নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার উপরে মানুষ সত্য

রাফি বাংলাদেশ

আমার পরিচয় আমি একজন বাঙ্গালী

রাফি বাংলাদেশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গুলশান থেকে শোলাকিয়া আমরা কি এখনো রাজনৈতিক দন্দে!

০৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:২০


আমাদের দেশে রাজনৈতিক ভাবে একটা বাজে কালচার প্রচলিত আছ। রাজনিতি বোঝা যখন শুরু করেছি একটু আধটু তখন থেকেই এই প্রচলিত ধারা দেখে আসছি। আমাদের পাশের দেশ ভারতে কথা যদি বলি তাহলে সেখানে রাজনৈতিক ভাবে নির্বাচনে কোন দল হেরে গেলেও জয়ী দলকে স্বাধুবাদ জানায় এবং তারা এই হারার পেছনে নিজেদের দুর্বলতাকেই প্রাধান্য দিয়ে আবার দল গোছাতে শুরু করে। আমি এই বিষয়ে বেসি আলোচনা করতে মোটেও আগ্রহী নই। ভারত কে নিয়ে বেসি কথা বললে হয়তো একদল আমাকে সরকারী দলের পক্ষপাত করে রাজনিতির বস্তায় বন্ধি করে ফেলবে। যদিও এটাই বাঙ্গালীর মানে আমাদের দেশের রাজনৈকিত পন্থা বা মানুষিকতা।
আমি যদি ভারতের নির্বাচন আর বাংলাদেশের নির্বাচনের প্রেক্ষাপট বিচার করি তাহলে আমাদের ক্ষেত্রে ঠিক উল্টো চিত্রই দেখতে পাবো! আমাদের এখানে এক দল তাদের জনপ্রিয়তা নিন্মতর হওয়ার কারনে যদি হেরে যায় তাহলে কারচুপি আর নির্বাচন বর্জনসহ জ্বালাও পোড়াও আন্দোলনে নেমে পড়ে। আর এটা হচ্ছে আমাদের রাজনৈতিক আদর্শ।
কিছুদিন আগে গুলশান হামলার মত আমাদের দেশে একটা ভয়াবহ ঘটনা ঘটে গেছে। যেসব ঘটনা প্রতিনিয়ত আফগানিস্থান বা পাকিস্থানে ঘটে থাকে। আর সেই সব দেশগুলোগে আমরা অনিরাপদ বলে ভেবে থাকি। এখন আমরা কি আসলে নিরাপদ? গুলশান ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ঈদের দিন আর একটি বড় ধরনের অঘটন আমরা দেখতে পেলাম শোলাকীয়াতে! দেশের পরিস্থিতি এখন কি সেটা আমরা সবাই বুঝতে পারছি! গুলশান হামলার পর আমরা দেখেছি এই ঘটনা নিয়ে এক দল আর একদল কে ঘটনার সাথে জাড়নোর চেষ্টা করে রাজনৈতিক ভাবে ফায়দা নেবার চেষ্টা করছে।
আমাদের রাজনৈতিক আদর্শ আসলে কি? আমাদের দেশের মানুষ রাজনিতি করে শুধুমাত্র একটা দলের জন্য আর ভারত রাজনীতি করে তাদের দেশের জন্য। আমি বার বার ভারতকে টানছি এই কারনে যে ভারত আমাদের একেবারেই নিকটতম রাষ্ট্র। আর সে কারনেই ভারতের রাজনীতি সম্পর্কে আমাদের সবারই কম বেসি একটা ধারনা আছে। ভারত যত খারাপ রাষ্ট্রই হোক না কেন তারা রাজনীতি করে শুধুমাত্র তাদের দেশের জন্য আমাদের মত দলের বা ব্যাক্তির স্বার্থে নয়। আমরা ভারতের কাছ থেকে খারাপ সংস্কৃতিটাকে এত সুন্দর ভাবে বুকে টেনে নিয়ে বাঙ্গালী জাতীয় স্বত্বাকে নষ্ট করছি অথচ তাদের ভালোটা আমরা কোন ভাবেই গ্রহন করছি না। তাহলে আমরা কি মানুষিক ভাবে অনেক ন্যারো জাতী?
গুলশান হামলার পর পরই একটা পবিত্র দিনে, এতবড় একটা খুশির দিনে শোলাকীয়াতে যে হামলাটা হলো সেটা আমাদের দেশের সব বিকৃতমনা রাজনীতিবীদেরা কি ভাবে গ্রহন করছে সেটা আমার জানতে খুব ইচ্ছে হয়। এই ঘটনার পরে আমরা কি আবারো সেই রাজনৈতিক বিকৃত আদর্শ পনরাবৃত্তি দেখবো নাকি তাদের ঘুম ভাঙ্গবে!
দেশ এখন কি পরিস্থিতিতে আছে সেটা আমরা খুব ভালো করে বুঝতে পারছি। আমি নতুন করে বিতর্কিত কথা বলে পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চাই না। দেশের ভেতরে কোন ঘটনা ঘটলে বি এন পি যেমন আওয়ামী লীগকে দোষ দিয়ে ঘটনাগুলোকে রাজনৈতিক পন্থায় বিভ্রন্ত করতে চাই তদ্রুপ আওয়ামী লীগ সেই ঘটনাকে বিরোধী দলের কাজ বলে একই পন্থা অবলম্বন করেন। আর এটাই আমাদের রাজিনৈতিক আদর্শ। যে আদর্শ একটা দেশকে এবং দেশের চেতনা কে ধংশ করে একটা কুলাঙ্গার রাষ্ট্রের জন্ম দেয়। অথচ পাশের রাষ্ট্র ভারত অথবা উন্নত রাষ্ট্র গুলো দেশের স্বার্থে সকল রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবন্ধ হয়ে কাজ করে। আর আমরা?
দেশের ঠিক এই পরিস্থিতিতে প্রতিটা রাজনৈতিক দল সমস্ত বিভেদ ভুলে গিয়ে যদি ঐক্য তৈরি না করে, যদি এখনো এই ধরেন ন্যাক্কারজনক ঘটনা প্রতিরোধে একে অপরের সহযোগীতা না করে সেই পুরানো পথেই হাটে তাহলে বাংলাদেশ আফগানিস্থান বা পাকিস্থান হতে খুব বেসি সময় লাগবে না। আর তার আলামত আমরা চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি! ‍
দুটি বড় দল যারা বেসির ভাগ সময় বাংলাদেশের ক্ষমতায় থেকেছে সেই দুটি দল আওয়ামী লীগ এবং বি এন পি তাদের সমস্ত বিভেদ ভুলে গিয়ে শুধুমাত্র বাংলাদেশের স্বার্থে একত্ব বন্ধ হয়ে কাজ করে সমস্ত জঙ্গীবাদ এবং সন্ত্রাসী কমকান্ডে প্রতিরোধ করে দেশকে নিরাপদে রাখবে এই কামনা করছি। এখন নিজেদের ভেতরে বিরোধ করার সময় নয় এখন সময় জঙ্গী ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করা। রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে গিয়ে দেশের জন্য একত্ববদ্ধ হয়ে কাজ করবে সেই চিত্র দেখার অপেক্ষা থাকলাম। আমরা বাঙ্গালী আমরা দেশের স্বার্থে সবকিছু ত্যাগ করতে পারি ৭১ এর পরে আবার সেটা দেখতে চাই।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৩৪

বিজন রয় বলেছেন: দ্বন্দ চলুক, দেশ শেষ হয়ে যাক।

২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৫৮

রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: রাজনৈতিক দ্বন্দ্বই দেশকে ধ্বংস করছে।

৩| ০৮ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:০৫

সৈয়দ হাসানুজ্জামান (নয়ন) বলেছেন: বাংলাদেশে এখন একটি তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । স্বাধীনতার পক্ষ এবং বিপক্ষ । যেকোন এক পক্ষকে ফিনিশ করে দিতে হবে, তাহলেই দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব ।
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছেন, দেশকে স্বাধীন করেছেন এবং দেশের জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে । সুতরাং এই দেশ বঙ্গবন্ধুর উত্তরসুরী যারা তাদের উত্তরাধিকারী সম্পত্তি, জনগণের মতামত এবং নির্বাচন এখানে ফালতু ব্যাপার ।

৪| ০৮ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:১০

রাফি বাংলাদেশ বলেছেন: আসলে আমি এই পক্ষপাতটাকেই এখন নিপাত দেখতে চাই। দেশের এই বিপদের সময় কোন দন্দ বা পক্ষ বিপক্ষ মানে দেশকে আরো দ্রুত ধংশ করা।

৫| ০৮ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:৪২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বর্তমানে দেশে কোন রাজনৈতিক দ্বন্ধ নেই । দ্বন্ধ হয় সামনা সামনি , মুখোমুখি নিজের স্বপরিচয়ে । মুখুশের অন্তরালে থেকে যা করা হয় তা হল চোরা গুপ্তা কাজ যা অত্যন্ত নীচু শ্রেণীর ও হীন মানসিকতার পরিচায়ক । তাই এটাকে কোন দ্বন্ধ না বলে শুধুমাত্র সন্ত্রাসী হিসাবে সর্বমহলে চিহ্নিত করলে এমনিতেই এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নিরোৎসাহিত হয়ে যাবে । এর সাথে যে বা যারাই জড়িত থাকনা কেন মুখোশধারী বর্ণচোরাদের পরিচয় একটিই তারা সন্ত্রাসী ।

৬| ০৮ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:১৯

রাশেদ রাহাত বলেছেন: ভারো বলেছেন। +++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.