![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"গাজীপুর জেলে খাবারের দুরবস্থায় সাঈদী ভাই দুই দিনেই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। আগেই বলেছি এখানকার রান্না আসলেই গলা দিয়ে নিচে নামানো কঠিন।
আমি সব পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেয়...ার মানসিক প্রস্তুতি নিয়েই জেলে এসেছি। রিমান্ডে প্রায় অভুক্ত থেকে একটানা দুই সপ্তাহ পার করে দিয়েছিলাম। সাত কেজি ওজন কমলেও পরোয়া করিনি। এখানেও নির্বিকার ভাবেই অখাদ্য গিলে চলেছি।
কিন্তু, মাওলানা সাঈদী তিরিশ বছরের ডায়াবেটিসের রোগী। রাতে আমাদের চামড়ার মতো শক্ত যে রুটি দেয়া হয়, সেটা খাওয়ার চেষ্টা আর জুতোর শুকতলি চিবানোর মধ্যে তেমন পার্থক্য নেই। সবজির নামে তৃণভোজীদের ডায়েটও ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে। যেমন—ফুলকপির ডাঁটা, পাতা, ইত্যাদি।
মুরগির গোশতের মধ্যে নখসুদ্ধ পা দেখে বমনেচ্ছা হলে সাঈদী ভাইকে দোষ দেয়া যায় না। অসহায় হয়ে মাওলানা সাঈদী প্রস্তাব করলেন, ডিভিশন ওয়ার্ডের রান্নাঘরেই না হয় আমরা রেঁধে খাই। এখানে রান্নাঘর থাকলেও হাঁড়ি-পাতিল, কড়াই ইত্যাদি কিনতে হবে।"
-মাহমুদুর রহমান (সাঈদীর সঙ্গে জেলে থাকার অভিজ্ঞতা নিয়ে "জেল থেকে জেলে" বইয়ের ৩৪ নং পৃষ্ঠায়)
©somewhere in net ltd.