![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুস্বাস্থ্য জনগণের মৌলিক অধিকার
অসুখ বিসুখ রোগ-ব্যাধি নিয়েই আমাদের জীবন ।ইনফেকশন বা কোনো কারণে চোখের লাইনিং বা আবরণ যদি উত্তেজিত হয় তখন যে অবস্থা হয় তাকে চোখ উঠা বলে। সাধারণ ভাবে চোখে চোখ লাল হওয়া, চোখ খচখচ করা, চোখ সামান্য ব্যথা করা, চোখে পিচুটি জমা এবং রোদে বা আলোতে তাকাতে কষ্ট হওয়া ও পানি পড়াকে বোঝোনো হয়। বিশেষ করে রাতে ঘুমের পর সকালে উঠলে চোখের কোণে পিচুটি বা ময়লা জমতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে চোখ দিয়ে পানি পড়তে পারে। সর্দি ও চোখের চুলকানি একসঙ্গেও হতে পারে ।এই রোগকে সাধারণ ভাবে চিকিৎসকরা কনজাংটিভাইটিস বা কনজাংটিভার প্রদাহ বলে থাকেন।চোখের কালো মণির চারদিকে যে সাদা অংশ দেখা যায়, এর আবরণকে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা কনজাংটিভা বলেন । চোখ উঠলে এই সাদা অংশ লাল হয়ে যায় এবং এখানে প্রদাহ বা জ্বালা যন্ত্রণার সৃষ্টি হয় । সাধারণ ভাবে এ রোগটি ঋতু পরিবর্তনের সময় দেখা দেয়।একই সাথে এ সময় অন্যান্য ভাইরাস ঘটিত রোগ যেমন সর্দি-কাশি বা ঠান্ড জ্বর দেখা দেয়। ওষুধপত্র দিলেও নবজাতকের চোখ দুই-তিনদিন লাল অথবা ফোলা থাকতে পারে। যদি লালাভ রং এবং ফোলা দীর্ঘসময় ধরে থাকে তখন অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া দরকার।
সংক্রমণ ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া ছাড়া সাধারণত ময়লা, ধূলাবালি দ্বারা অথবা কোনো কেমিক্যালস্ যেমন মেডিসিন, কিংবা সাজসজ্জার সময় প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে। সাধারণ ভাবে ভাইরাসের কারণেই চোখ ওঠার মতো রোগ দেখা দেয় । ব্যাপক হারে বা মহামারী আকারে যে চোখ ওঠা দেখা দেয় তা এডিনো নামের এক জাতের ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে। ভাইরাসের কারণে যে চোখ ওঠা দেখা দেয় তা প্রচন্ড ভাবে সংক্রামক হয়ে থাকে । স্কুল কলেজ থেকে এই রোগ ছড়াতে পারে ।ঘনবসতি পূর্ণ এলাকায় কারো যদি ভাইরাসঘটিত চোখ ওঠা দেখা দেয় তা হলে সেখানে এই রোগ দ্রুত বিস্তার লাভ করতে থাকে । এ ছাড়া রোগীর ব্যবহৃত গামছা, তোয়ালে যদি সুস্থ কেউ ব্যবহার করেন তবে তারও এই রোগ হতে পারে । রোগীর সাথে একত্রে থাকার কারণে চোখ ওঠা হতে পারে। বাতাসের মাধ্যমে এই রোগের বিস্তার ঘটে। তবে সব চোখ ওঠাই কিন্তু ভাইরাসের কারণে হয় না। কোনো কোনো চোখ ওঠা ব্যাকটেরিয়ার কারণেও হয়। চোখ উঠলে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার রাখতে হবে এবং চোখের পাতাগুলো খোলা রাখতে হবে।বড় বাচ্চারা চোখে কালো চশমা পরতে পারে।শিশুকে জোর করে চোখ খুলতে বলা যাবে না।
কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন
• যখন চোখ থেকে ঘন হলুদ কিংবা সবুজাভ হলুদ রঙের তরল পদার্থ বের হয়।
• চোখ ব্যথা করলে ।
• প্রচন্ড সূর্যালোকেও চোখ ব্যথা করলে।
• যখন চোখে একদমই কিছু দেখতে পারে না অথবা পারলেও দেখতে সমস্যা হয়।
• যখন পরিবেশগত বিষয়ে কিংবা কোনো এলার্জিক বস্তুর জন্য চোখে অসুবিধা অনুভব হয়।
• এ ছাড়াও কোন শিশুর বয়স যদি ২ মাসের কম হয়।
• চোখের পাতা যদি ফুলে উঠে কিংবা লাল হয়ে যায়।
চোখ ওঠা একটি স্পর্শকাতর রোগ। কর্নিয়ায় প্রদাহ হলে সময়মতো চিকিৎসাসেবা না নিলে স্থায়ীভাবে দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে; এমনকি কর্নিয়া সংযোজনের মতো অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। তাই জরুরিভাবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:২৯
আমিনুর রহমান বলেছেন:
ধন্যবাদ ! কাজের পোষ্ট +
৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৬
ভূতের কেচ্ছা বলেছেন: যাক আমাগো তাইলে এইহানে ভিজিট লাগল না..
ভাল লাগল....চালিয়ে যান..শুভকামনা ..
৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৩১
আলম দীপ্র বলেছেন: বেশ ! কাজের জিনিস ।
৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৮
কলমের কালি শেষ বলেছেন: চমৎকার উপকারী পোষ্ট ।
৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৭
জাফরুল মবীন বলেছেন: চমৎকার সচেতনতামূলক পোস্ট!
৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৫৭
আবু শাকিল বলেছেন: পোস্টের জন্য পোষ্ট দাতাকে ধন্যবাদ জানিয়ে গেলাম।
৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৩
বাউন্টি হান্টার বলেছেন:
Khub ekta kajer post na
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৪
এহসান সাবির বলেছেন: কাজের পোস্ট।