![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সিলেটের শিবির নেতা রাহাত হত্যার ঘটনায় এসি ও ওসিসহ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা
বুধবার দুপুরে সিলেটের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পুলিশের গুলিতে নিহত সিলেট ম...হানগর ইসলামী ছাত্র শিবিরের সহসমাজ সেবা সম্পাদক আলী আজগর খান রাহাত হত্যার ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত রাহাতের পিতা নগরীর দক্ষিণ সুরমাস্থ ২৫নং ওয়ার্ডের কায়েস্থরাইল আবাসিক এলাকার বাসিন্দা, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সোলেমান খান বাদী হয়ে এসএমপির তৎকালীন এসি (ট্রাফিক) এবং বর্তমানে এসি ডিবি রাজিব দাস ও কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান বাবুল একাধিক এসআই ও এএসআই সহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২৫জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়।
নিহত রাহাতের পিতা সোলেমান খান তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, তার পুত্র আলী আজগর খান রাহাত সিলেটের স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ মদন মোহন কলেজ থেকে ব্যবস্থাপনা বিভাগে অনার্স চূড়ান্ত পরীক্ষা দিয়েছে এবং ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর পাশ করে সে মাস্টার্সে ভর্তিচ্ছুক ছিল। সে ইসলামী ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো। চলতি বছরের গত ১৬ ফেব্রুয়ারী ছাত্রশিবিরের একটি মিছিলে রাহাত অংশগ্রহণ করে। মিছিলটি নয়াসড়ক এলাকায় গেলে পুলিশ বিনা উস্কানীতে শান্তিপূর্ণ মিছিলে কোতয়ালী থানার ওসি আতাউর রহমানের নির্দেশে মিছিলে গুলি বর্ষণ করে এবং টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেণেড, ফাঁকাগুলি, রাবার বুলেট, চায়নিজ বন্দুকের গুলি ইত্যাদি বর্ষণ করে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। এ সময় কোতয়ালী থানার কনস্টেবল আবুল কাশেম (কনস্টেবল নং-৬৯৯) চায়নিজ রাইফেলের গুলি বর্ষণ করলে ওই গুলি রাহাতের বুকে লাগে। উপস্থিত স্বাক্ষীদের সহযোগিতায় প্রথমে রাহাতকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে চিকিৎসকদের পরামশক্রমে এয়ার এম্বুলেন্সযোগে রাহাতকে ঢাকার এপোলো হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা হয়। এপোলো হাসপাতালে রাহাতের অস্ত্রোপাচার শেষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯দিন পর গত ২৫ ফেব্রুয়ারী রাহাত মারা যান। ২৬ ফেব্রুয়ারী রাহাতের দুইটি জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। ২০/২২ হাজার মানুষের উপস্থিতিতে সিলেট সরকারী আলিয়া মাদরাসা ময়দানে ১ম জানাজার নামাজ এবং হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে তার গ্রামের বাড়ী দক্ষিণ সুরমার কায়েস্তরাইল শাহীঈদগাহ সংলগ্ন ময়দানে ২য় জানাজার নামাজ শেষে তার পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।
দন্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় দায়ের করা এই মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তের জন্য ডিবি অথবা সিআইডিতে প্রেরণের আবেদন জানানো হয়েছে। আদালত অভিযোগ গ্রহণ করে এ বিষয়ে পরবর্তীতে আদেশ দানের জন্য তারিখ ধার্য্য করেছেন।
মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে যে সব পুলিশ সদস্যের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তারা হলেন- সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের তৎকালীন এসি (ট্রাফিক) ও বর্তমানে এসি (ডিবি) রাজীব দাস, কোতোয়ালী থানার ওসি আতাউর রহমান, এসআই মফুর মিয়া, টিএসআই আব্দুল ওয়াদুদ, কনস্টেবল সজল দাস, কনস্টেবল রাশেদুজ্জামান, কনস্টেবল ফারুক হাসান, কনস্টেবল রঞ্জন আচার্য, কনস্টেবল জুয়েল, কনস্টেবল আশিক আলী, কনস্টেবল আবুল কাশেম ও এএসআই অমিত চন্দ্র দাস।See more
©somewhere in net ltd.