![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এ দেশের মানুষ বাজারে গিয়ে কেন দেশি পেয়াজ রেখে ইন্ডিয়ান পেয়াজ কিনে ঘরে ফেরে সেটার যুক্তিযুক্ত কোন কারণ খুজে পাই না! ইন্ডিয়ান পেয়াজ দামে কম এই কারনে? কিন্তু গুনের কথা কি কখনো ভাবেন! কখনো কি বোঝার চেষ্টা করেছেন গুনে ও মানে দেশী পেয়াজের ধারে কাছে নেই ভারতের ওই বেসাইজের পেয়াজ!
কৃষি উন্নয়নে আমাদের প্রতিটা নাগরীকের দায়িত্ব নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখা। কিন্তু সেখানে দেশের বলতে গেলে ৮০ ভাগ মানুষই বাজারে গিয়ে আগে ইন্ডিয়ান পেয়াজের দিকে হাত বাড়ায়। সামান্য দুটাকা কম পাওয়ার আশায় আপনি দেশ এবং দেশের কৃষিকে নিজ হাতে খুন করছেন এটা কি কখনো ভেবে দেখেছেন!
ছোট বেলা থেকেই বই পুস্তকে পড়ে এসেছি বাংলাদেশের উন্নয়নে কৃষি ও কৃষক ৭৫ ভাগ অবদান রাখে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বের বুকে কৃষি রফতানিতে ও আমরা সামনের কাতারের দেশ! কিন্তু এখন! আপনি বাজারে গেলেই সব বিদেশী সামগ্রী খুজতে থাকেন। অনেকেই বিদেশী জিনিস কিনে গর্বের সাথে গলা উচিয়ে কথা বলেন! এটা দেশের জন্য কতটুকু লজ্জার সেটা কখনো ভাবার চেষ্টা করেছেন!
আজ শুধুমাত্র আপনাদের এই বিদেশী বাহাদুরির কারনে বাংলাদেশের কৃষির বেহাল দশা। দেশে কোন ঘাটতি হলেই আমরা দেশের সরকারকে দোষ দিয়ে থাকি। কিন্তু আপনি ব্যক্তি মানুষ যে বেসি দোষ করছেন প্রতিনিয়ত সেটা বোঝার সাধ্য আপনার নেই।
বাংলাদেশের পাটকে সোনালি আশ বলা হয়ে থাকে যা বর্তমানে ধংশের মুখে। কৃষির প্রতিটা সেক্টরে ধস নেমেছে। যারা কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো এবং দেশের প্রতিটা মানুষের খাবারের চাহিদা মেটাতো তারা আজ দুবেলা ঠিকমত খেতে পারে না। বিদেশী বিদেশী করতে করতে আজ আমরা নিজেরাই দেশ ও দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করছি। আর কিছু হলেই সরকারের উপর দোষ চাপিয়ে দিয়ে থাকি। কিন্তু বাস্তবতা আসলে কি!
একসময় আমরা দেশী পেয়াজ ছাড়া খেতাম না। দেশে ঢুকল ভারতীয় মোটা -তাজা পেয়াজ। আমাদের মা -খালারা 'ঝাঁজ কম' বলে রান্নাঘরে যতই অভিযোগ করত না কেন, 'দাম কম' এই অজুহাতে বাজারে গিয়ে আমাদের বাপ চাচাদের আগ্রহটা সেই ইন্ডিয়ান পেয়াজের দিকেই ঝুকতে থাকলো। 'দশ টাকা' কেজির ভারতীয় পেয়াজের সাথে 'বিশ টাকা' কেজি দেশী পেয়াজ টিকবে কি করে ? ফলে ধীরে ধীরে দখল হয়ে গেল বাজার, দেশী চাষীরা প্রায় বন্ধই করে দিল পেয়াজ উৎপাদন। আর এখন আমরাই সেই দশ টাকার পেয়াজ কিনছি পঞ্চাশ টাকা কেজি দরে।
একবার ভারতের ইংরেজি দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমসে প্রকাশিত ‘অ্যান আই ফর অ্যান আই : নো ওনিয়নস ফর ব্যানিং হিলসা’ শিরোনামের এক প্রতিবেদনে এক তথ্য জানানো হয়েছিলো। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ইলিশ মাছ না দিলে পেঁয়াজ ছাড়া তরকারিই হবে বাংলাদেশের ওপর ভারতের ‘প্রতিশোধ’। আমার প্রশ্ন হলো কেন ইলিশ মাছ দিয়ে তাদের কাছ থেকে আমরা পেয়াজ আমদানি করবো! এটার যক্তিটা কি? আমাদের দেশের পেয়াজের গুন খারাপ? আমাদের দেশের মাটি পেয়াজ উৎপাদনে উর্বর নয়!
আমি যখন পেয়াজের উদাহরন টেনে কথা শুরু করেছি তখন আর একটু যুক্তির কথা বলি। ভারতে উৎপাদিত পেয়াজ গুনে ও মানে কোন অংশেই ভালো নয় সেটা আমরা সবাই জানি এবং মানি। আপনি দেখেন ভারতে একটা পেয়াজ অনেক সময় কম তরকারী রান্না করতে গিয়ে দারুন অপচয় হয়। মানে একটা পেয়াজের পুরোটা আপনার কম তরকারীর জন্য প্রয়োজন হয় না। সেক্ষেত্রে আপনি পেয়াজের অর্ধেকটা কেটে ব্যবহার করে বাকি অর্ধেকটা রেখে দিচ্ছেন কাটা অবস্থায়। সেটা পরবর্তীতে কি হচ্ছে! নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বা পচে যাচ্ছে। ফেলে দিতে হচ্ছে কিন্তু আমাদের দেশে উৎপাদিত পেয়াজ কি কেটে ফেলা রাখার সুযোগ থাকে। আমাদের দেশে উৎপাদিত পেয়াজের যে সাইজ হয় তা দিয়ে আপনি কম হোক বা বেসি হোক যেকোন পরিমানে তরকারী রান্না করলে সেটা অপচয় হওয়ার সুজোগ নেই।
আপনি ধরেন পাঁচটাকা কম দিয়ে ভারতের পেয়াজ কিনছেন। কিন্তু দেখেন বাংলাদেশের একশ গ্রাম পেয়াজের যে গুন সেটা ভারতের ৩০০ গ্রাম পেয়াজ দিয়েই সেই স্বাদ বা গুন আাপনি পাচ্ছেন না। এখন টাকার অংক যদি হিসাব করে তাহলে কি বরং বেসি টাকা দিয়ে কম গুনের পেয়াজ বাজার থেকে কিনছেন না!
আমি কাউকে আসলে অংক বোঝানোর চেষ্টা করছি না। আমি শুধু বলতে চাই দেশীয় পণ্য কিনে হন ধন্য। আপনি ধন্য হলে ধন্য হবে দেশ, ধন্য হবে কৃষি উন্নয়ন হবে বাংলাদেশের।
আজ থেকে আপনি শুরু করুন। ভালো হোক মন্দ হোক যা কিনবো সম্ভব হলে দেশে পণ্যই কিনবো।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:১৮
রাফি বাংলাদেশ বলেছেন: উৎপাদন কম তখনই হয় যখন মানুষের চাহিদা থাকে না। কিন্তু আমাদের দেশী পণ্যের উপর চাহিদা না থাকার কোন কারণ দেখছি না। এ দেশের েএক শ্রেনীর মানুষ মনে করে যে বিদেশী পন্য কিনলেই নিজেকে একজন দামী মানুষ হিসেবে মানুষের মাঝে তুলে ধরা যায়! এটা খুব বাজে কালচার হয়ে দাড়িয়েছে এখন। আর এই ঘটনা বা মানুষিকতা শুধু আমাদের দেশের মানুষদের ভেতরেই দেখা যায়। কিন্তু আপনি পাশের রাষ্ট্র ভারতের দিকেই যদি তাকান তাহলে দেখবেন ওরা আগে দেশ তারপর বাহিরেরটা ভাবে। অথচ আমরা তার উল্টো। আর শুধু শুল্ক কর বাড়ালেই যে দেশী পণ্যর কাছাকাছি দাম আসবে সেটা যুক্তিযুক্ত কথা নয়। আপনি যদি সেই পন্য বর্জন করে নিজের দেশের ভালো পণ্য গ্রহন করেন তবে দেখবেন একদিন এমনিতেই সব ঠিক হয়ে যাবে। নিজেদের সচেতনতা আগে জুরুরি.
২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:০৫
ওমেরা বলেছেন: পয়সাটাই মূখ্য বিষয় , দেশ প্রেম আর খাবারের স্বাদ এখানে গৌন্য।ধন্যবাদ সুন্দর একটা বিষয় তুলে ধরার জন্য ।
৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩২
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমরা আর কত সচেতন হব!
৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ৪৫ বছর ধরে সচেতন করে চলছি, সচেতন হয়েছি; ফলাফল খুব সামান্য।
৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৯
শামছুর রহমান বলেছেন: অনেক সুন্দর !
৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:০১
বিজন রয় বলেছেন: ভাই, শুধু পেয়াজ না আমি বিদেশি কোন খায়ার জিনিষ কিনি না। এমনকি ফার্মের মুরগী আর চাষের মাছও আমি খাই না। ওসব আমার একদমই ভাল লাগে না খেতে।
ধন্যবাদ আপনাকে বিষয়টি অবতারনার জন্য।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:১৫
রাফি বাংলাদেশ বলেছেন: কামনা করছি আমাদের দেশের প্রতিটা মানুষ আপনার মত হোক।
ধন্যবাদ আপনাকে
৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দেশীয় পণ্য কিনে হন ধন্য। আপনি ধন্য হলে ধন্য হবে দেশ, ধন্য হবে কৃষি উন্নয়ন হবে বাংলাদেশের।
আজ থেকে আপনি শুরু করুন। ভালো হোক মন্দ হোক যা কিনবো সম্ভব হলে দেশে পণ্যই কিনবো।
সেটাই।
জেগে ওঠা টা হোক নিজের থেকে:
একুশ যে আত্মপরিচয় জাগিয়েছে- আজ কতদূরে আমরা সে পরিচয় থেকে!
++++
৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ১ নং কমেন্টে ব্লগার শাহাদাৎ হোসাইন সাহেবের বক্তব্যের সাথে সম্পূর্ণ একমত।
৯| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩৩
রাতুল_শাহ বলেছেন: আমি সাধারণ বাজারে গেলে দেশী পেয়াজ কিনি। কারণ দেশী পিয়াজে তরকারীর স্বাদ ভালো হয়, তরকারীর রং ভালো , খিচুরীর সাথে সালাদ হিসেবে বেশ ভালো।
কিন্তু ইন্ডিয়ান পেয়াজ তরকারীকে কালো বানাইয়া ফেলে। স্বাদ থাকে না।
বাসায় যে ইন্ডিয়ান পেয়াজ কিনে , তার উপর প্রচন্ড রকমের মেজাজ খারাপ হয়।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:২৯
রাফি বাংলাদেশ বলেছেন: সবাই একদিন এমন হবে সেই কামনা করছি।
আপনাকে ধন্যবাদ
১০| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০১
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: সত্যি কথা কিন্তু বড়ই তেতো।। যতই বিরোধিতা করি না কেন, ভারতীয় পন্য ছাড়া সত্যিই অকেজো।। তাও যদি দেশীয় পিয়াজ আমাদের চাহিদা পূর্ন করার মত উৎপাদন হতো!! বাস্তবতায় আমরা পিছিয়ে ভাই।। এটাতে কোন ভুল নাই।।
তবে আপনার আন্তরিকতায় কিন্তু সন্দেহ বিন্দুমাত্রও নেই।। আমিও আপনরই মত।।
ধন্যবাদ এবং ভাল থাকবেন।।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৩১
রাফি বাংলাদেশ বলেছেন: সবাই যদি দেশী পেয়াজ কেন তাহলে দেখবেন চাহিদা বাড়বে আর চাহিদা বাড়লে দেশে আবার আগের মত উৎপাদন হবে। শুরুটা আমাদের কেই করতে হবে।
ধন্যবাদ আপনাকে। আপনিও ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৫
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মুরগি থেকে শুরু করে কলা পর্যন্ত মানুষের এক নম্বর পছন্দ দেশীয় পণ্য। কিন্তু আমাদের দেশে এই সমস্ত পণ্যের উৎপাদন কম থাকায় এবং চাহিদা বেশি রয়েছে বিধায় দাম একটু বেশী। সাধারণ মানুষ দু’টা টাকা বাঁচানোর জন্য এই সমস্ত পিঁয়াজ বা অন্যান্য দ্রব্য কিনে থাকে। এতে তাদের বেশি একটা দোষ নেই। কারণ, তারা সাত পাঁচ না ভেবে শুধু অর্থ বাঁচানোর জন্য ইন্ডিয়ান পণ্যগুলো কিনে নিয়ে যায়।
কিন্তু রেন্ডিয়ান কৃষিজাত পণ্যের মান আমাদের দেশের পণ্য থেকে অনেক নিচে। এজন্য সরকার চাইলে ব্যবস্থা নিতে পারে। রেন্ডিয়ান পণ্যের উপর শুল্ককর বৃদ্ধি করে মূল্য দর দেশীয় পণ্যের মূল্য দরের কাছাকাছি নিয়ে আসতে পারে। এতে একদিকে রাষ্ট্রের আয় যেমন বাড়বে অন্য দিকে দেশীয় পণ্যগুলো মার্কেটে আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে এবং বিদেশী নিম্নমূল্যের পণ্যগুলো একটি প্রতিযোগিতার সন্মুখীন হবে।
অত:পর রাষ্ট্রে যারা সাধারণ মানুষ কে পিছনে ফেলে রেখে টাকার পাহাড় গড়ছে তারা যদি তাদের অশুভ চিন্তাধারা থেকে ফিরে এসে সাধারণের জন্য কাজ করে তাহলে মানুষের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।