযখের আগুন স্পর্শ করতে পারবে না।" (হেকায়েতে সাহাবা- পৃঃ ১৭৩)

অথচ কোরান শরীফে উল্লেক আছে আল্লাহ রক্তকে হারাম করেছেন। তাহলে নবী (সঃ) তাদেরকে এই হারাম কাজে বাধা না দিয়ে উলটো তাদেরকে জান্নাতের সুসংবাদ দিলেন।

এই বইটি মুসলিম পণ্ডিতগণ-এর কাছে গুরুত্ত রাখেনা।

আপনি বাজারে একই হাদীস শরীফের কয়েকরকম বাংলা অনুবাদসহ পাবেন। এর ভেতর থেকে সঠিকটি যাচাই করতে হবে। আমি বা আপনি এই দায়িত্ব মোল্লাদের উপর চাপিয়ে দিয়ে প্রথম ফরয এড়িয়ে যেতে পারবো না।

নাস্তিক এবং যারা ইসলামের বিরুদ্ধে বলে তারা খুঁজে খুঁজে এইরকম ভুল অনুবাদের বইগুলো হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে।

কোন নবী-রসূল কখনো ভুল করেননি, কারণ তাদেরকে আল্লাহ প্রত্তক্ষ সহায়তা করতেন।

মূসা (আঃ) একবার একটি প্রশ্নের উত্তর আপত্তিকর দেয়ায় আল্লাহ তাঁকে শিক্ষা নেয়ার জন্য খিযির (আঃ)-এর কাছে পাঠিয়েছিলেন। এক ব্যক্তি নবীর (আ:) কাছে এসে প্রশ্ন করলেন যে এখানে কে সবচেয়ে জ্ঞানী? নবী (আঃ) বললেন, যে তিনিই সবচেয়ে জ্ঞানী। যেহেতু তার সম্প্রদায়ের লোকের ভিতরে তিনি সবচেয়ে জ্ঞানী ছিলেন তাই এদিক থেকে মূসা (আঃ)-এর উত্তর ঠিক ছিল। কিন্তু আল্লাহর কাছে এই উত্তর অপছন্দনীয় হল। তাই আল্লাহ মূসা (আঃ) কে বললেন, সমুদ্রের তীরে তাঁর চেয়ে জ্ঞানী একজন ব্যক্তি আছে এবং নবীকে (আঃ) তাঁর কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে বললেন।

তাই সঠিক বিষয় জানার জন্য প্রত্যেকের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। আমরা টাকা দিয়ে কয়টা গল্প-উপন্যাস কিনি আর কয়টা ধর্মীয় এবং বিজ্ঞানের বই কিনি?

ভরা পেটে বিনোদন বেশি ভালো লাগে, সৎ উপদেশ বা নীরস ধর্মীয় বই খুব কম ভাল লাগে। আমাদের রসবোধ বেশি।

-"মাথায় ছোট বহরে বড়, বাঙ্গালী সন্তান"- কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

রিফাত হোসেন বলেছেন: না বোঝার জন্য বরং পরিষ্কার হওয়ার জন্যই পোষ্ট ।

বুঝলে কি এই পোষ্ট দিতাম ?

বুঝার চেষ্টায় রত ।

নবী ও রাসূল সা: অবশ্যই মানুষ , তারাও ভুল ভ্রান্তি করেছে । করাটাই স্বাভাবিক । হয়ত তুলনায় আমাদের থেকে শস্য দানা একাংশ। কিন্তু করেছে ।

আল্লাহ কখনই প্রত্যক্ষ সহযোগীতা করতেন না । :) এইটা আপনি পুরাই ভুল বললেন । সর্বদা পরোক্ষ সহযোগীতা করতেন ।

একটা মাধ্যম আল্লাহ রাখতেন , তাই একে কখনোই প্রত্যক্ষ সহযোগীতা বলা যায় না ।

আল্লাহ যদি প্রত্যক্ষ সহযোগীতা করতে চাইতেন তাহলে মেসেঞ্জার (সা:) লাগত না ।

৩১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৬

জালাল উদ্দিন ফরিদী বলেছেন: আপনার লজিক ভালো।

"নবী ও রাসূল সা: অবশ্যই মানুষ , তারাও ভুল ভ্রান্তি করেছে । করাটাই স্বাভাবিক । হয়ত তুলনায় আমাদের থেকে শস্য দানা একাংশ। কিন্তু করেছে।"

নবী ও রসূলগণ পুরোপুরি আমাদের মত মানুষ ছিলেন না। আপনার দৃষ্টিতে তারাও যদি অতি সামান্য ভুল করে থাকেন তবে সেগুলো এত আমলে কেন নিচ্ছেন? আমাদের জাতীয় নেতাগণের জীবনী লেখা বা তাদের সম্মন্ধে বলার সময়ে তো কেউ খারাপ দিকগুলো বলে না। তাহলে নবী রসূলগণ যদি অতি সামান্য বা সামান্য বা ছোট ভুল করেও থাকেন (আপনার দৃষ্টিতে) তা নিয়ে এত চিন্তিত কেন? তাঁরা কি এখনকার মানুষের চেয়ে অনেক অনেক আদর্শবান ছিলেন না?

আপনার লজিকের জের টানলে আদম (আঃ) কে মনে হচ্ছে সব ভুলের গুরু। তিনিই তো প্রথম আল্লাহর আদেশ অমান্য করলেন। তাহলে এখন এত দিন পর্যন্ত যত মানুষ আল্লাহর আদেশ অমান্য করেছে তাদের সবার পাপের কিছু তো তার ঘাড়েও যাওয়া উচিৎ নাকি?

উনার জন্যই তো মানুষের পৃথিবীতে আসা, এতো ভালো ভালো কাজ করা আবার জঘন্য জঘন্য পাপ কাজও করা। হাদীসের যেসব উদ্ধৃতি দেয়া হয়েছে সেগুলোর ব্যাখ্যা পাওয়ামাত্রই আপনাকে দেব।

এগুলোর ব্যাখ্যা জরুরী। সেইসাথে আরুজ আলী মাতুব্বর-এর বিষয়গুলোর সমাধানও জরুরী।

তবে একটা ব্যাপার হল, আত্মিক উন্নতিসম্পন্ন ব্যক্তি বাদে এগুলোর ভুল ধরা বা ব্যাখ্যা ভালো করে কেঊ দিতে পারার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। কারণ বিজ্ঞান বা যুক্তি সবকিছুর শেষ উপায় নয় এনং আমাদের সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে আমাদের মন পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। তা আপনিও জানেন।

বিজ্ঞানীর তত্ত্ব ধ্রুব নয় সবসময়। তা গবেষণার কারণে প্রায়ই পরিবর্তন বা উন্নয়ন করতে হয়। যেমনঃ আলোক তত্ত্ব, পরমাণু তত্ত্ব ইত্যাদি।

লজিকে কিছু ভুল করেছি, স্বীকার করছি। আল্লাহ প্রত্যক্ষ সহযোগিতার পাশাপাশি পরোক্ষভাবেও সাহায্য করতেন। ইব্রাহিম (আঃ) কে আগুনে নিক্ষেপ করা হলে তখন আল্লাহ কিন্তু সরাসরি সাহায্য করেছিলেন, কোন ফেরেস্তার মাধ্যমে নয়। এরকম আরো তথ্য পাওয়া যাবে।

৩২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩০

জালাল উদ্দিন ফরিদী বলেছেন: "আল্লাহ যদি প্রত্যক্ষ সহযোগীতা করতে চাইতেন তাহলে মেসেঞ্জার (সা লাগত না।"

আপনি নিশ্চয় জানেন যে, মূসা (আঃ) আল্লাহর সাথে সরাসরি কথা বলতেন কোন ফেরেস্তা বা কোন মাধ্যম ছাড়াই।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:০০

রিফাত হোসেন বলেছেন: ঠিক বলেছেন। যদিও আপেক্ষিক সব কিছু মিলিয়ে ই পরোক্ষ বুঝিয়ে ছি।

আমি তাদের ভুলের পিছনে ছুটি ছিনা। আপ্নি ভুল কর্ছেন .

পোস্ট এর শেষে কিছু জানার চেস্টা কর্ছি .

যদিও আর্বী পড়তে পারি কিন্তু বুঝি না। মাবাবা এইটা বড়ই ভুল করেছে . কোরান শরিফ বুঝার দর্কার ছিল। কি দিয়েছে আর কি অনুবাদ দিয়েছে।

আরবি ই কবরের ভাষা হলে সবাই এক ই ভাবে কথা বলত। কিন্তু পার্থক্য. আছে অনেক। একেক ভাষায় .

যেমন গ্রাইফেন। আনগ্রাইফেন। থাস্তেন। আইন্থাস্তেন। আউফথাস্তেন . ড্রুউখেন। থিপেন। আইন্থিপেন। যঅখেন বেহালতেন . . . এগুলি সবি ই আলাদা শব্দ. তবে কুনো কোন ক্ষেত্রে এদের অর্থ এক ই!!

মাতৃভাষা না হলে কিনba সে ভাষাভাষীর মধ্যএ দীর্ঘ দিন অবস্থান না করলে বুঝা যাবে যতই ভাষা শিক্ষা কোর্স করুক না কেন।

আমার ধারনা বাংলা কোরান বা হাদীস কিছুটা বিকৃত . . ( আল্লাহ পরম দয়ালু )


হয়তো অনেক ক্ষেত্র এ ভুলি বুঝি। . .


টেব থেকে . . . বানান তাই ভুল

৩৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৫

জালাল উদ্দিন ফরিদী বলেছেন: "আমার ধারনা বাংলা কোরান বা হাদীস কিছুটা বিকৃত . . ( আল্লাহ পরম দয়ালু )" - এব্যাপারে একমত।

"যদিও আপেক্ষিক সব কিছু মিলিয়ে ই পরোক্ষ বুঝিয়ে ছি।" - এব্যাপারে কথা আছে, তাহলো যে, আপনি যে আপেক্ষিক সব কিছু বলছেন সেখানে হয়তো শুধু গরিষ্ঠ সংখ্যক ঘটনাকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। আমি দুই রকম ঘটনাকেই প্রাধান্য দিয়েছি। এই আর কি।

আরবী-ই কবরের বা তার পরের জীবনের ভাষা হবে যা কোরান-হাদীস থেকে স্পষ্ট। কারণ, আলমে আরওয়া নামে একটা জগতে আল্লাহকে কেন্দ্র করে সকল আত্মাসমূহ (মানুষ, গাছপালা, প্রাণী সব) বিরাজমান ছিল। একদিন আল্লাহ সব আত্মাকে জিজ্ঞেস করলেন, "আমি কি তোমাদের প্রভু নই?" তখন সব আত্মা একসাথে উত্তর দিয়েছিল, "হ্যাঁ, আপনিই আমাদের প্রভু।" তখন সবাই এক ভাষাতেই প্রশ্ন শুনেছিল এবং সেই ভাষাতেই উত্তর দিয়েছিল। ফলে মৃত্যুর পরে আত্মা যখন মুক্ত হল তার মানে আগের অবস্থায় ফিরলো তখন তার ভাষাও ডিফল্ট সেটিংস-এ হয়ে যাওয়ার কথা।

আরবী বাদে আর সকল ভাষা মানুষের আবিষ্কৃত হওয়া উচিৎ। কারণ, আদম (আঃ) এর সন্তানগণ সকলে পরবর্তীতে একসাথে ছিলেন না। মতের পার্থক্য বা অন্য কোন কারণে তারা আলাদা হয়েছিলেন এবং পৃথক পৃথক গোষ্ঠী নতুন নতুন ভাষা তৈরী করেছিলেন।

যাহোক, এই ব্যাপারগুলো পরিস্কার হওয়া বাঞ্ছনীয়। কিন্তু মোল্লা ছাহেবগণ (অধিকাংশ) কেন এসবের সমাধানে আগ্রহী হননা তা বেশ আপত্তিকর কোন কোন ক্ষেত্রে। উল্টো আরুজ আলী মাতুব্বর-এর নাম শুনলে "নাউজুবিল্লাহ" বলে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে চান। মাতুব্বর সাহেব কি বললেন তা পড়েও দেখেন না। মাতুব্বর সাহেবের লেখা পড়ে আমাদের এক সহপাঠী প্রায় নাস্তিক হয়েছে শুনেছি।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫

রিফাত হোসেন বলেছেন: সহমত ।

আরবী যাই হোক না কেন । সেটা অবশ্যই আল্লাহ আমার শ্রবনের ও প্রকাশের জন্য সহজ করে দিবেন । যেহেতু সে মাইটি ক্রিয়েটর ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.