![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৪ বছরের সেই ধর্ষিত কিশোরি ইয়াসমিনের কথা কি আপনাদের মনে পড়ে? যাকে পুলিশ ধর্ষনের পর হত্য করে ফেলে রেখেছিলো! আমরা বেমালুম ভূলে যায় সব কিছু। সম্ভবত সেকেন্ডের কাটা প্রতিটি ঘটনাকে ধামা চাপা দেয়ার জন্যই চলমান থাকে। সেদিন পুলিশের পিকাপ ভ্যানে সেই অসহায় মেয়েটিকে তুলে নিয়ে ধর্ষন করে ফেলে রেখে যায় রাস্তায়। আইনের পোশাকধারীদের লোলুপ দৃষ্টি সেদিন ইয়াসমিনকে বাচঁতে দেয়নি! অপরাধীদের সাজা দেয়া যে পুলিশের কাজ সেই পুলিশ ইয়াসমিনকে তার মায়ের কাছে যেতে দেয়নি। পৌছে দেয়ার নাম করে পিকাপ ভ্যানে তুলে নিয়ে চালায় পাশবিক গন ধর্ষন। সেই ঘটনায় দিনাজপুরের মানুষ প্রতিবাদে ফেটে উঠেছিলো বলে সাতজন নিরিহ প্রতিবাদ কারীদের গুলি করে মেরেছিলো। সেদিনের সেই ঘটনায় এখনো পঙ্গুত্বকে বরন করে বেচেঁ আছে অনেক নিরিহ মানুষ। আপনি কার কাছে বিচার চাইবেন।
১৯৯৫ সালের ২৪ আগষ্ট মানে ২০ বছর আগের সেই ঘটনা হয়তো ভূলে যাওয়ারই কথা। আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত এত বেশি ঘটনা ঘটে যে একদিন পরই আমরা ভূলে যেতে বাধ্য হই! এখন এ দেশে গাড়িতে রাস্তায় ধর্ষন হয়। আর প্রতিটা ধর্ষনেই কোন না কোন ভাবে ক্ষমতাশীন অথবা পূলিশের অসারতা দারুন ভাবে মানুষকে নাড়া দেয়। বৈশাখের ঘটনাও আমরা ভূলতে বসেছি। উৎকৃষ্ট প্রমান থাকার পরও পুলিশ অথবা ক্ষমতাশীন প্রশাসন এই ঘটনাকে `নিছক দু চারজন দুষ্টু ছেলেদের কাজ' বলে এড়িয়ে যাওয়ার দারুন প্রবনতা দেখা যায়। আপনি শহর থেকে যদি একটু গ্রামের দিকে যান তাহলে আরো বিভৎসতা দেখতে পারবেন। গ্রামের মোড়লদের সুযোগ্য পুত্ররা অসহায় মেয়েদের ধর্ষন করে। ধর্ষিত মেয়েটি যখন পুলিশের শরনাপন্ন হয় তখন উল্টো মেয়েটিকেই পুলিশ দোষারোপ করে গ্রাম্য সাজা হিসেবে চালানো হয় পাষবিক নির্জাতন।
আপনি দেখবেন প্রতিটা ঘটনায় কোন না কোন ভাবে পূলিশ এই সব অন্যায়ের সাথে প্রতক্ষ্য এবং পরোক্ষ ভাবে জড়িত। আইন যখন অন্যায়কেই প্রশ্রয় দেয় তখন সে দেশে ধর্ষন কেন বাড়বে না! আমাদের পাশের দেশ ভারতের দিকে তাকালে সমসাময়িক যে ধর্ষন চিত্র তার ছোয়া এখন এ দেশের প্রতিটা স্তরে লেপ্টে গেছে। পত্রিকা খুললেই প্রতিদিন দু চারটা ধর্ষনের ঘটনা চোখের সামনে নাড়া দিবে। প্রতিটা ঘটনায় দেখবেন পুলিশের অশারতা আর ক্ষমতাশালীদের অপতৎপরতা চোখে পড়া মত। ইয়াসমিন থেকে টিএসসি, সব ধষর্নের চিত্রগুলো মুূহর্তের ভেতরেই উধাও হয়ে যায়। সেই রেশ ধরেই দেশে বাড়তে থাকে ধর্ষন। অসহায় নারীরা ধর্ষনের শিকার হয়ে মৃত্যুর পথে ফিরে যায় আর যুগে যুগে বেচেঁ থাকবে ধর্ষক।
এর পরের ঘটনা কি? পত্রিকার পাতায় চোখ মেলে সকালে ধর্ষণে পরে যে খবরটি দেখতে পাবেন তা হলো হলো খুন! কিছু দিন আগে আমরা জানতাম সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তমনা, লেখক সাহিত্যিক খুন হচ্ছে। আর খুনিদের ধরার জন্য আমরা প্রশাসনের শক্তির অপেক্ষায় দিন গুনছি আর গুনছি! কিন্তু হায় এখন সেই প্রশাসনই নিরাপদ নয়! প্রশাসনের বড় কর্তারা ই ওইসব ঘৃণ্য অপরাধীর চাপাতি বা গুলির তলায় পিষে মরছে তখন আমরা শেষ ভরসা হিসেবে কাকে বেঁছে নেবো!? এখন আমাদের কি করা উচিৎ? যে বাবুল আক্তারের স্ত্রী কে খুন করা হয়েছে সেই বাবুল আক্তার ছিলেন জঙ্গিবাদ দমনে একজন সাহসী পুলিশ অফিসার যার নেতৃত্ব্যে বড় বড় জঙ্গি এবং তাদের আস্তানা ধংশ হয়েছে। কিছু দিন পরেই সেই বাবুল আক্তারের স্ত্রি কে প্রকাশ্যে হত্যা করে পালালো অপরাধীরা! আর সেই খবর ও আমাদের কে হজম করতে হচ্ছে। যে দেশের পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে সাধারন মানুষ নিরাপদ নয় সে দেশে কতটা অস্তিত্ব নিয়ে বেঁচে থাকতে পারে সেটাই এখন প্রশ্ন। কিন্তু এই দায়টা কে নেবে? নিশ্চয় সাধারন মানুষ নয়। তাহলে সরকার? আর যদি সরকার ও সে দায় নিতে না পারে তাহলে সেই সরকার বা সেই দেশ দিয়ে লাভ টা কি? আমরা পাকিস্থান বা ভারতের কাছে নিজেদের কে সপে দিই!
এটা হয়তো কথার কথা। আমি মানছি ভারতের অপসংস্কৃতি বা পাকিস্থানের উগ্রবাদ বা হত্যা খুন থেকে আমরা অনেক ভালো আছি। কিন্তু প্রশ্ন হলো আর কতদিন এমন ভালো থাকতে পারবেন? এই অবস্থা চলতে থাকলে দেশ যে একদিন পাকিস্থানের মত ভয়াবহতায় রুপ নেবে না সে নিশ্চয়তা কি আছে? সরকার চাইলেই কি এসব থেকে জনগনকে নিরাপদে রাখতে পারেন না? সরকারের কি সেই ক্ষমতা নেই? নাকি সরকার আসলে শুধু মাত্র নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থকে বড় করে দেখে বলেই এসব ঘৃণ্যতম অপরাধীরা বেঁচে যায়! এখন যে অবস্থা শুরু হয়েছে তাতে পরের দিন গুলো কি হতে পারে সেটা হয়তোবা বলার প্রয়োজন পড়ে না।
গত দুবছরের বিশ্লেষনে আপনি দেখবে ধর্ষণ যখন হচ্ছে তখন নিয়মিতহারে হচ্ছে আবার খুন যখন হচ্ছে সেটাই নিয়মিত ভাবেই হচ্ছে। এমনও ঘটনা আছে একই কায়দায় একদিনে কয়েকটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। খারাপ লাগাটা কম হতো যদি প্রতিটা খুনের রহস্য বা খুনিদের ধরতে আমাদের প্রশাসন সফল হতে পারতো! কেন কোন খুনিরাই ধরা পড়ছে না? তাহলে কি এটা আন্তর্জাতিক রহস্য! সেটা ও হয়তো অসম্ভব কিছু নয়। ৭১-৭৫ বা এর পরের ঘটনা যদি দেখি তাহলে এটা না ভাবার ও কিছু নেই যে আন্তর্জাতিক মহল থেকেই এদেশকে ধংশ করার জন্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। আর এই সমস্ত বিষয় যদি সরকার বুঝতে না পারে, ধরতে না পারে তাহলে সেটা আমাদের দেশের জন্য চরম একটা দু:সংবাদ হবে।
এদেশের দুইটা রাজনৈতিক দল আছে যারা কোন ঘটনা ঘটলেই একে অপরের দোষারোপে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আর এরই ফাঁকে সেইসব অপরাধী এবং খুনিরা পার পেয়ে যাচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি রাজনৈতিক এই অস্থিরতার জন্য দেশের এই পরিস্থিতি ভেরি করে। আর যদি সবই আন্তর্জাতিক চক্রান্ত হয় তবে তার জন্য দায়ী অবশ্যই দায়ী আমাদের দুই শক্তিশালী দল আওয়ামী লীগ এবং বি এন পি জামাত। সবকিছুর পর ও আমরা বাঙ্গালীরা একটু শান্তিতে থাকতে চাই। দেশটা কে আমরা সবাই অনেক ভালোবাসি। আর ভালোবাসি বলেই আমাদের এত উৎকন্ঠা খারাপ লাগা। আর এইসব উৎকন্ঠা দুর করতে হলে বর্তমান সরকারের যেমন সতর্ক হওয়া বা অন্যায়ের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান নেয়া জুরুরি সেই সাথে বিরোধী দলগুলোর ও উচিৎ হবে সরকারের সহযোগিতা করা। আমি জানি এটা কল্পলোকের গল্পকথার মতই মনে হবে সবার কাছে তারপর ও আশায় বুক বেধে থাকি যদি কখনো সবার চোখ খুলে যায়!
আর যদি তা না হয় সভ্যতার বিকাশে বাংলাদেশ যেমন পাকিস্থানের মত দেশে পরিনত হবে, ভারতের মত অপসংস্কৃতির ধারায় ছেয়ে যাবে বাংলাদেশ আর পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে যাবে এই বাংলাদেশের নাম , যে বাংলাদেশ তিরিষ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ফিরে পেয়েছিলো স্বাধীনতা।
২| ০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:৩৮
রাফি বাংলাদেশ বলেছেন: জি আপনার জন্য ও শুভ কামনা। দোয়া করবেন..
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:০৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: গল্পটি এক নজরে পাঠে ভাল লাগল । খুবই সুন্দর লিখনী তাতে কোন সন্দেহ নাই ।
ভাল থাকুন এ শুভ কামনা থাকল ।