![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কল্পবিলাসী আমি বাস্তবতা থেকে অজ্ঞাত নই। আমি সেই বিহঙ্গিনী যে ডানা ভর্তি ভালোবাসা নিয়ে পাখা মেলতে চাই চিলের সাথে সুদূর আকাশে.. ডানা ঝাপটিয়ে লিখে যেতে চাই স্বরচিত কল্পকথা ও মুক্তির মন্ত্র I
কিছুদিন আগে এক কলেজ বন্ধুর সাথে আড্ডায় বসেছিলাম। আড্ডা যখন জমে উঠলো তখন আসল, লাইফ পার্টনার প্রসঙ্গ।
আমিও মজা নিতে শুরু করলামঃ মামা... তোর বিয়ে করার এত যখন ইচ্ছা... এই ছুটিতেই তোর বিয়েটা সেরে ফেলি। কিন্তু তার আগে তো মেয়ে খোঁজা লাগবে... কেমন মেয়ে চাস, বল?
বন্ধু উত্তরঃ একটা আবছা চেহারা সবসময় মেঘের মাঝে দেখতে পায়। আমার একজন হলেই হবে, আমি নিজ দায়িত্বে তাকে ঐ ফ্রেমে বসিয়ে নিব। আসলে একজনকে দরকার রে, যার জন্য অফিস থেকে বাসায় আসব। গেট খুলে যে সুন্দর করে একটা হাসি দিবে......
কথা কেড়ে নিয়ে বললামঃ সত্যি বলতে কি, আমারও মাঝে মাঝে বিয়ে করতে খুব ইচ্ছা হয়। কারো জন্য সকালে ঘুম থেকে উঠে শাড়ি পরব, আদর করে কারো ঘুম ভাঙ্গাব। কেউ আমার জন্য রোজ তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরবে, গেটটা খুলে আমি একটা স্মাইল দিব। সেই স্মাইলে সে সারাদিনের সব ক্লান্তি ভুলে যাবে। রাতে কারো ঘাড়ে মাথা দিয়ে তারা গুনব... মন চাইলে সারারাত ওভাবেই ছাদে বসে থাকবো। কেউ বলবে না, “চেতন...তাড়াতাড়ি নেমে এসো। “ কেউ আমার জন্য বাঁচবে, আমি তার জন্য বাঁচবো।
__________ সত্যি, তুই এভাবে ভাবিস!!
> হুম... আমি একারণে বিয়ে করতে চাই।
_____________ মেয়েরাও এইভাবে ভাবে, আমি জানতাম না। আমি তো ভাবতাম, শুধু ছেলেরাই এভাবে ভাবে।
কথাটা শুনে শুধু হেসেছিলাম।
আমরাও এই ভাবেই ভাবি। মানুষ তো... কিন্তু আমাদের সমাজ, আমাদের পরিবার আমাদের, মেয়েদের মন খুলে কথা বলার স্বাধীনতা দেয় না। আমাদের সমাজে যে মেয়েরা মন খুলে কথা বলে তাদের অবলীলায় “নির্লজ্জ” উপাধি দেওয়া হয়। আর যে মেয়েরা মুখ ফুটে বিয়ের কথা বলে তারা “বেহায়া” “নোংরা” মেয়ে! কিন্তু ছেলেদের ক্ষেত্রে ভিন্ন নিয়ম। যে ছেলে সারাদিন বিয়ের কথা বলে, সে খুব কিউট।
আচ্ছা, আপনারা যারা নিজের বিয়ে নিয়ে কথা বলা মেয়েদের “বেহায়া” বলছেন তারা কি বিয়ের প্রকৃত অর্থ জানেন? বিয়ে মানেই কি জৈবিক চাহিদা মেটানোর ইচ্ছা? বিয়ে, শুধু জৈবিক চাহিদা না... সকল সম্পর্কের ঊর্ধ্বে একটা সম্পর্ক, বন্ধুত্বের সম্পর্ক
বিয়ের মাধ্যমে একটা মেয়ে স্বাধীনতা পায়, উড়ার জন্য আপডেটেড পাখা পায়। তার মানে এই না যে, আমরা পরনির্ভরশীল। প্রতিটা মেয়ের স্বাধীনতাতে একটু হলেও বিঘ্ন আসে বাবা-মার দুশ্চিন্তার কারণে। (ব্যতিক্রম সর্বদা পরিলক্ষিত)
এমন কি মানুষ আছে পৃথিবীতে যে স্বাধীনতা চায় না? পাবেন কাউকে খুঁজে? আমার জানা মতে, এমন মানুষ পাওয়া দায় কারণ পাগলও নিজের স্বাধীনতা চায়। সেইটা না পেলে তার পাগলামী আরও বেড়ে যায়। তাহলে একটা মেয়ে যদি তার স্বাধীনতার ইচ্ছা মুখ ফুটে পোষণ করে তাহলে ক্ষতি কি?
২| ৩০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:১৬
রক্তাক্তর প্রান্তর বলেছেন: মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা আমাদের দেশের মেয়েরা এখনও যথাযথ পূর্ণতা পায়নি ।
৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৪৬
আনিসা নাসরীন বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন
৪| ১০ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:১৭
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: একটা মেয়ে যদি তার স্বাধীনতার ইচ্ছা মুখ ফুটে পোষণ করে তাহলে ক্ষতি কি?
কোন ক্ষতি নেই, বরং এটাইতো ভালো। তবে বিয়ে নিয়ে আমার ইচ্ছে গুলো ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। মুনা-কে খুঁজতে খুঁজতে আমি ক্লান্ত। অনেকটা সময় কেটে গেছে, তবুও তেমন কোন "মুনা"-র প্রতীক্ষাতেই থাকবো। আপনার সুন্দর প্রত্যাশাগুলো খুজেঁ পাক তার ঠিকানা, এই প্রার্থনাই করছি। লিখার জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৬
অশ্রুকারিগর বলেছেন: কেউ আমার জন্য বাঁচবে, আমি তার জন্য বাঁচবো।

এরকমই হওয়া উচিত।
বিয়ের জন্য শুভকামনা