![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাইটি আমার খুবই ভালো।
সবারই থাকে না এমন কিছু ভদ্রগোছের বড় বা ছোট ভাই, যারা বাবা মার একদম বাধ্য ভদ্র সন্তান হয়। সারাদিন লেখাপড়া করে, খেলাধুলোতে তেমন দেখা যায় না, আড্ডা দেওয়ারতো প্রশ্নই আসে না। ভাইটি আমার তেমন, তবে কিছুটা বোকা টাইপের। লেখাপড়া সারাদিন করলেও তেমন আহামরি রেজাল্ট অবশ্য কখনো দেখাতে পারেনি বটে, কিন্তু রেজাল্টকে কেউ কখনো খারাপও বলতে পারবে না।
নতুন এন্ড্রয়েড ফোন কিনেছে ভাই। কেনার আগে আমারে ফোন দিয়ে বাজেট বলে জিজ্ঞেস করছিলো কোনটা ভালো হবে। আমি একটু নেট ঘেটে ঘুটে একটা ভালো দেখে ফোন সাজেস্ট করে দিয়েছিলাম। পরে ফোন দিয়ে জানিয়েছিল সেটাই নাকি কিনেছে।
তো সেদিন সকালে উঠে একটু হালকা জগিং করার জন্য ক্লাব মাঠে যাচ্ছিলাম। ইদানীং সকালে উঠার অভ্যাস করছি। হঠাৎ ভাইয়ের সাথে দেখা, ভাই যাচ্ছিলো সম্ভবত ভার্সিটির ক্লাসে। আমাকে দেখেই ডাক দিলো।
'কিরে কী খবর তোর?'
'এইতো ভাই আছি ভালোই, আপনার কী খবর?'
'ভালোই আছি। তুই ফেসবুক চালাস?'
'হু ভাই, বহুত আগে থেকেই চালাই। কেন কী হয়ছে?'
'তর আইডির নাম কী'
বুঝলাম ভাই নতুন ফোন কিনে ফেসবুক আইডি খুলেছে। আমি ভাইরে আমার আইডি দিলাম। তারপর ভাই চলে গেলো। রুমে এসে ওয়াইফাই কানেক্ট করে ফেসবুকে ঢুকেই দেখি ভাইয়ের আইডি থেকে রিকুয়েস্ট। ব্যস্ততায় কেবল রিকুয়েস্টটা এক্সেপ্ট করেই বেরিয়ে পড়লাম ফেসবুক থেকে।
তার কয়েকদিন পর একদিন রাতে শোয়ার আগে দেখি ভাইয়ে স্ট্যাটাস দিছে কেবল 'বাংলা চটি' লিখে। আমিতো পুরো হতবম্ভ! কেমনে কী! পরে একটু মাথা খাটিয়ে ব্যাপারটা ধরতে পারলাম আর নিজের মনেই হু হু করে হাসলাম। এরপর টানা তিনদিন সেইম কাহিনী ঘটলো। চারদিন পর ভাইয়ের সাথে আবার রাস্তায় দেখা।
'কিরে, ভালোইতো লেখালেখি করিস দেখলাম।'
'কি যে কন ভাই! তা ভাই আপনি কি বাংলা চটির খুব ভক্ত?'
'ছিঃ ছিঃ, এইডা কি কস? ওসবের নাম মুখেও আনা পাপ।'
'না, কয়েকদিন দেখলাম আপনি বাংলা চটি লেইখা স্ট্যাটাস দিছেন। পরে বুঝলাম সার্চ বক্সে বাংলা চটি লিখতে গিয়া স্ট্যাটাসের ঘরে লিখে ফেলছেন।'
ভাইয়ের মুখটা নিমিষেই লজ্জায় লাল হয়ে গেলো। আমি কেবল মিটিমিটি হাসছি।
লজ্জারত মুখ নিয়েই ভাই বললো, 'তর পায়ে পড়ি ভাই, কাউরে কইস না।'
কথার মাঝেই দেখি একটা নয় দশ বছরের পিচ্চি ছেলে এসে কয়টা টাকা চাচ্ছে।
আমি ভাইরে কইলাম, এই বাচ্চাটারে যদি একটা ভালো হোটেলে নিয়া গিয়া পেটপুরে খাওয়ান তাইলে কাউরে কিছু কমু না প্রমিজ।
'ঠিক আছে ভাই, তর কথা মানলাম। তুইও আয়, তরেও খাওয়াই।'
'না ভাই, আমি মাত্র খাইয়া বের হইছি। আমার খাওয়ার বিলটা এর হাতে দিয়া দিয়েন নাহয় পার্সেলে করে এক প্যাক খাবার কিনে হাতে ধরাই দিয়েন। এর ছেলের পিচ্চি একটা বোন আছে, ওইটাও মনে হয় না খাইয়া আছে।'
আমি কথাটা বলেই চলে আসলাম। কিছুদূর এসে পেছনে ফিরে দেখি ভাই পিচ্চিটারে নিয়ে পাশের একটা হোটেলে ঢুকলো।
লিখায়: রিহানুর ইসলাম প্রতীক
ফেসবুক আইডি: Rihanoor Islam
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:২৫
রিহানুর ইসলাম প্রতীক বলেছেন: এইটা সত্য না হলেও এরকম ঘটনা বহুত ঘটেছে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩
ডমিনেটিং প্রিন্স বলেছেন: সত্য ঘটনা নাকি ভাইয়া?
সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন 