![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুনিয়ার খবর রেখে শান্তি পাই।
২০১৬ সালে ট্র্যাম্প যখন নির্বাচনে লড়েছিলেন তখন তিনি শুধু ডেমোক্রেটদের বিরুদ্ধে লড়েননি।তিনি নিজের দল রিপাবলিকানদের বিরুদ্ধেও লড়েছিলেন।তিনি ছিলেন মার্কিন নির্বাচনে বহিরাগত।প্রতিষ্ঠিত পররাস্ট এবং যুদ্ধনীতির বিরুদ্ধে তিনি লড়েছিলেন।২০২০ সালে বাইডেন লড়েছিলেন শুধু ট্র্যাম্পের বিরুদ্ধে।তিনি সহায়তা পেয়ছেন ডেমোক্রেট,রিপাবলিকান,মিডিয়া,মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সের।বলা যায় এই নির্বাচনটা বাইডেন চুরি করেছেন।এই চুরি করে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বাইডেন আগামি চার বছরে কি কি করতে পারেন?
১) ট্র্যাম্পের অল্প কিছু সমর্থক কংগ্রেস এবং সিনেটে বাইডেনের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠতে পারে।
২) ঐতিহাসিক ভাবে ইউরোপ দুনিয়ার গুরুত্বপুর্ন অংশ হলেও সেটা এখন আর অবশিষ্ট নেই।কারন ইউরোপে এমন কোন শক্তি নেই যে আমেরিকা চরম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারে।বর্তমান দুনিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন অংশ হল পূর্ব এশিয়া।কারন আমেরিকার চরম প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের অবস্থান এখানে। এটা দুনিয়ার সবাই স্বীকার করে যেমন স্বীকার করে ডেমোক্রেট এবং রিপাবলিকানেরা। এজন্য সবার একমাত্র উদ্ধেশ্য হল চীনকে ঠেকানো।চীনকে ঠেকাতে গিয়ে ট্র্যাম্প একা পথে হেঁটেছিল।তিনি এশিয়াতে মার্কিন এলাইদের ব্যাবসার নামে সম্পর্ক খারাপ করেছিলেন।বাইডেন প্রশাসনও চীনকে ঠেকানোর পথে হাঁটবে তবে সেটা ভিন্ন উপায়ে।বাইডেন এশিয়া এবং ইউরোপে মার্কিন এলাইদের সাথে সম্পর্ক আর গভীর করে চীনকে ঠেকানোর চেষ্টা করবে।
ট্রাম্প চীনের সাথে যে বানিজ্য যুদ্ধের সুচনা করেছিল বাইডেন সেটা চলমান রাখবেন এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে সেটা মডারেত ওয়েতে।
২) এখন বাইডেন তার প্রশাসনে যাদের টেনেছেন তার মনে করে ইউরোপ হচ্ছে তাদের বেবি এবং আমেরিকা হল বেবি সিটার।তাদের পলিসি হল ইউরোপের প্রতিরক্ষার দায়ীত্ব তাদের যেটা তারা করে আসছিল ১৯৪৫ সাল থেকে।তাই তারা চেষ্টা করবে ন্যাটোকে আরো শক্তিশালী করতে।
৩) বাইডেন প্রশাসনের সবাই চরম রাশিয়া বিরুধি।এই জন্যই তারা চেষ্টা করবে ইউক্রেনকে ন্যাটোকে অন্তর্ভুক্ত করার।বাইডেন প্রশাসনের সাথে জার্মানির সম্পর্কের টানাপোড়েন হতে পারে নর্ড স্ট্রিম-২ গ্যাস পাইপ লাইন নিয়ে।তবে মনে হয় না জার্মানি রাশিয়া থেকে পাইপ লাইনে গ্যাস আমদানি বন্ধ করবে।
৪) ইরানের সাথে সম্পর্ক খুব বেশি উন্নত হবে না।কারন ইরানের সাথে সম্পাদিত চুক্তি জেসিপিউতে বাইডেন প্রশাসন সহসা ফিরে যাবে না।বাইডেন প্রশাসন এই চুক্তি নিয়ে পুনরায় আলোচনার চেষ্টা করবে যেখানে তারা ব্যলাস্টিক ক্ষেপনাস্রকে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করবে।যার জন্য সে জার্মানি,ফ্রান্স এবং ইউকের সমর্থন পাবে।এর ফলে ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে বাইডেনের উপর চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করবে।যেটা সম্পর্কের আরো অবনতি ঘটাবে।
৫) সিরিয়া এবং ইরাকে বাইডেন গভীরভাবে যুক্ত ছিলেন এবং থাকবেন।এই দুই দেশ থেকে বাইডেন সৈন্য প্রত্যাহার করবে না বরঞ্চ সৈন্য সংখ্যা বাড়াবে। যেটা সিরিয়া সমস্যার সমাধানকে আরো জটিল করে তুলবে।
৬) ইয়েমেন যুদ্ধের পরিসমাপ্তি বাইডেন ঘটাবে না।অনেকগুলু ইস্যুর মধ্যে এটাকেও বাইডেন প্রশাসন ইরানের সাথে আলোচনার কেন্দ্রবিন্ধুতে রাখার চেষ্টা করবে। হতে পারে সৌদি এবং আমিরাতের উপর অস্র বিক্রি কমিয়ে কিছু প্রেশার হয়ত তিনি সৃষ্টি করতে পারেন।তবে আমিরাতের সাথে ইজরায়েলের সম্পর্কের কারনে ইজরায়েলি লবির পুর্ন সমর্থন সৌদি আমিরাতের পক্ষে যাবে।
৭) ইজরায়েলের প্রতি কমিট্মেন্ট এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখলে ইজরায়েলের অবস্থানের কোন পরিবর্তন হবে না।
এবার বাংলাদেশি তথাকথিত রাজনৈতিক দল বিএনপির সপ্ন নিয়ে ভাবি!!!
বিনেপির লোকজন মনে করে বাইডেন প্রেসিডেন্ট হলেও পিছনের কলকাঠি নাড়াবেন হিলারি। আর হিলারির বন্ধু হলেন ডঃ ইউনুস।এ জন্যই তারা আশায় বুক বেঁধেছেন যে,তারা হয়ত এবার ক্ষমতার সপ্ন দেখবেন।এই চিন্তা যেসব বিএনপি নেতারা করেন তাদের বলবো মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণের প্রক্রিয়াটা একটু ভালো করে জানার চেস্টা করেন।এশিয়া হল এখন আমেরিকার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের জায়গা।এখানে তাদের পলিসি হল কন্টেইনমেন্ট চায়না।এর জন্য মার্কিনিদের সাথে ভারতের সম্পর্ক আরো গভীর হবে এবং বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের কথায় বাইডেন প্রশাসনের কাছে শেষ কথা।
ভারত এবং লীগের শত্রুদের জন্য একটা খারাপ খবর হল পাকিস্থান নিয়ে।পাকিস্থান নিয়ে বাইডেন প্রশাসন নতুন করে ভাবতে বাধ্য এবং ভাববে।কারন পাকিস্থান এখন ধীরে ধীরে রাশিয়া ব্লকে ডুকে যাওয়ার চেষ্টা করছে।উপরন্তু পাকিস্থানিদের সাথে বাইডেনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল।যেটা হয়ত পাকিস্থানের সাথে সম্পর্ক উন্নতিতে কাজে আসবে।
©somewhere in net ltd.