নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সতে্যর িবজয়

সতে্যর িবজয়

right pen

fdgfdg

right pen › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলায় কুরআনের অর্থানুবাদ ও তাফসীর: প্রেক্ষাপট ও প্রয়োজনীয় জ্ঞান

১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:৪৫

যাবতীয় স্তুতি ও প্রশংসা কেবল সেই মহান রব আল্লাহর জন্য যিনি আমাদের চলার পথের পাথেয় হিসেবে নাযিল করেছেন মহগ্রন্থ আল-কুরআনুল কারীম। আর ইসলামের জীবন ব্যবস্থা বাস্তবায়নকারী রাসূল হিসেবে পাঠিয়েছেন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে। তাই আমরা সর্বদাই দরূদ ও সালাম পেশ করি প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি।

মাস কয়েক আগে দৈনিক সমকালের সহসম্পাদক শ্রদ্ধেয় মুফতি এনায়েতুল্লাহ ভাই ফোন দিয়েছিলেন একটি লেখা চেয়ে। এবার অবশ্য তাঁর পত্রিকার জন্য নয়; গাজীপুর থেকে প্রকাশিতব্য তাফসীর বিষয়ক একটি সাময়িকীর জন্য। বিষয় : বাংলাদেশে পবিত্র কুরআনের তাফসীর চর্চায় উলামায়ে কিরাম। তিনি আমাকে এ জন্য সর্বোচ্চ দশদিন সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। কিন্তু দশদিন একশ দিন পেরিয়ে যাবার পরও আমি এ বিষয়ে লেখা তৈরি করতে পারি নি। কারণ, আমার সদিচ্ছা বা আন্তরিকতার ঘাটতি নয়।

ঘটনা হলো, এ বিষয়ে তথ্য খুঁজতে গিয়ে আমাকে হতাশ হতে হয়। ইন্টারনেটে নানা উপায়ে নানা শিরোনামে সার্চ দিয়েও বাংলা ভাষায় কুরআনের তরজমা বা তাফসীর সংক্রান্ত তেমন কোনো তথ্য পেলাম না। নানা পত্র-পত্রিকা এবং বই পুস্তক ঘেঁটেও তেমন কিছু পাওয়া গেল না। বিভিন্ন তরজমা ও তাফসীরের ভূমিকা দেখে বিচ্ছিন্ন কিছু তথ্য পেলাম। যেখানে যা-ই পেলাম তা-ই নোট করে ফেললাম। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের শীর্ষ খবরের কাগজ দৈনিক প্রথম আলোর শুক্রবারের সাহিত্য সাময়িকীতে ‘বাংলায় প্রথম কোরআন শরীফ’ শীর্ষক একটি গবেষণামূলক নিবন্ধ দেখতে পেলাম।

নিবন্ধকার আখতার হুসেন তাতে লিখেন, ‘বিশ্বের মুসলমান সম্প্রদায়ের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন শরিফ-এর বাংলায় প্রথম অনুবাদের সোয়া শ বছর পেরিয়ে গেছে আজ থেকে এক বছর আগে। একেবারে নীরবে। কাউকে কিছু জানান না দিয়ে। অথচ গিরিশচন্দ্র সেন (১৮৩৫-১৯১০) ছয় বছর দীর্ঘ (১৮৮১-১৮৮৬) কঠোর ও একাগ্র শ্রমে যখন কোরআন শরিফ-এর অনুবাদের কাজ শেষ করেছিলেন, তখন সেটা গোটা বাংলা ভাষাভাষী সমাজে একটা চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী ঘটনা হয়ে উঠেছিল। ঐতিহাসিক ঘটনা তো বটেই। কোরআন শরিফ-এর সঠিক অনুবাদ সেই প্রথম। অমন পরিশ্রমসাধ্য কাজের দৃষ্টান্ত সত্যিই এক বিরল ঘটনা। অবশ্য মাওলানা মহিউদ্দিন খান নামের একজন বিশিষ্ট আলেম পবিত্র কোরআন শরিফ-এর প্রথম বাংলা অনুবাদ করেছিলেন বলে যে দাবি করা হয়, তার অনুকূলে তেমন জোরালো কোনো সমর্থন বা তথ্য পাওয়া যায় না।’

কী আশ্চর্য দাবি ভাই গিরিশচন্দ্রই নাকি কুরআনের প্রথম বঙ্গানুবাদকারী! এর চেয়ে বড় বিস্ময়ের ব্যাপার আখতার হুসেনের দাবি এটিই নাকি কুরআন শরীফে প্রথম সঠিক অনুবাদ! যুগপৎ বিস্ময় ও হাস্যকর তথ্য হলো তার পরেরটি। মহিউদ্দিন খান নামের একজন বিশিষ্ট আলেম নাকি প্রথম অনুবাদের দাবি করেছেন? বুঝলাম না একটি শীর্ষ দৈনিকে প্রকাশিত গবেষণার এই নমুনা! মাওলানা মহিউদ্দিন খান কবে এ দাবি করলেন? কোথায় করলেন এ দাবি? তিনি তো এখনো জীবিত আছেন। তাকে জিজ্ঞেস করলে নিশ্চয় তিনি তো হেসে খুন হবেন। তিনি বরং মাআরেফুল কুরআন নামক উর্দূ তাফসীরের অনুবাদক। গিরিশচন্দ্র সেনের জন্ম ১৮৩৪ খ্রিস্টাব্দে আর মদীনা সম্পাদক মাওলানা মহিউদ্দিন খানের জন্ম ১৯৩৬ সালে। অর্থাৎ ভাই গিরিশের এক শতাব্দী পর। উপরন্তু লোকটি এখনো জীবিত এবং বাংলাদেশে ব্যাপক আলোচিত এক চরিত্র। এই লোকটিকে শতাব্দী আগের একটি লোকের সঙ্গে তুলনায় আনেন কী করে? এই সামান্য চলবে----

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.