![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সংসদ বাংলা অভিধান 'বানান' শব্দটির অর্থ লিখছে, 'শব্দ মধ্যস্থ বর্ণসমূহের বিশ্লেষন বা ক্রমিক বর্ণন।' এবং একই সাথে 'প্রস্তুত করা, গঠন করা, উদ্ভাবন বা কল্পনা করা(বানিয়ে বলা) প্রভৃতি অর্থ হয় বলে জানিয়েছে। তা হলে বাংলা শব্দের 'বানান' মানে 'গঠন করা বা কল্পনা হতে পারে।' ধরুণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 'ইউরোপ' কে 'য়ুরোপ' বানিয়েছিলেন। তার জন্য কোনও প্রতিবাদ হয় নি। অন্যদিকে 'সড়ক'কে কবি ফররুখ আহমেদ 'শড়ক' বানিয়েছন। কাজেই আমি যদি 'পূর্ব' কে 'পুর্ব' বানাই তা হলে কেন তা ভুল হবে? 'তাহার পরে এত নজর কেনও?' আগে 'বাড়ী' বানাতে দীর্ঘ ই লাগত। হয়ত বাড়ি বানানর খরচ বেড়ে যাওয়ায়, কম খরচে বাড়ি বানানর মতলবে এখন 'বাড়ি' হ্রস ই দিয়ে বানান যায়। এমনকি বেশির ভাগক্ষেত্রে দীর্ঘ ই কার দিয়ে আর আজকাল শব্দ বানান হয় না। 'পাখী' 'পাখি', 'পাজী' 'পাজি' হয়েছে এরকম আরও আছে। কিন্তু 'নদী' ও 'নারী' এখনও দীর্ঘ ইকার দিয়ে লিখতে হচ্ছে। এ কি যন্ত্রণা! কারণ কে না জানে বাংলাদেশের 'নদী' প্রাকৃতিক ও পড়শী দেশ ঘটিত নানা কারণে ক্রমে শীর্ণকায়া হয়ে যাচ্ছে, নাবত্য ক্রমেই নামছে, চর চড়ছে। অন্য দিকে আজকালের নারীরা সব স্লিম থাকতে চাইছেন। চাইছেন মেদ বাহুল্য মুক্ত থাকতে। সে ক্ষেত্রে কেনও 'নদি' এবং 'নারি' লিখতে পারব না। কেনও এখানে দীর্ঘ ইর বাহুল্য থাকবে, কেনও আজও 'নদী' ও 'নারী' লিখতে হবে, কেউ বুঝিয়ে দেবেন কি!!!......
২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৪:৩২
প্রাকৃতজন বলেছেন: নারীর পিঠের উপর দীর্ঘ-ঊকারের যে ঘোমটা আছে, তা হ্যাচকা টানে নামিয়ে নারীর বুকের উপর হ্রস্ব-ইকারের এক চিলতে ওড়না চাপিয়ে দিলেই কি নারীকে বুঝি বেশি ভালো লাগবে?
আসলে হ্রস্ব-ইকার আর দীর্ঘ-ঊকার বসা না বসা যুক্তি বা আবেগ নির্ভর নয়, বিধিবদ্ধ নিয়ম নির্ভর। একটা নির্দিষ্ট পন্থায় বানান সংস্কার হতে পারে এবং হয়। কিন্তু যাকে তাকে বানান সংস্কারের দায়িত্ব বা সুযোগ দেয়া হলে ভাষার বারোটা বাজবে।
আসলে বিষয়টা নিয়ে সাইমুম ভাই ভালো বলতে পারতেন। কিন্তু তিনি আবর্জনার মাঝে থাকতে রাজি হননি।৫।
৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৫:১১
অশ্রু বলেছেন: সাইমুমকে নিজেও বাংলা একাডেমীর অভিধান কাটপেস্ট মেরেছে। নতুন কিছু বলতে পারত বলে মনে হয় না। বরং সুন্দর সমরকে অনুরোধ করছি তার লেখা অব্যহত রাখতে
৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৫:১৮
সুন্দর সমর বলেছেন: ধন্যবাদ অশ্রু। আপনার অনুরোধ শিরোধার্য। তবে আমি ভারি কথা কিছু বলতে চাইনি। 'বানান' যে কত রকমে হালাল ভাবেই 'বানান' যায় সে কথা বলতে চাইছি।
৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৩৪
প্রাকৃতজন বলেছেন: অশ্রু @ যেখানে সেখানে ভন্ডামি করতে যাও কেন? বাংলা একাডেমীর সব কটি অভিধান আমার কাছে আছে। সাইমুমের লেখা নিয়ে আমারও সন্দেহ ছিল। কিন্তু এটা কাটপেস্ট, তা আপ্রাণ চেষ্টা করেও মেলাতে পারিনি। তুমি মিলাতে পারলে তখন বলোনি কেন? ওটা কাটপেস্ট হলে ৯৮টি পোস্ট তিনি দিতে পারতেন না।
আসলে তোমার মতো কিছু ভন্ড থাকার কারণে এ ব্লগ একটা ভালো সিরিজ হারিয়েছে। ওই সিরিজের প্রতি অনেকের আকর্ষণ ছিল। তোমার মতো ভন্ডরা তার জনপ্রিয়তা সইতে পারোনি বলেই তিনি আবর্জনার মাঝে তার পোস্ট রাখতে রাজি হননি। সরিয়ে নিয়েছেন।
তুমি বাংলা একাডেমীর অভিধান থেকে তার মতো লিখে দেখাও ওহে বমি বহমান শিয়াল!!! শালায় রামছাগল আর কাকে বলে?
৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:০১
বিথী বলেছেন: ১ দিলাম।
৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৭ রাত ৯:১৫
সুন্দর সমর বলেছেন: সত্যি সাইমুমের লেখাগুলো বড়ই ভাল ছিলো। তিনি আর আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন না!
৮| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৭ রাত ৯:৩৯
এস এম মোমিন বলেছেন: ইস! বমি বহমান শিয়াল তথা অশ্রুদের বিবেকবোধ কোনোদিনই মনুষ্য-স্তরে উঠবে না। ওরা বিকৃত রুচিরই থেকে যাবে। সবাই মনের কালিমা তাড়াতে পারে না। মানুষ কতোটুকু লজ্জাহীন হলে প্রমাণ ছাড়া কথা বলে!!!!!!!!!!!! ছি:
৯| ০৫ ই অক্টোবর, ২০০৭ দুপুর ২:৩৬
সুন্দর সমর বলেছেন: অশ্রু বিরুদ্ধে কারও ক্ষোভ থাকতেই পারে, তবে তার প্রকাশ একটু বেশি কঠোর হয়ে গেল না কি?
১০| ০৫ ই অক্টোবর, ২০০৭ দুপুর ২:৪৪
শিলা বলেছেন: সাইমুম কে? উনার কোনো পোস্ট চোখে পড়েনি।
১১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৩:০৯
কালপুরুষ বলেছেন: লেখায় যুক্তি আছে, সঙ্গত কারণে তা গ্রহণযোগ্য না হলেও পরিতাজ্য করার মতো কিছু লেখা হয়নি। বাংলা একাডেমীর বানান রীতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালী কবি/সাহিত্যিকদের মধ্যেও যথেষ্ট মতবিরোধ রয়েছে। তদারূপ আমাদের দেশের কবি/ সাহিত্যিকগণও তাদের অনেক বানান রীতির সমালোচনা করে থাকেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৪:৩১
মুজিব মেহদী বলেছেন: বাংলা একাডেমীর হয়ে যাঁরা বাংলা বানানকে প্রমিত রূপ দিয়েছেন, তাঁদের এক্ষেত্রে যুক্তি উপস্থাপন করতে হয়েছে। বাংলা 'বানান অভিধান'-এ তাঁরা তাঁদের যু্ক্তিসমূহ লিপিবদ্ধ করেছেন। আপনি যদি মনে করেন যে, তাঁদের যুক্তি সঠিক নয় তাহলে ওই বিন্দু থেকে আপনার পালটা যুক্তি উপস্থাপন করা দরকার হবে।
আপনি কথাপ্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ফররুখ আহমেদের উদাহরণ এনেছেন। তাঁরা এটা করেছেন অতএব আপনিও যেমন খুশি করবেন, এটা সঙ্গত হতে পারে না। তাঁরা যখন সাহিত্য করেছেন, তখন বাংলা একাডেমীর এই অভিধানটি প্রণীত হয় নি।
মোটকথা বানানে একটা সমতা থাকা ভাষার শৃঙ্খলার জন্যই জরুরি। আপনারও ওই শৃঙ্খলার মধ্যেই থাকা দরকার বলে মনে করি।