নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার উপরে মানুষ সত্য

রাফি বাংলাদেশ

আমার পরিচয় আমি একজন বাঙ্গালী

রাফি বাংলাদেশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পটা আবোল তাবোল!

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৫


একটা ছেলের বয়স যখন ১২ থেকে ২৫ বছর সেই ছেলেটি নিজেকে তখনই পৃথিবীর সব থেকে সুখি ব্যক্তি মনে করে যখন কোন সুন্দরী বা কিশোরী তাকে প্রান দিয়ে ভালোবাসে। আবার সেই ছেলেটির বয়স যখন ২৫ থেকে ৩৫ বছর তখন তার কাছে ঘটনাটা ঠিক উল্টো হয়ে দাড়ায়। এই সময়ে ছেলেটির কাছে পর্যাপ্ত পরিমানে টাকা থাকা মানেই ছেলেটি নিজেকে পৃথিবীর সব থেকে সুখি ব্যক্তি ভাবে। আমি ঠিক একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানের কথা বলছি। যাদের স্বপ্ন এবং ভাবনা গুলো জীবনের প্রয়োজনে পরিবর্তন হয়।
আমাদের দেশের সমাজ ব্যবস্থা বা ভবিষৎ প্রজন্মকে বাস্তবমুখি করার ক্ষেত্রে একেবারেই পেছনের কাতারের। অর্থের বদৌলতে আজ পৃথিবীতে যারা নামকরা হয়েছেন তাদের পেছনের গল্পটা ঠিক এমনই যারা ছোট বেলা থেকেই যারা বাস্তবতার সাথে লড়াই করে নিজেকে একটা বড় আসনে দাড় করিয়েছেন।
সেই ছেলে বেলা থেকেই একটা কথা শুনে এসেছি ‘ আজকের শিশু আগামী দিনে ভবিষৎ। কিন্তু এই ভবিষৎ বানানোর জন্য এই শিশুগুলোকে কি আমাদের দেশ এবং সমাজ ব্যবস্থা কোন পন্থা গ্রহন করে। এদেশের প্রতিটা পরিবার কি এই বিষয় সম্পর্কে সচেতন! রাষ্ট্র যদি সচেতন হয় তাহলে সচেতন হবে সে দেশের সমাজ। আর সমাজ সচেতন হলে প্রতিটা পরিবার হয় সচেতন। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে একজন শিশুর সুস্থ এবং বাস্তবমুখি করে গড়ে তোলার জন্য রাষ্ট্রের যেমন প্রধান ভূমিকা থাকা দরকার তার পাশাপাশি সমাজ এবং পরিবারকে।
আমাদের দেশের প্রতিটা তরুণেরা আগে একজন নারীর ছোয়া বা ভালোবাসা পাওয়ার জন্য যে ভাবে নিজেকে লড়াইয়ের ময়দানে হাজির করে ঠিক তেমনি জীবনের প্রয়োজনে যদি বাস্তবমুখি করার জন্য লড়ায়ে সামিল হতো তাহলে এদেশে অস্ংখ্যয বেকার,হতাশ হয়ে আত্বহত্য বা মাঝপথে এসে প্রতিটা স্বপ্নের মৃত্য ঘটতো না। জীবনের শুরুতে নারীর ভালোবাসার পেছনে না ছুটে বাস্তবতার পেছনে ছুটতো তাহলে এই নারী বা নারীর ভালোবাসা নিজের ইচ্ছাই সেই ছেলের হাতে এসে ধরা দিতো।
সময় বা সভ্যতার পরিবর্তনে নারীর ভালোবাসার ধরন পাল্টেছে। আপনি জীবনে সাবলম্বী না হলে ওই নারীর ভালোবাসা আপনার কাছে দুদিন পরে অসংখ্য স্বপ্নের মৃত্যতে রুপান্তরিত হবে।
তবে এই গল্পটা বা দায়টা আসলে ওই ১২ থেকে ২৫ বছরের যুবকের নয় দায়টা রাষ্ট্রের,সমাজের এবং পরিবারের। প্রতিটা শিশুর জন্য তার পরিবার,সমাজ এবং রাষ্ট্র সব থেকে বড় শিক্ষক।
আমার এই দুলাইনের বক্তব্য অনেকের কাছে মেকি বা পাগলামি মনে হতে পারে। কিন্তু কেউ কি আসলে এভাবে ভেবে দেখার চেষ্টা করেছে! আমরা দিন দিন খুব কনজারভেটিব হয়ে যাচ্ছি। নিজের বাইরে অন্যকে নিয়ে ভাবার সময় আমাদের কারো নেই। তবে ভবিষৎ প্রজন্মকে সুদ্ধ এবং সফল কান্ডারী করে গড়ে তুলতে হলে আমি মনে করি অবশ্যই এই বিষয়টা রাষ্ট্র,সমাজ,পরিবার এবং ব্যক্তি পর্যায়ে মাথায় রাখা উচিৎ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৯

আবিদা সিদ্দিকী বলেছেন: মেকি বা পাগলামি মনে হয়নি, বাস্তবতাই এমন...।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.