নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুন্দর!
সুন্দর বলতে আমরা বুঝি এমন কোন বস্তু যা আমাদের চোখের জন্য আরাম দায়ক।যা দেখলে মন খুশি হয়ে যায়।মুখে হাসি ফুটে উঠে!এমন কিছুই কিন্তু বুঝায়।
যাক।আজ মি এই ব্লগ টি লিখছি এর একমাত্র কারন "আমার বন্ধুর প্রেমিকা কাল"৷ এবং এটা নিয়ে আমার অন্যান্ন বন্ধুরা প্রায়শই বলে বেরায় ওর মত একটা ছেলে এমন একটা কাল মেয়েকে কি করে পছন্দ করে কি করে?
আজ তাদের এ কথার জবাব দিয়েছি।সেটাই লিখবো!
" আমাদের সমাজে বর্তমানে তিন রংয়ের মানুষ দেখতে পাওয়া যায়" ১ ফর্সা,২শ্যামলা,৩কাল।
আমাদের সমাজে একটা প্রচলন আছে সাদা মানেই সুন্দর।যে মেয়ের গায়ের রঙ ফর্সা, সে মেয়ের বাবা চিন্তামুক্ত। তার মেয়ের বর খুজতে ঝামেলা হবে না বা ছেলের লাইন লেগে যাবে।কে নেবে কে নেবে এমন এক অস্থির অবস্থা।
কিন্তু,
যদি মেয়ের গায়ের রঙ কাল হয়, বাবার মাথায় হাত,এবার টাকা যোগাও ১০ লক্ষ্য।গায়ের রঙ কাল এটাকে ঢাকতে হবে মোটা অংকের যৌতুক দিয়ে। এদিকে মেয়ের মায়েরাও নানা ধরনের এমুক বাটা তমুক বাটা নিয়ে হাজির।আর বাজারের রঙ ফর্সা কারি ক্রিমতো ঘরে অগ্রিম পরেই থাকে কয়েক ডজন।এক হুল্লুর অবস্থা।কারন মেয়ে কাল, মানে মেয়ে সুন্দর না।
আরেকটা দিক,যখন ছেলে পক্ষ আসে,ছেলেকে দেখা যাচ্ছে না,কিন্তু সমাজে কথা আছে, ছেলে কাল মানে কৃষ্ণা, আর ছেলেদের টাকা থাকলে গায়ের রঙ ব্যাপার না।কিন্তু মেয়ে কাল হওয়া চলবে না। মেয়ে লাগবে দুধে আলতা।
আমার মনে একটা প্রশ্ন! এই কাল মানে কুৎসিত আর সাদা মানে সুন্দর। এটা ট্রেন্ডিং কে করেছে?
আমরাতো একটা বিষয় সব জানি।খোদা যা বানান সব সুন্দর, আকাশ, বাতাশ, পাখি,পানি সব সুন্দর।কিন্তু মেয়েদের ব্যাপারেই যত ঝামেলা।ওরা কাল মানে বাপের অনেক টাকা থালা লাগবে।কেন ভাই?
খোদার সব সৃষ্টি যদি সুন্দর হয় তবে এই কাল মেয়েরা খোদার হাতে তৈরি না?
বড় আফসুস লাগে।একটা সময় ভাবি,খোদা গায়ের রঙ কাল মানে যদি কুৎসিত হয় তাহলে ঐ কাবা কি কুৎসিত? আর কাফনের কাপর কি সুন্দর? সুন্দর হলে যাও গিয়ে কাফন পরে বসে থাক।
একটা মেয়ে কাল হতেই পারে।কিন্তু বর্তমান সমাজ,বিশ্ব ফর্সা করার ক্রিম রপ্তানি করে আর বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতারনাম করে এই বিশ্ববাসীকে এটা বুঝাতে সক্ষম হয়েছে কাল মানে কুৎসিত। যার সর্বোচ্চ প্রমান ব্রিটিশ মানুষ।।।।তবে বলে রাখি এই প্রভাব আমাদের দেশেও ব্যাপক।
আমি এটা বুঝি না, যে খোদার সব সৃষ্টি সুন্দর,যে খোদা ভুল করেন না, যে খোদা নিখুত, ঠিক সেই খোদার সৃষ্টিকে কটাক্ষ করার আগে নিজেকে ধার্মিক ভাবতে এক্টুও বিবেকে কেন লাগে না? কে বানিয়েছে এই সুন্দরের দিক নির্দেশি। কই কোন ধর্মিয় কিতাবে এমন কিছু বলা আছে বলে আপাদত আমার জানা নাই। আপনারা কেও জানলে প্লিজ, একটু রেফারেন্স দিয়ে যাবেন।
©somewhere in net ltd.